একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী। অডিও ক্যাসেটের যুগে তার অসংখ্য গানের অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছে। বর্তমানে অ্যালবাম প্রকাশ থেকে দূরে রয়েছেন ডলি। কিন্তু গানের সঙ্গেই আছেন তিনি। নতুন করে প্রত্যাবর্তনের কথাও ভাবছেন।
কেমন কাটছে দিনকাল? এমন প্রশ্নের জবাবে ডলি সায়ন্তনী বলেন, ‘এইতো বেশ ভালো আছি। গান নিয়েই দিন কাটছে। আর আমার মেয়েদেরও সময় দিচ্ছি। পরিবার ও গান নিয়েই মূল ব্যস্ততা।’
অ্যালবাম থেকে দূরে থাকলেও অন্যশিল্পীরা স্টেজ শো নিয়ে মেতে আছেন। কিন্তু ডলি বললেন, ‘খুব বেশি স্টেজে গাচ্ছি তা কিন্তু না। তবে বড় মাপের শো-গুলোতে অংশ নেয়ার চেষ্টা করি আমি। গত কয়েক মাস ধরে ব্যাস্ততাটা একটু বেশি। বর্ষার মৌসুম চলে আসছে। তখনতো আর শো আয়োজন হবে না। তাই এখন একটু কষ্ট হলেও টানা শো করতে হচ্ছে। গত কয়েকদিনে দিনাজপুর, চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে শো করেছি।’
ডলি সায়ন্তনী বলেন, ‘যেহেতু আমি শিল্পী, তাই গান গাওয়াটাই আমার কাজ। ফলে স্টেজ শোর পাশাপাশি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলেও লাইভ করছি। আবার শুটিংও থাকে নিয়মিত। এইসব নিয়েই আসলে ব্যস্ততায় কাটছে সময়।’
এদিকে ডলি সায়ন্তনী টুকটাক চলচ্চিত্রের গানেও কণ্ঠ দিচ্ছেন। সর্বশেষ নাদের চৌধুরী পরিচালিত ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ ছবিতে ‘মনের মধ্যে’ শীর্ষক একটি গান গেয়েছেন। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায় এ গানটির সুর ও সংগীত করেছেন ফরিদ আহমেদ।
গত বছর প্রকাশ হয়েছিলো ডলি সায়ন্তনীর একক অ্যালবাম ‘একলা হবি’। এর দু’টি গানের মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করতে যাচ্ছেন এই তারকা। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে জানাবেন তিনি।
ডলি সায়ন্তনী বলেন, ‘নতুন গানের কাজ চলছে। বেশ কিছু গানের রেকর্ডিং হবে সামনে। তবে অ্যালবাম আকারে করব নাকি ভিডিও আকারে একটি করে গান প্রকাশ করবো তা এখনও ঠিক করিনি। এ বছর শ্রোতারা বেশ কিছু নতুন গানে আমাকে পাবেন এতটুকু বলতে পারি।’
এখন অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা প্রসঙ্গে ডলি সায়ন্তনী বলেন, ‘আসলে খুব খারাপ অবস্থা থাকার কারণেই আমি বিরতি নিয়েছিলাম। এখন অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা ভালোই বলা চলে। পুরনো অনেকেই ফিরছেন। আমিতো ভেবেছিলাম আর হয়তো আগের অবস্থায় ফিরবে না ইন্ডাস্ট্রি। সেটা হয়তো এখনও হয়নি। তবে অবস্থার কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে। এখন অনেক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানই বিনিয়োগ করছে। পুরোনো কোম্পানিগুলো ফিরছে। নতুন কোম্পানি আসছে। এটা অডিও ইন্ডাস্ট্রির জন্য সুখবর। এখন সিডির বদলে ডিজিটাল মাধ্যমে শ্রোতারা গান বেশি শুনছেন। এটা সময়ের চাহিদা। সারা বিশ্বেই এমনটা হচ্ছে। আশা করছি সবাই মিলে আগের মতো করে কাজ করতে পারব।