নানিয়ারচরে আগুনে ৬ ঘর ভষ্মিভ’ত : সেনা তৎপরতায় রক্ষা পেলো শতাধিক পরিবার

॥ নানিয়ারচর সংবাদদাতা ॥ রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলার মাষ্টার পাড়ায় রান্নার চুলা থেকে লাগা আগুনে পুড়ে গেছে অন্তত ৬ টি বসত ঘর। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে দশটার সময় হঠাৎ করেই আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় মুহুর্তের মধ্যেই আগুন আশেপাশের কয়েকটি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় ঘন্টাব্যাপী চেষ্ঠা চালিয়ে সেনা সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এতে করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অন্তত ২৫ লক্ষ্য টাকা বলে জানাগেছে।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে নানিয়ারচর সেনা জোনের কমান্ডার বাহলুল আলম তার সেনা সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে স্থানীয়দের পাশাপাশি আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করতে শুরু করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রন বিকাশ চাকমা জানিয়েছেন, আগুনটা প্রথমে শিখা দাশের ঘর থেকে লেগেছে বলে আমি শুনেছি। পরে আগুন তাৎক্ষনিকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর নানিয়ারচর জোন কমান্ডার মোঃ বাহালুল আলম ঘটনার সাথে সাথেই তার জোয়ানদের নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘন্টাব্যাপী ব্যাপক চেষ্ঠা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তিনি বলেন, সময়মতো যদি নানিয়ারচর জোনের সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত নাহতো তাহলে আগুনে অন্তত শতাধিক পরিবার আক্রান্ত হতো। তার মধ্যে সরকারি-বেসরকারি কয়েকটি অফিসসহ হেডম্যান এসোসিয়েশনের কার্যালয়, শিক্ষার্থীদের হোষ্টেল, কেজি স্কুল, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও রয়েছে। রন বিকাশ জানান, সময়মতো সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত নাহলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিলো।
স্থানীয়রা জানায়, আগুন লাগার পর রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কোনো গাড়ি পৌছায়নি। সেনাবাহিনীর জোয়ানরা তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে এসে একটি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে নিজেদের খাবার জন্য মজুদ করে রাখা পানিভর্তি কন্টেইনার নিয়ে এসে এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে জোন থেকে আনা পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এতে করে ৬টি ঘর পুড়লেও আশে-পাশের প্রায় শতাধিক পরিবার আগুনের ছৌবল থেকে রক্ষা পায়। ক্ষতিগ্রস্থদের অনেকেই শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন বলে জানাগেছে।
ঘটনাস্থলের উপস্থিত স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, একটি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে বর্তমানে পুরো এলাকাটিকে সেনা জোয়ানদের মাধ্যমে পাহারায় রাখা হয়েছে। যাতে করে বহিরাগত কেউ যাতে উক্ত স্থানে প্রবেশ করে লুটপাট করতে বা কোনো কিছু সরাতে নাপারে।

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031