চট্টগ্রাম শুধুমাত্র বন্দর নগরী নয়, বানিজ্যিক রাজধানী ও জাতীয় অর্থনীতি কেন্দ্র বিন্দু। চট্টগ্রামে গ্যাসের চাহিদা ৫৫০ মিলিয়ন কিš' প্রায়শ চট্টগ্রামে ২৪০-২৫০ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশী গ্যাস সরবরাহ পাওয়া যায় না বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রামে। আবার সরবরাহকৃত গ্যাসের চাপও (প্রেসার) কম। এতে বিপাকে পড়েছেন আবাসিক খাতের লক্ষ লক্ষ গ্রাহক, শিল্পকারখানা, সিএনজি স্টেশন। পবিত্র রমজান মাসে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যš- পাইপ লাইনে গ্যাসের চাপ না থাকায় ঘরে চুলা জ্বলে না অনেক এলাকায়। কিš' গ্যাস সংকটের কারনে শুধুমাত্র শিল্প কলকারখানা নয়, পবিত্র রমজানে বাসাবাড়ী ও জীবনযাত্রাও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হ"েছ। গ্যাস সংকট অতি জনগুরুত্বপুর্ন বিবেচনায় সমস্যাটি শুধুমাত্র গৃহিণীদের নয়, ব¯-ুত সামগ্রিক জাতীয় অর্থনীতিই পড়েছে সংকটের মুখে। জাতীয় অর্থনীতির প্রাণকেন্দ" চট্টগ্রাম যে কোনো বিবেচনায় গ্যাস সরবরাহে অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তা হ"েছ না। তাই বর্তমানে জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহকৃত গ্যাসের পরিমান ব"দ্দির পাশপাশি গ্যাসের চাপও (প্রেসার) বাড়ানো, উৎপাদন, সংযোগ, সুষম বন্টন ও বিতরণ ব্যব¯'ায় স্ব"ছতা আনার মাধ্যমে চট্টগ্রামে গ্যাসের সংকট দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) নেতৃব"ন্দ। গ্যাস সংকট সমাধানে যৌক্তিক পদপে গ্রহন করে দ্রুত ব্যব¯'া গ্রহন করে জনজীবনে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, চট্টগ্রামে জাতীয় গ্রিড থেকে পর্যাপ্ত পরিমান গ্যাস সরবরাহ, এলপিজিকে আরো স্বল্পমূল্য, বিতরণ ব্যব¯'া সহজলভ্য ও জনবান্ধব করার উদ্যোগ গ্রহনের দাবি জানিয়ে ২৭ মে ২০১৮ইং কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্টি"বিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) এর ব্যব¯'াপনা পরিচালক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করে ক্যাব নেতৃব"ন্দ। কেজিডিসিএল এর ব্যব¯'াপনা পরিচালক প্রকৌশলী খায়েজ আহমদ মজুমদার স্মারকলিপি গ্রহন করেন। এ উপলক্ষে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান,ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সেলিম জাহাঙ্গীর এবং কেজিডিসিএল এর মহাব্যব¯'াপক(বিপনন) প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপ-মহাব্যব¯'াপক প্রকৌশলী মোঃ আজিজুল হক এ সময় উপ¯ি'ত ছিলেন। স্মারকলিপিতে ক্যাব নেতৃব"ন্দ বলেন চট্টগ্রামে গ্যাস বেশ কয়েক বছর ধরে গ্যাস সংকটের কারণে নগরীর বেশ কিছু আবাসিক এলাকায় বেশির ভাগ সময় চুলা জ্বলছে না। গভীর রাত থেকে ভোর পর্যš- তিন-চারঘণ্টা গ্যাস থাকছে। তবে সূর্য ওঠার আগেই তা চলে যা"েছ। এ অব¯'ায় নগরজীবনে কেবলই গ্যাসের চুলার ওপর যারা নিভর্রশীল, তারা পড়েছেন তীব্র সংকটে। তবে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্টি"বিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) বেশ কয়েকবার চট্টগ্রামে বিরাজমান গ্যাস সংকট নিরসন হবার আশ্বাস দিলেও এর সুরাহা হয় নি। চট্টগ্রামের খুলসী, কোতোয়ালী, বন্দর, পতেঙ্গা, হালিশহর, পাঁচলাইশ, চকবাজার, লালখান বাজার, ফিরিঙ্গি বাজার, আগ্রাবাদ, পাহাড়তলী, শুলকবহর, মেহেদীবাগ, চন্দনপুরা, আন্দরকিল্লা, বেপারী পাড়া, উত্তর আগ্রাবাদ এলকায় গ্যাস সংকট প্রকট। বিশেষ করে বাসা-বাড়ী ও শিল্প কলকারখানায় রান্নাবান্না ও শিল্প উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হ"েছ। চট্টগ্রাম অঞ্চলে বর্তমানে ৫৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। কিš' এর বিপরীতে জাতীয় সঞ্চালন লাইন থেকে গড়ে গ্যাস পাওয়া যায় ২৩০-৪০ ঘনফুট। ফলে গ্যাস রেশনিং করতে হ"েছ। গ্যাসের সংকটের কারণে বেড়ে গেছে গ্যাস সিলিন্ডারের দামও। এ অব¯'ায় চট্টগ্রামে বেশকিছু এলাকায় পরিবেশ বিনাশী লাকড়িই এখন রান্নাবান্নার প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছে। শিল্প-কারখানায়ও গ্যাসের চাহিদার এক-চতুর্থাংশও পাওয়া যা"েছ না। কেজিডিসিএল ব্যব¯'াপনা পরিচালক প্রকৌশলী খায়েজ আহমদ মজুমদার নগরীর গ্যাস সংকটাপন্ন এলাকাগুলিতে দ্রুত মেইনটিন্যান্স টিম পাঠিয়ে সঞ্চালন লাইনে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ, অবৈধ সংযোগ ও অপচয় রোধে ভিজিল্যান্স টিম পাঠানোর প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। একই সাথে গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষন ও ভোক্তাদের মাঝে সচেতনতা স"ষ্ঠিতে ক্যাব এর সাথে ভোক্তা স্বার্থ নিয়ে সচেতনতা ব"দ্ধিতে যৌথ কর্মসুচি পরিচালনার আশ্বাস দেন।