॥ বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি ॥ রাঙ্গামাটি জেলার আওতাধীন বাঘাইছড়ি উপজেলা হতে রাঙ্গামাটি পানি পথের যাতায়াত ব্যবস্থায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে ভুগছে এবং সময় খেপনসহ আর্থিক ও মানসিকভাবে খতিগ্রস্থ হচ্ছে।
তাই জনস্বার্থ বিবেচনায় বাঘাইছড়ি-রাঙ্গামাটি পানি পথের কিছু স্থানে নদী খননের প্রয়োজনীয়তা বলে দাবী করছে ভুক্তভোগীরা। বাঘাইছড়ির সৃষ্টিলগ্ন হতেই নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থায় যাত্রীদের মাধ্যম ছিল পানি পথের একমাত্র ঐতিহ্যবাহী লঞ্চ/জাহাজ এবং নৌকা। ১৪৪ কিঃ মিটারের দীর্ঘ এই পানি পথে যাত্রীরা স্বল্প খরচে ও দীর্ঘ ৮ ঘন্টায় যেতে বা আসতে পারত এবং এক রাত হোটেলে থাকতে হত। তাতেও যাত্রীরা খুশি ছিল।
তবে গত কয়েক বছর যাবত উক্ত পানি পথে নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ডুবো চর জেগে লঞ্চ ঢলাচল বাধাগ্রস্থ হওয়ায় যাত্রীরা যাতায়াত ব্যবস্থায় চরম দুর্ভোগে ভুগতে শুরু করে এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তও হতে থাকে। যা এখনো পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরেও কাচালং নদীতে পানির স্বল্পতা ও নদী পথের বিভিন্ন স্থানে চর জেড়ে উঠায় সম্প্রতি যাত্রীবাহী লঞ্চ বাঘাইছড়ি পৌঁছতে পারছেনা। ডিসেম্বর থেকে লঞ্চ ক্রমাগত বাঘাইছড়ি ঘাট ত্যাগ করে প্রথমে বটতলী, তারপর দূরছড়ি, মাইনি-লংগদু হয়ে বর্তমানে ফোরের মূখ অবস্থান করছে এবং সেখান থেকে অধিক খরচে ও দীর্ঘ সময়ে ইঞ্জিন চালিত ছোট নৌযানে যাত্রীদের বাঘাইছড়িতে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। এতে করে রাঙ্গামাটি-বাঘাইছড়ি পানি পথের যাত্রীরা চরম দূর্ভোগে ভুগছে এবং নিরাপদ ব্যবস্থাসহ ও কম খরচ ও কম সময়ে যাতায়াত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এব্যাপারে সচেতন মহল ও ভুক্তভোগীরা জানান, বাঘাইছড়ি উপজেলার সৃষ্টিলগ্ন থেকে এই লঞ্চ যোগে যাতায়াত ব্যবস্থা সারা বছর চালু রাখতে বাঘাইছড়ি-রাঙ্গামাটি পানি পথে খাল খনন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হ্রদের পানি কমে যাওয়ার কারণে বাঘাইছড়ি-রাঙ্গামাটি যারা যাতায়াত করছে তাদের যেমন সময় ব্যয় হচ্ছে তেমনী আর্থিক ও শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
তাই জনস্বার্থ বিবেচনায় এবং নিরাপদে ও কম খরচে পানি পথে যাতায়াত সুবিধার্থে বাঘাইছড়ি-রাঙ্গামাটি পানি পথের কিছু স্থানে জরুরি ভিত্তিতে খাল খনন করে যাত্রীদের যাতায়াত সুবিধা পূণঃজীবিত করণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে বাঘাইছড়ির সচেতন মহল।