॥ নন্দন দেবনাথ ॥ পার্বত্য অঞ্চলের বশিয়ান নেতা দীপংকর তালুকদারকে পার্বত্য পূর্ণমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চায় পার্বত্য অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ও আওয়ামীলীগ নেতারা। পার্বত্য তিন জেলার সম বন্টন ও এই অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও উন্নয়নের জন্য এই অসম্প্রদায়িক এই নেতাকে পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের পূর্ণমন্ত্রী প্রদান করবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এমটাই মনে করেন তারা। তার হাতে দায়িত্ব পড়লে এই অঞ্চলের উন্নয়ন আরো বেশী ত্বরান্বিত হবে এমন ভাবনা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের।
এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ মনে করেন ৪র্থ বারের মতো সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেখানে পার্বত্য অঞ্চলের দায়িত্ব যদি বঙ্গবন্ধুর খুনের প্রতিবাদকারী নেতা পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ী বাঙ্গালীর অহংকার দীপংকর তালুকদারের কাঁধে তুলে দেন ঠিক তখনই এই অঞ্চলের উন্নয়ন আরো বেশী এগিয়ে যাবে।
এই বিষয়ে পার্বত্য অঞ্চলের কয়েকজন নেতা ও সাধারণ মানুষের আলাপ কালে তারা বলেন দীপংকর তালুকদার ২০০৮ সালে পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব ছিলেন। দায়িত্বে থাকা কালীন পার্বত্য রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলার উন্নয়ন সম বন্টন হয়েছে কোন জেলাকে তিনি একক ভাবে দেখেননি। এই সম বন্টনের মধ্যে দিয়ে এই অঞ্চলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেছে। তার আমলে বান্দরবানের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করেছে, তার আমলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের জন্য মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে দীপংকর তালুকদারের শক্তিশালী নেতৃত্বে এগিয়ে গেছে। এই বর্ষিয়ান নেতা যদি আবারো পার্বত্য অঞ্চলের পূর্ণ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পায় তাহলে এই অঞ্চলের উন্ননে আরো বেশী ত্বরান্বিত হবে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে দীপংকর তালুকদারে কোন বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে যে কাজ করছে তার দায়িত্ব সফল ভাবে বাস্তবায়ন করতে দীপংকর তালুকদারই পারবেন। যার কাছে কোন মত ভেদ নেই। যিনি তিন পার্বত্য জেলাকে সমান ভাবে দেখেন বলেই তিন পার্বত্য জেলার মানুষ দীপংকর তালুকদারকেই বেশী পছন্দ করেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও দীপংকর তালুকদারকে পছন্দ করেন। সেই সুবাদে আমরা মনে করি এবার দাদা পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পাবে।
স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শাওয়াল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর আমাদের পূর্ণ্য আস্থা আছে তিনি এই অভিজ্ঞ নেতাককে কখনোই বঞ্চিত করবেন না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানের পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দাদার ভ’মিকা কি ছিলো। দাদা প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে সমান ভাবে কাজ করেছে। তাই আমরা চাই দাদা পার্বত্য অঞ্চলের পূর্ণ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে পার্বত্য মানুষের কল্যাণে কাজ করবে।
লংগদু উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু দাশ বলেন, আমাদের বিশ্বাস এবার দাদা পূণ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পাবেন। পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম সহযোগি হিসাবে দীপংকর দাদা যে ভাবে শ্রম দিয়েছে তাতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই দাদাকে খুবই ভালোবাসে আমরা জানি। পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে এবং পার্বত্য অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে দাদার কোন বিকল্প নেই। পাহাড়ের পাহাড়ী বাঙ্গালী ঐক্যের প্রতীক দীপংকর তালুকদারকে এবার পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ পর্ণ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে পাবে এটা আমাদের বিশ্বাস। আমাদের জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা পাহাড়ের মানুষকে কখনোই নিরাস করবে না।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য ও কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, পাহাড়ী বাঙ্গালী ঐক্যের প্রতীক দীপংকর তালুকদার। পার্বত্য মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে যিনি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পার্বত্য এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চুক্তি করতে গিয়ে যার সহযোগিতা একান্ত ভাবে পেয়েছে সেই হচ্ছে আমাদের ত্যাগী নেতা দীপংকর তালুকদার। প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানেন কাকে দিলে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে। আমাদের বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য শান্তি চুক্তির আলোকে এবার পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব আমাদের ত্যাগী নেতা দীপংকর দাদার হাতেই তুলে দিবেন।
রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর জানান, পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নের দাদার কোন বিকল্প হতে পারে না। এই নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের প্রতিবাদকারী হিসাবে যার স্বীকৃতি রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়েছিল রাজ পথে নেমেছে এই নেতা। তাই প্রধানমন্ত্রী নিজেও জানের দাদার সম্পর্কে দাদা যে জাতির পিতার হত্যার প্রতিবাদ করেছিলো। তাই আমাদের বিশ্বাস আমাদের নেত্রী কখনোই আমাদের মতো সন্তানদের আশাহত করবেন না দাদাকে এবার পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব দিবেন। এছাড়া দাদা দীর্ঘ বছর পার্বত্য অঞ্চলের আওয়ামীলীগকে ধরে রেখে। একটি দিনের জন্যও তিনি পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কাছ থেকে দুরে ছিলেন না। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কথা চিন্তা করে দাদাকেই এবার পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের পূর্ণ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করবেন।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নিখিল কুমার চাকমা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে দাদা আমাদের সকলের দরকার। দীপংকর তালুকদার জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদকারী অন্যতম সদস্য ছিলেন। যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাকে দেশ ত্যাগ করতে হয়েছে এই নেতাকে। পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগিতাকারী হিসাবে যিনি কাজ করেছেন তাকে কখনোই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাশ করবে না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী চার চার বারের প্রধানমন্ত্রী জানের কাকে দিলে পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়ণ হবে। চুক্তি বাস্তবায়নের পর প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আইন অনুযায়ী কল্পরঞ্জন চাকমাকে পর্ণ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেই ক্ষেত্রে আমাদের বিশ্বাস এবার দাদাকে পূর্ণ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের সেবার করার সুযোগ জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রদান করবেন।