॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরো জোরদার করতে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকে মৎস্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।
রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম মোহামেদ সলিহ’র উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের প্রেস বিফ্রিং করেন।
স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকগুলো হচ্ছে-সমন্বিত সহযোগিতার লক্ষ্যে যৌথ কমিশন (জেসিসি), দ্বিপাক্ষিক ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) ওপর সমঝোতা স্মারক, মৎস্য ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক এবং ২০২২-২০২৫ পর্যন্ত সাংস্কৃতিক বিনিময়ে জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মালদ্বীপের পক্ষে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম মোহামেদ সলিহ্র নেতৃত্বে দু’পক্ষের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি হয়।
পারস্পারিক সহযোগিতার জন্য যৌথ কমিশনের (জেসিসি) বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ্ শহিদ।
দ্বিপাক্ষিক ফরেন অফিস কনসাল্টিংয়ের (এফওসি) জন্য সমঝোতা স্বারকে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মালদ্বীপের পররাষ্ট্র সচিব আব্দুল গফুর মোহাম্মদ।
মৎস্য ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও মালদ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রী ফাইয়াজ ইসমাইল।
পাশাপাশি, ২০২২-২০২৫ পর্যন্ত সাংস্কৃতিক কর্মসূচি বিনিময়ের (সিইপি) জন্য একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ শহিদ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট গতকাল বুধবার সকালে ঢাকায় আসেন।
এ সময় সলিহ্র সহধর্মিনী, মালদ্বীপের ফার্স্ট লেডি ম্যাডাম ফাজনা আহমেদ তার সাথে ছিলেন।
॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ আজ ১৭ মার্চ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে এবার উদযাপিত হবে এ দিনটি। গত বছর বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন থেকে শুরু হয় মুজিব বর্ষ যা এবছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এই দিনটি জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসাবেও উদযাপিত হয়। এবারের জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর হৃদয় হোক রঙিন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এবং আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশী দূতাবাসগুলোতেও দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হবে। দিনটিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি দশ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।
এর আগে গতবছর বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করা হলেও করোনা ভাইরাসজনিত বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে মুজিব বর্ষের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করে উদযাপিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্্যাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আজ ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আয়োজিত এসব অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশী অতিথিরা অংশগ্রহণ করবেন।
তিনি জানান, অনুষ্ঠানমালায় প্রতিদিন পৃথক থিমভিত্তিক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অডিওভিজুয়াল এবং অন্যান্য বিশেষ পরিবেশনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালার থিমগুলো হলো-কাল ১৭ মার্চ ‘ভেঙেছ দুয়ার এসেছো জ্যোতির্ময়’, ১৮ মার্চ ‘মহাকালের তর্জনী’, ১৯ মার্চ ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’, ২০ মার্চ ‘তারুণ্যের আলোকশিখা’, ২১ মার্চ ‘ধ্বংসস্তুপে জীবনের গান’, ২২ মার্চ ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’, ২৩ মার্চ ‘নারীমুক্তি, সাম্য ও স্বাধীনতা’, ২৪ মার্চ ‘শান্তি-মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’, ২৫ মার্চ ‘গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রা’ এবং ২৬ মার্চ ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’।
দশদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় কাল ১৭ মার্চ, ২২ মার্চ এবং ২৬ মার্চ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ১৭ মার্চ, ১৯ মার্চ, ২২ মার্চ, ২৪ মার্চ এবং ২৬ মার্চ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। এই ৫ দিনের অনুষ্ঠানে বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকার প্রধানগণ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। আজ ১৭ মার্চ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ্, ১৯ মার্চ অনুষ্ঠানে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, ২২ মার্চ অনুষ্ঠানে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী, ২৪ মার্চ অনুষ্ঠানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং ২৬ মার্চ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন।
এই ৫ দিনের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে সীমিত আকারে ৫০০ জন আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া, এই ৫ দিনের অনুষ্ঠানসহ অন্য ৫ দিনের অনুষ্ঠানমালায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধান, সরকার প্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণের ধারণকৃত বক্তব্য প্রদর্শন করা হবে। প্রত্যেকদিনের অনুষ্ঠান টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
বঙ্গবন্ধু ১৯৪৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান শাখার যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে তিনি পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের টিকেটে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ এসেম্বলীর সদস্য নির্বাচিত হন। ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আজীবন সোচ্চার এই অবিসংবাদিত নেতাকে রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবরণ করতে হয়।
তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬-দফা ও পরবর্তীতে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ করেন। তাঁর সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ধাপে ধাপে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকে।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি জাতির ওপর নানা নির্যাতন শুরু করে। বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। যা ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়াল্ড রেজিস্টার এ অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
অন্যদিকে, ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং তাঁর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙ্গালীর বহু আকাঙ্খিত বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জিত হয়। বিংশ শতাব্দীতে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে যারা বিশ্বনন্দিত নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের অন্যতম।
সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরামহীন সংগ্রামে অবদান রাখার জন্য তিনি বিশ্বশান্তি পরিষদ প্রদত্ত জুলিও কুরি পদকে ভূষিত হন। বিবিসি’র এক জরীপে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী নির্বাচিত হন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু যখন বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করতে শুরু করেন ঠিক সেই মুহূর্তে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তি ও কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহল তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন।
বিশ্ব গণমাধ্যমের চোখে বঙ্গবন্ধু ছিলেন ক্ষণজন্মা পুরুষ। অনন্য সাধারণ এই নেতাকে ‘স্বাধীনতার প্রতীক’ বা ‘রাজনীতির ছন্দকার’ খেতাবেও আখ্যা দেয়া হয়। বিদেশী ভক্ত, কট্টর সমালোচক এমনকি শত্রুরাও তাদের নিজ নিজ ভাষায় তাঁর উচ্চকিত প্রশংসা করেন।
বিগত বিংশ শতাব্দীর কিংবদন্তী কিউবার বিপ্লবী নেতা প্রয়াত ফিদেল ক্যাস্ট্রো বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। ক্যাস্ট্রো বলেন, ‘আমি হিমালয়কে দেখেনি, তবে শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসে এই মানুষটি ছিলেন হিমালয় সমান। সুতরাং হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতা আমি লাভ করেছি। শ্রীলংকার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্মণ কাদির গামা (নৃশংস হত্যার শিকার) বাংলাদেশের এই মহান নেতা সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া গত কয়েক শতকে বিশ্বকে অনেক শিক্ষক, দার্শনিক, দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক, রাজনৈতিক নেতা ও যোদ্ধা উপহার দিয়েছে। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান সবকিছুকে ছাপিয়ে যান, তাঁর স্থান নির্ধারিত হয়ে আছে সর্বকালের সর্বোচ্চ আসনে।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনগণের নেতা এবং তাদের সেবায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাকে দেয়া বঙ্গবন্ধু খেতাবে এই দেশপ্রেমিক নেতার প্রতি দেশের মানুষের গভীর ভালবাসা প্রতিফলিত হয়।’ ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ২০১৩ সালের ৪ মার্চ নগরীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন শেষে মন্তব্য বইয়ে এমন মন্তব্য লিখেছিলেন।
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মন্তব্য বইয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সম্মোহনী এবং অসীম সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর জনগণের নেতৃত্বদান করেছিলেন।
জার্মানীর সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান উলফ বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লিখেন, ‘এই স্মৃতি জাদুঘর আমাদের একজন মহান রাষ্ট্রনায়ককে স্মরণ করিয়ে দেয়, যিনি তার জনগণের অধিকার ও মর্যাদার জন্য লড়াই করেছিলেন এবং অতিদ্রুত স্বাধীনতা ও জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন।’
ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন নেতা এবং রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি স্বাধীনতার জন্য প্রতিকূলতা ও বিরূপ পরিস্থিতি উপেক্ষা করে অটল সাহসিকতার সাথে লড়াই করেছেন।’
॥ শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি ॥ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে বাংলাদেশ আগামী ২০৪১ সালে সমৃদ্ধশালী দেশে রূপান্তর হবে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছে সরকার। আর এর সুফল পাচ্ছেন স্থানীয় জনগন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানেই এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
শনিবার (১৩ মার্চ) বেলা ১২টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বরইতলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের ভিত্তি প্রস্তুর উদ্বোধন শেষে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে পার্বত্য এলাকার ৪০ হাজার পরিবারকে বিনামূল্যে সোলার বিতরণ করা হবে। নাইক্ষ্যংছড়িতে শুধুমাত্র পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে শত কোটি কাজ হয়েছে। এসময় মন্ত্রী এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগনকে সরকারের পাশে থেকে সহযোগিতা করারও আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করা হবে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, লামা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি। উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কুদ্দুস ফরাজি পিপিএম, বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য কেনু ওয়ান চাক, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু তাহের কোম্পানী, নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন প্রমূখ। সভা সঞ্চালনা করেন, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি তসলিম ইকবাল চৌধুরী।
এর আগে মন্ত্রী ঘুমধুম, সোনাইছড়ি ও নাইক্ষ্যংছড়িতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নাধীন প্রায় ২৭ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ভিত্তি প্রস্তুর উদ্বোধন করেন।
পরে দুপুর ২টার দিকে তুমব্রু বাজার এলাকায় আরেকটি জনসভায় উপস্থিত হন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। জনসভা শেষে বিকেল ৩টার দিকে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন মন্ত্রী।
জনসভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় সরকার সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি), জেলা পরিষদ, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠন, বান্দরবান ও নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাব সাংবাদিকবৃন্দ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষক লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ঘুমধুমের বিভিন্ন স্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ ফেনী নদীতে নির্মিত ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুম ও বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়কে যুক্ত করা বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সেতু দুই দেশের পর্যটন ও বাণিজ্যের মূল কেন্দ্র আজ বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার (৯ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেতুর উদ্বোধন করেন মোদি।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ২০১৭ সালে আপনারা ত্রিপুরার উন্নয়নে দ্বিগুন মনোযোহী হন। আর এর ফলে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা আজ আপনাদের সামনেই। যেখানে ঘুষ-দুর্নীতি ছাড়া কোনো কাজ হতো না, তা এখন সহজেই হচ্ছে। যেখানে কৃষকদের ফসল সরবরাহ করতে বিভিন্ন অসুবিধা হতো, সেখানে আজ কৃষকরা সরাসরি ফসল সরবরাহ করতে পারছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ত্রিপুরায় আজ যোগাযোগ তথা সড়কপথ, বিমানপথ এবং রেলপথের উন্নয়নের পাশাপাশি প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট সুবিধার মাধ্যমে জনগণের জীবনকে আরও সহজ করে তুলছে। সেই সঙ্গে তাদের অর্থনৈতিক দিকেরও উন্নয়ন হচ্ছে।’
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার এই সেতু পর্যটন ও বাণিজ্যের মূল কেন্দ্র হবে এমন আশা ব্যক্ত করে মোদি বলেন, ‘এই সেতুর ফলে ত্রিপুরার তথা ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধন একদিকে যেমন সমৃদ্ধির পথে আছে, তেমনি দুই দেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে। দুই দেশের অর্থনৈতিক বন্ধনও সুদৃঢ় হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নির্মিত এই মৈত্রী সেতুর কারণে পণ্য পরিবহন এবং পর্যটন খাত আরও উন্নত হবে। ফলে, পণ্য পরিবহনের জন্য এখন আর আপনাদের শুধু সড়ক পথের ওপর ভরসা করে বসে থাকতে হবে না, বাংলাদেশের সড়ক, নদী ও সমুদ্র পথেও সুবিধা পাবে এই রাজ্য।
মোদির বক্তব্য দেওয়ার আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফেনী নদীতে নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শুধু বন্ধুত্বের বন্ধন নয় বরং দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বাড়াতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ফেনী নদী। সেতুটি বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য বাড়াতে আরও সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সেতুর মাধ্যমে সরাসরি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে ত্রিপুরা। ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তানিশ চন্দ্র আগারভাগ ইনপাকন প্রাইভেট লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে ৮২.৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগড়ের মহামুনিতে ২৮৬ একর জমির উপর ‘মৈত্রী সেতু’ নির্মিত হয়েছে।
সেতুর ভারতীয় প্রকৌশলী মতিউর রহমান জানিয়েছেন, গত ১৩ জানুয়ারি সেতুর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়। এ সেতুর মোট পিলার ১২ টি। এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশে নির্মাণ ৮ টি ও ভারতের অংশে ৪টি। সেতু থেকে ২৪০ মিটার এপ্রোচ রোড নির্মাণ করে রামগড়-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের সঙ্গে এবং ওপারে সেতু থেকে প্রায় ১২০০ মিটার এপ্রোচ রাস্তা নবীনপাড়া-ঠাকুরপল্লী হয়ে সাব্রুম-আগরতলা জাতীয় সড়কে যুক্ত হয়েছে। আন্কর্জাতিক মানের দুই লেনের এ সেতুর দুই পাশে রয়েছে ফুটওয়ে।
॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ ফেনী নদীতে নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শুধু বন্ধুত্বের বন্ধন নয় বরং দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বাড়াতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও দিল্লি থেকে একই ভাবে যুক্ত হন।
বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদি। এরপর বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এই সেতু দিয়ে ত্রিপুরার সাবরুমের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হল বাংলাদেশের খাগড়াছড়ির রামগড়। শুধু তাই নয়, চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গেও সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হলো ত্রিপুরার। মৈত্রী সেতুটি এই অঞ্চলের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা ভুলিনি, আপনারা কীভাবে ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছিলেন এবং আশ্রয় দিয়েছিলেন। আমরা ভারতকে সবসময়ই যথাসম্ভব সহায়তা করবো।
গত ১৩ জানুয়ারি এ সেতুর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়। এ সেতুর মোট পিলার ১২টি। এরমধ্যে, বাংলাদেশ অংশে নির্মাণ ৮ টি ও ভারতের অংশে ৪টি। সেতু থেকে ২৪০ মিটার এপ্রোচ রোড নির্মাণ করে রামগড়-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কে সঙ্গে এবং ওপারে সেতু থেকে প্রায় ১২০০ মিটার এপ্রোচ রাস্তা নবীনপাড়া-ঠাকুরপল্লী হয়ে সাব্রুম-আগরতলা জাতীয় সড়কে যুক্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের দুই লেনের এ সেতুর দুপাশে রয়েছে ফুটওয়ে।
২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি সফরকালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর সঙ্গে বৈঠকে রামগড়- সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর যৌথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফেনী নদীতে নির্মাণাধীন ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১’ নামে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করেন।
॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ ফেনী নদীতে নির্মিত ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুম ও বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়কে যুক্ত করা বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেতুর উদ্বোধন করেন তিনি। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ফেনী নদী। সেতুটি বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য বাড়াতে আরও সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সেতুর মাধ্যমে সরাসরি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে ত্রিপুরা। ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তানিশ চন্দ্র আগারভাগ ইনপাকন প্রাইভেট লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে ৮২.৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগড়ের মহামুনিতে ২৮৬ একর জমির ওপর ‘মৈত্রী সেতু’ নির্মিত হয়েছে।
সেতুর ভারতীয় প্রকৌশলী মতিউর রহমান জানিয়েছেন, গত ১৩ জানুয়ারি সেতুর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়। এ সেতুর মোট পিলার ১২ টি। এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশে নির্মাণ ৮ টি ও ভারতের অংশে ৪টি। সেতু থেকে ২৪০ মিটার এপ্রোচ রোড নির্মাণ করে রামগড়-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কে সাথে এবং ওপারে সেতু থেকে প্রায় ১২০০ মিটার এপ্রোচ রাস্তা নবীনপাড়া-ঠাকুরপল্লী হয়ে সাব্রুম-আগরতলা জাতীয় সড়কে যুক্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের দুই লেনের এ সেতুর দুপাশে রয়েছে ফুটওয়ে।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনেক ক্ষেত্রে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়, ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে অনেককে বিপথগামী করা হয়, অনেককে জঙ্গী বানানোর চেষ্ঠা করা হয়। এগুলোর বিরুদ্ধেও আলেম সমাজ কথা বলেন, আমি অনুরোধ জানাবো আরো কথা বলে এগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার জন্য।
তিনি বলেন, ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম, ইসলাম অন্যের উপর জুলুমের কথা বলেননি। আমাদের নবী করিম (সা.) কখনো অন্যের ওপর জুলুম করেন নাই, করাকে প্রশ্রয় দেন নাই, কেউ করলেও তাকে শান্তি দিয়েছেন। সুতরাং জবরদস্ত করে কোন কিছু ছাপিয়ে দেয়া ইসলাম কোনদিন সমর্থন করেনা।
শনিবার (৬ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে আন্জুমানে রজভীয়া নূরীয়া বাংলাদেশ আয়োজিত যৌতুক ও মাদক বিরোধী মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আন্জুমানে রজভীয়া নূরীয়া’র চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কাশেম নুরী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আর্ন্তাতিক মানবাধিকার সংস্থার যুগ্ন মহাসচিব এরশাদ মাহমুদ, তরুণ সংগঠক ফারাজ করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যাপক নূ ক ম আকবর হোসেন, রাজনীতিক ড. মাসুম চৌধুরী, আল্লামা মাসউদ হোসাইন আলকাদেরী, এডভোকেট আব্দুর রশিদ দৌলতি প্রমূখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের এই জনপদে ইসলাম কায়েম হয়েছে কোন যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমে নয়, অলি আউলিয়াদের মাধ্যমে ইসলাম এখানে কায়েম হয়েছে। সুতরাং আজকে অনেকে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দেই, ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তরুণদেরকে বিপথগামী করে। সেগুলোর বিরুদ্ধে আলেম সমাজের সোচ্চার ভুমিকা রাখা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এই দেশ সবার, সব মত এবং দলের মানুষের, সবাই মিলে যুদ্ধ করে আমাদের এই দেশ স্বাধীন হয়েছে, আমরা সবাই মিলে এই দেশটাকে গড়তে চাই।
প্রতিবছর যৌতুক বিরোধী সমাবেশ আয়োজনের জন্য আন্জুমানে রজভীয়া নূরীয়া’র চেয়ারম্যান আবুল কাশেম নুরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এরকম সামাজিক আন্দোলন যদি আলেম সমাজের পক্ষ থেকে করা হয় তাহলে এটির বড় একটা প্রভাব সমাজের ওপর পড়ে। কারণ আলেম সমাজ হচ্ছে সমাজের স্বাভাবিক নেতা। সুতরাং একজন আলেম বা তাদের নেতৃত্বাধীন কোন সংগঠন যখন যৌতুক এবং মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করি যৌতুক বন্ধ করার ক্ষেত্রে এবং আমাদের যুব সমাজের ওপর মাদকের যে হিংস্্রথাবা সেটি রোধ করার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, যৌতুক বিরোধী আইন আছে, কিন্তু আইন অনেকে মানেনা। শুধু আইন ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী দিয়ে যে সবকিছু হয়না সেটির প্রমাণ হচ্ছে যৌতুক। যৌতুক বন্ধ করার জন্য মাওলানা আবুল কাশেম নুরীর নেতৃত্বে সামাজিক যে আন্দোলন ডাকা হয়েছে সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন অবশ্য একটি কাজ হয়েছে কেউ আর আগের মতো যৌতুক দাবী করেনা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তরুণ সমাজ নানা কারণে মাদকাসক্ত হয়ে যাচ্ছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে এগুচ্ছে। শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপের মাধ্যমে মাদক নির্মূল করা সম্ভবপর নয়। এজন্য পরিবারকে দায়িত্ব নিতে হবে তরুন সমাজদের মনমানসিকতা গড়ে তোলার জন্য তাদেরকে সেভাবে পরিচালনা করা হয়। একই সাথে সামাজিক প্রতিরোধ ও আন্দোলন যদি থাকে তাহলে সবকিছুর সমন্বয়ে মাদকরোধ করা সম্ভব হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মাদকাসক্তির পাশাপাশি আমাদের কিশোর তরুণদের মাঝে ফেসবুক আসক্তি দেখা দিয়েছে। কিশোরদের হাতে হাতে মোবাইল ফোন, কিন্ত মা-বাবা খবর রাখেনা সন্তানরা মোবাইলে কি করতেছে। এজন্য আমি মনেকরি যৌতুক ও মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অতিরিক্ত আসক্তির বিরুদ্ধেও কথা বলা প্রয়োজন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো :: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী আজ মঙ্গলবার বেলা ১ টায় চসিক পরিচালিত মেমন জেনারেল হাসপাতালে কোভিড-১৯ প্রতিষেধক টিকা গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ফজলে রাব্বি, কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিনা চৌধুরী, ডা. ইমাম হোসেন, ডা. দীপা ত্রিপুরা প্রমুখ। টিকা গ্রহন শেষে মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সমন্বিত উদ্যোগে সাফল্যের সাথে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। একই ভাবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১ টি ওয়ার্ডে কোভিড-১৯ প্রতিষেধক টিকা প্রদানের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ইতোমধ্যেই পূরণ করেছে এবং চূড়ান্ত সফলতা অর্জন প্রচেষ্টা চলমান করেছে। তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, কোভিড-১৯ প্রতিষেধক টিকা গ্রহনের ব্যাপারে বিশেষ মহল উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে মিথ্যাচার ও গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। যার কোন ভিত্তি নেই। তিনি নগরবাসীর টিকা গ্রহণের রেজিস্ট্রেশন ভূক্ত হবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এজন্য আমরা সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। এতে হেলা-ফেলা করার কোন অবকাশ নেই। যারা টিকা গ্রহণ করেছেন তাদেরকে অবশ্যই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে এবং নিজের ও অন্যের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরন চলমান রাখতে হবে।
বিগত অর্থ বছরে মেঘনা পেট্রোলিয়াম পরপর তিন বছর সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান ৫০৫ কোটি টাকা কর পূর্ব মুনাফা অর্জন। বর্তমানে বাংলাদেশ মেঘনা পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) এর তিনটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সরাদেশে জ্বালানি তেল বিপণনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তন্মধ্যে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড জ্বালানি তেল বিপণনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বিগত অর্থ বছরের মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড এককভাবে দেশের সামগ্রিক চাহিদার ৩৮% জ্বালানি তেল ও তিনটি বিপণন কোম্পানীর মধ্যে ৫৫.৫% লুব্রিকেন্টস বিপণন করে।
২০১৬ সালে ১৪ জুন দায়িত্ব গ্রহণের পর জ্বালানি তেল ও লুব্রিকেন্টসের বিক্রয় বৃদ্ধি, প্রশাসনিক ব্যয় হ্রাস, কনভারশন ক্ষত্রি হ্রাস এবং পরিচালন লাভ বৃদ্ধি করে তার ব্যবস্থাপনার দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। কোম্পানীটির কর উত্তর মুনাফা ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ১৮৫.০২ কোটি টাকা থেকে ২০১৬-২০২১ অর্থ বছরে ২১৯.৪৮ কোটি টাকা, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে ৩৬০.৪১ কোটি টাকা ও ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের ৩৭৯.৯১ কোটি টাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সরকারি কোষাগারে বর্ণিত অর্থ বছরে যথাক্রমে ৬৩.৯৫ কোটি, ৭৩.৬৩ কোটি, ১১৬.৩ কোটি ও ১২৪.৩০ কোটি টাকা কর প্রদান করেছে।
এ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক আউটস্ট্যান্ডিং এ্যাওয়ার্ড ইন পাবলিক ক্যাটাগরি অর্জন এবং জ্বালানি খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে ট্যাক্স কার্ডে সম্মানিত হয়েছে। তিনটি তেল বিপণন কোম্পানীর মধ্যে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নেতৃত্বে পরপর তিন বছর সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিগত অর্থ বছরে করোনা দূর্যোগ ও বিশ্বময় মন্দাকালীন সময়েও প্রতিষ্ঠানটি কর উত্তর ৩০৭.৯১ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছে, সরকারি কোষাগারে কর বাবদ ১০২.৭৫ কোটি টাকা প্রদান করেছে এবং জ্বালানি তেল বিপণন খাতে তিন তেল কোম্পানীর মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করেছে। সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন ও কর প্রদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবারও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান জ্বালানি খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ট্যাক্স কার্ডে সম্মানিত হয়েছে।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পাহাড়ের প্রতিটি মানুষ যাতে নিরাপদে থাকে তার জন্য বর্তমান সরকারের শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আর পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্র ও একটি মহল ষড়যন্ত্রের কারণে চুক্তিকে বাস্তবায়নসহ এলাকার উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারী) সকালে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি, নানিয়ারচর সদর উপজেলায় ৪ টি বিদ্যালয়ের নব নির্মিত ভবনের উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, নানিয়ারচর জোন কমান্ডার লেফটেন্টে কর্ণেল গোলাম মাবুদ হাসান পিএসসি, নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা, নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী রহমান তিন্নি, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য এলিপন চাকমা, জেলা পরিষদ সদস্য প্রিয়নন্দ চাকমা, পরিষদ সদস্য নিউচিং মারমা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নানিয়ারচর উপজেলা প্রকৌশী রনি সাহা সহ রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য বর্গ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষার মানোন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক ভূমিক রেখে চলেছে। দুর্গম এলাকার ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে উন্নত করনের মাধ্যমে মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারই দেশের শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে সরকার শিক্ষার উপর সবচে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, একটা জাতিকে সুস্থভাবে গড়ে তুলতে হলে শিশুকাল থেকেই শিক্ষা দিয়ে তার ভিত্তিটাকে মজবুত করে গড়ে দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে সরকার বিনামূল্যে বই বিতরণ, শিক্ষাবৃত্তি, অবকাঠামো নির্মাণ, স্কুল জাতীয়করণসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বাস্তবায়ন করছে। তাই তিনি শিক্ষক শিক্ষিকাদের ছাত্র ছাত্রীদের পাঠ দানে আরো বেশী মনোযোগী হয়ে শিক্ষিত জাতি ও দেশকে উন্নয়নের সর্বশিখরে পৌঁছে দিতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
দীপংকর তালুকদার সকালে শিক্ষা প্রকৌশল শাখার অর্থায়নে ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঘিলাছড়ি উচ্চ বিদ্যাল, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নানিয়ারচর মডেল নানিয়ারচর দি চেঙ্গী চাইল্ড হোম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এলজিইডির অর্থায়নে ৮৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নানিয়ারচর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নব নির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন।