॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র দুই বছর মেয়াদী কার্যনির্বাহী কামিটির সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (১৬ জানুয়ারী) সকালে রাঙ্গামাটি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র মিলনায়তনে নির্বাচনে সভাপতি পদে মোঃ আবদুল ওয়াদুদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে উসাং মং ও সহ-সভাপতি পদে মোঃ আলী বাবর নির্বাচিত হন।
পরিচালক পদে কার্যনির্বাহী কমিটির মোট ১৫ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। সর্বমোট ১৮ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়।
রাঙ্গামাটি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি বেলায়েত হোসেন ভূইয়া নবনির্বাচিত সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
রাঙ্গামাটি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র দুই বছর মেয়াদী নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচারকদের মধ্যে রয়েছে মোঃ বেলায়েত হোসেন ভূঁইয়া, মোঃ শাহ আলম, মোঃ কামাল উদ্দিন, নিখিল কুমার চাকমা, মোঃ ইউসুফ হারুন, মোঃ জাহিদ আক্তার, মোঃ হারুনুর রশিদ মাতব্বর, মনসুর আলী, মোঃ নিজাম উদ্দিন, মোঃ মামুনুর রশীদ মামুন, নেছার আহমেদ, মোঃ জহির উদ্দীন চৌধুরী, মোঃ মনিরুজ্জামান মহসিন, মেহেদী আল মাহবুব, এ.এম. ওবাইদুল্লাহ, সচিব মু. শাব্বির আহম্মদ।
॥ লামা সংবাদদাতা ॥ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ও দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো বান্দরবানের লামা পৌরসভা নির্বাচন ২০২১। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯টি ওয়ার্ডের প্রায় সবগুলো কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিতে দেখা যায় ভোটারদের। প্রতিটি কেন্দ্রে পুরুষের চেয়েও নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতি দেখা যায়।
এদিকে কয়েকটি কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগ এনে বিএনপি প্রার্থী মোঃ শাহীন বিকাল সাড়ে ৩টায় লামা উপজেলা পরিষদ চত্বরের সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে নির্বাচন বয়কট করে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
৯টি কেন্দ্রে ঘুরে জানা যায়, পৌরসভার ২নং ভোট কেন্দ্র লামা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় বিধি লঙ্গন করায় ৪নং ওয়ার্ডের করিম মোস্তফার ছেলে মোঃ রহিম (২৭) কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ২নং ওয়ার্ডের মৃত মোজাহের হোসেনের ছেলে মোজাফ্ফর আহমদকে সাময়িক আটকের নির্দেশ দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। লামা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিধি লঙ্গনের কারণে দুপুর সাড়ে ১২টায় সাময়িক সময়ের জন্য আটক করা হয় চন্দন দাশ ও অভি দাশকে। দুপুর ১টায় ৯নং ভোট কেন্দ্র শিলেরতুয়া মার্মা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দিতে গিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে আটক হয় রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাহাব উদ্দিনের ছেলে মোঃ আলমগীর (৪০)। বিকাল ৩টায় ৮নং ভোট কেন্দ্রে একাধিক ভোট দিতে গিয়ে কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয় আমির হোসেন নামে এক যুবক। পরে কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে সাময়িক আটক রাখার নির্দেশ দেয়।
নির্বাচন কমিশন লামা পৌরসভা নির্বাচনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল। বিজিবি, র্যাব এর পাশাপাশি পুলিশ আনসার, গ্রাম পুলিশ সদস্যরা নির্বাচনের এলাকায় দায়িত্ব পালন করে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ‘কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে সকল কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। কোন প্রার্থী এখনো অভিযোগ করেনি।
উল্লেখ্য, লামা পৌর এলাকার মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৩৮৯ জন। তার মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৩ জন এবং মহিলা ভোটার ৬ হাজার ৩৮৬ জন। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ৯টি ভোটকেন্দ্রের ৩৯টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসকল ভোটকেন্দ্রে ৯ জন প্রিজাইডিং, ৩৯ জন সহকারী প্রিজাইডিং এবং ৭৮ জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন করছেন।
॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী ও বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র মো: রফিকুল আলমের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যদিয়ে খাগড়াছড়িতে পৌরসভায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
শরিবার (১৬ জানুয়ারী) সকালে ভোটের শুরুতে সকাল সাড়ে ৮টায় খাগড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজে কেন্দ্র আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী তার ভোট দেন। এছাড়াও ৮টা ১০ মিনিটে স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল আলম খাগড়াছড়ি শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও বিএনপির প্রার্থী ইব্রাহীম খলিল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভোট দেন।
দুপুর সোয়া ২টার দিকে টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল আলম উপস্থিত হলে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী রফিকুল আলম অভিযোগ করে বলেন, ভোটের আগের রাত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর লোকজন পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে।
অপর দিকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী এ অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করতে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা চেষ্টা করেছেন।
অন্যদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো: ইব্রাহিম খলিল বলেন, ভোটাররা আতংকের মধ্যে ভোট দিয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভায় সকাল ৮টায় উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ১৮ ভোট কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হয়। ভোট কেন্দ্রে মানুষের ঢল নামে। তবে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি।
পৌরসভায় সবক’টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ভোটারবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা হয়। র্যাব ও বিজিবি’র স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিলো। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেই একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়। সে সাথে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হয় পুরো শহর। এবার প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হওয়ায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে।
এই নির্বাচনে সকালে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে ভোটার সংখ্যাও। প্রথম বারের মত ইভিএমএ এর সাথে পরিচিত হওয়া নিয়েও শেষ নেই ভোটারদের আগ্রহ ও কৌতুহলের। ফলে এই পৌর নির্বাচন উৎসবের মধ্যে আরেক নতুন উৎসবে পরিণত হয়েছে। তবে ইভিএম নিয়ে নানা আশঙ্কাও রয়েছে ভোটারদের মধ্যে। তবে কিছু কিছু কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটে দিতে ভুগান্তির শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছে ভোটাররা।
খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪০ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটার সংখ্যা ৩৭ হাজার ৮৭ জন। নারী ভোটার ১৬ হাজার ৭ শ ৩৬ জন এবং পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৩ শ ৫১ জন।
॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল না, তখন যারা নির্যাতন ও কষ্ট সহ্য করেছে, যারা ২১ বছর বুকে পাথর বেঁধে দল করেছে, সেই সব ত্যাগী নেতাদের দলে মূল্যায়ন করতে হবে। তবেই তৃণমূল পর্যায়ে দল সুসংগঠিত হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল, এ দলে সুযোগ সন্ধানীদের কোন স্থান নেই। যারা দলের জন্য নিবেদিত তাঁরাই আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রাধান্য যেমন পাবেন, তেমনি দলীয় ভাবেও পদ পদবীতে স্থান পাবেন। আগামীতে কোন কাউয়ার স্থান আওয়ামী লীগে হবে না। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে বিতাড়িত করা হবে।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্নেল ফোরকান আহমদ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কানিজ ফাতেমা আহমেদ মোস্তাক, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম।
তথ্য মন্ত্রী ড, হাছান মাহমুদ বলেন, এক শ্রেণীর লোক আওয়ামী লীগকে ‘নিরাপদ স্থান’ হিসেবে ব্যবহার করতে দলে ঢুকে পড়ছে। যারা অপকর্মে লিপ্ত, যারা অবৈধ আয়ের পথে রয়েছে, যারা অবৈধ আয়ের টাকা রক্ষা করতে মরিয়া মূলত তারাই দলে অনুপ্রবেশকারী। নৌকায় বেশী যাত্রী হলে ডুবে যাবার উপক্রম হয়, তাই আর কোন যাত্রীর দরকার নেই বলেন- তথ্যমন্ত্রী।
আগামী স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মনোনয়ন বিষয়ে নেতাদের উদ্দেশ্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তৃণমূল থেকে নাম পাঠানোর সময় দলের জন্য ত্যাগী, বিশ্বস্তদের নাম পাঠাবেন। দলের সিদ্ধান্ত না মেনে নির্বাচনে অংশ নিলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
কক্সবাজার কেন্দ্রিক সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার চিত্র তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, কক্সবাজারের মানুষ ভাবেনি এখানে আন্তর্জাতিক মানের একটি বিমান বন্দর হবে। স্বপ্নকে হার মানিয়ে উন্নয়ন হচ্ছে। গৃহহীনকে ঘর দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কয়েক বছর আগেও কক্সবাজারের এই চিত্র ছিল না। এখানে যেসব উন্নয়ন কাজ হচ্ছে তা অকল্পনীয়। দেড়শ বছর পর দেশের রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ চলছে। আগামী বছর জুন মাস নাগাদ কক্সবাজারেও রেল যোগাযোগ শুরু হবে, সেটা স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১২ বছরে দেশের প্রতিটি মানুষের চেহারার পরিবর্তন হয়েছে। রুচির পরিবর্তন ঘটেছে। এখন আর ছেঁড়া কাপড়, খালি পায়ে মানুষ দেখা যায়না। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ গেছে। গ্রামে-গঞ্জেও ব্যাপক উন্নয়নের জোয়ার। তা আওয়ামী লীগের নেতাদের কারণে সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।
মতবিনিময় সভায় বার বছর আগের উন্নয়ন এবং এখনকার উন্নয়ন চিত্র মানুষের মাঝে তুলে ধরতে তৃণমূলের দলীয় নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পৌষ পিঠা উৎসবের মাধ্যমে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য শহরের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আহবান জানিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, শীতের সকালে মায়ের হাতে যে পিঠা খাওয়া দিনগুলো মানুষের মাঝ থেকে যাতে হারিয়ে না যায় সে দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারী) বিকেলে রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে চন্দ্রিমা রেষ্টুরেন্টের আয়োজনে দুইদিন ব্যাপী পৌষ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক রাঙ্গামাটির সম্পাদক আনোয়ার আল হক, বনরূপা ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি মোঃ আবু সৈয়দ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক শামসুল আলম, রাঙ্গামাটি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বাহাদুর, প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সাংবাদিক পুলক চক্রবর্তী, রাঙ্গামাটি সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর, সাংবাদিক শিশির দাশ বাবলাসহ ৮৯ ব্যাচের বন্ধু মহলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দুই দিন ব্যাপী পিঠা উৎসবে তিনটি ষ্টলে বিভিন্ন নামের প্রায় ২৫ টির মতো পিঠা প্রদর্শিত হচ্ছে। রাঙ্গামাটির স্থানীয় জনগন পিঠা উৎসব ঘুরে দেখেন এবং পিঠা ক্রয় করেন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের সাথে কাজু বাদাম উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে বোর্ডের কর্ণফুলী সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি উপস্থিতিতে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল আলম নিজামী (অতিরিক্ত সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য প্রশাসন ও সদস্য সচিব আশীষ কুমার বড়ুয়া (যুগ্ম সচিব), সদস্য পরিকল্পনা ও সদস্য অর্থ ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী (উপ সচিব), সদস্য বাস্তবায়ন মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ (উপসচিব), মিশ্র ফল চাষ প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম, কাজু বাদাম উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ হারুণ, কাজু বাদাম উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতির সদস্যবৃন্দ, গবেষণা কর্মকর্তা কাইংওয়াই ম্রো, সহকারী সচিব (অ:দা:) মোঃ নুরুজ্জামান এবং বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা মতবিনিময় সভায় বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড অত্র এলাকার প্রান্তিক পর্যায়ের জনমানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিনামূল্যে কাজু বাদাম চারা, কফি চারা, মিশ্র ফলজ চারাসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ বিতরণ করেছে। এসব কৃষি উপকরণ যথাযথভাবে ব্যবহার এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষিজ চারাগুলো ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। কাজু বাদাম পর্যাপ্ত উৎপাদন হলে বাণ্যিজিক ভাবে কাঁচামাল সরবরাহসহ দেশের-বিদেশে কাজু বাদামের চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি মানুষ খুব পরিশ্রমী। এখানকার পরিশ্রমী মানুষগুলোকে কাজে লাগাতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। স্থানীয় মানুষের জীবন যাত্রাকে ব্যঘাত সৃষ্টি না করে এলাকার উন্নয়নের জন্য সকলকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।
আলোচনা শেষে কাজু বাদাম উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতির পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সংঘাত নয়, হানাহানি নয়, রক্তপাত নয় মৈত্রী ভাবনিযে আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈংসিং এমপি। তিনি শান্তি সম্প্রতি ঐক্য থাকলে কোন সমস্যা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল শান্তি ও সম্প্রতির জায়গা বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব আরো একবার প্রমান করেছে। পার্বত্য অঞ্চলের অ্যাডভেঞ্চার যুক্ত টুরিজমকে বিকশিত করতে বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব ভুমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারী) বিকেলে রাঙ্গামাটি চিংলা মং মারি ষ্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১১ থেকে ১৫ জানুয়ারি পাঁচদিন ব্যাপী বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের পুরষ্কার বিতরনী ও সমাপনী অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব একথা বলেন।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি । পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিলো।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনে সভাপতি নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য কমিশনের সচিব সুদপ্ত চাকমা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংশুই প্রু চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আলম নিজামী, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদ, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাডভেঞ্চার ফেস্টিভলে পর্বতারোহণ, নৌবিহার, কায়াকিং, হাইকিং ও ট্রেইল রান, টিম বিল্ডিং, ট্রেজার হান্ট, ট্রেকিং, ক্যানিওনিং, ট্রি ট্রেইল, রোপ কোর্সসহ বিভিন্ন ইভেন্ট অংশগ্রহণ করা প্রতিযোগিতায় তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড় হতে ৫০ জন ও সমতল থেকে ৫০জন সর্বমোট ১০০জন যাদের বয়ন ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী অ্যাডভেঞ্চারার মাঝে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের কুতুকছড়িতে সড়কে দুর্ঘটনায় ভেঙ্গে যাওয়া বেইলী ব্রিজ পুনঃ নির্মাণে কারণে ১৪দিন যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকবে। বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে রাঙ্গামাটি সড়ক বিভাগ থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
সড়ক বিভাগ থেকে জানানো হয়, ট্রাকটি বেইলী ব্রীজের সক্ষমতা না মেনে মালামাল বেশি বহন করার কারণে বেইলী ব্রীজটি ভার নিতে না পারায় ভেঙ্গে যায়। যে কারণে ট্রাক মালিকের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) রাতে সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। ডায়েরী নং-৬৩৯, তারিখ ১২.০১.২০২১। বুধবার বিকেলে সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে ট্রাক মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।
রাঙ্গামাটি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহে আরেফীন বলেন, আমাদের উপ-বিভাগীয় এক প্রকৌশলী বাদী হয়ে মঙ্গলবার কোতয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছে এবং বুধবার বিকেলে মামলা দায়ের করা হবে।
আরো এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, বেইলী ব্রীজটি মেরামত করতে আমাদের ১৪দিনের মতো সময় লাগতে পারে। তবে এই সময়ের আগে ব্রীটটি ঠিক করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো আমরা।
উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারী চট্টগ্রামের মাঝির ঘাট থেকে পাথর বোঝাই করে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে সকাল ৭টার দিকে রাঙ্গামাটির কুতুকছড়ি বেইলী ব্রীজের উপর উঠলে ওভারলোড ট্রাকটির চাপে ব্রীজ ভেঙ্গে ট্রাকটি পানীতে ডুবে যায়। এসময় ট্রাকের ভেতরে থাকা তিনজনই শ্বাসবন্ধ হয়ে ভেতরেই মারা যান। নিহত তিন জন হলো ট্রাক ড্রাইভার আরাফাত হোসেন, হেলফার জহিরুল ইসলাম, ও মোঃ বাচ্চু।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত বর্তমান মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীকে আবারো প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলটি। আকবর হোসেন চৌধুরী মেয়র পদ ছাড়াও রাঙ্গামা টি জেলা যুবলী গের সভাপ তি পদের দা য়ি ত্ব পালন করছেন। সুত্র থে কে জানা গেছে, রাঙ্গামা টি থে কে দলের মনোনয়ন পেতে ৫ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তা রা হলেন, বর্তমান মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, সাবেক মেয়র হা বিবুর রহমান হা বিব, সাবেক জেলা প রিষদ সদস্য ম নিরুজ্জামান মহসীন রানা, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপ তি মোঃ সোলাইমান ও পৌর আওয়ামী লী গের সহ সভাপ তি মঈন উ দ্দিন সে লিম। জানা গে ছে, মনোনয়ন প্রত্যাশী সবার ব্যাকগ্রাউন্ড, গ্রহনযোগ্যতা, জনপ্রিয়তা এবং কার কতটা জয় পাবার সম্ভাবনা আছে সেসব বিবেচনা করে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মনোনয়ন বোর্ড সর্বসম্মত এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাঙ্গামা টি পৌরসভার ভোট গ্রহণের জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারী তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এবার সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে।
কমিশনের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ১৭ জানুয়ারী। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে ১৯ জানুয়ারী। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ জানুয়ারি এবং ভোট গ্রহণ করা হবে ১৪ ফেব্রুয়ারী।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে আকবর হোসেন চৌধুরী নৌকা প্র তিক নিয়ে ১৭৯৪৩ ভোট পে য়ে মেয়র নির্বা চিত হ য়ে ছি লেন। ১০১৯৮ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্ধ ন্দ্বিতায় ছিলেন জেএসএস সম র্থিত প্রার্থী গঙ্গা মা নিক চাকমা। এছাড়াও বিএন পি সম র্থিত সাইফুল ইসলাম ভুট্টো পেয়েছিলেন ৭৩৫৫ ভোট, বি এন পির বিদ্রোহী প্রার্থী রবিউল আলম র বি পেয়েছিলেন ২৩৫৮ ভোট এবং আওয়ামী লী গের দুই বি দ্রোহী প্রার্থী সাবেক মেয়র হা বিবুর রহমান ২৯ ভোট, অমর ৪০ ভোট পেয়েছিলেন। লাঙ্গল প্র তিক নিয়ে শিব মিশ্র পেয়েছিলেন ২৪৭ ভোট।
॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, ‘কোনো প্রকল্পের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না।’
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় প্রকল্প প্রণয়নের সময় দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় যেতে হবে। একই জায়গার একাধিক সংস্থা যেন প্রকল্প না নেয় তা নিশ্চিত করতে সমন্বয় করতে হবে। বাস্তবায়িত প্রকল্প থেকে জনগণ যেন দীর্ঘমেয়াদী উপকার পায় সেটা বিবেচনা করে প্রকল্প নিতে হবে।
পার্বত্য মন্ত্রী আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রকল্প প্রণয়নের সময় কৃষিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, যাতে পার্বত্য এলাকার চাষযোগ্য কোনো কৃষিজমি অনাবাদী না থাকে। পার্বত্য এলাকার কৃষকদের উন্নত জাতের ফল ও উচ্চমূল্যের বিভিন্ন মশলা উৎপাদনের আগ্রহ রয়েছে, কিন্তু তাদের সেই সামর্থ্য নাই। এসব কৃষকদের কথা বিবেচনা করে পার্বত্য চট্টগ্রামের মিশ্র ফল চাষ ও উচ্চমূল্যের মশলা চাষের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের কথা মনে করিয়ে মন্ত্রী বলেন, কোনো প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে না। প্রকল্পের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে হবে। ভালো কাজের জন্য পুরস্কার দেয়া হবে, তেমনি কাজ খারাপ করলে তিরস্কার ও শাস্তি দেয়া হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদকে সমন্বয় করে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সফিকুল আহম্মদের সভাপতিত্বে সভায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুপ্রু চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ দফতর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।