॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় রাঙ্গামাটিসহ দূর্গম এলাকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর মধ্যদিয়ে ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার কুতুকছড়ি ইউনিয়নের হেডম্যানপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেনের উদ্বোধন করেন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ও স্বাস্থ্য বিষয়ক আহবায়ক দেব প্রসাদ চাকমা। এসময় রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন নুয়েন খীসা, স্বাস্থ্য বিভাগের ইন্সপেক্টর কিরণ ধর চাকমা, সিএসসিপি অন্তিকা চাকমা উপস্থিত ছিলেন। এ বছর রাঙ্গামাটিতে ৮৫ হাজারের অধিক শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগ। রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন নুয়েন খীসা জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে অপুষ্টি জনিত কারণে শিশুদের মধ্যে রাতকানা রোগের হার ৪.১০ শতাংশ ছিল। ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়। পরবর্তীতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে।
এরই মধ্যে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বছরে ২ বার শতকরা ৯৮ ভাগ শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলে ভিটামিন ‘এ’ অভাবজনিত অন্ধত্বের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে কমে এসেছে এবং শিশু মৃত্যুর হারও কমেছে। এই সাফল্য ধরে রাখতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এই বছর রাঙ্গামাটি জেলার ১২৩৮টি কেন্দ্রে ক্যাম্পেইন চলাকালীন ৬-১১ মাস বয়সী ১০ হাজার ৫শত ৩৭ জন শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭৫ হাজার ৩শত ২৩ জনকে ১টি লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।
সিভিল সার্জন জানান, রাঙ্গামাটির অনেক এলাকা দুর্গম রয়েছে, সেখানে একদিনে ভিটামিন খাওয়ানো সম্ভব নয়, তাই যথা সময়ে দুর্গম এলাকাগুলোর শিশুদেরকেও সুবিধামতো সময়ে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আমরা চাচ্ছি একটি শিশুও যাতে বাদ না পড়ে।