॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ধন্যবাদ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান সচিব প্রবণ চৌধুরী ও বসুন্ধরা গ্রুপকে। দেশের করোনা পরিস্থিতিতে রাঙ্গামাটি জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। রাঙ্গামাটি জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী পিসিআর ল্যাব স্থাপনের যে দাবী ছিলো তা পুরন করে দেয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দনের বার্তা ছড়িয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি শুরু থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সর্বপ্রথম দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক গিরিদর্পণ পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য দাবী জানিয়ে আসছিলো। সেই দাবী প্রেক্ষিতে রাঙ্গামাটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ঝড় উঠে। গত ৬ মে যখন রাঙ্গামাটিতে প্রথম বারের মতো করোনা রোগী সনাক্ত হয় তখন থেকেই রাঙ্গামাটির জনগন আরো বেশী পিসিআর ল্যাবের জন্য আওয়াজ তুলতে থাকে।
রাঙ্গামাটি থেকে কোন নমুনা পাঠানো হলে ৮ থেকে ১০ দিনের মতো সময় লাগে। সেই সময়ের মধ্যে নমুনা দেয়ারা কতো জনের সাথে সংশর্পে আসে তা কেউ বলতে পারে না। এই সময়ের মধ্যে রাঙ্গামাটি কতো আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে অদৃশ্য থেকে যাচ্ছে। এই পিসিআর ল্যাব স্থাপনের মধ্যে দিয়ে রাঙ্গামাটির নমুনা ২ দিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে। ঘোষণায় রাঙ্গামাটি জেলাবাসীর মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য ত্রিদীব কান্তি দাশ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলায় ৬০০ মেট্রিক টন খাদ্য শষ্য ও ৪২ লক্ষ টাকা বিতরণ করেছে। এই বিতরণ কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে রাঙ্গামাটি জেলার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেম্বারদেরকে সম্পৃক্ত করে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্যরা কাজ করে গেছে। তিনি বলেন, দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে রাঙ্গামাটি জেলাবাসীর প্রাণের দাবী পিসিআর ল্যাব স্থাপনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান যে দায়িত্ব শীলতার পরিচয় দিয়েছেন তার জন্য তাকে ধন্যবাদ না জানিয়ে পারছি না। তিনি বলেন, এই জেলায় পিসিআর ল্যাব স্থাপনে এগিয়ে আসায় বসুন্ধরা গ্রুপ ও এই কাজে আন্তরিক ভাবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর কবির বলেন, স্যার যে কাজ করেছে তা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। বসুন্ধরা গ্রুপকে আমরা হাজারো বললে যে কাজ হতো না স্যারের একক প্রচেষ্টায় তারা এতো বড়ো একটি অংশগ্রহণ রাঙ্গামাটি জেলাবাসীর জন্য করেছে। তিনি সচিব পবন চৌধুরী ও বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদ সচিব পবন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন যোগ্য মানুষকে রাঙ্গামাটি জেলার দায়িত্ব প্রদান করেছেন। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে রাঙ্গামাটি জেলার স্বাস্থ্য বিভাগকে উন্নয়ন করার প্রচেষ্টায় রয়েছে। প্রতিটি সময় তিনি রাঙ্গামাটি হাসপাতালের করোনা রোগীদের সেবা ও রাঙ্গামাটি জেলাবাসীর সেবায় নিজের নিয়োজিত রেখেছেন। আশা করছি তার হাত ধরেই রাঙ্গামাটির স্বাস্থ্য বিভাগে আরো এগিয়ে যাবে। তিনি সচিব পবন চৌধুরী ও বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান।
পিসিআর ল্যাবের জন্য টাকা প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী আরো বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ রাঙ্গামাটির স্বাস্থ্য সেবায় এগিয়ে এসেছে এই জন্য তিনি বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি স্বাস্থ্য সেবাকে উন্নত করতে আমাদের সকলকে দায়িত্ব নিতে হবে।
করোনা রোগীদের প্রধান সেবা হচ্ছে অক্সিজেন সেবা। রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিষ্টেম তৈরী করতে পরিকল্পনা নিতে হবে। তিনি সিভিল সার্জনকে হাসপাতালের সেন্ট্রার অক্সিজেন সিষ্টেম তৈরী করতে কী কী প্রয়োজন তার একটি ষ্টিমেট তৈরী করতে নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, ষ্টিমেট তৈরী করে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে পাঠান। সরকারের পক্ষ থেকে দিতে দেরী হলে আমরা চেষ্টা করবো যাতে অক্সিজেন সিষ্টেম যাতে দ্রুত রাঙ্গামাটি হাসপাতালে বসে যায়।