॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের দেয়া করোনার সার্বিক বিষয়ে অবহিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, খুশির খবর এই যে, রাঙ্গামাটিতে এখনও পর্যন্ত করোনা রোগী সনাক্ত হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে এবং যারা ১০ টাকা কেজির চাল কিনতে বা হাত পাততে পারছেন না, তাদের জন্য কার্ডের মাধ্যমে ত্রাণের ব্যবস্থা করতে হবে।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা দেয়া সাজেকে হামের প্রার্দুভাবের ব্যাপারে সার্বিক বিষয়ে অবহিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দূর্গম এলাকায় কেউ যেন না খেয়ে না থাকে তার জন্য বিশেষ নজর দিতে হবে। আর কোন লোক যেন গৃহহারা না থাকে। আমি জানি যে পার্বত্য চট্টগ্রাম সারা এলাকা অনেক বড় ও দুর্গম জেলা। তবুও আমরা রাস্তাঘাট করে দিয়েছি ভবিষ্যতে আরো করবো। যাতে করে এইসব দূর্গম এলাকা যথাযথ ভাবে খাদ্য সহায়তা পৌছানো যায়।
মঙ্গলবার (৭মার্চ) দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের ১৫টি জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স এ রাঙ্গামাটির সাথে প্রধানমন্ত্রী যুক্ত হলে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারমান বৃষ কেতু চাকমাকে একথা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে জেলার সার্বিক বিষয় তুলে ধরে জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শুরু থেকে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে আমরা জেলা উপজেলা এমনকি ইউনিয়নে কমিটি গঠন করে কাজ করে যাচ্ছি।
রাঙ্গামাটি জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রান্ত কোন রোগী পাওয়া যায়নি। আমরা এ পর্যন্ত ১৯৭ জন মানুষকে হোম কোয়ারেন্টিনে রেখেছি, যার মধ্যে ১৫৪ জনকে স্বাস্থ্য বিভাগ ছাড়পত্র দিয়েছে। বর্তমানে ৪৩ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আছে।
ভিডিও কনফারেন্সে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, ডিজিএফআই’র কর্নেল মোঃ রউফ, পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।