অভিনন্দন : শুভ উদ্বোধন বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়

॥ আলহাজ্ব এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ ॥ অভিনন্দন, শুভ উদ্বোধন, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়। বান্দরবানের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিট, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভ উদ্বোধনে অভিনন্দন না জানালে নিজেকে খুবই ছোট মনে লাগছে।
এটা জেলার বেসরকারী উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা সহজ মাধ্যম বিষয় নহে। অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। প্রতিষ্ঠা করতে অনেকে কষ্ট করতে হয়েছে। অনেকে বিষয়েরও সমস্যা ও রয়েছে।
তারপরেও বান্দরবানের মাটি মানুষের অকৃতিম বন্ধু এবং ৬ষ্ঠ বারের মতো নির্বাচিত সংসদ বীর বাহাদুর অত্যন্ত দুঃ সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে এই বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁকে ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করব না। অভিনন্দন, অভিনন্দন, অভিনন্দন।
কথায় কথা আসে। না লিখেও পারছি না। দেশের অন্যান্য স্থানে বিভিন্ন প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে জনগনকে অনেকে আন্দোলন করতে হয়। সরকার থেকে অনুমোদন নিতে কাঠ খড় পোহাতে হয়। তারপরও সরকারী স্বীকৃতি অনুমোদন মিলে।
বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাকে সব বিষয়ের উদার মনোভাবের পরিচয় দিয়ে ছিল। প্রতি উপজেলাতে কলেজ প্রতিষ্ঠা করে যাচ্ছিল।
জনগনের সুবিধার জন্য শেখ হাসিনার সরকার রাঙ্গামাটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়ার পর অনেক বিরোধী আন্দোলন হয়েছে। প্রাণ ঝরেছে। অনেক ক্ষতি হয়েছে। তারপরও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কিন্তু এখনও বিরোধিতা অব্যাহত রয়েছে। সমস্যা একটা খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে।
বীর বাহাদুরের বাহাদুরের বংশ। বীর বাহাদুর বাহাদুরের মত উদ্যোগ নিয়েছে। বান্দরবানের জনগনের ভোটের মার্কা দিয়ে ভাবলে সে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। আবারও অভিনন্দন।
পিছনের দিকে দেখতে হয়। আমি ১৯৬৯ সনে দৈনিক আজাদীর মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন অভাব অভিযোগের পাশাপাশি শিক্ষা কৃষ্টি, সংস্কৃতি উন্নয়নে অগ্রনী ভ’মিকা রেখেচি। ১৯৭৬-১৯৭৮ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সর্বপ্রথম সংবাদপত্র এ সাপ্তাহিক বনভ’মি এবং ১৯৮১-৮২-৮৩ তে সর্বপ্রথম দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক গিরিদর্পণ প্রকাশ করার পর থেকে আজ পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলায় সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি এবং ফল পাচ্ছি।
সংবাদপত্র প্রকাশের পর থেকেই রাঙ্গামাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়, বান্দরবানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খাগড়াছড়িতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবী জানিয়ে আসছিলাম। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপকেন্দ্র স্থাপনের দাবীতে দীর্ঘদিনের। ইতিমধ্যে রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে বেতার কেন্দ্র এবং রাঙ্গামাটিতে টেলিভিশন উপকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। বাকী গুলো পর্য্যায়ক্রমে হবে অবশ্যই আশা রাখি। সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তিন জেলাতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিন পার্বত্য জেলায় যোগাযোগের দাবীর প্রেক্ষিতে অর্ভুত পূর্ব সাড়া পাওয়া গেছে। এমনকি সীমান্ত সড়ক ও বাস্তবায়িত হচ্ছে।
পার্বত্য অঞ্চলের তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার দাবী ছিল দীর্ঘদিনের। তিন জেলায় রামগড়, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, কাপ্তাই, বান্দরবানের সাথে রেল যোগাযোগ এবং রাঙ্গামাটিতে বিমানবন্দর স্থাপনের দাবী ও ছিল। রেল যোগাযোগের পরিকল্পনা শুরু হচ্ছে। বিমান বন্দরের প্রস্তাব উঠেছে ইদানিং।
রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিদ্যুৎ এর উন্নয়নে অনেক প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। বিনামূরৈ‌্য বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘোষণা ছিল। কাপ্তাই হৃদ ড্রেজিং করে নৌ যোগাযোগ সুষ্ঠভাবে রাখার জন্য এবং হ্রদের মৎস্য চাষের উন্নয়নও রয়েছে।
বর্তমানে যে প্রস্তাবটি অত্যন্ত সাড়া মিলেছে সেটা হচ্ছে তিন পার্বত্য জেলায়, রামগড়, বাঘাইছড়ি, কাপ্তাই এবং লামা আলীকদমকে জেলা ঘোষণা করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা।
এলাকার সন্ত্রাসমুক্ত, চাঁদা মুক্ত রেখে সরকারী উন্নয়ন নির্দ্বিধায় এগিয়ে যাক। অভিনন্দন শুভ উদ্বোধন।

রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই বিপ্লবের স্মরণে র‌্যালি ও দোয়া জুলাই এর গণঅভূত্থানে ছাত্র জনতার রক্তদান এবং অসংখ্যজনের পঙ্গুত্ব বরণের মধ্যদিয়ে আমরা নতুন দেশ পেলাম —–প্রফেসর ড. মোঃ আতিয়ার রহমান

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031