রাঙ্গামাটি শহরে বিদ্যুৎ বিভাগের এহেন গাফিলতির কারণে মানুষের মাঝে অসন্তোষ

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কি হলো রাঙ্গামাটি বিদ্যুৎ বিভাগের। গত কয়েকদিন ধরে রাঙ্গামাটি শহরে বিদ্যুৎ বিভাগের এহেন গাফিলতির কারণে মানুষের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। দিনে ও রাতে অধেক সময় বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের স্বাভাবিজ জীবন যাত্রা ব্যাহত হতে বসেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ চলে যায় আর আসে প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘন্টায়ও বিদ্যুৎ আসার কোন খবর নেই। এই অবস্থায় রাঙ্গামাটি শহর বাসী নাভিশ্বাস উঠেছে। বিদ্যুৎ বিভাগের এই ধরনের আচরণের ফলে শহরবাসীকে মারাত্মক কষ্টে ফেলে দিয়েছে।
এদিকে গতকাল রাত ১ টার দিকে চলে যাওয়া বিদ্যুৎ পেয়েছে শহরবাসী সকাল সাড়ে ৭ টায়। সকাল সাড়ে ৭ টার পর থেকে কয়েকবার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করলেও দুপুর ২ টার চলে গিয়ে বিদ্যুৎ আসে বিকাল সাড়ে ৫ টায়। এই ধরনের অসামাজিক কারণে মানুষের মাঝে ক্ষোভ বাড়ছে। কখন বিদ্যুৎ বিভাগের বিরুদ্ধে রাঙ্গামাটির মানুষ মাঠে নামবে তা হয়তো এখন সময়ের ব্যাপার।
এদিকে প্রতিনিয়ত লোডশেডিং, সঞ্চালন লাইনে সংস্কার, ত্রুটি অপসারণ ও পুনঃসংযোগ স্থাপনসহ অব্যাহত বিভিন্ন সমস্যার কারণে শহরে বিদ্যুৎ সংকট অসহনীয় হয়ে উঠেছে। দিনরাত প্রায় সময় বিদ্যুৎ না থাকায় শহরে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন। বিঘœ ঘটছে দৈনন্দিন ও স্বাভাবিক কাজকর্ম।
ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জনদুর্ভোগের সাথে বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে জনমনে ক্রমশ বাড়ছে ক্ষোভ। বরূপার ব্যবসায়ী খোকন জানান, দিনেও রাতে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় আমাদের কাজের মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। শহরবাসীকে কি ভেবেছে বিদ্যুৎ বিভাগ জানি না। একটু বাতাস বা ঝড় উঠলেই বিদ্যুৎ নেই। আর আসছে প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘন্টা পরে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য সব কিছুই লাটে উঠবে। এই ক্ষতি আমাদেরকে কে দিবে। বিদ্যুৎ না দিলেও মাস শেষে তারা ভৌতিক বিলের বিশাল এমাউন্ট আমাদের জন্য তৈরী করে রাখে তারা।
রাঙ্গামাটি কলেজের এক পরীক্ষার্থী জানান, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে আমাদের লেখাপড়ার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। মোমবাতি জ্বালিয়ে আমাদেরকে কষ্ট করে পড়া রেডি করতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগ এভাবে করতে থাকলে আমরা কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না। আর ঘন ঘন বিদ্যুৎতের লোডশেডিংয়ে কারণে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা লেখা-পড়ায় মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
রাঙ্গামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার দাবী করেন, সাম্প্রতিক বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে বিঘœ ঘটছে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা লাইন শার্ট ডাউন দিয়ে গাছ পালা কেটে ফেলেছি। প্রবল কাল বৈশাখীর কারণে বিভিন্ন জায়গা থেকে মরা গাছে ডাল উড়ে এসে আমাদের লাইনের উপর পরে আমাদেরকে সমস্যায় ফেলছে। তিনি বলেন, আমরা চাহিদা পরিমাণ বিদ্যুৎ পাচ্ছি। বিদ্যুৎ পেতে আমাদের কোন সমস্যা নেই। তিনি বরেন, বর্তমানে বিদ্যুতের পরিধি বেড়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে আমাদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিতে হচ্ছে। সেই কারণে গিয়ে আমাদের একটু বেগ পেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা নতুন করে বিভিন্ন লাইনে সার্কিট ব্রেকার বসানোর চিন্তা ভাবনা করছি। বাজেট পেলে হয়তো আগামী ১/২ সপ্তাহের মধ্যে আমরা সার্কিট ব্রেকার বসিয়ে ফেলতে পারবো। তখন হয়তো আমাদের আর সমস্যা হবে না।

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031