॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পৌষ পিঠা উৎসবের মাধ্যমে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য শহরের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আহবান জানিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, শীতের সকালে মায়ের হাতে যে পিঠা খাওয়া দিনগুলো মানুষের মাঝ থেকে যাতে হারিয়ে না যায় সে দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারী) বিকেলে রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে চন্দ্রিমা রেষ্টুরেন্টের আয়োজনে দুইদিন ব্যাপী পৌষ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক রাঙ্গামাটির সম্পাদক আনোয়ার আল হক, বনরূপা ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি মোঃ আবু সৈয়দ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক শামসুল আলম, রাঙ্গামাটি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বাহাদুর, প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সাংবাদিক পুলক চক্রবর্তী, রাঙ্গামাটি সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর, সাংবাদিক শিশির দাশ বাবলাসহ ৮৯ ব্যাচের বন্ধু মহলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দুই দিন ব্যাপী পিঠা উৎসবে তিনটি ষ্টলে বিভিন্ন নামের প্রায় ২৫ টির মতো পিঠা প্রদর্শিত হচ্ছে। রাঙ্গামাটির স্থানীয় জনগন পিঠা উৎসব ঘুরে দেখেন এবং পিঠা ক্রয় করেন।
কুমিল্লা প্রতিনিধি :: কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ভিরাল্লা গ্রামের অধিবাসী, দেবীদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক, সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষাগুরু আব্দুল মান্নান স্যার ১৪ জানুয়ারী ২০২১ইং দুপুর ২টায় ঢাকার একটি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্নাইলাহি রাজিউন।
মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৭ পত্র ও ২কণ্যা সহ ৯ সন্তান, নাতী নাতনী, গুণগ্রাহী, শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
ওনার ৭ পুত্র ও ২ কণ্যা সবাই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত এরা হলেন,- ডা: মো. আক্তারুজ্জান (এফ.সি.পি.এস) আমেরিকা প্রবাসী, ড. অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান জগন্নাতপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বানিজ্য অণুষদের জিন ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার মো. ওয়াহিদুজ্জামান আমেরিকা প্রবাসী, সরাইয়া আক্তার শিক্ষিকা, মো. নাসিরুজ্জামান ব্যবসায়ি, মো. আনিসুজ্জামান এম.এস.সি ব্যাঙ্কার আমেরিকা প্রবাসী, মো. শামিনুজ্জামান চাকুরি আমেরিকা প্রবাসী, শিরিন আক্তার গৃহিনী ও মো. সুমনুজ্জামান শিক্ষক।
সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ শিক্ষাগুরুর জানাযা আগামীকাল শুক্রবার ওনার সাবেক কর্মস্থল দেবীদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় এবং নিজ গ্রামের বাড়িতে জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন সম্পন্ন করা হবে।
চট্টগ্রাম ব্যুরো :: চট্টগ্রামের নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় ও নিরলস প্রচেষ্টায় আমরা কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। ঢাকার পরে চট্টগ্রামের স্থান। ঢাকা রাজধানী হলেও গুরুত্বের দিক থেকে বাংলাদেশের লাইফ লাইন চট্টগ্রাম। এ জেলার মানুষকে নিরাপদ রাখা, মাদক-সন্ত্রাস নির্মূল ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। চোরাচালান রোধে টাস্কফোর্সের অভিযান আরো জোরদার করতে হবে। করোনা টিকা না আসা পর্যন্ত মাস্ককে টিকা হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে সিভিল সার্জনকে ভূমিকা রাখতে হবে। আজ ১২ জানুয়ারী ২০২০ ইংরেজি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত জেলা আইন- শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে পাহাড় কাটা, বালি উত্তোলন, অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা রোধ ও ছাড়পত্রবিহীন ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। শস্যের ভিতর ভূত না থাকলে কোন সমস্যাই হবেনা। কোন ঘটনা ঘটে যাওয়ার আগেই ডিসি-এসপি জানলে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে পারবো। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা চাই। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনদেরকে বিনা পয়সায় একসাথে ৫৫ হাজার ঘর করে দিয়েছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি নজির। আগামী ২০ জানুয়ারী তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ঘরগুলো একযোগে উদ্বোধন করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালী করতে সবাই মিলে একটি শক্ত প্ল্যাটফর্মে কাজ করবো।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস.এম রশিদুল হক বলেন, জেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। জেলা পুলিশের অভিযানে গত বছর ১৪ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। গত তিন মাসে ৩ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিছু কিছু ধর্ষণের ঘটনা আছে যেগুলোর অধিকাংশই প্রেমিক-প্রেমিকা দ্বারা সংঘটিত। সামাজিক সচেতনতা ছাড়া ধর্ষণ রোধ সম্ভব নয়। বোয়ালখালীতে গরু চুরি রোধসহ অন্যান্য থানায় চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই রোধ, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পাসপোর্ট রিপোট ও পাসপোর্ট পাইয়ে দেয়ার নামে যারা দালালীর মাধ্যমে ৭/৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় তাদের চিহ্নিত করে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, চলতি জানুয়ারী মাসের ২১ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে প্রথম ধাপে ৫০ লাখ করোনার ভ্যাকসিন দেশে আসবে ও ২৬ জানুয়ারী থেকে রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে। যারা সম্মুখ সারিতে আছেন কিংবা করোনা চিকিৎসার কাজে থাকা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা-কমচারীদের তাদেরকে টার্গেট করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেয়া নির্দেশনা রয়েছে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে সবাই এ ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক ও ভ্যাকসিন না পাওয়া পর্যন্ত মাস্ককে ভ্যাকসিন হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় মাল্টিমিডয়ার মাধ্যমে গত ডিসেম্বর/২০ মাসের মাসের খাতওয়ারী অপরাধ চিত্র, সভার সিদ্ধান্ত ও অগ্রগতি তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোছাঃ সুমনী আক্তার।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস.এম রশিদুল হক, জেলা সিভিল সার্জন ডা.সেখ ফজলে রাব্বি, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, উপজেলা চেয়ারম্যান এ.কে.এম এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল (রাউজান), হোসাইন মোঃ আবু তৈয়ব (ফটিকছড়ি), মোঃ নুরুল আলম (বোয়ালখালী), স্বজন কুমার তালুকদার (রাঙ্গুনিয়া), মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (পটিয়া), সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দার উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবির খন্দকার, পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান, রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন, আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ হুমায়ুন কবির, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ সেলিম উদ্দিন, পৌর মেয়র হাজী আবুল কালাম আবু (বোয়ালখালী), মোঃ ইসমাইল হোসেন (ফটিকছড়ি), দেবাশীষ পালিত (রাউজান), মোঃ গিয়াস উদ্দিন (মিরশ্বরাই), বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম (সীতাকুন্ড), কোস্টগার্ড প্রতিনিধি লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদ, বিজিবি প্রতিনিধি মোঃ বাবুল শেখ, র্যাব প্রতিনিধি স্কোয়াড্রন লিডার মোঃ জাবের, নেভী প্রতিনিধি এম.কামরুল ইসলাম, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট বিকাস চন্দ্র দাস, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম জিয়াউল হায়দার হেনরী, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী, মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক মাধবী বড়ুয়া প্রমূখ। বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ জুম অ্যাপের মাধ্যমে সভায় সংযুক্ত ছিলেন। সভায় সরকারের বিভিন্নস্তরে কর্মরত কর্মকর্তাসহ আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটিতে প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ ও তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে অংশীজন ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১২ জানুয়ারী) দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আঞ্চলিক তথ্য অফিস, পিআইডি, চট্টগ্রাম এর আয়োজনে ও জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিস, রাঙ্গামাটি এর সহযোগিতায় এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়ক কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ এবং পরিবেশ সুরক্ষার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ১০টি উদ্যোগ সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অংশ হিসেবে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক তথ্য অফিস।
এসময় আঞ্চলিক তথ্য অফিস, চট্টগ্রাম এর উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর হোসেন আহসানুল কবীর এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মামুর (শিক্ষা ও আইসিটি)।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিল্পী রানী রায়, রাঙ্গামাটি ডেপুটি সিভিল সার্জন নিতিশ চাকমা, জেলা সমাজ সভা অফিসের উপ-পরিচালক ওমর ফারুক, শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মহিলা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হোসনে আরা বেগম, জেলা তথ্য কর্মকর্তা কৃপাময় চাকমা, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সমন্বয়কারী মিঠুন দুপ্ত, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ কে এম মুকছুদ আহম্মেদ, প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ আজিজুল হক নিউটনসহ রাঙ্গামাটির কর্মরত পিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক, শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ মামুন বলেন, যে কোনো পরিকল্পনা যদি জনগণ না জানে এবং সচেতন ও সম্পৃক্ত না হয়, তাহলে তা লক্ষ্যমাত্র অর্জন করতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগকে সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে জনগণের সম্পৃক্ততা, জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ, সচেতনকরণ করতে গণমাধ্যমের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। গণমাধ্যমের সচেতনতার মাত্রার উপর নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের সফলতা ও ব্যর্থতা।
সভায় তিনি আরো বলেন, গণমাধ্যম পরিবর্তন নিয়ে কাজ করে। সমাজের অন্য কোনো সেক্টর পরিবর্তন নিয়ে এতো কাজ করে না। মিডিয়াই হচ্ছে পরিবর্তনের ক্যাটারিস্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগকে প্রচারের জন্য অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার উপযোগী করে ফিচার তৈরি করা হবে বলেও তিনি জানান।
তথ্য অধিদফতর আরও গতিশীল করার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি আরো বলেন, তথ্য অধিদফতর ও কার্যালয়কে আরও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তোলা হবে। দ্রুতই এ কাজ করা হবে। এ সময় সাংবাদিকদের কাছ থেকে পিআইডির বিভিন্ন সমস্যার কথা উঠে আসার পর দ্রুত সমাধান করার আশ্বাসও দেন তিনি।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে মীর হোসেন আহসানুল কবীর বলেন, সরকারের পক্ষে থেকে ‘১০টি খাত চিহ্নিত করা হয়েছে, এগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারা যাবে। সামনে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পরিবেশ, বৈষম্য, নারীর ক্ষমতায়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা। ১০টি বিশেষ উদ্যোগ দারিদ্র্যমুক্ত, বৈষম্যমুক্ত, পরিবেশবান্ধক, টেকসই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে।
সভায় বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে বড় ধরনের ভূমিকা রাখার যেমন সুযোগ আছে তেমনী অনুসন্ধানী কাজেরও সুযোগ আছে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক কিছু সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। এর থেকে বের হতে হলে সব মহলের সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।
বক্তারা আরো বলেন, তথ্য অধিকার আইনটির মাধ্যমে অর্জিত তথ্য সাংবাদিকের পেশাদারিত্বকে প্রতিষ্ঠিত করবে। পাশাপাশি তাকে তথ্য-প্রমাণ দিয়েও সুরক্ষিত করবে। আর জনগণের হয়ে সাংবাকিরাই পারেন তথ্য অধিকার আইনের শক্তিশালী দিকগুলো ব্যবহার করে দূর্নীতি-অনিয়ম, অন্যায়-অবহেলা ও বঞ্চনার খবর তুলে আনতে।
॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ আগামী ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ (এবিএম) খুরশীদ আলম।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, দেড় কোটি মানুষের জন্য আমরা তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পাব। ছয় মাসে পর্যায়ক্রমে সব ভ্যাকসিন দেশে আসবে। প্রথম দফায় ভারত থেকে ৫০ লাখ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন আসবে। এই ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে আমরা দ্বিতীয় ডোজের জন্য আট সপ্তাহ সময় পাব। তখন আমাদের পরবর্তী চালান চলে আসবে। সে সময় আমরা বেশি সংখ্যক লোককে ভ্যাকসিন দিতে পারব।
ডা. এবিএম খুরশীদ আলমের মতে, ভ্যাকসিনের নিরাপত্তার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরোদমে কাজ করবে। তারা ঢাকার বাইরে দেশের যেকোনো অঞ্চলে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবে।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার ৩ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেশে আনা হবে। একজন মানুষের দুই ডোজ করে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে। একটি ডোজের ২৮ দিন পর আরেকটি ডোজ দিতে হবে। সরকার এই টিকা কিনবে।
স্লাপাইয়ারের কাছ থেকে আনার খরচসহ প্রতি ডোজের দাম পড়বে ৫ ডলার। নিয়মানুযায়ী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকা, আমেরিকা, ইংল্যান্ডসহ সাতটি দেশ অনুমোদন দিলে সেটি যেকোনো দেশ ব্যবহার করতে পারবে। ইতিমধ্যে ইংল্যান্ড এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো কয়েকটি করোনার ভ্যাকসিন উৎপানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। যাতে দ্রুত চাহিদা মেটানো যায়।
॥ ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ॥ সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত না করা এবং অপ্রতুল বরাদ্দে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উমেচিং মারমা।
বুধবার (৬ জানুয়ারী) সকাল ১১ টায় তিনি তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের এইসব অভিযোগ করেন। এইসময় তিনি বলেন, আমি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে কাপ্তাই উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন হতে বিপুল পরিমান ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। স্বাভাবিক কারনে জনগণের কাছে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে আমার যথেষ্ট দায়বদ্ধতা আছে। অথচ উপজেলা পরিষদের কোন উন্নয়ন কর্মকান্ডে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে সম্পৃক্ত করা হয় না এবং কোন সরকারি বিতরণ অনুষ্ঠানে আমাকে অবহিত করা হয় না, এমনকি চিঠি পর্যন্ত দেওয়া হয় না।
তিনি আরোও বলেন, বিশেষ করে মহিলা ভোটাররা আমাকে বেশী পরিমাণ ভোট প্রদান করেছেন, তাই মহিলারা তাঁর কাছে বেশী আসে, কিন্তু কোন বরাদ্দ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এর অনুকূলে না থাকায় আমি তাদের দিতে পারি না। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উমেচিং মারমা আরোও জানান, কাপ্তাই উপজেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে দেওয়া অনেক অসহায় পরিবারকে ঘর দেওয়া হচ্ছে, কিন্ত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে একটি ঘর ও দেওয়া হয় নাই। এই ছাড়া টি আর, কাবিখা, ভিজিডি, ভিজিএফসহ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের উপেক্ষা করা হচ্ছে, ফলে তিনি জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারছেন না। তিনি সরকারের নিকট প্রতিটি উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদেরকে সম্পৃক্ত করার দাবি জানান।
এদিকে এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক সাংবাদিকদের জানান, করোনার কারনে গত অর্থ বছরে অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড সরকার করতে পারে নাই, তবে যেটুকু অতি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো করা হয়েছে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জানেন না, উপজেলা পরিষদের আইনে কি কি আছে। কোন খাত হতে কোন বরাদ্দ আছে, কার নামে বরাদ্দ আছে তিনি জানেন না।
উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজুল হক আরোও জানান, এডিবি এবং জাইকার বরাদ্দ উপজেলা চেয়ারম্যান এর অনুকূলে আসে তিনি এই কমিটির সভাপতি এবং বাকি গুলোর ক্ষেত্রে তিনি উপদেষ্টা। উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড হতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে ৮ লাখ টাকা এবং তাঁর নিজের বরাদ্দ ২ লাখ টাকাসহ ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিটি সরকারি কর্মকান্ডে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান এর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমি যোগদানের পর হতে সরকারি প্রতিটি কর্মকান্ডে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে সম্পৃক্ত করেছি, চিঠির মাধ্যমে অবহিত করেছি। উনি যদি না আসেন অফিস না করেন তাহলে জানবেন কি করে।
॥ বান্দরবান প্রতিনিধি ॥ বান্দরবানে ২১বছর বয়সী এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৩ যুবককে গ্রেফতার করেছে বান্দরবান সদর থানা পুলিশ। সুত্রে জানা যায়, বান্দরবান সদর থানাধীন ৪নং সুয়ালক ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড এর মেনপুং ম্রো এর খামারের পার্শে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সুত্রে আরো জানা যায়, ধর্ষীতার সাথে মোঃ রাসেদ নামে এক যুবকের রং নাম্বারে পরিচয় হয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে, পরে যুবতীকে প্ররোচনার মাধ্যমে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায় একটি খামার বাড়ী এলাকায়। সেখানে মো ঃ রাসেদ ও তার দুই বন্ধু পালাক্রমে যুবতীকে ধর্ষণ করে। এসময় যুবতীর চিৎকারে স্থানীয় জনতা মো.রাসেদ (২৩), মোঃ কায়সার (১৮) এবং ওমর ফারুক (১৮)কে আটক করে ভাগ্যকুল ক্লাবে নিয়ে যায় এবং স্থানীয় মেম্বারের সহায়তায় বান্দরবান সদর থানায় সোর্পদ করে।
বান্দরবান সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো.আব্দুল আজিজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(৩)/৩০ ধারায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে গনধর্ষন ও ধর্ষণে সহায়তার অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ইন্ডিয়ান রেজিস্টার কোয়ালিটি সিস্টেম
(আই আর সি এল এ এস এস সিস্টেমস এবং সলিউশনস
প্রাইভেট লিমিটেডের একটি বিভাগ) এবং মিতি এন্টারপ্রাইজ
এর সমঝোতা স্মারক (চুক্তি) স্বাক্ষর
(১) : ক্লিং শিল্প ঃ আর্থ-সামাজিক প্রভাব।
বাংলাদেশের আর্থ – সামাজিক উন্নয়নে রিসাইক্লিং শিল্পের অবদান ব্যাপক। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় দুই লক্ষাধিক শ্রমিক এই শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত কর্মকান্ডে জড়িত। এই শিল্প থেকে সরাসরি রাজস্ব আয় প্রায় ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এর সমান পরোক্ষ মাল্টিপলট্যাক্সসহ এর থেকে আয় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এরও বেশি। আভ্যন্তরীন জাহাজ নির্মান, রিসাইক্লিং মিলস, ষ্টিলমিলস ইত্যাদি কারখানা বেশির ভাগ কাঁচামালের যোগান দেয় জাহাজ রিসাইক্লিং। এছাড়াও আসবাব, বিদ্যুৎ , বিভিন্ন কলকারখানা রপ্রচুর যন্ত্রাংশ জাহাজ রিসাইক্লিং থেকে আসে বিশেষকরে বাংলাদেশের বিরাট সম্ভাবনাময় হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং (খরমযঃ ঊহমরহববৎরহম) খাতের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আসে পুরানো জাহাজের ভেতর থেকেই। আভ্যন্তরীন জাহাজ নির্মানশিল্পের লোহাও যন্ত্রপাতির আনুমানিক শতকরা ৬০ ভাগও সমগ্র দেশের লোহার চাহিদার প্রায় শতকরা ৬৫ ভাগ আসেপ ানোভাংগা জাহাজ থেকে । দেশের সার্বিক অর্থ নির্ভীত্তে জাহাজ রিসাইক্লিং শিল্পের অবদান প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই শিল্পের মাঝে বিরাট সংখ্যক মানুষের জীবিকা, দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং জিডিপিএর প্রবৃত্তি অনেকাংশে নির্ভরশীল।
(২)
এই শিল্পের চ্যালেঞ্জসমুহ ঃ
পরিশে দুষণ, পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়গুলো যথাযথভাবে না মানার কারনে আলোচ্য শিল্প, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। উপরোল্লিখিত কারণে ২০০৯ – ২০১০ সালে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে শিপরি সাইক্লিং কর্মকান্ড প্রায় দেড় বছর বন্ধছিল; পরোবর্তিতে শর্ত সাপেক্ষে আবার চালুহয়। দেশের অর্থনীতিতে এই শিল্পের প্রয়োজনীয়তা উপলোদ্ধি করে সরকার এই ক্ষেত্রকে সর্বপূর্বে শিল্পের মর্যাদা দেয়। শিল্পমন্ত্রনালয় এর প্রচেষ্টা পরিবেশ দুষণ ও পেষাগতস্বাস্থ সুরক্ষার ক্ষেত্র সমুহ উন্নতি হলেও এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মান এর বিবেচনায় অনেক পিছিয়ে। বিগত এক দশকেইয়ার্ড গুলোর স্থাপনা, যন্ত্রপাতির ব্যবহার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে; তবে আরও অনেক দুর এগুতে হবে আন্তর্জাতিক মান অর্জনকরতে ও স্বীকৃতি পেতে।
পরিবেশগত ও পেশাগতস¦াস্থ সুরক্ষা এবং বিপজ্জনক বজর্ – ব্যবস্থাপনা, বিষয় গুলো আন্তর্জাতিক ভাবে অত্যন্ত স্পর্ষকাতর। পুরানোজাহাজ ক্রয়ের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মান রক্ষা ব্যবসায়িক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
(৩)
মিতিএন্টাপ্রাইজ ও আই.আর. ক্লাস এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর ঃ
মিতি এন্টার প্রাইজ আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একটি পরামর্ষক ফার্ম সম্প্রতি ওহঃবৎহধঃরড়হধষ অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ ঈষধংংরভরপধঃরড়হ ঝড়পরবঃরবং এর সদস্য আই. আর. ক্লাসের সাথে বাংলাদেশের শিপরিসাইক্লিং ইয়ার্ডগুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নিত করারজন্য চ্যালেঞ্জ গ্রহন করেছে।
মিতি এন্টারপ্রাইজ ২০০৯ সাল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে এবং এর চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বিগত প্রায় ২০ বছর যাবৎ“শিপ ব্রেকার্স ও রিসাইক্লারস মালিক সমিতির”উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করে আসছে। ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী ২০০৫ – ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পক্ষে ওহঃবৎহধঃরড়হধষ গধৎরঃরসব ঙৎমধহরুধঃরড়হ (ওগঙ) এর গধৎরহব ঊহারৎড়হসবহঃধষ চৎড়ঃবপঃরড়হ ঈড়সসরঃঃবব (গঊচঈ) এর ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ছিলেন; গঊচঈ এরআলোচ্য কমিটিই“ ঞযব ঐড়হমশড়হম ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈড়হাবহঃরড়হ ভড়ৎ ঃযব ঝধভব ধহফ ঊহারৎড়হসবহঃধষষু ঝড়ঁহফ জবপুপষরহম ড়ভ ঝযরঢ়ং” প্রনয়ন করেছে।
(৪)
হংকং কনভেনশনসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক মান এর প্রশিক্ষন ও সার্টিফিকেশন এর ক্ষেত্রে ওজঈখঅঝঝ সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য নাম। বাংলাদেশ, ভারতসহ সকল রিসাইক্লিংইয়ার্ড এর সার্টিফিকেশন এর দায়িত্ব ঔঅঈঝ সদস্যভুক্ত “ক্লাসিফিকশন সোসাইটি”গুলোকে প্রদান করা হয়েছে। মোট ১৩ টিসদস্য ক্লাসিফিকেশন সোসাইটির মধ্যে বাংলাদেশে কাজে লিপ্ত আছে মাত্র ৬ টি সোসাইটি। উক্ত ৬ টির মধ্যে মাত্র ৩ টি সোসাইটি শিপরিসাইক্লিং কর্মকান্ডে নিযুক্ত।
ক্লাসিফিকেশন সোসাইটির মুল কাজ শিপবিল্ডিংএর সাথে সম্পৃক্ত; জাহাজের নকশা অনুমোদন থেকে নির্মান কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত গুনগতমানের নিশ্চয়তা বিধান এর প্রধানকাজ। জাহাজ চলাকালীন সময়েও সার্ভের মাধ্যমে এর কাজ বজায় রাখে নিরাপদে চলাচল করার জন্য। শিপরিসাইক্লিং বিষয়ে নিজেদের প্রস্তুত করার ব্যাপারে মাত্র ৩ টি সোসাইটি আগ্রহ দেখিয়েছে; যেগুলো হচ্ছে ওজঈখঅঝঝ/ওহফরধ, জওঘঅ/ওঃধষু, ঘকক/ঔধঢ়ধহ. আলোচ্য ৩টির মধ্যে আবার ওজঈখঅঝঝ সর্বাগ্রে। ওজঈখঅঝঝ ইতিমধ্যে ২৩টির মত ঐড়হমশড়হম ঈড়হাবহঃরড়হ এর ঝঙঈ (ঝঃধঃবসবহঃ ড়ভ ঈড়সঢ়ষরধহপব) ইস্যু করেছে।
(৫)
বাংলাদেশ ও ভারত শিপরিসাইক্লিং এ সবচেয়ে বেশি এগিয়ে; বাংলাদেশ ও ভারত তিন চতুর্থাংশের মত জাহাজ রিসাইকলকরে থাকে; বাকী এক চতুর্থাংশ চীন, তুরস্ক ও পাকিস্থান মিলিতভাবে করে থাকে। যৌক্তিক কারনেই ভারতের ওজঈখঅঝঝ এই সেক্টরটিতে অনেক বেশি দক্ষ ও সম্পৃক্ত।
হংকং কনভেনশনের সনদ প্রাপ্তির প্রক্রিয়াটি হচ্ছে; প্রথম ষ্টেইজ ওয়ান একটি অডিট হবে এটা মুলত; হংকং কনভেনশনের আলোকে ত্রুটিগুলোকে চিহ্নিত করা। পরবর্তিতে ত্রুটিগুলো সংশোধন করে, জনবলকে প্রতিনিধি করার পর ষ্টেইজ টু বা চূড়ান্ত অডিট সফল ভাবে শেষ হওয়ার পর; গুনগত মান নিশ্চিত হবার পরই ঝঙঈ (ঝঃধঃবসবহঃ ড়ভ ঈড়সঢ়ষরধহপব) সনদ প্রদান করবে ওজঈখঅঝঝ.
২০২৩ সালেরমধ্যে বাংলাদেশের হংকং কনভেনশন বাস্তবায়নের ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা আছে। সুতরাং, রিসাইক্লিং ইয়ার্ডগুলোকে ব্যবসা চালাতে হলে হংকং কনভেনশন বাস্তবায়ন এর বিকল্প নেই। আন্তরিক হলে সামর্থো সাপেক্ষে ১২ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে একটিই য়ার্ড সনদ পাবার ক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। (খবর বিজ্ঞাপ্তি।
চট্টগ্রাম: নগরের ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস। অংশগ্রহণকারীদের মুখে মাস্ক রয়েছে।
তবে ভিড়ের কারণে সামাজিক দূরত্ব পুরোপুরি মানা কঠিন হয়ে পড়ছে।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৮টায় বের হওয়া জুলুসটি বিবিরহাট, মুরাদপুর হয়ে প্রধান সড়ক ধরে দুই নম্বর গেট, জিইসির মোড়, ওয়াসা পর্যন্ত যাবে। এরপর একই সড়ক দিয়ে আবার জুলুস জামেয়া মাঠে ফিরে আসবে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ও শুক্রবার জুমার নামাজের কারণে এবার জুলুসের রোডম্যাপ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
জুলুসে নেতৃত্ব দেন আনজুমানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, জামেয়ার অধ্যক্ষ মুফতি অছিউর রহমান আলকাদেরি প্রমুখ।
জুলুসে অংশ নিতে দূরের জেলা, উপজেলা থেকে ভক্ত ও আশেকরা দলে দলে আসতে থাকেন জামেয়া মাঠে। যেন সব স্রোত এসে মিশছে মোহনায়। জুলুসকে ঘিরে পথে পথে বিতরণ করা হচ্ছে মাস্ক। হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশক স্প্রে করে দিচ্ছেন একে অপরের হাত। জুলুসকে ঘিরে ইতিমধ্যে ব্যানার, পতাকায় ছেয়ে গেছে মুরাদপুর থেকে মাদ্রাসা পর্যন্ত পুরো এলাকা। পথে পথে দেখা গেছে তোরণ। সুললিত কণ্ঠের দরুদ, সালাম, হামদ নাতের ধ্বনিতে মুখরিত পুরো এলাকা। আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের পাশাপাশি কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবকও প্রস্তুত স্বাস্থ্যবিধি ও শৃঙ্খলা রক্ষায়।
১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় এ জুলুস হয়ে আসছে। ওই বছর নগরের বলুয়ার দীঘি খানকাহ থেকে আল্লামা তৈয়্যব শাহ (রা.) এ জুলুসের প্রচলন করেন।
গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বাংলানিউজকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও জুলুসের শৃঙ্খলা রক্ষায় আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের পাশাপাশি কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন। মুখে মাস্ক না থাকলে জুলুস বা মিলাদে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। বিনামূল্যে বিতরণের জন্য কয়েক লাখ মাস্ক রাখা হয়েছে।
জুলুস ফিরে আসলে জামেয়া মাঠে মিলাদ, জুমার নামাজ ও আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আখেরি মোনাজাতে করোনামুক্ত বিশ্বের জন্য দোয়া করা হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ কমিশনার (সিটি এসবি) মো. আবদুল ওয়ারিশ বাংলানিউজকে জানান, জুলুস উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশও রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খাঁন এমপি বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ গড়ার মাধ্যমে তাঁরা বীরের পরিচয় দিয়েছেন। এজন্য সকল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার নামের পূর্বে “বীর ” লিখতে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। একইসাথে তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বত্র রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস্, পিস ও পাকিস্তানী মুজাহিদ বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিতসহ তালিকা তৈরী করে অবিলম্বে মন্ত্রনালয়ে জমা দিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সকল ইউনিট নেতৃবৃন্দকে কাজ করতে হবে। এছাড়া এলাকা ভিত্তিক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাও তৈরী করে জমা দিলে তা পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে। প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় কোন অমুক্তিযোদ্ধা থাকতে পারবেনা। এ বিষয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী জানুষারী মাসে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন অনুষ্টানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত বিভাগীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি সভার আয়োজন করে।
শাজাহান খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্টা করা। ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জ্বতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা নস্যাৎ করার জন্য স্বাধীনতা বিরোধীরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে। এ চক্র মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। অনেকের বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন সহ্য করতে না পেরে বিএনপি-জামাতচক্র ২০১৫ সালে হরতাল-অবরোধের নামে দেশে অগ্নি সন্ত্রাস চালিয়েছে, গাড়ি জ্বালিয়ে ও মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে অগ্রিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির শত কোটি টাকার উপরে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। যারা পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করছে তারা কখনো মুসলমান জাতি হিসেবে পরিচয় দিতে পারেনা। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও জাতির পিতার স্বপ্ন্রে সোনার বাংলা বিনির্মাণে বীর মুক্তিযোদ্ধারাসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য আগামীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়ক, কার্লভাট ও সেতুর নামকরণ করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করে ২০ হাজায় উন্নীত করতে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে তা বাস্তবায়ন হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক কল্যাণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ লক্ষ্যে সরকার তাঁদের জন্য আলাদা মন্ত্রনালয় করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরকে আরো সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। ১ ডিসেম্বরকে সরকারীভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস ও ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষনা ও জয় বাংলা’কে জাতীয় ধ্বনি করার বিষয়ে মতপ্রকাশ করেন তিনি।
প্রধান বক্তা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি বলেন, ১৯৭১ সালে সেনাপতিদের প্রতিষ্টা বা কোন ধর্মীয় কারণে যুদ্ধ হয়নি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত অমুক্তিযোদ্ধা থাকার অত্যন্ত দুঃখজনক। জিয়াউর রহমানের আমলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদেন সৃষ্টি। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিলেও তার দোসরদের মধ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের কোন চেতনায় ছিলনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী গেজেটভূক্ত অনেক দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা আছেন যারা সরকারের ভাতা দিয়ে চলছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকবেন ততদিন বীর মুক্তিযোদ্ধারা গৌরবের সাথে থাকবেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা যাওয়ার পর রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘গার্ড অব অনার’ পাওয়া এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অবদান। এ অর্জন ধরে রাখতে প্রত্যেক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানদেরকে আন্তরিকভাকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে জেলা ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার একেএম সরোয়ার কামাল দুলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মোঃ ওসমান আলী ও যুগ্ম সদস্য সচিব এবিএম সুলতান আহমেদ। বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাহাবউদ্দিন, খাগড়াছড়ি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রইছ উদ্দিন, রাঙ্গামাটি কমান্ডের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, জেলা ইউনিটের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের এলএমজি, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেন, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম, মহানগরীর থানা কমান্ডের পক্ষে আকবর শাহ থানার ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূর উদ্দিন, জেলা সংসদের থানা কমান্ডের পক্ষে মিরসরাই কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশ্তী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, মহানগর কমিটির আহবায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু, যুগ্ম আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন, সদস্য সচিব কাজী মুহাম্মদ রাজীশ ইমরান প্রমূখ। সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা কমান্ডারগণ এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।