
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটিতে গত ৬ মে যে চারজনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিলো দ্বিতীয় দফায় তাদের ৪ জনের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ এসেছে।
সোমবার (১১ মে) চট্টগ্রাম থেকে আসা রিপোর্টে তাদের দ্বিতীয়বারের করোনা পরীক্ষার ফলাফলে রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত সিনিয়র নার্স ও মোল্লা পাড়া এলাকার ৫০ বছর বয়সী একজন শ্রমিক, রিজার্ভ বাজার এলাকার ৯ মাস বয়সী শিশু ও দেবাশীষনগর এলাকার যুবকের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা।
ওই নার্সের সংস্পর্শে যাওয়া ৯ জন ডাক্তার ও নার্সের যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে তাও নেগেটিভ এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন। তবে তাদের তৃতীয় দফায় আবারো নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অভ ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজে (বিআইটিআইডি) পাঠানো হবে। আর তৃতীয় দফার রির্পোট না আসা পর্যন্ত আমরা তাদের করোনা মুক্ত বলতে পারবো না।
সিভিল সার্জন আরো জানান, হাসপাতালের ৯ চিকিৎসক ও নার্সের রিপোর্ট নেগেটিভ আসাটা আমাদের জন্য ভালো খবর। এটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম। তবে প্রথমবার পজিটিভ আসা রোগীদের রিপোর্ট এবার নেগেটিভ আসলেও আমরা তাদের তৃতীয় রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করব। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নতুন করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এদিকে সোমবার পর্যন্ত রাঙ্গামাটি জেলায় ২১৪১ জনের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। রাঙ্গামাটিতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১৪৭১ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টইনে রয়েছে ৬৭০। রবিবার সকালে পূর্বে কোয়ারেন্টাইন থাকা সর্বমোট ১৭৭৬ জন কোয়ারেন্টাইন ছাড়পত্র পেয়েছেন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৩৬৫জন। আইসোলেশনে কোন রোগী এখনো পর্যন্ত নেই।
এদিকে রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা জানান, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজেজেজে (বিআইটিআইডি) ৪৬১ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ৩০১ জনের নমুনা নেগেটিভ পাওয়া গেছে। বাকি ১৬০ জনের নমুনার রিপোর্ট এখনো আসেনি বলে জানান তিনি।