বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে সাহারা খাতুন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আজীবন কাজ করে গেছেন। দলের দুঃসময়ে নেতা কর্মীদের পাশে থেকে আইনিসহ সকল সাহায্য-সহযোগিতা দিয়েছেন তিনি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তার মৃ’ত্যুতে দেশ ও জাতি একজন দক্ষ নারী নেত্রী এবং সৎ জননেতাকে হারালো। আমি হারালাম এক পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত সহযো’দ্ধাকে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২৫ মিনিটে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তার ব্যক্তিগত সহকারী মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অসুস্থ সাহারা খাতুনকে গত ৬ জুলাই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়।
জ্বর, অ্যালার্জিসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অসুস্থ অবস্থায় ৭৮ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদকে গত ২ জুন সাহারা খাতুন ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে গত ১৯ জুন সকালে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
এরপর অবস্থার উন্নতি হলে তাকে গত ২২ জুন দুপুরে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়। পরে ২৬ জুন সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবারও তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
সাহারা খাতুন ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এরপর তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। তিনি ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসনে পরপর ৩ বার নির্বাচিত হন।