॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ বান্দরবানে দুই দিনের অবিরাম টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির কারনে জেলার নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। দুইদিনের ভারী বৃষ্টিতে জেলার সাংগু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ভারী বর্ষণে বান্দরবানের লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে, প্রবল বৃষ্টিতে কোথা ও কোথা সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। বান্দরবানে একদিকে করোনার সংক্রামক বৃদ্ধি আর অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় চলছে লকডাউন তার উপর ভারী বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। বান্দরবান বাজারের ব্যবসায়ী পিন্টু দাশ বলেন, গত ১৮ মার্চ থেকে বান্দরবানে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে এর পরে আবার বান্দরবানকে লকডাউন করা হয়েছে, অন্যদিকে গেল দুইদিন ধরে বান্দরবানে প্রবল বৃষ্টি আর বর্ষণে আমাদের জীবনে অনেক কষ্ট নেমে এসেছে। বান্দরবান ৯নং ওর্য়ার্ডের বাসিন্দা মো: রবিউল আলম বলেন, গেল দুইদিন থেকে বান্দরবানে প্রবল বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টিতে আমরা কোন কাজ করতে পারছি না, বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা থাকায় আমরা আতংকে রয়েছি। এদিকে টানা বৃষ্টির কারনে বান্দরবানের পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ন বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করেছে প্রশাসন, খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্নভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে আহবান জানান পৌর মেয়র। বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী বলেন, কয়েকদিন টানা বৃষ্টি বান্দরবানে অব্যাহত রয়েছে, বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে তবে আমরা মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করছি এবং নিরাপদে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। পৌর মেয়র আরো জানান, আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত করে সেখানে জনসাধারণকে এই দু:সময়ে আশ্রয় দিতে কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দিয়েছি। প্রশাসনের তথ্যমতে বান্দরবান জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে প্রায় ২ হাজার পরিবার।