চট্টগ্রাম ব্যুরো :: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরীর সিহংভাগ ভূমি বন্দর ও রেলওয়ের মালিকানাধীন। এই ভূমির বিরাট অংশ অবৈধ দখলদারদের হাতে। এবং কর্ণফুলীর তীরবর্তী বা ভরাট হয়ে যাওয়া অংশ যেগুলোর মালিকানা বন্দর ও জেলা প্রশাসনের সেগুলোরও অধিকাংশ জায়গা বেদখল হয়ে আছে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাণ শক্তি কর্ণফুলী নদী বিপন্ন। তিনি আরো বলেন, রেল ও বন্দরের যেসমস্ত জায়গা অব্যবহৃত যা অবৈধ দখলদারদের হাতে সেগুলো পূন:রুদ্ধার করে জেলা প্রশাসনের সাথে পার্ক ও বিনোদনকেন্দ্র ও আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ করতে পারে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন উদ্যোগী হলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাবে। তিনি আজ সকালে আদালত ভবনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনর সাথে তাঁর অফিস কক্ষে এক সৌজন্য সাক্ষাতকালে একথাগুলো বলেছেন। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের ফয়সলেক একটি নান্দনিক বিনোদন কেন্দ্র হলেও এর রাজস্ব আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে এই ফয়সলেকটি ভাটিয়ারী লেক পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হলে এখানে মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র সহ বাণিজ্যিক পর্যটন স্থাপনাও গড়ে তুলতে পারলে সরকারের আর্থিক আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরী হতে পারে। তিনি আরো বলেন, সীতাকুন্ড পাহাড়ী এলাকার ঢালু সমতটে প্লাস্টিক প্রাচীর দিয়ে প্রাকৃতিক পানি সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরী করা যায়। এখান থেকে বিদেশ থেকে আগত পন্যবাহী জাহাজগুলো মালামাল খালাসের পর এই প্রাকৃতিক রিজারভার থেকে মিঠাপানি ভ্যাসেলে পূর্ণ করে নিয়ে যেতে পারতো। যার ফলে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হতো। এই সম্ভাবনাটির কথা প্রয়াত সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী একটি প্রকল্প আকারে উপস্থাপন করেছিলেন। আজ তা পুন:বিবেচনার সময় এসেছে। তিনি জেলা প্রশাসককে অবগত করেন যে, চট্টগ্রাম দেশের প্রধান বন্দর নগরীর ও বাণিজ্যিক রাজধানী। এখানে প্রতিদিনই কয়েক লক্ষ্য গণপরিবহন সহ মালবাহী যানবাহন চলাচল করে। তবে দু:খের বিষয় এই চট্টগ্রাম নগরীতে স্থায়ী পরিবহন পার্কিং ও টার্মিনাল নেই। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পার্কিং টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও কবে বাস্তবায়িত হবে তা নির্ধারিত নয়। তবে সিটি কর্পোরেশন পার্কিং টার্মিনাল করার ব্যাপারে প্রচেষ্টা ও সরকারের কাছে দেন দরবার চালিয়ে যাবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হেসেন চসিক প্রশাসকের দায়িত্ব পাওয়ায় মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনকে শুভেচ্ছা সিক্ত করে বলেন, তিনি চট্টগ্রাম দরদী।চট্টগ্রামে ভালো কিছু করার জন্য তাঁর যথেষ্ট আগ্রহ আছে। একজন রাজপথের রাজনীতিক হিসেবে নগরবাসীর সুখ দু:খের কথা জানেন। তবে এখন করোনাকাল অনেক সীমাবদ্ধতাও আছে। তারপরও চসিক প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনে জেলা প্রশাসন তাঁকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাবে। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ কামাল হোসেন, আবু সিদ্দিক, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন।