॥ আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ ॥ তিন পার্বত্য জেলার সকল উপজেলার হাসপাতাল গুলোর ব্যাপক উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সহ সকল মন্ত্রনালয়ের যৌথ বাজেটের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া গেলে জনগনের অনেক উপকারে আসবে।
কিছু কিছু মন্ত্রনালয় তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় ধরনের প্রকল্প নিয়ে থাকে। যে গুলো দিয়ে জনগনের তেমন উপকারে লাগে না। অথবা এখন না করলেই তেমন ক্ষতি নেই এ ধরনের প্রকল্প গুলো আপাততঃ বাদ দিয়ে তিন পার্বত্য জেলার হাসপাতাল গুলোর উন্নয়ন করা গেলে জনগন বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়া থেকে রক্ষা পেত। সরকারের এখনেই উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন যাতে উপজেলা হাসপাতাল গুলোর করুন অবস্থা করা যায়।
প্রসুতি সেবা পর্যন্ত পাওয়া যায় না। দুর্গম এলাকা গুলোতে মৃত্যু পথযাত্রীদের সেনাবাহিনী, হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম সিএমএইচে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে জীবন রক্ষা নিয়ে এসেছে। এছাড়া বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটলে সেনাবাহিনীকে চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে আসতে হয়।
এ অবস্থায় প্রত্যেক উপজেলায় হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে জরুরী চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। এমনিতেই উপজেলা গুলোকে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা দেয়া যায় না। বাধ্য হয়েই জেলা সদরে হাসপাতালে পাঠাতে হয়। এখানেও চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব না হলে চট্টগ্রামে রেফার করতে হয়। প্রত্যেক উপজেলায় জরুরী চিকিৎসা ব্যবস্থা যাতে করা যায় সে ধরনের ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
জেলা হাসপাতাল গুলোতে জরুরী চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে করে চট্টগ্রামে নিতে না হয়।
অনেক সময় দেখা গেছে রাঙ্গামাটি-বান্দরবান-খাগড়াছড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম নিতে নিতে পথিমধ্যে রোগীর জীবন শেষ হয়ে যায়। ভবিষ্যতে যাতে এরকম না হয় অর্থাৎ জেলা সদরে চিকিৎসা দেয়া যায় এ ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
এাননীয় প্রধানমন্ত্রী জেলা সদরের হাসপাতাল গুলোর উন্নয়নে জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। ঐ গুলো করার সময় সমস্যা করে যাতে অতি প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো অগ্রাধিকার দিতে হবে।
বর্তমান বছরে বাজেটে যাতে উপজেলা গুরোতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হয় এ ধরনের বাজেট বরাদ্ধ দেয়া দরকার। সে সব প্রকল্পের চাঁদা দিতে হয় এবং দুরের প্রকল্প গুলোতে দুর্নীতি হয় বিধায় ঐ সব প্রকল্প না নিয়ে বর্তমানে উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জোর দিতে হবে। যাতে উপজেলা সহ গ্রামীন এলাকার জনগনের কাজে লাগে মত।