॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ বান্দরবানের বাজারে লোকজন মানছেন না স্বাস্থ্য বিধি। লকডাউন শিথিল করার প্রথম ও দ্বিতীয় দিনেই বান্দরবান বাজারে ছিল উপচে পড়া ভীড়। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা না করেই মানুষ বেচা কেনায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন। স্বাস্থ্য বিধি মানার কোন লক্ষণই ছিলনা অনেকের মধ্যে। অনেক ক্রেতা বিক্রেতার মুখে ছিলনা কোন মাস্ক। বান্দরবান বাজার গুরে দেখা গেছে, রাজার মাঠে প্রতিদিন কাঁচা বাজার বসলেও রবিবার সকালে বাজারে ক্রেতা বিক্রেতা ছিল অন্যান্যে দিনের চেয়ে তুলনামূলক কয়েকগুন বেশি। তবে তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য বিধি মানার কোন লক্ষণই পরিলক্ষিত হয়নি। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করাতো দূরে থাক, অনেকে মাস্ক ছাড়াই চলে আসছেন বাজারে। করেছেন বেচাকেনা। এ বিষয়ে বিক্রেতা সেকান্দার বলেন, মাস্ক সাথে আছে, তবে রোদের গরমে মাস্ক ব্যবহার করাটা অনেক কষ্টকর। মাস্ক ব্যবহারে গরম বেশি লাগে, তাই মাস্ক সাথে থাকলেও তা ব্যবহার করছেন না। তবে মাঝে মধ্যে ব্যবহার করেন বলেও জানান তিনি। আরেক পাহাড়ী বিক্রেতা উহ্লাসিং মারমা বলেন, তিনি গরমের কারণে অল্প কিছুক্ষণ আগে মাস্ক খুলে রেখেছেন। তবে কিছুটা স্বস্তি ফিরলে আবারো মাস্ক ব্যবহার করবেন। বাজার করতে আসা এক ক্রেতা মোঃ খায়ের আহাম্মদ বলেন, এমনিতেই বাজারে বেশি গরম। মাস্ক ব্যবহার করলে গরম বেশি মনে হয়। তাই মাস্ক খুলে রেখেছেন। বাজার থেকে বের হলে আবারো মাস্ক ব্যবহার করবেন। ক্রেতা আবদুল খালেক বলেন, মাস্ক সব সময় ব্যবহার করেন। আজকে মাস্ক পানিতে ভিজে যাওয়ায় রোদে শুকাতে দিয়েছেন। শুকিয়ে গেলে তখন মাস্ক ব্যবহার করবেন। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক ব্যবহারের জন্য মানুষকে সচেতন করার জন্য কাজ করছে বান্দরবান পৌরসভা। পৌরসভার মেয়র ও লোকজন সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এবিষয়ে বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী বলেন, আমরা সব সময়ই মানুষের সচেতনতার জন্য মাইকিং করছি, বাজারে টহল দিচ্ছি। সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে এবং অকারণে যেন ঘর থেকে বের না হয় সেজন্যও প্রচারণা চালাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, মাস্ক পড়লে মানুষের গরম বেশি লাগে এ অজুহাতে অনেকে মাস্ক ব্যবহার করতে চায়না। তবে বর্তমান করোনা মহামারীতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক ব্যবহারের কোন বিকল্প নাই বলে জানান তিনি। মানুষ যেন সরকারী নির্দেশনা মেনে চলে তার জন্য বান্দরবান পৌরসভা সবসময় কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।