বিনম্্র শ্রদ্ধায় জাতির জনককে স্মরণ : জ্ঞান বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে চিরঞ্জীব রাখবো বঙ্গবন্ধুকে -সুজন

চট্টগ্রাম ব্যুরো :: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আজ শনিবার সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক নগর ভবনের সম্মুখস্থ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন। এসময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ৃয়া, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুফিদুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.সেলিম আকতার চৌধুরী, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা আকতার নেলী, প্রশাসকের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা পারভীন, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি এ.কে.এম রেজাউল করিম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দীকিসহ কর্পোরেশনের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শ্রমিক কর্মচারীলীগ(সিবিএ), চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড সচিব ফোরাম এর পক্ষ থেকেও নগর ভবনের সম্মুখস্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্যা অর্পণ করা হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শ্রমিক কর্মচারীলীগ(সিবিএ)এর সভাপতি ফরিদ আহমদ, সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড সচিব ফোরাম এর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ ওয়ার্ড সচিবগন উপস্থিত ছিলেন। এরপর চসিক কনফারেন্স হলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রশাসক বলেন, আজ ১৫ই আগষ্ট। জাতীর জন্য এক কলঙ্কময় দিন। জাতীয় শোক দিবস। ৪৫ বছর আগে ১৯৭৫ সালের এই দিনে পাক হায়েনাদের প্রেতাত্মা তথা একদল বিপদগামী সেনাবাহিনীর একটি চক্রান্তকারী চক্র সপরিবারে হত্যা করে বাঙালী হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতীর অবিসংবাদিত নেতা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধু ৪৮, ৫২,৬৬, ৬৯, ৭০ সহ বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুর দ্বার হতে বার বার ফিরে এসেছিলেন, ৭১-এ পাকিস্তানী হায়েনারা যা করতে পারে নাই, সেই কাজটিই অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় ও পূর্বপরিকল্পিতভাবে সম্পাদন করে পাপিষ্ঠ ঘাতকরা। ওরা মানুষ নামের হায়েনার দল, ওরা শয়তানের প্রেতাত্মা। ওরা জঘন্য। ওরা বিপদগামী হিংস্র জানোয়ারের দল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একদিন যে আঙ্গুলী উচিয়ে বাঙ্গালী জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিলেন, বলেছিলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” সেই স্বাধীন বাংলাদেশে তাঁর আঙ্গুলি চিরদিনের জন্য নিস্তেজ করে দেয় ঘাতকরা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ঐতিহাসিক সেই বাড়িতে। আর কোনদিন ঐ আঙ্গুলি আমাদেরকে প্রেরণা দিতে আসবেনা, দিবেনা মুক্তির বারতা। তবে একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে তিনি মৃত্যুহীন। চির অমর হয়ে থাকবেন বাঙালি জাতির প্রত্যেকের মনে। সেদিন ঘাতকদের উদ্দেশ্য ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভুলুন্ঠিত করা। কিন্তু সেদিন জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তাঁর আর্দশ, নীতিকে মুছে ফেলতে পারেনি ঘাতকরা। প্রশাসক আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর স্বপ্ন । তাই জ্ঞান বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে আমাদের বঙ্গবন্ধরু আজীবন লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলে আমরা চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথাযর্থ সম্মাণ প্রদর্শন করতে পারবো। প্রশাসক বলেন এই বছর ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জম্মশতবার্ষিকী মহা আয়োজনে করার কথা থাকলেও বৈশ্বিক মহামারী করোনা দূর্যোগের কারনে তা সীমিত করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি যদি উন্নতি হয় ২০২১ সালে আমাদের মহান স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপিত হবে। এই অনুষ্ঠান পালনের মধ্যদিয়ে নতুন প্রজম্ম বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশ ও জাতির উন্নয়নে নিজেদেরকে নিবেদিত করবে বলে প্রত্যাশা করেন প্রশাসক। তিনি বলেন, জাতির পিতার আদর্শকে লালন ও বুকে ধারণ করে তার সুযোগ্য তনয়া মাননীয় প্রাধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নির্মাণে কাজ করছেন। একই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু সহ ১৫ই আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় খতমে কোরআন,মিলাদ ও বিশেষ দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রশাসক মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সারা দেশে ১ কোটি চারাগাছ রোপন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে টাইগারপাস্থ বিন্নাঘাস প্রকল্প এলাকায় কয়েকটি ফলজ ও ওষুধি গাছের চারা লাগিয়ে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন।

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031