দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের গত আসরে সোনাজয়ের পর তার আনন্দাশ্রু আবেগে ভাসিয়েছিল দেশের ক্রীড়ামোদীদের। তাকে ঘিরে এবারও ছিল অনেক প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশাকেই বাস্তবে রূপ দিলেন ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। দক্ষিণ এশিয়ার খেলাধুলার সর্বোচ্চ আসরে এবারও দেশকে সোনা এনে দিলেন এই অ্যাথলেট।
শনিবার মেয়েদের ভারোত্তোলনের ৭৬ কেজি ওজনশ্রেণিতে সোনা জিতেছেন মাবিয়া। স্ন্যাচে ৮০ কেজি এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১০৫ কেজি সহ মোট ১৮৫ কেজি ওজন তুলে সেরা হয়েছেন তিনি।
মাবিয়া পেছনে ফেলেছেন শ্রীলঙ্কার বিসি প্রিয়ান্থি ও নেপালের তারা দেবীকে। স্ন্যাচে ৮৩ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১০১ কেজি সহ প্রিয়ান্থি মোট তুলেছেন ১৮৪ কেজি ওজন। স্ন্যাচে ৭৫ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ৯৭ কেজি সহ মোট ১৭২ কেজি ওজন তুলেছেন তারা দেবী।
শিলং-গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত ২০১৬ এসএ গেমসের ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্ন্যাচ ও ক্লিন অ্যান্ড জার্ক মিলিয়ে ১৪৯ কেজি তুলে সোনা জিতেছিলেন মাবিয়া।
চলতি আসরে এ নিয়ে পাঁচটি সোনার পদক জিতল বাংলাদেশ। সাতদোবাতোর ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ছেলেদের পুমসে ২৯ (প্লাস) বয়স ক্যাটাগরিতে ৮ দশমিক ২৮ ও ৭ দশমিক ৯৬ স্কোর গড়ে দেশকে প্রথম সোনা এনে দিয়েছিলেন দিপু চাকমা।
পরের তিনটি সোনা আসে কাতার থেকে। পুরুষ একক কুমিতের অনূর্ধ্ব-৬০ কেজিতে পাকিস্তানের জাফরকে ৭-৩ হারিয়ে সোনা জয় করেন আল আমিন।
কারাতের কুমিতে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-৫৫ কেজিতে পাকিস্তানের কৌসরা সানাকে ৪-৩ পয়েন্টে হারিয়ে মারজান আক্তার প্রিয়া এবং কুমিতে অনূর্ধ্ব-৬১ কেজিতে স্বাগতিক নেপালের অনু গুরুংকে ৫-২ পয়েন্টে হারিয়ে হুমায়রা আক্তার অন্তরা সোনা জিতেন।