জনসংহতি সমিতি অস্ত্রের রাজনীতির উপর নির্ভর শীল —দীপংকর তালুকদার

॥ সুমন্ত চাকমা, জুরাছড়ি ॥ জনসংহতি সমিতি অস্ত্রের রাজনৈতিকের উপর নির্ভর শীল। এই অস্ত্রের প্রতিযোগীতা হতে হতে তারা যেমনি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, আমাদের জাতিও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য দীংকর তালুকদার।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) জুরাছড়ি উপজেলায় কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনসংহতি সমিতির মনোনিত সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার কাপ্তাই হ্রদের চাষাবাদকৃত কৃষকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। চারটি বছরে একবারও সঠিক সময়ে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমাতে ও বাড়াতে পারেনি। তিনি শুধু নিজের আখের গোছানো ও প্রতি হিংসা রাজনীতিতেই ব্যস্ত।
জুরাছড়ি উপজেলা বিশ্রামাগারে অনুষ্ঠিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি কেতন চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রর্বতক চাকমা, মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মিতা চাকমা, ছাত্রলীগের সভাপতি রিকো চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
দীংকর তালুকদার আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান সমস্যা কালিন (শান্তি চুক্তির পূবে) চাকমা, বাঙালি, মারমা, ত্রিপুরা অনেক অকালে মারা গেছে। আর সংঘর্ষ কালিন যা হত্যাকান্ড হয়েছে সকল হত্যাকান্ড নিন্দানীয়। জনসংহতি সমতির শান্তি বাহিনীর লোকেরা যাদের হত্যা করেছে তারা আমাদের সমাজের গুরুত্বপূন্য মানুষ। তারা ভাল ভাল কবি, সাহিত্যিক, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সমাজ সংস্কারক এবং জমিদার।
দীপংকর তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, জনসংহতি সমিতি ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সাধারণ জনগনের কাছে বলেছে জেএসএসের নিজস্ব জনপ্রতিনিধি, সংসদ সদস্য না হলে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন, উন্নয়ন কোন কিছু হবেনা। নিজের মানুষকে জনপ্রতিনিধি, সংসদ সদস্য করতে হবে। তাই জনসংহতি সমিতি ঊষাতন তালুকদারকে ভোটের মাধ্যমে নয়- বন্দুকের মাধ্যমে সংসদ সদস্য চেয়ারে বসিয়েছে।
জনসংহতি সমিতি ঊষাতন তালুকদারকে সংসদ সদস্য পদে বসিয়ে কি লাভ হয়েছে। পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়িত করতে পেরেছে ! পার্বত্য এলাকায় এখনো পর্যন্ত উন্নয়নের নামে একটি ইট পর্যন্ত স্থাপন করতে পারেনি।
তারা জুম্ম জাতিকে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে রেখেছে। অথচ যে জাতির বাক স্বাধীনাতা নেই, চলার স্বাধীনতা নেই, সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা নেই- সে জাতি লেঙরা, অসল হয়ে বসে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, এখন দেখা যাচ্ছে যারা জেএসএসের মনোনিত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ড সদস্য নির্বাচিত হয়েছে তারা সাধারণ মানুষের উপকারের দুরের কথা সাধারণ মানুষদের সাথে বিন্দু মাত্র ভাল ভাবে কথাবর্তা পর্যন্ত বলেনা।
সম্মেলনের উদ্বোধক রাঙ্গামাটি কৃষক লীগের সভাপতি জাহিদ আক্তার বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি পুণাঙ্গ বাস্তবায়ন ও উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে আগামী সংসদ নির্বাচনে দল, মত নির্বিশেষে নৌকা প্রতীকে দীপংকর তালুকদারকে বিজয়ী করতে হবে।
সম্মেলনে কেতন চাকমা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অনিল কান্তি চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইকেল চাকমাকে নির্বাচিত করে রাঙ্গামাটি কৃষক লীগের সাদারণ সম্পাদক উদয় শংকর চাকমা উপজেলা কৃষক লীগের একাত্তর সদস্য বিশিষ্ট পুনাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করেন।

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031