মিয়ানমারে ভূমিকম্পে প্রাণহানি ১০ হাজার ছাড়াতে পারে: ইউএসজিএস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: মিয়ানমারে অনুভূত শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)।  ব্যাপক হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির ইঙ্গিত দিয়ে লাল সতর্কতা জারি করেছে ইউএসজিএস।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) মধ্যরাতে নিজেদের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংস্থাটি।

এর আগের বিবৃতিতে প্রাণহানি হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে শঙ্কার কথা জানিয়েছিল ওয়েবসাইটটি।

ইতোমধ্যে এ ভূমিকম্পে ৬৯৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে জান্তা সরকার। এছাড়াও ১৬৭০ মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা।

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি জানায়, দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রাজধানী নেপিদোতে। সেখানে কমপক্ষে ৯৬ জন নিহত হয়েছেন। সাগাইংয়ে ১৮ জন ও মান্দালয়ে ৩০ জন নিহত হন। এর মধ্যে জুমার নামাজের সময় দুটি মসজিদ ধসে পড়ে কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের একটি নির্মাণাধীন ভবনে শতাধিক শ্রমিক কাজ করছিলেন। এটি ধসে পড়লে অন্তত ৯০ জন নিখোঁজ আছেন। তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।

হতাহতের সংখ্যা ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছেই। শুক্রবার মায়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে জরুরি বিভাগের বাইরে আহতদের সারি দেখা যায়। আহদের অনেকেই দূর দূরান্ত থেকে গাড়ি এবং পিকআপে করে এসেছেন। পরবর্তীতে তাদের স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। যাদের গায়ে ধুলো ও রক্ত মাখা ছিল।

এএফপিকে হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, ‘অনেক আহত মানুষ আসছেন। আমি এর আগে এমন কিছু দেখিনি। আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমি খুব ক্লান্ত। ’

শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির উত্তর-পশ্চিমের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে। এলাকাটি রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে। ভূমিকম্পটির তীব্র প্রভাব অনুভূত হয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ, চীন, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামেও।

ভূমিকম্পের ফলে মিয়ানমারের বহু ভবন, সেতু ও রাস্তাঘাট ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবাও বিচ্ছিন্ন অনেক জায়গায়।

ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মিয়ানমারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন করেছে সামরিক সরকার। সামরিক শাসক মিন অং হ্লাইং ভূমিকম্পের পর বলেছেন, ‘মিয়ানমারের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করতে চাওয়া যে কোনো দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে সহায়তা গ্রহণ করতে আমরা প্রস্তুত। ’

সেনা মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেছেন, ‘আমরা চাই, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যত দ্রুত সম্ভব মানবিক সহায়তা দিক।

থানচি সীমান্ত সড়কের ব্রীজ উদ্বোধন ও ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন পাহাড়ে উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ শান্তির পরিবেশ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী নিরলস কাজ করে যাচ্ছে —–ব্রিঃ জেঃ মোঃ শামসুল আলম

চবি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা রাঙ্গামাটির দৈনিক গিরিদর্পণ কার্যালয় পরিদর্শন দৈনিক গিরিদর্পণ পার্বত্য অঞ্চলের গণমাধ্যম ইতিহাসের অমূল্য দলিল —–অধ্যাপক শাহাব উদ্দীন নীপু ৪৩ বছর ধরে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও দৈনিক গিরিদর্পণ আজো নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে —–সম্পাদক মঞ্জুরাণী গুর্খা

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930