
করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে দুই মাস ধরে চলা লকডাউন শিথিলে আপাতত শুধু আন্তঃনগর ট্রেন চালুর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। আর স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে কীভাবে গণপরিবহন চলাচল করবে সে বিষয়ে শুক্রবার সিদ্ধান্ত জানাবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বৃহস্পতিবার বলেন, “৩১ মে থেকে ১৫ জুন শুধু আন্তঃনগর ট্রেন চালুর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।” ট্রেনে যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এই সময়ে আসন সংখ্যার অর্ধেক টিকেট বিক্রি করা হবে। অনলাইন ও স্টেশনের কাউন্টার- দুভাবেই টিকেট পাওয়া যাবে। ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত গণপরিবহণগুলো কীভাবে চলবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নির্দেশনা জারি করবে বলে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়, “উক্ত সময়ে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত বিধি নিশ্চিত করে গণপরিবহণ, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচল করতে পারে। “তবে সব অবস্থায় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।” স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, “আগামী শনিবার দুপুরে রেলভবনের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে ট্রেন চালুর বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।” বৈশ্বিক মহামারী রূপ নেওয়া ছোঁয়াচে রোগ কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ আটকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ দেশের অফিস-আদালত; তখন থেকে গণপরিবহণও রয়েছে বন্ধ। ঘরবন্দি থাকার এই সময়ে কিছু বিধি-নিষেধ শিথিলের পর যখন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে; তখন ঈদ কাটিয়ে ৩১ মে থেকে অফিস ও গণপরিবহন চালু হতে যাচ্ছে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আবু নাসের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে কীভাবে গণপরিবহন চলাচল করতে পারে সেজন্য শুক্রবার বিআরটিএ, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক হবে। বৈঠকের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”