
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শপিং মল গুলো আজ থেকে খুলছে। দেশের করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত রাঙ্গামাটির বনরূপার বৃহত্তর ব্যবসায়া প্রতিষ্ঠান শপিংমল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বনরূপা ও রিজার্ভ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ গতকাল গনমাধ্যমেকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তারা দেশের করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকা চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবাসায়ী নেতৃবৃন্দ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শপিং মল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিলেও রাঙ্গামাটি জেলা প্রধান তিনটি বাজারের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা দোকানপাঠ বন্ধ রাখাও শপিং মল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাঙ্গামাটির বেশ কিছু সুশীল সমাজের প্রতিনিধি বলেন, রাঙ্গামাটি জেলা শহরের শপিং মল গুলোর বেশীরভাগ মালিক ও কর্মচারী চট্টগ্রামের চন্দনাইন, সাতকানিয়া, দোহাজারী, রাঙ্গুনিয়া সহ বিভিন্ন উপজেলার। তাই দোকান খোলার সিদ্ধান্তে দোকান মালিক ও কর্মচারীরা আসতে শুরু করেছে। তাদের আসাতেই রাঙ্গামাটিতে আরো বেশী করোনা ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন সুশীল সামাজের নেতৃবৃন্দ।
এই ব্যাপারে রিজার্ভ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী আনোয়ার মিয়া বানুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, করোনা প্রভাবে সকলেই অভাবে আছে। পবিত্র এই ঈদে সকলেরই আশা আছে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে কিছু ব্যবাস বাণিজ্য করে সকলকে নতুন পোশাকের সাধ দেয়ার জন্য। কিন্তু দেশের এই পরিস্থিতিতে এখনো আমরা বলতে পারছি না দোকান খুলবো কিনা। আমরা বৈঠকে বসছি। দেশের কথা চিন্তা করে আমরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
রাঙ্গামাটি বৃহত্তর বনরূপা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ আবু সাঈদ জানান, ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য বিধি মেনে দেশের শপিং মল গুলোর খুলে দেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে সাধুবাদ জানান তিনি। তিনি বলেন, যেহেতু করোনা মহামারীতে করোনা ভাইরাস একটি ছোঁয়াছে রোগ তাই অধিকতর স্বাস্থ্য বিধি মেনে আমাদেরকে চলতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি ও পবিত্র ঈদের বাজার হচ্ছে বিশাল বাজার তাই স্বাস্থ্য বিধি কতটুকু মানা যাতে তার সন্দেহ রয়েছে। তাই আমরা আগামী ৩০ মে পর্যন্ত শপিং মল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি বলেন, এই করোনা মহামারীতে সারা দেশের ব্যবসায়ীদের মতো রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার, বনরূপা, তবলছড়ি, ভেদভদী সহ পুরো রাঙ্গামাটির ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ এই ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে ব্যবসায়ীদেরকে রেশনিং কার্যক্রম ও নগদ অর্থ প্রদান করতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন তিনি।