রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পক্ষে চীন ও রাশিয়ার ভূমিকাকে লজ্জাজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত অধ্যাপক ইয়াংহি লি।
তিনি বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতাধর এই দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের উচিত কক্সবাজারে এসে রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখে যাওয়া, প্রকৃত অবস্থা অনুধাবন করা। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানী ঢাকার একটি অভিযাত হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ইয়াংহি লি বলেন, আজকের দিনটি ঐতিহাসিক কেননা আজ জাতিসংঘের ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা অভিযোগের বিষয়ে বিচারকরা আদেশ দিবেন। আমি আমার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সব সত্য তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করব। আমি কোনো পক্ষপাতিত্ব করব না। আমার প্রতিবেদনে সুপারিশ করব যে সিয়েরালিওন, রুয়ান্ডা এবং বসনিয়া হার্জেগোভিনায় যেভাবে গণহত্যার বিচার হয়েছে, মিয়ানমারের ক্ষেত্রেও তা হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে আমি অবশ্যই সত্য বলব এবং সবাইকে তা জানাব। আমার ৬ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে মিয়ানমারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষণ, যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যার মতো মানবাধিকার পরিস্থিতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে।
ইয়াংহি লি আরও বলেন, মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভোগান্তির শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করে জেনেছি যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্যরা এবং দেশটির নিরাপত্তা কর্মীরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর ধর্ষণ, নিপীড়ন, নির্যাতন এবং হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। এসব মানবাধিকার লঙ্গনের ঘটনায় এখনও মিয়ানমারে বিচার পাওয়ার কোনো পরিবেশ নাই। মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলা উচিত, এ জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্যোগী হতে হবে।