সাগরে নিম্নচাপ,ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ চলতি মাসে তিন দফা তাপপ্রবাহের পর রেশ কাটতে না কাটতে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে একটি নিম্নচাপ, যেটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার শঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
নিম্নচাপটি সোমবার প্রথম প্রহরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে- এমন শঙ্কায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
রোববার আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান জানান,  বিরাজমান নিম্নচাপটি সোমবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য-বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বিকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩৫  কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
“এটি আরও ঘনীভূত হয়ে পরবর্তী ছয় ঘণ্টার মধ্যে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।”
আবহাওয়ার সবশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর উত্তাল রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলের তালিকা থেকে ক্রম অনুসারে ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘মোরা’ (গঙজঅ)। এটি থ্যাইল্যান্ডের প্রস্তাবিত নাম।

সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় এবং পরদিন তা ঘূর্ণিঝড় ‘মারুথা’য় রূপ নেয়। পরে সেটি দক্ষিণপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30