॥ শেখ ইমতিয়াজ ইমন ॥ কাপ্তাই হ্রদ দখলের দিন দিন ছোট হয়ে আসছে হ্রদের আয়তন। বর্তমান শুস্ক মৌসুমে রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন এলাকায় সরকারী খাস জায়গায় বড়ো বড়ো ইমাত তৈরীর প্রতিযোগিতায় নেমেছে রাঙ্গামাটির মানুষ। সরকারী কোন অনুমোদন বা রাঙ্গামাটি পৌরসভার কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই বড়ো বড়ো ইমাত তৈরীতে হ্রদ যেমন সংকুচিত হচ্ছে তেমনি কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য্যও হারাচ্ছে দিন দিন। বর্তমান লকডাউনের সময়ের সুযোগ নিয়ে রাঙ্গামাটি শহরেকার আসামবস্তী এলাকায় লেকের পাড় ও জলমহাল দখল করে রাতারাতি গড়ে তোলা হচ্ছে বাড়িঘরসহ অবৈধ স্থাপনা। এতে বাড়ছে নানা ঝুঁকি। হুমকিতে রাঙ্গামাটিবাসী, লেক ও তার আশেপাশের এলাকা। আর দূষণের শিকার হচ্ছে জনস্বাস্থ্যসহ পারিপার্শ্বিক পরিবেশ। রাঙ্গামাটি শহরের আসামবস্তী এলাকায় দেখা যায়, কাপ্তাই লেকের পাড়ে চলছে দখল করে অবৈধ স্থাপনার কাজ। লেকের পাড়, জলমহাল ও ভাসমান টিলা দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে এই বাড়িঘরের স্থাপনা। অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত হচ্ছে পাকা দালান। এই বিষয়ে রাঙ্গামাটির কয়েকজন পরিবেশ বাদী বলেন, হ্রদের নাব্যতা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। হ্রদের নাব্যতা যেমন হারিয়ে যাচ্ছে তেমনি কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী এলাকা গুলোতে বড়ো বড়ো ইমারত তৈরীর ফলে কাপ্তাই হ্রদ দিন দিন তার সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে। তিনি হ্রদের তীর ঘেষে যারা অপরিকল্পিত অবৈধ স্থাপনা তৈরী করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে রাঙ্গামাটির প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান তারা। রাঙ্গামাটি আসামবস্তীর অবৈধ বসতবাড়ী স্থাপনকারী বাড়ীর মালিক মোঃ ইসমাইলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি আমার নিজস্ব ও বন্দোবস্তীকৃত জায়গায় বাড়ী ঘর নির্মাণ করেছি। একটি কোন খাস সম্পত্তি নয়। এই জায়গা আমি ক্রয় করে নিজের অর্থে ঘর নির্মাণ করছি। এই বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ জানান এসব স্থাপনার বেশিভাগই অবৈধ, অনুমোদিত ও রেকর্ডছাড়া। অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণের ফলে রাঙ্গামাটি শহরে জানমালের ঝুঁকি বাড়ছে। হুমকিতে লেক, তার আশেপাশের এলাকা এবং শহরের লোকজন। তিনি বলেন যেখানেই অবৈধ দখল হবে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। তিনি সরকারী খাস জাযগায় দখল করে ইমাত তৈরীর ফলে কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য্য হারিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, অবৈধ স্থাপনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।