দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ক্ষেত্রে চালকদের সাজা কমানোর দাবিতে সারা দেশে ডাকা ধর্মঘট বুধবার বিকালে প্রত্যাহারের আগে সকালে রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে এক অনুষ্ঠানে শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “ধর্মঘট যারা করছেন, তারা পুলিশের রেকার ভ্যানে আগুন দিয়েছেন, পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছেন। এছাড়া আজ একটা জিপে আক্রমণ করেছেন। এই ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। এসব ঘটনায় মামলা হবে।”
পাঁচ বছর আগে মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদসহ পাঁচজন নিহতের ঘটনায় এক বাসচালকের যাবজ্জীবন সাজার পর প্রথমে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় এবং সোমবার চৌদ্দ বছর আগে সাভারে গাড়িচাপা দিয়ে এক নারীকে হত্যার মামলায় এক ট্রাকচালকের ফাঁসির রায়ের পর মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে ধর্মঘটে যায় পরিবহন শ্রমিকরা।
এর মধ্যে রাজধানীর অন্যতম প্রবেশপথ গাবতলীতে পণ্যবাহী ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলে বাধা দিলে মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত শ্রমিকদের সঙ্গে কয়েক দফায় পুলিশের সংঘর্ষ হয়, যাতে পুলিশ রেকার ও সেখানকার একটি পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
বুধবার সকালেও আন্দোলনকারী শ্রমিকরা সামরিক বাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার গাড়ি চলাচলে বাধা দেয় বলে অনুষ্ঠানের বক্তব্যে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল।
তাদের এই আন্দোলনকে ‘অহেতুক’ আখ্যায়িত করে মন্ত্রী বলেন, “এটাকে অহেতুক বললাম এই কারণে, যেটার বিষয়ে আমাদের করার কিছু নাই। তাদের জন্য রাস্তা খোলা ছিল। ধৈর্য ধরা উচিত ছিল তাদের।”
শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হন। এই জায়গাতেও পুলিশ বাহিনী যথাসাধ্য ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
পুলিশ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে মন্তব্য করে আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, “আপনারা যদি চিন্তা করেন, পুলিশ নেই …, তাহলে কি দৃশ্যটা হবে।
“অনেক বড় বড় দেশ আমাদের বলতে আসে, আপনার দেশের এই ধরনের অবস্থান, সেই ধরনের অবস্থান। সেইসব দেশের দৃশ্যও আমরা দেখেছি। সেই দেশে ব্ল্যাক আউট হলে বা পুলিশ না থাকলে কি তাণ্ডব হয়। সেই জায়গার চেয়ে আমরা অনেক ভাল আছি।” কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে প্রথমবারের মত পালিত ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ উপলক্ষে মিরপুরের পুলিশ স্টাফ কলেজে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক জানান, কর্তব্য পালন করতে গিয়ে যেসব পুলিশ সদস্য প্রাণ দিয়েছেন তাদের আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে পহেলা মার্চ থেকে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ পালন করা হবে।
পুলিশ প্রধান বলেন, “এই দিবসটি সারা দেশে পালন করা হবে। এই দিনে তাদের পরিবারের অভাব-অভিযোগ শোনা হবে। তাদের সহায়তার জন্য পুলিশের সদস্যরা সব সময় আছে ও ভবিষ্যতেও পাশে থাকবে।”
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তা এবং নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান থেকে জানানো হয়, ২০১৬ সালে ১২৮ জন পুলিশ সদস্য কর্তব্যরত অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের পরিবারের সদস্যদের ১৪ কোটি ১০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাদের ২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছেন।
মোবাইলে উপবৃত্তি বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বুধবার গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে ‘মায়ের হাসি’ নামে প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “একটা আবেদন করব অভিভাবকদের প্রতি যে, নিজের ছেলেমেয়ে মন দিয়ে যাতে পড়াশোনা করে সেদিকে যেমন দৃষ্টি রাখবেন, আবার ছেলেমেয়ে যেন বিপথে না যায় ছোটবেলা থেকেই তাকে সেইভাবে গড়ে তুলবেন।
“যেন তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারে। তারা যেন দেশকে ভালবাসতে পারে।”
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ‘মায়ের হাসি’ নামে প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণ করা হবে দেশের এক কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর মায়ের হিসাবে। এতে দেশের নারীর ক্ষমতায়ন বাড়বে বলে সরকার মনে করছে।
আগে এই উপবৃত্তির অর্থ শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া হত। এখন তা সরাসরি চলে যাবে তাদের মায়ের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে।
রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল কোম্পানি টেলিটকের হিসাবে উপবৃত্তির টাকা পাঠানো হবে রূপালি ব্যাংকের শিওরক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং থেকে।
প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য মাসে ৬০০ টাকা হিসাবে বছরে এ উপবৃত্তিবাবদ ১৬০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে অনুষ্ঠানে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
শেখ হাসিনা বলেন, “শিক্ষার্থীদের মানসিকতা এমনভাবে গড়ে উঠবে যেন এ দেশটা তার নিজের এবং দেশকে ভালবাসতে হবে, দেশের কল্যাণ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের মোবাইল ফোন নেই, টেলিটক বিনামূল্যে প্রায় ২০ লাখ সিম ও প্রত্যেক মাসে ২০ টাকা বিনামূল্যে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার একটা চুক্তি করেছে।শেখ হাসিনা জানান, তিনি ক্ষমতায় আসার আগে বিরোধীদলে থাকার সময় শিক্ষার্থীদের স্কুলে না আসা ও ঝরে পড়ার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বৃত্তি ও উপবৃত্তি দেওয়ার বিষয়টি মাথায় আসে।
“আমরা শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছি। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ছাত্র-ছাত্রী বৃত্তি ও উপবৃত্তি পাচ্ছে।”
এবছর বিনা পয়সায় ৪ কোটি ১৬ লাখ শিক্ষার্থীকে বই দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বই কেনার খরচ, এটাও কিন্তু বাবা-মাকে নিতে হচ্ছে না। এ দায়িত্বটা আওয়ামী লীগ সরকার নিয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টুঙ্গীপাড়া, পীরগঞ্জ ও পার্বতীপুর উপজেলায় সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর আগে সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীকে বিজয় সরণীর যানজট নিরসনে ‘সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার’ ওপর একটি এনিমেটেড উপস্থাপনা দেখানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রীকে উপস্থাপনাটি দেখান সেনাবাহিনীর প্রধান প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান সরকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সেনা প্রধান আবু বেলাল মো. শফিউল হক, মুখ্যসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।
খাগড়াছড়ি পানছড়িতে হেডম্যান ও কার্বারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত,
পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকলে সকল উন্নয়নে
সেনাবাহিনী সার্বিক সহযোগিতা দিবে
—-জোন কমান্ড জি.এম.সোহাগ
॥ মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, পানছড়ি থেকে ফিরে ॥ খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে হেডম্যান ও কার্বারীদের নিয়ে এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন দুর-দরান্ত থেকে আসা হেডম্যান কার্বারী সম্মেলনের আয়োজক ছিল পানছড়ি আর্মি জোন। খাগড়াছড়ি জোনের সার্বিক সহযোগিতায় মঙ্গলবার বেলা ১টা থেকে পানছড়ি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি ১৪ ই বেঙ্গলের জোন অধিনায়ক লে: কর্ণেল জি.এম সোহাগ,উপ-অধিনায়ক মেজর শুভ ইসলাম, পানছড়ি সাব জোন অধিনায়ক মেজর রফিকুল ইসলামের খাগড়াছড়ি জোনের ক্যাপ্টেন সাইদ জোবায়েদ ও পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক। অতিথিরা বলেন, আমরা আপনাদের সাথে মিলেমিশে কাজ করতে চাই। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা একে অপরকে চিনতে ও জানতে পেরেছি। আপনারা আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুণ তবেই আমাদের সমাজ আরো উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে। হেডম্যান অরুণজয় রোয়াজা ও চাইয়ং মারমা বলেন, এই শান্তি ও সম্প্রীতির সম্মেলনে উপস্থিত হতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা সবাই মিলে মিশে কাজ করব। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কার্বারীরা নিজেদের এলাকার সমস্যাদির অনেক কথা তুলে ধরেন। খাগড়াছড়ি ১৪ ই বেঙ্গলের জোন অধিনায়ক বিভিন্ন মৌজা প্রধানদের নিজ এলাকার জন্য ফুটবল এবং স্থানীয় খেলোয়াড়দের মাঝে ক্রিকেট সামগ্রী বিতরণ করে।
একই দিন সকাল ১০টা থেকে অতিথিরা পানছড়ি ডিগ্রী কলেজ শিক্ষার্থীদের সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অফিসার পদে যোগদানে উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ক এক সভা করে। খাগড়াছড়ি পানছড়িতে সেনাবাহিনীতে অফিসার পদে যোগদান উদ্ভুদ্ধকরণ বিষয় সভায় জোন কমান্ডার জি.এম. সোহাগ আরো বলেছেন পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকলে সবসময় আপনাদের পাশে থাকবে। উন্নয়ন সম্ভব হবে।
লংগদুতে মহিলা আ.লীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের রাজনীতি বন্ধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে
—– দীপংকর তালুকদার
আগামী নির্বাচনে লংগদুর নারীরা স্বতর্স্পূত ভাবে কাজ করে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনবে
—- ফিরোজা বেগম চিনু
॥ লংগদু প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেছেন, পাহাড়ে কিছু অস্ত্রধারী ন্ত্রাসীরা অবৈধ অস্ত্রের মুখে দিয়ে সাধারণ পাহাড়ী বাঙ্গালীদের জিম্মি করে এলাকায় অশান্তি সৃষ্ঠি করছে। এসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তিনিি পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের রাজনীতি বন্ধে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ডে বিরুদ্ধে সাধারণ জনগন কেউ মুখ খুলতে চায়না। তবে কিছু কিছু সচেতন লোকজন অস্ত্রবাজিদের জিম্মি দশা থেকে বের হয়ে আসছে। তিনি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
মঙ্গলবার, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে লংগদু উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এআহবান জানান।
উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী তানিয়া আফরোজ হাওয়া এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য ও রাঙ্গামাটি জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙ্গামাটি পৌর আ.লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও রাঙ্গামটি জেলা পরিষদের সদস্য মনোয়ারা আক্তার জাহান, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ জানে আলম।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি জেলা আ.লীগের সদস্য ইউসুফ আলী খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরজাহান বেগম, উপজেলা আ.লীগের সহ সভাপতি মোঃ সেলিম, উপজেলা মহিলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদিকা আঞ্জুম আরা মুন্নি, সাংগঠনিক সম্পাদিকা ফাতেমা জিন্নাহ প্রমুখ।
দীপংকর তালুকদার প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরো বলেন, আওয়ামীলীগ কথায় এবং কাজে বিশ্বাসী। যেখানে একবার কথা দেয় সেটা রক্ষা করে। নির্বাচনে রাঙ্গামাটিতে আওয়ামীলীগ হারলেও উন্নয়নের কর্মকান্ড থেমে থাকেনি। কিন্তু অন্যরা জিতলেও উন্নয়নতো দূরের কথা এলাকায় পর্যন্ত আসেনা না।
তিনি বলেন, চব্বিশ বছর আগে লংগদুতে সাংগঠনিক সফরে এসে দলের জন্য উঠান বৈঠক করা কঠিন ছিল। আজ সেই প্রেক্ষাপট নেই। এখন সমাবেশে মহিলাদের জায়গা সংকুলান হচ্ছেনা। এটা সম্ভব হয়েছে আ.লীগ উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে বলে।
তিনি বলেন, লংগদুতে নৌকা পালের হাওয়া লেগেছে তাইতো ইউপি নির্বাচনে পাঁচটিতে আমরা জয় পেয়েছি। অতছ এই উপজেলা ছিলো বিএনপির ঘাটি। আপনাদের মধ্যে সতস্ফুর্ত সাড়া দেখে আমি আশান্বিত যে আগামীতে নৌকা প্রতিক নিয়ে সংসদে যেতে পারবো।
সংসদ সদস্য ও রাঙ্গামাটি জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, নারীরা অনেক অগ্রসর হয়েছে। তারা আর পিছিয়ে নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীদের উন্নয়নের ব্যাপরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, নারীদের আইনগত সহায়তা সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার ফলে নারীরা আজ, সামাজিক উন্নয়নে নারীদের উন্নয়ন ছাড়াও সংসদ সদস্য এবং বিভিন্ন চাকুরী ক্ষেত্রে নারীদের সমান ভাবে সুযোগ দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, নারীরা আজ ঘরে বসে নেই। তারা অনেক ভাবে আজ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে নারীরা যাতে ঘরে বসে না থেকে স্বতর্স্পূত ভাবে কাজ করে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, লংগদু উপজেলার সমাবেশ দেখে বোঝা যায় এই উপজেলায় নারীদের মনে নৌকার যথেষ্ট সারা জাগিয়েছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।
সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা
——–লে: কর্ণেল কাজী শামশের উদ্দিন পিএসসি
॥ মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, খাগড়াছড়ি ॥ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ কাউকে ছাড় দেয়া হবে না উল্লেখ করে ১৭ ফিল্ড রেজি: আর্টিলারীর মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল কাজী শামশের উদ্দিন পিএসসি যেকোন ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সবসময়ই তৎপর রয়েছে উল্লেখ করে বলেছেন, কোন ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতাক ছাড় দেয়া হবেনা জানিয়ে তিনি বলেছেন, চাঁদা নেয়া যেমন অপরাধ তেমনি চাঁদা দেয়াও অপরাধ। চাঁদা প্রদানকারী ব্যাক্তিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) ১১টার দিকে মাটিরাঙ্গা জোন সদরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল কাজী শামশের উদ্দিন পিএসসি পিএসসি উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন।
উক্ত মতবিনিময় সভায় মাটিরঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো: শামছুল হক, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর মো: এমরান হোসেন, মাটিরাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর আলম ও অভ্যা মৌজার হেডম্যান ললিত বিকাশ ত্রিপুরা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো: তানজিম হোসাইন, ৭আনসার ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মো: মনির আহমেদ, মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সাহাদাত হোসেন টিটো, মাটিরাঙ্গা ডেগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার মো: মোশাররফ হোসেন, মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: সব্যসাচী নাথ রুবেল ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান-কার্বারী, সাংবাদিক, শিক্ষক প্রতিনিধি ও গন্যামন্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যুৎতায়নে থানচিবাসীদের ৩য় সপ্ন পূরণ.
বুধবার ভিডিও কম্ফারেন্সের শুভ উদ্ভোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
॥ থানছি সংবাদদাতা ॥ স্বাধীনতা ৪৬ বছর পরে দুর্গম থানচি উপজেলা বিদ্যুৎতায়নের থানচিবাসীদের ৩য় সপ্ন পূরণ হলো ।প্রধান মন্ত্রী ১লা মার্চ ২০১৭ ইং বুধবার সকাল ১০ টা ভিডিও কম্ফারেন্স মাধ্যমে শুভ উদ্ভোধন করবেন। ২০৫৩.৯৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ের বিউবো রাঙ্গামাটি জেলা তত্ত্বাবধানে থানচি উপজেলা বিদ্যুৎতায়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ ও শুভ উদ্ভোধনের বান্দরবান জেলা প্রশাসক কম্ফারেন্স হলে সকল প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে । থানচি উপজেলা থেকে অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের ভিডিও কম্ফারেন্স উপস্থিত থাকা ও প্রধান মন্ত্রীর উদ্ভোধনের সরাসরি উপভোগের আমন্ত্রণ কার্ড বিতরণ চলছে ।
থানচিবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্বাধীনতা পর থেকে থানচিবাসীদের সপ্ন ছিল দেশের বিভিন্ন স্থানে মতো বিদ্যুৎতে আলো, যোগাযোগ, শিক্ষা,স্বাস্থ্য জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ নানা সরকারী সেবা নিশ্চি পাওয়ার কাজ করে যাচ্ছে । কিন্তু জেলা সদর থেকে যোগাযোগে সড়ক না থাকায় অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়েছে ৪৬টি বছর । ২০০০ সালে জেলা সদর থেকে উপজেলা সদর পর্যন্ত সড়কনির্মানের যোগাযোগে উন্নয়ন সুফল ভোগ করছে । ২০১২ সালে সাংগু সেতু স্থাপন ও নির্মানের ফলে থানচিবাসীদের কৃষি খাত ও অন্যান্যখাতে উদপাদিত ফসলের নিতিবাচক রুপ ধারণ করেছে এবং সুফল ভোগ করেছে । এক মাত্র বাকি ছিল বিদ্যুৎ সুবিধা কিন্তু ২০১৬ সালে বিদ্যুৎতায়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে ফলে থানচি বাসীদের ৩য় সপ্ন পূরণ হচ্ছে বলে থানচিবাসী উপজেলা হাট বাজার চা দোকান, সেলুন দোকানসহ বিভিন্ন স্থানে মন্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে।
২০১৭ সালে শুরুতে থানচি উপজেলা দুইটি বাজার ও তার আশে পাশ্বে এলকায় বিদ্যুৎতে আলো সজ্জা শুরু করেছে । থানচি বাসীদের আশার আলো ও স্বপ্নের ঠিকানা গন্তব্যে স্থানে পৌছার আর বাকি রয়েছে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ও একটি গুনগতমান উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ( কলেজ) স্থাপনের জরুরী মনে করছেন অনেকে । বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিউবো ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, থানচি উপজেলা বিদ্যুৎতায়ন এদঅঞ্চলের জনসাধারনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মান উন্নীতকরণ , সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি,নর-নারী কর্মসংস্থান ও শিল্পোন্নয়ন বৃদ্ধি এবং পর্যটন শিল্প বিকাশ করার লক্ষ্যে সরকার বিদ্যুৎ.জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ২০ কোটি ৫৩ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয়ের এপ্রিল ২০১৫ থেকে জুন ২০১৬ সালে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ সমাপ্তি হওয়ার কথা থাকলে ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী সংস্থা কাজের শ্রমিক স্বল্পতা কারনে জানুয়ারী ২০১৭ পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছে । ইতিমধ্যে ৩৩/১১ কেভি,৪ লাইনে ১.৬৭, ২ লাইনে ২৩ এমভিএ , গ্রামীণ উপকেন্দ্র ০১ টি । এর মধ্যে ৩৫ কেভি লাইন ৩৫ কিঃমিঃ, ১১ কেভি লাইন ২৮ কিঃমিঃ,১১/৪ কেভি লাইন ২ কিঃমিঃ,০.৪ কেভি লাইন ৫ কিঃমিঃ,০.২৩ কেভি লাইন ১০ কিঃমিঃ ও বিতরণ ট্রাাস্ফরমার ১৭টি কাজ সম্পাদন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
থানচি উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মংবোওয়াংচিং মারমা মন্তব্যে করে বলেন, প্রধান মন্ত্রী সদিচ্ছা ও পার্বত্যবাসীদের উপর অফুরন্ত ভালবাসা সহানুভূতি যথেষ্টতা রয়েছে তা এখন প্রমান মিলছে, স্বাধীনতা ৪৬ বছরের মধ্যে ও বিদ্যুৎতায়ন প্রকল্পর বাস্তবায়ন মধ্য দিয়ে থানচি উপজেলাকে একটি আধুনিক, ডিজিটালাইজ আওতায় আনছেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীকে থানচি বাসী পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণ ঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো বলেন, যোগাযোগ, শিক্ষা, বিদ্যুৎতায়নের সফলতা ,অসাধারণ সাফল্য ও অর্জন হওয়া থানচিবাসীদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীকে আন্তরিকতা সাথে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা মন্তব্য করে বলেন, বিদ্যুৎ, জা¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ,প্রধান মন্ত্রী ও পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অক্লান্ত প্রচেষ্টায় থানচি উপজেলা বিদ্যুৎতায়ন প্রকল্প দ্রুততাসাথে বাস্তবায়ন ও সম্পাদনা করতে স্বক্ষম হয়েছে । আমরা এর সুফল ভোগ করছি এবং ১ লা মার্চ বুধবার থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্প কারখানাসহ উদ্যোগ নিতে পারবো । বিদ্যুৎ না থাকায় স্বাধীনতা ৪৬ বছর পর্যন্ত আমাদের থানচির চিত্রকে বিশ্বের দরবারে আকর্ষণীয় গড়ে ওঠার সম্ভব হয় নি । এবারে পর্যটন সম্ভাবনাময় ও পর্যটন শিল্প বিকাশ অবশ্যই ঘটবেই। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।
॥ লিটন ভট্টাচার্য্য রানা, খাগড়াছড়ি ॥ বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সকাল খাগড়াছড়ি জেলা পার্বত্য জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে আনন্দঘন পরিবেশে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ও পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য নিগা সুলতানার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য নির্মলেন্দু চৌধুরী, এড্ আশুতোষ চাকমা, মংশিপ্রু চৌধুরী অপু, খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, শতরুপা চাকমা, বাশন্তি চাকমা, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মেহেদি হাসান হেলাল প্রমুখ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্য খাগড়াছড়ি সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, বর্তমান সরকার মহিলাদের প্রতি আন্তরিক বিধায় নারী নেতৃত্ব বৃদ্ধিকরণ ও জাতীয় মহিলা সংস্থার উদ্দ্যোগে আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি লক্ষে কাজ করে চলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। আগামী নির্বাচনের জন্য মহিলা আওয়ামীলীগকে এখন থেকে পাড়া মহল্লা গিয়ে সাধারণ জনগণকে উন্নয়নের কথাগুলো তুলে ধরতে বলেন তিনি।
তিনি বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি পর এই এলাকায় বর্তমান সরকার উন্নয়নের সাথে নারীদের সমান অধিকার দিয়েছে। বিএনপি যতো বলুক না কেন তারা নির্বাচনে আসবেনা না এসে কোন উপায় নাই, নির্বাচন গঠনতন্ত্র মোতাবেক যদি নির্বাচনে না আসে তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে, সেই ভয়ে তারা নির্বাচনে আসবে। সেজন্য এখন থেকে নৌকা প্রতীককে জয় যুক্ত করার ক্ষেত্রে মাঠে কাজ করতে হবে। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার এসে খাগড়াছড়ি জেলা অবস্থা কি হয়ে ছিল তা আপনাদের জানা আছে। আমি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে বলছি আগামী নির্বাচনে নৌকার কোন বিকল্প নাই।
রাঙ্গামাটিতে মহিলা আওয়ামীলীগের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী,
পাহাড়ের অস্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করতে সকল জনগনকে ঐক্যবদ্ধ
ভাবে এগিয়ে আসতে হবে————- দীপংকর তালুকদার
বর্তমান সরকার পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে ধারাবাহিক ভাবে যে কাজ
করেছে তা অতীতে কোন সরকার করেনি—–ফিরোজা বেগম চিনু
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পাহাড়ের অস্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করতে সকল জনগনকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন পাহাড়ের অস্ত্রের কারণে কোন মানুষ শান্তিতে নেই। পাহাড়ী বাঙ্গালী সকলেই অস্ত্রের কাছে জিম্মি হয়ে রয়েছে। অস্ত্রের ভয়ের কারণে সাধারণ মানুষ তাদের মুখ খুলতে পারছে না। তিনি বলেন, কিছু কিছু সচেতন মানুষ আজ তাদের অস্ত্রের শৃঙ্খল থেকে বের হয়ে আসতে শুরু করেছে এটি আমাদের জন্য একটি বড়ো পাওনা। তিনি অস্ত্রবাজদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
গতকাল বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ এর ৪৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা আওযামী লীগ কার্যালয়ে এক মহিলা সমাবেশে তিনি এ আহবান জানান। রাঙ্গামাটি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মহিলা সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অভয় প্রকাশ চাকমা, মহিলা আওযামীলীগের নেত্রী ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের নবাগত সদস্য মনোয়ারা জসিম, রোকেয়া আক্তার সহ জেলা ও ওয়ার্ড কমিটির নারী নেত্রীরা বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি জেলা মহিলাআওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, বর্তমান সরকার
পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে ধারাবাহিক ভাবে যে কাজ করেছে তা অতীতে কোন সরকার করেনি। পাহাড়ের প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় সরকারের উন্নয়ন পৌছে গেছে। এই উন্নয়নের সুফল পার্বত্য অঞ্চলের জনগন পেতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের অস্ত্রবাজী ও চাঁদাবাজীর কারণে আজ পাহাড়ের মানুষ মুখ খুলতে পারছে না। তাদের প্রতিহত করতে এবং তাদের অপরাধ মুলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পার্বত্য অঞ্চলের সকল নারীদের শুভেচ্ছা জানান। পরে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয় এবং সমাবেশে উপস্থিত নেতা ও কর্মীদের মাঝে প্রতিষ্ঠা বার্সিকীর কেক বিতরন করা হয়।
মিরসরাইয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার করতে গিয়ে হামলায় এক এস আই সহ তিন পুলিশ সদস্য আহত
মিরসরাই প্রতিনিধি :::
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে চেক প্রতারণা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতার করতে গিয়ে এক এস আই সহ আরো দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) রাত আনুমানিক আটটার সময় মিরসরাই উপজেলার ৯নং ইউনিয়নের গড়িয়াইশ গ্রামে ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হক সাব কে গ্রেফতার করতে গেলে এই ঘটনা ঘটে। হামলায় আহরা হচ্ছেন, মিরসরাই থানার এস আই শফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল শাহ আলম ও আনসার সদস্য মুজিবর রহমান। আহতদের মস্তাননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি দেয়া হয়েছে। উক্ত ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাত ৮ টার সময় মিরসরাই থানার এসআই শফিকুল ইসলাম পিপিএম এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গড়িয়াইশ গ্রামে চেক প্রতারণার মামলায় ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী হকসাবকে আটক করার জন্য যায়। এক পর্যায়ে আসামী হক সাব কে আটক করে নিয়ে আসার সময় হটাৎ স্থানীয় মসজিদের মাইকে ডাকাত বলে ঘোষনা দিলে স্থানীয় লোকজনের হামলার শিকার হয় ওই তিন পুলিশ সদস্য। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় এস আই শফিকুল ইসলাম ও আরেক পুলিশ সদস্য ওই স্থান থেকে সরে আসতে পারলেও আনসার সদস্য মুজিবুর রহমানকে স্থানীয় লোকজন আটক করে রাখে। পরে মিরসরাই থানা থেকে একদল পুলিশ গিয়ে ওই আনসার সদস্যকে উদ্ধার করে।
উক্ত ঘটনায় মিরসরাই থানায় ৮ জনকে সুনিদিষ্টভাবে ও অজ্ঞাতনামা আরো ২০ জনকে আসামী করে একটি মামলা (নং-১০, তাং-২৫.০২.১৭) দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মিরসরাই থানার সেকেন্ড অফিসার মো. অলিউল সাংবাদিকদের জানান, সাজাপ্রাপ্ত এক আসামী গ্রেফতার করতে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে এক এসআই সহ পুুলিশের আরো দুই সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মানিকছড়িতে মা কর্তৃক শিশুকে গলা
কেটে হত্যা,হত্যাকারী আটক
॥ মোহাম্মদ আবু তৈয়ব: খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার এয়াতলংপাড়া গ্রামের আবদুর রহিম এর স্ত্রী রওশন আরা বেগম নামে গর্ভধারণী মা তার শিশু সন্তান মাঈন উদ্দীনকে (১০) জবাই করে হত্যা করেছে। এই ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ ঘাতক রওশনয়ারাকে আটক করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার এয়াতলংপাড়ার আবদুর রহিম এর নির্জন বাড়ীতে শনিবার সকাল ১০টার দিকে গৃহকর্তী রওশনয়ারা বেগম (৩০) ঘরের সামনে উঠানে একমাত্র পুত্র মো. মাঈন উদ্দীনকে(১০) ধারালো ‘দা’ দিয়ে জবাই করে হত্যা নিশ্চিত করে। এ নিহতের গলা শরীর থেকে শরীর সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ছেলেকে হত্যার পর ঘাতক ‘মা’ পাশের বাড়ীতে ছেলেকে জবাই করে হত্যার কথা জানায়। ইতোমধ্যে স্বামী বাজার থেকে বাড়ীতে গিয়ে ঘরের সামনে ছেলের লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার প্রতিবেশিদের শরণাপন্ন হলে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়।
খবর পেয়ে মানিকছড়ি থানার এস.আই মো. হেলাল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ঘাতক মহিলা রওশনয়ারা বেগম হত্যার কথা স্বীকার করে পুলিশকে জানায়, তার প্রথম স্বামী মহরম আলী তাকে তালাক দিলে ১ বছর বয়সী মাঈন উদ্দীনকে (নিহত) নিয়ে বর্তমান স্বামী আবদুর রহিমের নিকট বিয়ে হয়। ঘাতক মা’র ধারণা হয় তার মৃত্যুর পর বর্তমান স্বামী ছেলেটিকে ভালোভাবে দেখাশুনা করবে না। এ আশংকা থেকেই শনিবার সকালে স্বামীর অবর্তমানে ছেলেকে জবাই করে হত্যা নিশ্চিত করেন তিনি।
এস.আই মো. হেলাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, খাগড়াছড়ি মানিকছড়ি থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং ঘাতক মহিলাকে আটক থানায় নিয়ে আসে। মহিলা কিছুটা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার স্বীকারোক্তি এবং প্রাথমিক তদন্তের আলোকে হত্যা মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার খাগড়াছড়ি পুলিশ আদালতে রিমান্ড চাইবে বলে জানা গেছে।