
অনলাইন ডেস্ক ॥ বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিল পয়েন্টে নোঙর করা এলপিজি বহনকারী লাইটারেজ জাহাজে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের টাগ বোট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে, একইসঙ্গে ৩১ নাবিককে উদ্ধার করে। শনিবার (১২ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টার দিকে এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশে এলপিজি শিপ টু শিপ (এসটিএস) লাইটারিংয়ের মতো বিশেষায়িত কাজে এটি ছিল প্রথম জাহাজ। সাগরে ভাসমান নাবিকদের উদ্ধারকাজে সহায়তা করে টাগবোট ‘তুফান এক্সপ্রেস’। এ টাগ বোটের মাস্টার নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আগুন লাগার পর প্রথমে জাহাজে থাকা অগ্নিনির্বাপণকারী ইক্যুইপমেন্ট দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করেন নাবিকেরা। পরে ক্যাপ্টেনের নির্দেশে জীবন বাঁচাতে নাবিকেরা তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে সাগরে ঝাঁপ দেন। ৩১ জনকে উদ্ধার করে আমাদের টাগ বোট রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে পতেঙ্গা উপকূলে পৌঁছে দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে মেরিনারদের ধারণা, অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খালাসে নিয়োজিত রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) লাইটার জাহাজ ‘বাংলার জ্যোতি’ ও ‘বাংলার সৌরভ’ এ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকা-ের ঘটনার পর এলপিজি খালাসের জাহাজে আগুনের ঘটনা ‘নাশকতা’। সুপরিকল্পিতভাবে দেশে তেল ও গ্যাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটাতে কোনো চক্র কাজ করছে কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।