
শনিবার রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ সতর্কবার্তা দেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, “মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর সমাগত। এবার ঈদ এসেছে ভিন্ন বাস্তবতায়। ঈদের হাটে-বাজারে কিংবা বিভিন্ন স্থানে বরাবরের মতো মেলা বসা ও উদযাপনে এবার উদ্বেগের কারণ রয়ে গেছে। যে যেখানেই ঈদ করি সংক্রমণ রোধে সচেতন হই। “যারা পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে স্থানান্তরিত হচ্ছেন নানা কৌশলে, তাদের মনে রাখা উচিত পুলিশকে ফাঁকি দিলেও করোনা ও মৃত্যুকে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই বলব, মৃত্যু যেন নতুন ট্রাজেডি বয়ে নিয়ে না আসে তা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন করতে হবে আমাদের সকলকে। মনে রাখতে হবে, ঈদ উৎসব যেন বিষাদ সিন্ধুতে রূপ না নেয়।” করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ঈদের আগে কুষ্টিয়ায় দোকার-পাট বন্ধ করা হয়েছিল; কিন্তু ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে শনিবার তা আবার খুলে দেওয়া হয়। ঈদের আগে বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান দলের সাধারণ সম্পাদক। করোনাভাইরাসের মধ্যে উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সঠিক নয় মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “করোনার এই সংকটে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে পুরো গতিতে। “মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল এলিভেটেট এক্সপ্রেস ওয়েসহ সব কাজও সীমিত অবস্থায় চলছে। ঈদের পর সকল প্রকল্পে কাজ আরো গতি পাবে।