চট্টগ্রাম ব্যুরো :: বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) রেক্টর ও সরকারের সচিব মোঃ রকিব হোসেন এনডিসি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদ উন্নয়নের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। পৃথিরীর অনেক দেশের তুলনায় উন্নয়নে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। বেড়েছে মাথাপিছু আয় ও সক্ষমতা। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা সরকারের প্রত্যেকটি উন্নয়ন কর্মকান্ডে সার্বক্ষণিক দায়িত্বপালন করার কারণে দেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নতদেশে উন্নীত হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনসহ সর্বস্তরের সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁিক নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। এর পরেও আমরা সফল হয়েছি। আগামী ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে সেবার মনোভাব নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। আজ ২ মার্চ ২০২১ ইংরেজি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ বিষয়ক সেমিনারে জুম অ্যাপের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিপিএটিসি’র কোর কোর্স সমূহের ক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সাভার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন যৌথভাবে সেমিনারের আয়োজন করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ এনডিসি’র সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজমা বিনতে আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মোঃ আনোয়ার হোসেন ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিপিএটিসি’র এমডিএস (প্রকল্প) সৈয়দ মিজানুর রহমান এনডিসি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মহসীন আলী। সেমিনারে সরকারের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ এনডিসি বলেন, জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে মানুষের জীবনযাত্রা এখন উন্নত। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে গ্রামগুলো শহরে রূপ নেবে। সকলের আন্তরিকতায় ২০২১-এ পদার্পন করেছি। সরকারের একটি দর্শন-সোনার বাংলা, দুইটি ভিত্তি-সকলকে নিয়ে উন্নয়ন, উচ্চ আয় ও টেকসই উন্নয়ন, তিনটি বাতিঘর-আমার গ্রাম-আমার শহর, তারুণ্যের শক্তি ও সুশাসন, ৩৩টি বিষয় এবং ২০৫টি লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে পৃথিবীতে উন্নত বাঙ্গালী জাতি হিসেকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো।
তিনি বলেন,সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশের অন্যান্যস্থানের ন্যায় সমৃদ্ধির পথে চট্টগ্রাম এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের উন্নয়ন সূচক ও ভিত্তিগুলো বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। সবার সহযোগিতা পেলে বাংলাদেশ অচিরেই আরো সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, যুদ্ধের মাধ্যমে পৃথিবীর খুব কম রাষ্ট্র স্বাধীন হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। ৩০ লাখ শহিদের আত্মদান ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জ্বতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বিরোধীরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রওী শেখ হাসিনা উন্নত সমৃিদ্ধশালী রাষ্ট্র গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পেলে আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। একজন যোগ্য লিডার হয়ে তিনি যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা বিশ্বে বিরল। আমরা প্রত্যেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের মহাসড়কে সামিল হলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে।