॥ মোঃ আবু তৈয়ব খাগড়াছড়ি ॥ আগামী ১৬ইং জানুয়ারী খাড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মোঃ রফিকুল আলম সতন্ত্র প্রার্থী, আওমালীগ দলীয় প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি বিএমপি প্রার্থী মোঃ ইব্রাহিম খলিল, জাতীয় প্রার্থী মোঃ ফিরুজ আহমদসহ মেয়র পদে ৪ (চার) জন এবং মহিলা সংরক্ষিত আসনসহ মোট কাউন্সিলের প্রার্থী ৪০ জন প্রতিদন্ধীতা করেছেন। তার মধ্যে একজন উপজাতীয় কাউন্সিলার অতিশ চাকমা, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছে।
এসব মিলিয়ে খাগড়াছড়ি জেলায় নির্বাচনী প্রচারনায় মিছিলের শ্লোগানের মাইকিংয়ের মুখোরিত হয়ে উঠেছে। বর্তমান খাগড়াছড়ি জেলা শহরের শাপলা চত্বর পোষ্টারে চেয়ে গেছে। ভোটারগণ জানিয়েছেন, যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিব। কেউর ইশারায় বা ধমকে নিজের মূলবান ভোট দিব না। আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দেবো। নির্বাচনী প্রচারণা তুঙ্গে এবার ভোট যুদ্ধ হবে সতন্ত্র প্রার্থী মোঃ রফিকুল আলম মোবাইল প্রতীক এবং সরকার দলীয় প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে খাড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে নেমেছে। কেউর চেয়ে কেউ কম না, ভোট যুদ্ধে লড়াই ১৬ইং জানুয়ারি শনিবার সকাল-৮টা থেকে বিকাল-৪টা পর্যন্ত উভয় প্রার্থী মধ্যে ভোট যুদ্ধ চলবে। পাড়া মহ্লায় ও ক্লাবে ভোটারদের নিয়ে বিভিন্ন গ্রামের গঞ্জে উঠান বৈঠক চলছে। প্রার্থীরা অব্যাহত রেখেছেন। পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীরা চোখের ঘুম নেই। শুধু মাত্র জনগণের একটি ভোটের প্রার্থনায় ঘরে দুয়ারে দুয়ারে ভোটারদের নিকট একটি ভোট চাচ্ছে, তবে এবারে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেওয়ার কারণে অনেক প্রার্থীরা সংশয় প্রকাশ করেছেন।
খাগড়াছড়ি বিএমপি প্রার্থী মোঃ ইব্রাহীম খলিল এক সংবাদ সম্মেলনের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এবারে ভোট কারচুপি হতে পারে এমন অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু অন্য কোনো প্রার্থী এই অভিযোগতা করিনি। জেলা আওয়ামীলীকের দলীয় প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেছেন। তিনি খাগড়াছড়ি কমর্রত সাংবাদিকদের ইভিএম জনগণে ভোটের বিজয়ে আশা প্রকাশ করছেন।
অন্যদিকে পৌর মেয়র সতন্ত্র প্রার্থী মোঃ রফিকুল আলম খাগড়াছড়ি সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করছেন এবং সাংবাদিকদের বলেছেন আমার বিজয় নিশ্চিত। আমি গত দুইবারে খাগড়াছড়ি জেলায় পৌরসভায় মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছি এবং খাগড়াছড়ি শহরে বিভিন্ন আনাচে-কানাচে সরকারি অর্থ দিয়ে রাস্তা-ঘাট এবং খাগড়াছড়ি শহরের কুমিল্লা টিলায় বসবাসরত অসহায় বিধবা, গরীব, স্বামী পরিত্যক্তাদের জন্য ৩৩ বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে তারা বসবাস করে তাদের জীবন অতিবাহিত করছে। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এবারেও নির্বাচিত হলে খাড়াছড়ি পৌরসভাতে পর্যটন মডেল হিসাবে চিহ্নিত করে খাগড়াছড়িবাসীকে আরো উন্নয়নের উপহার দিবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এই দিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মোঃ ফিরুজ আহমদ তার কোন প্রচারনা নেই বললেই চলে।
এদিকে আগামী ১৬ জানুয়ারী ২০২১ খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী মো. ইব্রাহীম খলিল। শহরের মিল্লাত চত্ত্বরে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে ধানের শীষের প্রার্থী মো. ইব্রাহীম খলিল ভোট গ্রহণে ইভিএম ও পেশী শক্তি নিয়ে শংসয় প্রকাশ করে বলেন, যে ইভিএম এর সাথে সাধারণ মানুষ পরিচিত নয়, তার মাধ্যমে ভোট দেওয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। সে সাথে পৌরসভা নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠ হবে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ইভিএম কারচুপিসহ পেশীশক্তি ব্যবহার হওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানান।
এছাড়াও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে সমহারে সকল এলাকার উন্নয়ন, অযাচিত পৌর কর পরিহার, মাদকমুক্ত পৌর এলাকা ও ঠিকাদারী কাজের সম-বন্টনসহ নাগরিক সুবিধার যথাযথ ব্যবস্থা করার কথা জানান তিনি। এতে তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ভোটাররা ধানের শীর্ষে ভোট দিলে নৌকায় চলে যায় এ ধরনের আশঙ্কা রয়েই যায়। এছাড়াও সারাদেশের মত খাগড়াছড়িতেও ভোট কারচুপির চেষ্টার শঙ্কার কথা তুলে ধরে প্রভাবমুক্ত সুষ্ঠ নির্বাচন দাবী করেন তিনি। মতবিনিময় সভায় এ সময়, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রবীণ চন্দ্র চাকমা, সাধারণ সম্পাদক এমএন আফসার,সাংগঠনিক সম্পাদক আ: বর রাজা, জেলা যুবদল সভাপতি মাহবুবুল আলম সবুজসহ সিনিয়র নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। খাগড়াছড়ি কুমিল্লা টিলা, শালবন, খবং পড়িয়া, মুসলিম পাড়া, শব্দমিয়া পাড়া, রুখই চৌধুরী পাড়া, ইসলামপুর, মাষ্টার পাড়া মোট ৯টি ওয়ার্ডের প্রার্থীদের পোষ্টারের পোষ্টারের চেয়ে গেছে। শরগরম খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচন। আর খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন আইন শৃঙ্খলা রক্ষার সাথে পুলিশ প্রশাসনকে নজর রাখার জন্য নিদের্শ দিয়েছেন।