বন্দর নগরী চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানাধীন ৫১ খাতুনগঞ্জ রোডস্থ বনানী আবাসিক হোটেল এর ৩য় ও ৪র্থ তলায় অভিযান পরিচালনা করে নারী পাচারকারী, পতিতা ও খদ্দের সহ ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ নাজিম উদ্দিন(২৭) পিতা-মোজাফ্ফর আহম্মদ, মাতা-ছালেহা বেগম সাং-পদুয়া মাষ্টার বাড়ী, থানা-লোহাগড়া, থানা-চট্টগ্রাম, ২। মোঃ আব্দুল আলীম স্বপন(৪০) পিতা-মৃত মফিজুর রহমান, মাতা-মরিয়ম নেছা, সাং-গাবতলা, মিঝি বাড়ী, থানা-ফুলগাজী, জেলা-ফেনী, বর্তমানে-ম্যানেজার, হোটেল বনানী (আবাসিক), থানা-কোতোয়ালী, জেলা-চট্টগ্রাম, ৩। মোঃ জমির উদ্দিন(৪০) পিতা-জহির আহম্মদ, মাতা-রোকেয়া বেগম সাং-পুরাংগিরি, সুফি ওহাব উল্ল্যার বাড়ী, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, ৪। আব্দুস সালাম(৩২) পিতা-মৃত আব্দুল ওহাব, মাতা-মৃত ফাতেমা বেগম সাং-নয়আনী, চর লক্ষীপুর, পাটোয়ারী বাড়ী, থানা-হাইমচর, জেলা-চাঁদপুর, ৫। মোঃ রাজু(২৬) পিতা-দিদারুল আলম, মাতা-রোকসানা আক্তার সাং-মোহরা, বালুরটাল, হাসিম সওদাগর বাড়ী, থানা-চান্দগাঁও, জেলা-চট্টগ্রাম, ও পলাতক আসামী ৬। মোয়াজ্জেম পিতা-অজ্ঞাত, স্থায়ী ঠিকানা-অজ্ঞাত, বর্তমানে-ম্যানেজার, হোটেল বনানী(আবাসিক), ৫১ খাতুনগঞ্জ, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-চট্টগ্রাম, ৭। আবছার উদ্দিন চেয়ারম্যান (বনানী আবাসিক হোটেল বিল্ডিংয়ের মালিক), পিতা-অজ্ঞাত সাং-৫১ খাতুনগঞ্জ, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-চট্টগ্রাম ও বনানী আবাসিক হোটেল পরিচালনাকারী আসামী ৮। জহির পিতা-অজ্ঞাত, ৯। হেলাল, পিতা-অজ্ঞাত, ১০। রশিদ, পিতা-অজ্ঞাত, ১১। অহিদ, পিতা-অজ্ঞাত, সর্ব স্থায়ী ঠিকানা-অজ্ঞাত, বর্তমানে-সকলেই পরিচালক, হোটেল বনানী (আবাসিক), ৫১ খাতুনগঞ্জ, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-চট্টগ্রাম এবং আটককৃত পতিতা ১। পারুল আক্তার(২০) পিতা-মৃত নাছির খান, মাতা-ছাবেরা খাতুন সাং-বড়পোল, মইন্ন্যাপাড়া সাইফুল্ল্যার বাড়ী, মসজিদের সামনে থানা-হালিশহর, জেলা-চট্টগ্রাম, ২। তানিয়া আক্তার নদী(২০) পিতা-মোঃ হোসেন, মাতা-জাহানারা বেগম সাং-দরবনগর, থানা-কবিরহাট, জেলা-নোয়াখালী, বর্তমানে ভাসমান অবস্থায় বসবাস করেন, ৩। রিক্তা আক্তার(২১) পিতা-মৃত বর জাহান শাহ, মাতা-আলেয়া বেগম সাং-তালয়মারি মোল্লা বাড়ী, থানা-মতিহার, জেলা-রাজশাহী, বর্তমানে ভাসমান অবস্থায় বসবাস করেন, ৪। শিখা আক্তার(২২) পিতা-হুমায়ুন কবির, মাতা-ফেরদৌসী বেগম সাং-তালায় মারি, থানা-বোয়ালিয়া, জেলা-রাজশাহী, বর্তমানে ভাসমান অবস্থায় বসবাস করেন, ৫। রিতা আক্তার মেঘলা(২০) পিতা-মৃত শামীম, মাতা-জেবিন বেগম সাং-বড়লেখা, সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান বাড়ী, থানা-বড়লেখা, জেলা-মৌলভী বাজার, ৬। জেসমিন আক্তার(২১) পিতা-কবির উদ্দিন, মাতা-মৃত শাহেনা আক্তার, সৎ মা-কুলসুমা আক্তার সাং-আদর্শ গ্রাম, থানা-হাতিয়া, জেলা-নোয়াখালী, বর্তমানে ভাসমান অবস্থায় বসবাস করেন, ৭। সানজিদা আক্তার নুপুর(১৯) পিতা-মৃত শাহাজাহান, মাতা-আসমা বেগম সাং-যাত্রাবাড়ী, জুম্মুন চেয়ারম্যানের বাড়ী, থানা-যাত্রাবাড়ী, জেলা-ঢাকা, ৮। মুমু আক্তার(২৪) পিতা-আলী হোসেন, মাতা-মৃত সখিনা বেগম সাং-বড়পোল, মনোহরগঞ্জ, জালালের বাড়ী, থানা-মনোহরগঞ্জ, জেলা-কুমিল্লা, বর্তমানে ভাসমান অবস্থায় বসবাস করেন এবং গ্রেফতারকৃত খদ্দের ১। মিজানুর রহমান(২৫) পিতা-মোঃ জুবায়ের, মাতা-রাবিয়া বেগম সাং-হারবাং, সুমাছড়িপাড়া, থানা-চকরিয়া, জেলা-কক্সবাজার, বর্তমানে-কর্ণফুলী ভাতঘর এর কর্মচারী, সিনেমা প্যালেস, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-চট্টগ্রাম, ২। চিংকু রাখাইন(২৫) পিতা-নান রাখাইন, মাতা-মাচিং সাং-সফলদন্ডি, দক্ষিণ রাখাইন পাড়া, থানা-সদর, জেলা-কক্সবাজার, ৩। মোঃ সরোয়ার, পিতা-মৃত আবুল বশর, মাতা-রিনা আক্তার সাং-পশ্চিম ইলশা, মিজি বাড়ী, থানা-বাশঁখালী, জেলা-চট্টগ্রাম, ৪। মোঃ হারুন(২৫) পিতা-মৃত জামাল উদ্দিন, মাতা-জোহরা বেগম সাং-ছনখোলা, সিকদার বাড়ী, থানা-সাতকানিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, ৫। মোঃ ইব্রাহিম(২২) পিতা-মোঃ জাকির, মাতা-ইয়ানুর বেগম সাং-চাক্তার বেড়া মার্কেট, উকিলের কলোনী, থানা-বাকলিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, ৬। কাজল বড়–য়া(৩৭) পিতা-নিরেন্দ্র লাল বড়–য়া, মাতা-সুমিষ্টা রানী সাং-কাঞ্চননগর, থানা-চন্দনাইশ, জেলা-চট্টগ্রাম, ৭। নুর মোহাম্মদ সেলিম(২৬) পিতা-নুর আহম্মদ, মাতা-মৃত জরিনা বেগম সাং-নোয়াপাড়া, থানা ও জেলা-বান্দরবান, বর্তমানে-কালা মিয়া বাজার, মদিনা ক্লাব, থানা-বাকলিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, ৮। আজিজুল হক(২৮) পিতা-মোঃ কালু, মাতা-সাজেদা বেগম সাং-সাবেক রুমকা, কালুর বাড়ী, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার, বর্তমানে-এক কিলোমিটার, চেয়ারম্যানঘাটা, থানা-চান্দগাঁও, জেলা-চট্টগ্রাম।
২৬ জুন ২০১৮ খ্রিঃ তারিখ রাত ১০.৩০ ঘটিকায় মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার(ডিবি-উত্তর) মহোদয়ের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক জনাব হুমায়ুন কবির, এসআই/মোঃ শাহ জালাল চৌধুরী, এসআই/মোঃ ফিরোজ আলম, এএসআই/দাউদ খান ফোর্স সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানাধীন ৫১ খাতুনগঞ্জ রোডস্থ বনানী আবাসিক হোটেল এর ৩য় ও ৪র্থ তলায় অভিযান পরিচালনা করে নারী ব্যবসায়ী, পতিতা ও খদ্দের সহ ২১ জনকে গ্রেফতার ও হোটেলের বিভিন্ন কক্ষ হতে ৩৮০টি রাজা কনডম উদ্ধার করা হয়।