॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান॥ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বান্দরবানের ভোটারদের কাছে নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার ধানমন্ডি সুধাসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বান্দরবানের আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সাথে যুক্ত হন। এসময় তিনি পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে আগামীতে কাজ করে যাবার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর তিনি সকল ভোটারকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান ও জানান।
ভিডিও কনফারেন্সে এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বান্দরবান একটি চমৎকার পর্যটন সমৃদ্ধ জায়গা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এ অঞ্চল। আবার এখানে পর্যটন সম্ভাবনাও আছে। পার্বত্য বান্দরবানে আমি প্রথম সফর করি ১৯৭০ সালে। একসময় বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্রীজ ছিলনা, আমি সেটি করে দিয়েছি।
আমরা যদি আবারো ক্ষমতায় আসি আমাদের চলমান উন্নয়ন কাজগুলো করতে পারবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমি আরো খুশি হয়েছি, কারন আমার নতুন ভোটাররা আজ বলেছে তারা নৌকা মার্কায় ভোট দিবে। ২১বছর পর যখন আমরা সরকার গঠন করেছি তখন থেকেই আমরা উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আওয়ামীলীগ সরকার আসার পরে আমরা মোবাইল সার্ভিস চালু করেছি।
পরপর দুবার সরকার ক্ষমতায় থাকার পর আমরা একের পর এক উন্নয়ন করেছি। প্রতিটি মানুষ যেন সুস্থ্য থাকতে পারে সে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তিনি বলেন, যদি আওয়ামীলীগ আবারো ক্ষমতায় আসে তবে বান্দরবানে আরো সার্বিক উন্নয়ন এবং পার্বত্য অঞ্চলকে একটি উন্নত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো। এ বান্দরবান হবে একটি উন্নত রোল মডেল। আর এ জন্য আগামী ৩০তারিখ আপনারা সবাই আবারো নৌকায় ভোট দিন।
এসময় বান্দরবান প্রান্তে আওয়ামীলীগের মনোনিত সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লা, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কাজল কান্তি দাশ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশসহ জেলার সিনিয়র নেততৃবৃন্দ ও সাধারণ ভোটাররা উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের বার্ষিকীতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসে একাত্তরে পাকিস্তানের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে নিজের যাতনার কথা বললেন এক মার্কিন অধ্যাপক।
ইউনিভার্সিটি অব হিউস্টনের স্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক মাইকেল কটিংহ্যাম রোববার সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেছিলেন হুইল চেয়ারে বসে। তার পোশাকে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার লাল আর সবুজ।
মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদের স্মৃতির বেদীতে ফুল দিয়ে ফেরার পথে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমি অনুভব করি, আমার দেশ অনেক ভুল করেছে। আমি আমার দেশ ও দেশের সমস্যা নিয়ে অনেক কথা শুনেছি। আমি সেজন্য দুঃখও প্রকাশ করছি। আমি মনে করি, আমরা অনেক খারাপ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি সেজন্য যাতনা বোধ করি।”
শারীরিক প্রতিবন্ধীদের খেলাধুলা নিয়ে গবেষণার তথ্য সংগ্রহে প্রথমবারের মত বাংলাদেশে এসেছেন অধ্যাপক কটিংহ্যাম। কয়েক দিন আগে ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কে ‘অনেক কিছু’ জেনেছেন তিনি।
“তখন পূর্ব পাকিস্তানে কী ঘটেছিল, যুদ্ধ কেমন ভয়াবহ ছিল, কত মানুষ জীবন দিয়েছে- সে সম্পর্কে জেনেছি। আমি অনেক ছবি দেখেছি, ঘটনাগুলো মর্মস্পর্শী। আমি সেজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।”
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে কিছু বই কিনেছেন অধ্যাপক কটিংহ্যাম।
তিনি বলেন, “আমি বাঙালির আত্মত্যাগকে সাধুবাদ জানাই। এটা ছিল অত্যন্ত ভয়ঙ্কর যুদ্ধ।”
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন রিচার্ড নিক্সন। তিনি বিশ্বাস করতেন, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আরও সময় নেওয়া উচিৎ।
নিজের দেশের আইন লংঘন হবে জেনেও সাড়ে চার দশক আগে তিনি যে মুক্তিকামী বাঙালিকে দমনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সমরাস্ত্র যুগিয়েছিলেন, তা পাঁচ বছর আগে প্রকাশিত একটি বইয়ে উঠে আসে।
হোয়াইট হাউজের প্রকাশিত বিভিন্ন অডিও টেপের ভিত্তিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় নিক্সন ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের ভূমিকা নিয়ে ২০১৩ সালে বইটি বই প্রকাশ করেন প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক গ্যারি ব্যাস।
‘দ্য ব্লাড টেলিগ্রাম: নিক্সন, কিসিঞ্জার অ্যান্ড আ ফরগটেন জেনোসাইড’ নামের ওই বইয়ে তিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার নানা দিক তুলে ধরেন।
তবে ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল অনেক মানুষ। নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ারে বিশ্বখ্যাত শিল্পীদের অংশগ্রহণে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সারা পৃথিবীতে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে থাকলেও মার্কিন জনগণ কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল, সে প্রসঙ্গ টেনে মাইকেল কটিংহ্যাম বলেন, “সিনেটর টেড কেনেডি মুক্তিযুদ্ধের বড় সমর্থক ছিলেন। আমি মনে করি, শিল্পী, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও যুব সমাজ তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতার স্বাক্ষর রেখেছিল।”
এবার বাঙালির বিজয় উদযাপনের অংশ হতে পেরে ‘সম্মানিত’ বোধ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি অনুভব করি, এটা আত্মত্যাগের উদযাপন। আশা করি, আমাদের দুই দেশ একসঙ্গে মিলিত হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ একই সঙ্গে করবে।(”বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
রবিবার(১৬.১২.১৮) বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা), চট্টগ্রাম, সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে মহান স্বাধিনতা যুদ্ধে জাতীর সূর্যসন্তানদের ত্যাগের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
পুস্পস্তবক অর্পনের সময় উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন বনপা চট্টগ্রামের সভপাতি হাদিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক গিরিদর্পণ ডট কমের নির্বাহী সম্পাদক এম কে মোমিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও আর্থনিউজ২৪ এর সম্পাদক ফরহাদ আমিন ফয়সল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও কর্নফুলী নিউজের সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সমন্বয়নিউজ২৪ এর এ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম, শামসুল করিম লাভলু, ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও চট্টগ্রামের সময়’র সম্পাদক এম. ডি. এইচ রাজু, নুরুল ইসলাম রাজু, শাহাদাত হোসেন, কবি জান্নাতুল ফেরদৌস সোনিয়া, সরোয়ার হোসেন সেলিম, কাজী মুরাদ সহ আরো অনেকে।
চার মন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (০৬ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
এই চারমন্ত্রী হলেন, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়কমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জাব্বার। তারা চারজনই টেকনোক্র্যাটমন্ত্রী।
ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য নন এই চারজন সরকারের বিশেষ বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদে স্থান করে নিয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজই তারা সবাই প্রধানন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যাবে তাদের পদত্যাগপত্র। সেখান থেকে আবার যাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।
প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদনের পর তার কার্যালয় থেকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে বঙ্গভবনে। পরে মন্ত্রিপরিষদ থেকে এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
গিরিদর্পণ ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘কামাল হোসেন ও বিএনপি বাংলাদেশে একটি অস্বাভাবিক সরকার তৈরির পাঁয়তারা করতে হাত মিলিয়েছে । ৭ দফা আর ১২ দফার ঘোমটা মাথায় নিয়ে তারা খালেদা-তারেকের মুক্তি দাবির সুর তুলছে।’ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় তথ্যমন্ত্রী তার হেয়ার রোডের বাসভবনে অনলাইন সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন। ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন আইনের শাসনের আলোর পথে এগিয়ে চলেছে, তখন বাংলাদেশ আর বিএনপি ও তাদের সঙ্গীরা চিহ্নিত দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মুক্ত করার ষড়যন্ত্র করছে’, বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধাকে একপাল্লায় মাপবেন না, খুনী আর ভালো মানুষকে একপাল্লায় মাপবেন না, মুক্তিযুদ্ধের নেত্রী শেখ হাসিনা আর রাজাকারের নেত্রী খালেদা জিয়াকে একপাল্লায় মাপবেন না।’
‘স্মরণ রাখবেন এর আগে খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের ঘোমটা মাথায় দিয়ে জঙ্গি-সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়েছেন। তিনি সেই পথ ত্যাগ করেননি, জঙ্গি-রাজাকারের সঙ্গ ছাড়েননি, তাই খালেদা-তারেক এখনো গণতন্ত্রের উপযুক্ত নয়’, বলেন হাসানুল হক ইনু। এ সময় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এ্যাসোসিয়েশনের (বনপা) সভাপতি ও বিশের বাঁশী ডটকম এর প্রধান, সুভাষ শাহ, উপস্থিত ছিলেন ৭১সংবাদ ডটকমের সম্পাদকও ৭১বাংলা টিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এ্যাসোসিয়েশনের (বনপা) সাধারণ সম্পাদক, এ এইচ এম তারেক চৌধুরী,বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এ্যাসোসিয়েশনের (বনপা) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক এবং গিরিদর্পণ ডট কমের নির্বাহী সম্পাদক এম কে মোমিন , এবং উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,শেখ ফয়েজ আহমেদ, এম,এম মিজানুর রহমান,এম এ ওয়াহেদ ,সমন্বয় নিউজ ২৪ ডট কমের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ রাজু,আনিছুল ইসলাম আশরাফী,সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ ফারাবী,জোহরা পারভীন জয়া,ডাঃ সমীর কুমার সাহা,আর্থ নিউজ ২৪ ডট কমের সম্পাদক ফরহাদ আমীন ফয়সাল,কর্নফূলী নিউজ ডট কমের সম্পাক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম,আরজি বাংলা টিভির সম্পাদক এম ডি এইচ রাজু,এম এ কাউছার,কাজী মুরাদুল ইসলাম ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক ও সাংবাদিকবৃন্দ মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশের মানুষও আধুনিক সব ধরনের তথ্যপ্রযুক্তি সেবা গ্রহণ করছেন। দেশে দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের চাহিদা শেষ হবে আগামী বছর। তাই ইন্টারনেট ডেটার চাহিদার কথা চিন্তা করে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। তবে কনসোর্টিয়াম মডেল ছাড়াই এ ক্যাবল স্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে থ্রিজি সেবার পর ফোরজি সেবা চালু এবং ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটির সংখ্যা বৃদ্ধি, অনলাইনে আর্থিক লেনদেন, কেনাকাটা থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের কাজ এখন ইন্টারনেটনির্ভর। তাই তৃতীয় সাবমেরিন কেবল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর জন্য একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) তৈরি করা হচ্ছে। তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের রুট হবে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর।
এ ক্যাবল থেকে প্রায় ৮ হাজার জিবিপিএস (৮ টেরাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে নতুন সাবমেরিন ক্যাবলের ল্যান্ডিং স্টেশন চট্টগ্রামে স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ডাক, টেলিযোগযোগ বিভাগের অধীনস্থ রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি ডেটার ব্যবহার প্রতিদিনই বাড়ছে। সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যান্ডউইডথের চাহিদা শেষ হওয়ার আগেই তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হওয়ার জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। এটি কীভাবে করা হবে তার প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। সরকারি নিয়মে প্রকল্প তৈরি করে পেশ করতে হয়, তার জন্য কাজ চলছে।
তিনি আরও জানান, দেশে ব্যান্ডউইডথের চাহিদা এখন অনেক বেড়ে গেছে। গত বছরের শেষের দিকে যেখান প্রায় ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার হতো, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২০ জিবিপিএসে। এখন এমন হয়েছে আন্তর্জাতিক অংশে দেওয়ার জন্য যে ১০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ ছিল, সেটিও দেশে ব্যবহার করতে হবে বলে মনে হচ্ছে। দেশে যে ক্যাপাসিটি রয়েছে তা আগামী বছর শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল এখন অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশে ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো সাবমেরিন ক্যাবল আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামে ‘সি-মি-উই-৪’ এ যুক্ত হয়। এখন প্রায় ৩৫০ জিবিপিএস (৩৫০ গিগাবিট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যাচ্ছে এর মাধ্যমে। আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৫ চালু হয় ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে
ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে চালু হতে যাচ্ছে ইলেকট্রনিক বা ই-পাসপোর্ট। বহির্বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশেও চালু করা হচ্ছে এই পাসপোর্ট। ই- পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় ঘরে বসেই ইন্টারনেটে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে অল্প সময়ে পাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত পাসপোর্ট। ই- পাসপোর্টের মাধ্যমে শেষ হতে চলেছে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অর্থাৎ এম আর পি পাসপোর্টের যুগ।
উন্নত প্রযুক্তির ই-পাসপোর্টের জন্য ডেমোগ্রাফিক তথ্য, দশ আঙুলের ছাপ, চোখের কর্নিয়ার ছবি এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রয়োজন হবে। এজন্য স্থাপন করা হবে একটি কেন্দ্রীয় ডেটা সেন্টার। আবেদনকারীদের পাসপোর্ট একটি বিশেষ সেন্টার থেকে প্রিন্টিংয়ের পর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এবং দূতাবাসগুলোতে পাঠানো হবে। আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও দূতাবাস থেকে আবেদনকারীরা সহজে ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। জার্মান প্রতিষ্ঠান ভেরিডস গ্যাব এইছ বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট তৈরিতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে।
এই প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই বিষযটি উত্থাপন করা হয়েছে। একনেকে অনুমোদন পেলে মন্ত্রণালয়ের অধীন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর আগামী মাস থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু করবে বলে জানা যায়। ই-পাসপোর্ট চালু করতে চার হাজার ৬৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০২৮ সালের মধ্যে যাতে ই- পাসপোর্ট সেবা চালু করা যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করা হবে। তবে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার এক থেকে দুই বছরের মধ্যে ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা সম্ভব হবে। ই-পাসপোর্ট চালু হলে বিশ্বে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্নিষ্টরা। ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে সরাসরি জি টু জি (সরকার টু সরকার) পদ্ধতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সম্প্রতি অর্থনৈতিক বিষয় সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকার তিন কোটি ই-পাসপোর্ট বুকলেট সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে ২০ লাখ ই-পাসপোর্ট বুকলেট আমদানি করা হবে এবং দুই কোটি ৮০ লাখ ই-পাসপোর্ট বুকলেট দেশে উৎপাদন করা হবে। নিরবচ্ছিন্নভাবে ই-পাসপোর্ট বিতরণ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি যেমন : সার্ভার, রাউটার, সুইচ, কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ক্যামেরা, ই-পাসপোর্ট রিডার, প্রিন্টিং মেশিন স্থাপন করা হবে এই প্রকল্পের আওতায়।
ই-পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে এম আর পি ডেটাবেইসে যেসব তথ্য আছে, তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ হবে বয়সভেদে ৫ ও ১০ বছর। ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এম আর পি পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাবে না। তবে কারও পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তাকে এম আর পির বদলে ই-পাসপোর্ট নিতে হবে।
বর্তমানে বই আকারে যে পাসপোর্ট আছে, ই-পাসপোর্টেও একই ধরনের বই থাকবে। তবে বর্তমানে পাসপোর্টের বইয়ের শুরুতে ব্যক্তির তথ্যসংবলিত যে দুটি পাতা আছে, ই-পাসপোর্টে তা থাকবে না। সেখানে থাকবে পলিমারের তৈরি একটি কার্ড। এই কার্ডের মধ্যে থাকবে একটি চিপ। সেই চিপে পাসপোর্টের বাহকের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, ই-পাসপোর্ট চালুর জন্য দেশের প্রতিটি বিমান ও স্থলবন্দরে চাহিদা মোতাবেক ই-গেট স্থাপন করে স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করা হবে। যাদের হাতে ই-পাসপোর্ট থাকবে, তাদের এই গেট দিয়ে সীমান্ত পার হতে হবে। তবে যাদের হাতে এম আর পি পাসপোর্ট থাকবে, তাদের ইমিগ্রেশনের কাজ বিদ্যমান পদ্ধতিতে চলমান থাকবে।
দেশের জনগণের পাসপোর্টের নিরাপত্তা আরো বেশি জোরদার করার জন্য ই-পাসপোর্টের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। সরকারের একনেকে প্রকল্পের অধীনে দ্রুত বাস্তবায়িত করা হবে ই-পাসপোর্টের কাজ। শুধু তাই নয় জনগণ ঘরে বসে আবেদন করতে পারবে এবং দ্রুত সময়ের ভিতর পাসপোর্ট পৌঁছে যাবে জনগণের হাতে।
তিনি বলেছেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগোপযোগী নীতি আর সঠিক নেতৃত্বের কারণে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে আমাদের আইটি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেদের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হতে হবে। এজন্য সরকার দেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মাণসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করছে। যেখানে আগামী ২১ সালের মধ্যে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে গত ছয় মাসে ১৩ হাজার ছেলে-মেয়ে ২০ লাখ ডলার আয় করেছে বলেও জানান তিনি।
রোববার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে নাটোরের সিংড়া উপজেলার গোল-ই আফরোজ সরকারি কলেজের ছয়তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ ও মসজিদ সম্প্রসারণের কাজ উদ্বোধন, নবীন বরণ এবং কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এমএইচ খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বিগত এক দশক ধরে দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষাকে দেওয়া হচ্ছে অগ্রাধিকার। এক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষার জন্য নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান গড়া, দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণ, বছরের প্রথম দিনে সাড়ে চার লাখ শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্য বই পৌঁছে দেওয়া, অবৈতনিক শিক্ষা ও উপবৃত্তির পরিধি বৃদ্ধি, প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন উল্লেখযোগ্য।
এসময় প্রতিমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণের প্রতি আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ছাত্রদের ওপর নির্ভর করছে আগামীর বাংলাদেশ। একটি অসাম্প্রদায়িক ও বঙ্গবন্ধুর
সোনার বাংলাদেশ গড়তে ছাত্রসমাজ তথা তরুণ প্রজন্মকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ছাত্রসমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আগামী দিনেও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে ছাত্রলীগকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান শেখ, পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান জেমস, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সাব্বির প্রমুখ।
এসময় রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও জয়পুরহাট
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ এবং নাটোর জেলার বিভিন্ন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নাটোর জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুকুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, সিংড়া গোল-ই আফরোজ সরকারি কলেজের ছয়তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজে নয় কোটি টাকা ব্যয় হবে। সিঁড়িঘরসহ ভবনটিতে ২৪টি শ্রেণিকক্ষ থাকবে।
তিনি জানান, নির্বাচিত সরকারি কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিজ্ঞান শিক্ষার সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। মোট ২০ হাজার ১৪২ বর্গফুটের ছয়তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ আগামী দেড় বছরে সম্পন্ন হবে।
নভেম্বর থেকে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে সরকার বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
শুক্রবার (১২ অক্টোবর) গাজীপুরের ছয়দানায় ফাইভ স্টার মোবাইল কারখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রযুক্তিগত যে সক্ষমতা অর্জন করা প্রয়োজন, বাংলাদেশ এখন সেই জায়গায় পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে। ফেসবুকের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক আছে, কোনো ফেক আইডি যদি থাকে, আমরা চিহ্নিত করতে পারি, সেটা যদি রিপোর্ট করা হয়, ফেসবুক আমাদের এটা সরিয়ে ফেলতে সহযোগিতা করে। আশা করছি নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের ভেতরে আমাদের সক্ষমতা তৈরি হবে, যাতে আমরা ফেসবুকের সবটা মনিটর করতে পারি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আগে আমরা ইলেকট্রনিক্স শতভাগ আমদানি করতাম। এখন বাংলাদেশে ইলেক্ট্রনিক্সের যে বাজারে রয়েছে, তার ৭০ ভাগ দেশের কোম্পানির দখলে এবং এই পণ্যগুলো বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়। বিদেশি যেসব পণ্য বা ব্র্যান্ড আছে, আমরা তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করব। আমাদের ব্র্যান্ড বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে। আমরা দেশে সেই পরিস্থিতি বা অবস্থা তৈরি করেছি। ফলে বিদেশিরা আমাদের দেশের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। প্রতিযোগিতার জায়গাটা ইতোমধ্যে আমরা প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছি। এই দেশে এসে যে পণ্য বিক্রি করতে আসবে তাকে অন্ততপক্ষে সংযোজন করতে হবে এইটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, শিক্ষিত বেকারত্ব। দেশীয় এসব কোম্পানিসমূহে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। গুণগত মানের দেশীয় কারখানায় উৎপাদিত মোবাইল কারখানা কর্মসংস্থানের পাশাপাশি, বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে। সর্বোপরি মেড ইন বাংলাদেশ মোবাইল আমাদের জাতীয় গৌরবের বিষয়।’
এ সময় অনুষ্ঠানে গাজীপুর সিটি মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক মহাসচিব মনিরুল হক, বিটিআরসি কমিশনার আমিনুল হাসান এবং ফাইভ স্টার কোম্পানির চেয়ারম্যান অলিউল্লাহ বক্তৃতা দেন।
॥ গিরিদর্পণ ডেক্স ॥ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের উদ্বেগের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,কোনো সাংবাদিক ‘মিথ্যা তথ্য’ না দিলে এ আইন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
বুধবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “উদ্বিগ্ন তারা বেশি হবে, যারা আমাদের বিরুদ্ধে একটার পর একটা লেখা তৈরি করে আছে। কখন ছাড়বে সেটার অপেক্ষায় আছে তারা।”
সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকে এর বিভিন্ন ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন। তাদের আপত্তির সুরাহা না করেই গত ১৯ সেপ্টেম্বর সংসদে ওই আইন পাস করা হয়।
সংবাদপত্রের সম্পাদকদের একটি সংগঠন সম্পাদক পরিষদ ওই আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বলেছে ওইসব ধারা ‘বাক স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতার পরিপন্থি’।
সরকারের তিন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকরা ওই আইন সংশোধেনর দাবি জানিয়ে এসেছেন।
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা জানাতে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এসে ওই আইন নিয়ে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কারো বিরুদ্ধে কোনো তথ্য কিংবা সংবাদ প্রকাশ করলে তা প্রমাণ করতে হবে। প্রমাণ করতে না পারলে সেই সাংবাদিক কিংবা সংশ্লিষ্টদের শাস্তি পেতে হবে।
“ওয়ান-ইলেভেনের সময় আমার বিরুদ্ধে কতো মিথ্যা খবর লেখা হল। পদ্মাসেতু নিয়ে এতো মিথ্যা নিউজ হল। যার বিরুদ্ধে লেখা হল, সেটা যদি পরে মিথ্যা হয়, তখন যার বিরুদ্ধে লেখা হল, তার তো যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে যায়, কিন্তু যারা লেখে তারা তো বহাল তবিয়তে থেকে যায়।”
নতুন আইনের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধিতে বিভিন্ন অপরাধের বিচারের বিষয়ে বলা ছিল, সেগুলোর সঙ্গে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে অপরাধের বিষয়গুলো যুক্ত করা হয়েছে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।
“বিভিন্ন দেশের আইনও আমরা দেখেছি। অনলাইনে ছিল। অনেক আলোচনাও হয়েছে। এরপর এসে হঠাৎ উদ্বিগ্ন হয়ে গেলেন, কিসের জন্য?”
সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে সম্পাদক পরিষদের বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, “যারা আলোচনায় গিয়েছে, আমি দেখেছি। যারা একটার পর একটা লেখা তৈরি করে আছে কখন ছাড়বে আমার বিরুদ্ধে।”
সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাও এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন গণভবন থেকে এই সংবাদ সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করে।