॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে কেন পাহাড়ি-বাঙালি সমান সংখ্যক সদস্য নিয়োগ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে সচিব, পার্বত্য মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয়, আঞ্চলিক পরিষদ ও চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) পিটিশনার ইন পারসন হিসাবে এ্যাডভোকেট কাজী মহাতুল হোসাইন যতœ রিটটি নিজে শুনানি করেন।
শুনানিতে কাজী মহাতুল হোসাইন যতœ তার সাবমিশনে বলেন, সর্বশেষ প্রকাশিত জনসংখ্যার জরিপ অনুসারে পাহাড়ি-বাঙালি জনসংখ্যার অনুপাত প্রায় সমান। তাই জনগণের সঠিক প্রতিনিধিত্ব ও বৈষম্যবিহীন জেলা পরিষদ গঠনে জনসংখ্যার অনুপাতকে প্রাধান্য দেয়া বাঞ্চনীয়। তাছাড়া তিনটি জেলা পরিষদের গঠনে ছোট নৃ-গোষ্ঠী গুলোর প্রতি ও বৈষম্য করা হয়েছে। যেমন: খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের গঠনে চেয়ারম্যান বাদে ১০ জন উপজাতি সদস্যের ৯টি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩টি গোষ্ঠীর জন্য। বাকি ১টি পদ অন্যান্য ছোট গোষ্ঠীগুলোর জন্য। আবার তিন পার্বত্য জেলায় বড়ুয়াদের আধিক্য থাকলেও তাদের কোনো প্রতিনিধি নেই। তাই এই বৈষম্য দূর করতে এবং জনগণের সঠিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সংখ্যা নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
গত ৬ নভেম্বর রিটটি দায়ের করেন এডভোকেট কাজী মহাতুল হোসাইন যতœ। হাইকোর্টের মো. একরাম হোসেন চৌধুরী ও রাশেদুজ্জামান রাজার দ্বৈত বেঞ্চে রিটটি দায়ের করা হয়।