॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে ক্ষৃদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউটের মাধ্যমে কাজ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়না পাংখোয়া। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ১১ টি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের সংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য গুলোকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। তাদেরকে বিলুপ্ত হতে দেয়া যাবে না। তাদের সংস্কৃতি গুলোকে ধরে রাখতে স্ব স্ব গোষ্ঠীর বয়োবৃদ্ধদের মাধ্যমে আমাদেরকে কাজ করার উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউটের কর্মকর্তাদের এই উদ্যোগ গুলো নিতে কাজ করার আহবান জানান।
গতকাল ০৫ জানুয়ারী রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের তরুন উদীয়মান সদস্য রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউটের দায়িত্ব প্রাপ্ত আহবায়ক রেমলিয়না পাংখোয়া ইনিষ্টিটিউটের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি একথা বলেন।
এ সময় রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনিস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রনেল চাকমা, সাংস্কৃতিক পরিচালক, সংগীত পরিচালক সুরেশ ত্রিপুরা, কর্মকর্তা তৃষা ত্রিপুরা, নৃত্য পরিচালক সুফলা তঞ্চঙ্গ্যা সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেক নৃ গোষ্ঠী রয়েছে যারা তাদের সংস্কৃতিক কী সেটা ভুলে গেছে। কিন্তু আমরা তাদের সংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যকে হারিয়ে যেতে দেবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পার্বত্য অঞ্চলের অহংকার দীপংকর তালুকদার পাহাড়ের মানুষের কল্যালে কাজ করার জন্য আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী গুলো যদি না থাকে তাহলে বাংলাদেশ কখনোই অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ হবে না। তাই হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিক গুলোকে ফিরিয়ে আনতে আমাদের কাজ করতে হবে।
পরে তিনি রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী জাদুঘরের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সাংবাদিকদের সাথে সমন্বয় করে জনকল্যাণে কাজ করতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটিতে নবাগত পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন। তিনি বলেন, পুলিশ এবং সাংবাদিকদের কাজের সাথে অনেক মিল রয়েছে। আমরা উভয়েই যে পেশায় থাকিনা কেন জনগনের কল্যাণে কাজ করে যাবো।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারী) দুপুরে রাঙ্গামাটি পুলিশের পলওয়েল পার্কের সম্মেলন কক্ষে রাঙ্গামাটিতে কমর্রত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটির নবাগত পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন এসব কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ছুফি উল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি এডিশনাল পুলিশ সুপার মাঈনুদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপশ রঞ্জন ঘোষ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক গিরিদর্পণের সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমদ, প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাধারন সম্পাদক মোঃ আনোয়ার আল হক, সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে প্রমূখ।
নবাগত পুলিশ সুপার বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গর্বের। অতিতে যেভাবে দেশপ্রেম নিয়ে পুলিশ বিভাগ কাজ করেছে সেভাবেই কাজ করবে।
তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি পুলিশ বিভাগের পরিচালনায় পরিচালিত পলওয়েল পার্কে সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা যাতে অনায়াসে প্রবেশ করতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য জনকল্যাণ মূলক কার্যক্রম পরিচালিত করা হবে।
নবাগত পুলিশ সুপার আরো বলেন, সাংবাদিকরা যাতে একটি প্লাট ফর্মে থাকতে পারে এবং এক সাথে কাজ করতে পারে সেজন্য আন্তরিক ভাবে পুলিশ বিভাগ কাজ করে যাবে। সাংবাদিকদের সাথে এক সাথে কাজ করার পাশাপাশি তথ্য আদান প্রদানে রাঙ্গামাটি পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে আন্তরিক ভাবে কাজ করা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের আশ্বাস প্রদান করেন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পুলিশের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৪ জানুয়ারি) পরিষদের সভা কক্ষে (এনেক্স ভবন) রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী এবং রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে মেয়ে শিশু ও নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্প এর জেলা কর্মকর্তা সুখেশ্বর চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসআইডি-ইউএনডিপির জেন্ডার এন্ড কমুনিটি কোহেসন এর চীফ ঝুমা দেওয়ান। তিনি বলেন, গ্লোবাল এফেয়ার্স কানাডার অর্থায়নে পরিচালিত শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে মেয়ে শিশু ও নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো নারী এবং মেয়ে শিশুদের নিরাপদে বেড়ে উঠার সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলা। এজন্যে এ প্রকল্পের মাধ্যমে রাঙ্গামাটি জেলার ১০০টি স্কুলে মেয়ে শিশু ও নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের সঙ্গে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং ইউএনডিপির কাজের অভিজ্ঞতা আছে।
প্রকল্পে ক. নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও জেন্ডার সংবেদনশীলতা বিষয়ে থানা ভিত্তিক পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ, খ. জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারের পরিষেবাদি বিষয়ক বার্তা প্রচার, গ. ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারের পরিষেবাদি বিষয়ক বার্তা প্রচার এবং ঘ. জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক বার্তা ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রচারের কার্যাদি সংযুক্ত আছে। সর্বমোট ৫৫,০০,০০০ (পঞ্চান্ন লক্ষ) টাকা ব্যয়ে পুলিশের সাহায্যে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের বলেন, ইউএনডিপির ন্যায় পুলিশও জনগণের কল্যাণে কাজ করে। দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারী এবং মেয়ে শিশুদের কল্যাণে ইউএনডিপি যে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এ ধরনের প্রশংসনীয় কাজের শরীক হতে পেরে আমরা গর্বিত। জনগণ যাতে স্বচ্ছন্দ্যে স্বাভাবিক জীপন যাপন করতে পারে এবিষয়ে পুলিশ সদা সতর্ক। তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে পুলিশ সম্মুখ যোদ্ধা হিসাবে কাজ করেছে। সেসময় ডাক্তারদের পরে পুলিশ জনগণের যেকোন প্রয়োজনে কাজ করেছে। আপনারা জানেন সম্মুখ যোদ্ধা হিসাবে কাজ করতে গিয়ে আমাদের প্রচুর পুলিশ ভাই মারা গেছে। এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও পুলিশ জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। মেয়েশিশু এবং নারী সম্প্রদায় যাতে স্বচ্ছন্দ্যে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে এজন্য পুলিশ সবসময় সজাগ এবং সতর্ক থাকবে। তিনি আরও বলেন, জেলা পরিষদ জনগণের প্রতিষ্ঠান। পুলিশ বিভাগও জনগণের কল্যাণে কাজ করে। এ দুটি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করলে ভবিষ্যতে যেকোন কাজে সফলকাম হবে।
চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, পরিষদ এবং পুলিশ বিভাগ যৌথভাবে ইউএনডিপির অর্থায়নে নারী এবং মেয়েশিশুদের ক্ষমতায়নে যে কাজ হাতে নিয়েছে তা টাকার মূল্যে খুব বেশি বড় না হলেও উদ্দেশ্যটি নিঃসন্দেহে মহৎ এবং গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ জনগণের সেবায় নিয়োজিত। পরিষদও একইভাবে জনগণের সেবায় নিয়োজিত। দুই প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করলে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব। তিনি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এককভাবে পুলিশের দ্বারা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে অভিভাবকসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে। অসচেতনতার কারণে সহিংসতা বেশি হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, পুলিশ এবং পরিষদ নিবিড়ভাবে একসঙ্গে কাজ করলে এ প্রকল্প কার্যক্রম সফল হবে। এ বিষয়টি সফল হলে ভবিষ্যতেও আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারবো। পুলিশ বিভাগের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।
এসময় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ ছুফি উল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপস রঞ্জন ঘোষ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈন উদ্দিন চৌধুরী, পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা, এসআইডি-ইউএনডিপির জেন্ডার এন্ড কমুনিটি কোহেসন এর চীফ ঝুমা দেওয়ান, ডিষ্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর অনুপম চাকমা, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে মেয়েশিশু ও নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্প এর জেলা কর্মকর্তা সুখেশ^র চাকমাসহ ইউএনডিপি এবং প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইন্ডিয়ান রেজিস্টার কোয়ালিটি সিস্টেম
(আই আর সি এল এ এস এস সিস্টেমস এবং সলিউশনস
প্রাইভেট লিমিটেডের একটি বিভাগ) এবং মিতি এন্টারপ্রাইজ
এর সমঝোতা স্মারক (চুক্তি) স্বাক্ষর
(১) : ক্লিং শিল্প ঃ আর্থ-সামাজিক প্রভাব।
বাংলাদেশের আর্থ – সামাজিক উন্নয়নে রিসাইক্লিং শিল্পের অবদান ব্যাপক। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় দুই লক্ষাধিক শ্রমিক এই শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত কর্মকান্ডে জড়িত। এই শিল্প থেকে সরাসরি রাজস্ব আয় প্রায় ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এর সমান পরোক্ষ মাল্টিপলট্যাক্সসহ এর থেকে আয় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এরও বেশি। আভ্যন্তরীন জাহাজ নির্মান, রিসাইক্লিং মিলস, ষ্টিলমিলস ইত্যাদি কারখানা বেশির ভাগ কাঁচামালের যোগান দেয় জাহাজ রিসাইক্লিং। এছাড়াও আসবাব, বিদ্যুৎ , বিভিন্ন কলকারখানা রপ্রচুর যন্ত্রাংশ জাহাজ রিসাইক্লিং থেকে আসে বিশেষকরে বাংলাদেশের বিরাট সম্ভাবনাময় হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং (খরমযঃ ঊহমরহববৎরহম) খাতের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আসে পুরানো জাহাজের ভেতর থেকেই। আভ্যন্তরীন জাহাজ নির্মানশিল্পের লোহাও যন্ত্রপাতির আনুমানিক শতকরা ৬০ ভাগও সমগ্র দেশের লোহার চাহিদার প্রায় শতকরা ৬৫ ভাগ আসেপ ানোভাংগা জাহাজ থেকে । দেশের সার্বিক অর্থ নির্ভীত্তে জাহাজ রিসাইক্লিং শিল্পের অবদান প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই শিল্পের মাঝে বিরাট সংখ্যক মানুষের জীবিকা, দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং জিডিপিএর প্রবৃত্তি অনেকাংশে নির্ভরশীল।
(২)
এই শিল্পের চ্যালেঞ্জসমুহ ঃ
পরিশে দুষণ, পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়গুলো যথাযথভাবে না মানার কারনে আলোচ্য শিল্প, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। উপরোল্লিখিত কারণে ২০০৯ – ২০১০ সালে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে শিপরি সাইক্লিং কর্মকান্ড প্রায় দেড় বছর বন্ধছিল; পরোবর্তিতে শর্ত সাপেক্ষে আবার চালুহয়। দেশের অর্থনীতিতে এই শিল্পের প্রয়োজনীয়তা উপলোদ্ধি করে সরকার এই ক্ষেত্রকে সর্বপূর্বে শিল্পের মর্যাদা দেয়। শিল্পমন্ত্রনালয় এর প্রচেষ্টা পরিবেশ দুষণ ও পেষাগতস্বাস্থ সুরক্ষার ক্ষেত্র সমুহ উন্নতি হলেও এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মান এর বিবেচনায় অনেক পিছিয়ে। বিগত এক দশকেইয়ার্ড গুলোর স্থাপনা, যন্ত্রপাতির ব্যবহার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে; তবে আরও অনেক দুর এগুতে হবে আন্তর্জাতিক মান অর্জনকরতে ও স্বীকৃতি পেতে।
পরিবেশগত ও পেশাগতস¦াস্থ সুরক্ষা এবং বিপজ্জনক বজর্ – ব্যবস্থাপনা, বিষয় গুলো আন্তর্জাতিক ভাবে অত্যন্ত স্পর্ষকাতর। পুরানোজাহাজ ক্রয়ের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মান রক্ষা ব্যবসায়িক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
(৩)
মিতিএন্টাপ্রাইজ ও আই.আর. ক্লাস এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর ঃ
মিতি এন্টার প্রাইজ আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একটি পরামর্ষক ফার্ম সম্প্রতি ওহঃবৎহধঃরড়হধষ অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ ঈষধংংরভরপধঃরড়হ ঝড়পরবঃরবং এর সদস্য আই. আর. ক্লাসের সাথে বাংলাদেশের শিপরিসাইক্লিং ইয়ার্ডগুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নিত করারজন্য চ্যালেঞ্জ গ্রহন করেছে।
মিতি এন্টারপ্রাইজ ২০০৯ সাল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে এবং এর চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বিগত প্রায় ২০ বছর যাবৎ“শিপ ব্রেকার্স ও রিসাইক্লারস মালিক সমিতির”উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করে আসছে। ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী ২০০৫ – ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পক্ষে ওহঃবৎহধঃরড়হধষ গধৎরঃরসব ঙৎমধহরুধঃরড়হ (ওগঙ) এর গধৎরহব ঊহারৎড়হসবহঃধষ চৎড়ঃবপঃরড়হ ঈড়সসরঃঃবব (গঊচঈ) এর ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ছিলেন; গঊচঈ এরআলোচ্য কমিটিই“ ঞযব ঐড়হমশড়হম ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈড়হাবহঃরড়হ ভড়ৎ ঃযব ঝধভব ধহফ ঊহারৎড়হসবহঃধষষু ঝড়ঁহফ জবপুপষরহম ড়ভ ঝযরঢ়ং” প্রনয়ন করেছে।
(৪)
হংকং কনভেনশনসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক মান এর প্রশিক্ষন ও সার্টিফিকেশন এর ক্ষেত্রে ওজঈখঅঝঝ সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য নাম। বাংলাদেশ, ভারতসহ সকল রিসাইক্লিংইয়ার্ড এর সার্টিফিকেশন এর দায়িত্ব ঔঅঈঝ সদস্যভুক্ত “ক্লাসিফিকশন সোসাইটি”গুলোকে প্রদান করা হয়েছে। মোট ১৩ টিসদস্য ক্লাসিফিকেশন সোসাইটির মধ্যে বাংলাদেশে কাজে লিপ্ত আছে মাত্র ৬ টি সোসাইটি। উক্ত ৬ টির মধ্যে মাত্র ৩ টি সোসাইটি শিপরিসাইক্লিং কর্মকান্ডে নিযুক্ত।
ক্লাসিফিকেশন সোসাইটির মুল কাজ শিপবিল্ডিংএর সাথে সম্পৃক্ত; জাহাজের নকশা অনুমোদন থেকে নির্মান কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত গুনগতমানের নিশ্চয়তা বিধান এর প্রধানকাজ। জাহাজ চলাকালীন সময়েও সার্ভের মাধ্যমে এর কাজ বজায় রাখে নিরাপদে চলাচল করার জন্য। শিপরিসাইক্লিং বিষয়ে নিজেদের প্রস্তুত করার ব্যাপারে মাত্র ৩ টি সোসাইটি আগ্রহ দেখিয়েছে; যেগুলো হচ্ছে ওজঈখঅঝঝ/ওহফরধ, জওঘঅ/ওঃধষু, ঘকক/ঔধঢ়ধহ. আলোচ্য ৩টির মধ্যে আবার ওজঈখঅঝঝ সর্বাগ্রে। ওজঈখঅঝঝ ইতিমধ্যে ২৩টির মত ঐড়হমশড়হম ঈড়হাবহঃরড়হ এর ঝঙঈ (ঝঃধঃবসবহঃ ড়ভ ঈড়সঢ়ষরধহপব) ইস্যু করেছে।
(৫)
বাংলাদেশ ও ভারত শিপরিসাইক্লিং এ সবচেয়ে বেশি এগিয়ে; বাংলাদেশ ও ভারত তিন চতুর্থাংশের মত জাহাজ রিসাইকলকরে থাকে; বাকী এক চতুর্থাংশ চীন, তুরস্ক ও পাকিস্থান মিলিতভাবে করে থাকে। যৌক্তিক কারনেই ভারতের ওজঈখঅঝঝ এই সেক্টরটিতে অনেক বেশি দক্ষ ও সম্পৃক্ত।
হংকং কনভেনশনের সনদ প্রাপ্তির প্রক্রিয়াটি হচ্ছে; প্রথম ষ্টেইজ ওয়ান একটি অডিট হবে এটা মুলত; হংকং কনভেনশনের আলোকে ত্রুটিগুলোকে চিহ্নিত করা। পরবর্তিতে ত্রুটিগুলো সংশোধন করে, জনবলকে প্রতিনিধি করার পর ষ্টেইজ টু বা চূড়ান্ত অডিট সফল ভাবে শেষ হওয়ার পর; গুনগত মান নিশ্চিত হবার পরই ঝঙঈ (ঝঃধঃবসবহঃ ড়ভ ঈড়সঢ়ষরধহপব) সনদ প্রদান করবে ওজঈখঅঝঝ.
২০২৩ সালেরমধ্যে বাংলাদেশের হংকং কনভেনশন বাস্তবায়নের ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা আছে। সুতরাং, রিসাইক্লিং ইয়ার্ডগুলোকে ব্যবসা চালাতে হলে হংকং কনভেনশন বাস্তবায়ন এর বিকল্প নেই। আন্তরিক হলে সামর্থো সাপেক্ষে ১২ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে একটিই য়ার্ড সনদ পাবার ক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। (খবর বিজ্ঞাপ্তি।
চট্টগ্রাম: নগরের ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস। অংশগ্রহণকারীদের মুখে মাস্ক রয়েছে।
তবে ভিড়ের কারণে সামাজিক দূরত্ব পুরোপুরি মানা কঠিন হয়ে পড়ছে।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৮টায় বের হওয়া জুলুসটি বিবিরহাট, মুরাদপুর হয়ে প্রধান সড়ক ধরে দুই নম্বর গেট, জিইসির মোড়, ওয়াসা পর্যন্ত যাবে। এরপর একই সড়ক দিয়ে আবার জুলুস জামেয়া মাঠে ফিরে আসবে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ও শুক্রবার জুমার নামাজের কারণে এবার জুলুসের রোডম্যাপ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
জুলুসে নেতৃত্ব দেন আনজুমানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, জামেয়ার অধ্যক্ষ মুফতি অছিউর রহমান আলকাদেরি প্রমুখ।
জুলুসে অংশ নিতে দূরের জেলা, উপজেলা থেকে ভক্ত ও আশেকরা দলে দলে আসতে থাকেন জামেয়া মাঠে। যেন সব স্রোত এসে মিশছে মোহনায়। জুলুসকে ঘিরে পথে পথে বিতরণ করা হচ্ছে মাস্ক। হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশক স্প্রে করে দিচ্ছেন একে অপরের হাত। জুলুসকে ঘিরে ইতিমধ্যে ব্যানার, পতাকায় ছেয়ে গেছে মুরাদপুর থেকে মাদ্রাসা পর্যন্ত পুরো এলাকা। পথে পথে দেখা গেছে তোরণ। সুললিত কণ্ঠের দরুদ, সালাম, হামদ নাতের ধ্বনিতে মুখরিত পুরো এলাকা। আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের পাশাপাশি কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবকও প্রস্তুত স্বাস্থ্যবিধি ও শৃঙ্খলা রক্ষায়।
১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় এ জুলুস হয়ে আসছে। ওই বছর নগরের বলুয়ার দীঘি খানকাহ থেকে আল্লামা তৈয়্যব শাহ (রা.) এ জুলুসের প্রচলন করেন।
গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বাংলানিউজকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও জুলুসের শৃঙ্খলা রক্ষায় আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের পাশাপাশি কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন। মুখে মাস্ক না থাকলে জুলুস বা মিলাদে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। বিনামূল্যে বিতরণের জন্য কয়েক লাখ মাস্ক রাখা হয়েছে।
জুলুস ফিরে আসলে জামেয়া মাঠে মিলাদ, জুমার নামাজ ও আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আখেরি মোনাজাতে করোনামুক্ত বিশ্বের জন্য দোয়া করা হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ কমিশনার (সিটি এসবি) মো. আবদুল ওয়ারিশ বাংলানিউজকে জানান, জুলুস উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশও রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খাঁন এমপি বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ গড়ার মাধ্যমে তাঁরা বীরের পরিচয় দিয়েছেন। এজন্য সকল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার নামের পূর্বে “বীর ” লিখতে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। একইসাথে তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বত্র রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস্, পিস ও পাকিস্তানী মুজাহিদ বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিতসহ তালিকা তৈরী করে অবিলম্বে মন্ত্রনালয়ে জমা দিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সকল ইউনিট নেতৃবৃন্দকে কাজ করতে হবে। এছাড়া এলাকা ভিত্তিক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাও তৈরী করে জমা দিলে তা পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে। প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় কোন অমুক্তিযোদ্ধা থাকতে পারবেনা। এ বিষয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী জানুষারী মাসে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন অনুষ্টানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত বিভাগীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি সভার আয়োজন করে।
শাজাহান খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্টা করা। ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জ্বতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা নস্যাৎ করার জন্য স্বাধীনতা বিরোধীরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে। এ চক্র মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। অনেকের বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন সহ্য করতে না পেরে বিএনপি-জামাতচক্র ২০১৫ সালে হরতাল-অবরোধের নামে দেশে অগ্নি সন্ত্রাস চালিয়েছে, গাড়ি জ্বালিয়ে ও মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে অগ্রিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির শত কোটি টাকার উপরে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। যারা পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করছে তারা কখনো মুসলমান জাতি হিসেবে পরিচয় দিতে পারেনা। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও জাতির পিতার স্বপ্ন্রে সোনার বাংলা বিনির্মাণে বীর মুক্তিযোদ্ধারাসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য আগামীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়ক, কার্লভাট ও সেতুর নামকরণ করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করে ২০ হাজায় উন্নীত করতে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে তা বাস্তবায়ন হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক কল্যাণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ লক্ষ্যে সরকার তাঁদের জন্য আলাদা মন্ত্রনালয় করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরকে আরো সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। ১ ডিসেম্বরকে সরকারীভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস ও ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষনা ও জয় বাংলা’কে জাতীয় ধ্বনি করার বিষয়ে মতপ্রকাশ করেন তিনি।
প্রধান বক্তা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি বলেন, ১৯৭১ সালে সেনাপতিদের প্রতিষ্টা বা কোন ধর্মীয় কারণে যুদ্ধ হয়নি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত অমুক্তিযোদ্ধা থাকার অত্যন্ত দুঃখজনক। জিয়াউর রহমানের আমলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদেন সৃষ্টি। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিলেও তার দোসরদের মধ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের কোন চেতনায় ছিলনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী গেজেটভূক্ত অনেক দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা আছেন যারা সরকারের ভাতা দিয়ে চলছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকবেন ততদিন বীর মুক্তিযোদ্ধারা গৌরবের সাথে থাকবেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা যাওয়ার পর রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘গার্ড অব অনার’ পাওয়া এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অবদান। এ অর্জন ধরে রাখতে প্রত্যেক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানদেরকে আন্তরিকভাকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে জেলা ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার একেএম সরোয়ার কামাল দুলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মোঃ ওসমান আলী ও যুগ্ম সদস্য সচিব এবিএম সুলতান আহমেদ। বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাহাবউদ্দিন, খাগড়াছড়ি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রইছ উদ্দিন, রাঙ্গামাটি কমান্ডের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, জেলা ইউনিটের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের এলএমজি, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেন, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম, মহানগরীর থানা কমান্ডের পক্ষে আকবর শাহ থানার ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূর উদ্দিন, জেলা সংসদের থানা কমান্ডের পক্ষে মিরসরাই কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশ্তী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, মহানগর কমিটির আহবায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু, যুগ্ম আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন, সদস্য সচিব কাজী মুহাম্মদ রাজীশ ইমরান প্রমূখ। সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা কমান্ডারগণ এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ‘চট্টগ্রামের দুঃখ’ বলে খ্যাত পোর্ট কানেকটিং রোড (পিসি রোড) এর ৭০ শতাংশ কাজ শেষ করতে ঠিকাদারদের সময়সীমা বেধে দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হবে বলে তিনি ঘোষণা করেন। আর তাই সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ না করলে কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভূক্ত ও গণদুশমন হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের তালিকা নগরবসাীর সামনে প্রকাশ করা হবে। তিনি আজ শুক্রবার বিকাল ৩টায় পোর্ট কানেকটিং রোডের চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে একথা বলেন। এসময় মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, জাইকার সিনিয়র প্রকৌশলী নাছির উদ্দিনসহ স্থানীয় জনগণ প্রশাসকের সাথে ছিলেন।
প্রশাসক প্রথমে পাহাড়তলী সাগরিকা রোড পোর্ট কাস্টমস একাডেমি এলাকায় প্রায় ১২০ ফিট দৈর্ঘ্যের কালভার্টের চলমান নির্মাণ কাজ প্রত্যক্ষ করেন। জাইকা ও সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে এই পিসি রোডের উন্নয়ন কাজ চলছে। তিন লটে ভাগ হওয়া এই পুরো পিসি রোডের উন্নয় কাজ করছে রানা বিল্ডার্স ও তাহের এন্ড ব্রাদার্স। প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন তাহের এন্ড ব্রাদার্সের কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ ও রানা বিল্ডার্স এর কাজের ধীর গতিতে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। যে তিন লটে চলমান উন্নয় কাজ চলছে সেই স্থানগুলো হলো নীমতলা হতে তাসফিয়া মোড়, তাসফিয়া মোড় হতে কলকা মোড়, কলকা হতে সাগরিকা। জাইকার সূত্রে জানা যায়, এই পুরা পিসি ােডের উন্নয়ণ কাজে মোট ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে এর কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বৃষ্টি না হলে নভেম্বরের মধ্যে ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হবে বলে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আশা প্রকাশ করেন।
পরিদর্শন কালে প্রশাসক সড়কটির বিভিন্ন স্পটে হেটে উন্নয়ন কাজ, বর্তমান অবস্থা প্রত্যক্ষ্য করেন ও জনগণের সাথে কথা বলেন। এই সময় নয়াবাজার বিশ্বরোড এলাকার স্থানীয় দুই বাসিন্দা মনজুরুল আলম ও মো. ইলিয়াছ দীর্ঘ ৪ বছর যাবৎ সড়কটি ভাঙা থাকায় তাদের দুর্গতির কথা প্রশাসককে জানালে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এই সড়কের কাজ একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঠিকভাবে করলেও অন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে ঢিমেতালে। তাকে সতর্ক করছি। এখন কথা না শুনলে নগরবাসীকে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলবো।
তিনি বলেন, নগরীর ৬০ লাখ অধীবাসীর দৃষ্টি এই পিসি রোডের দিকে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে আমি সবধরনের সহযোগীতা করতে প্রস্তুুত। তিনি ঠিকাদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাকে জনগণের কাঠ গড়ায় দাড় করাবেন না। পরিদর্শনকালে সড়কের বেশ কিছু স্থানে গর্ত থাকায় তা মেকাডাম দিয়ে ভরাট করে গাড়ি চলালের উপযোগী ও ধুলা উড়তে দেখে পানি ছিটাতে ঠিকাদারের লোকজনদের নির্দেশ দেন প্রশাসক। তখন সড়কে সড়কে বেশ কিছু চলমান কন্টেইনারবাহী লরী থামিয়ে চালকদের কাছে কন্টেইনার ও গাড়ির ওজন কত জানতে চান?
প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, সাময়িক দায়িত্ব পেয়েও আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি নগরীকে পরিচ্ছন্ন ও মানবিক শহরে পরিণত করতে। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর, রেলওয়ে, ইপিজেড, বিজিএমইএ, বেসরকারি রি-রোলিং স্টিল মিলসহ যারা ব্যবসার প্রয়োজনে আমাদের এই বন্দর নগরীর সড়কগুলো ব্যবহার করছেন তাদের কাছে আমি ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ চেয়েছি। যাতে নগরীর সড়কগুলো টেকসই করে নির্মাণ করতে পারি। কর্পোরেশন বেসরকারি খাতে নগরবাসীর ওপর করের বোঝা চাপাতে চায় না। সরকারি প্রতিষ্ঠান যারা নগরীর সুবিধা ভোগী তারা ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিলে নগরীর অবকাঠামোগত উন্নয়নে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে। প্রশাসক নগরীর ৬০ লাখ অধীবাসীকে সার্ভিস চার্জের বিষয়ে তার সাথে আওয়াজ তুলতে বলেন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলাধীন মানিকছড়ি তৌহিদী জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) বাদ জুমার নামাজ শেষে মানিকছড়ি রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি সড়ক দিয়ে ঘন্টা ব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানিকছড়িতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ(সঃ) এর ফ্রান্সে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু বক্কর মোল্লা।
তিনি বলেন, এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার দায়ে ফ্রান্সকে আন্তর্জাতিক আদালতে ক্ষমা চাইতে। তাই ফ্রান্স সরকারকে বলবো আগুন নিয়ে খেলা খাবেন না ওই আগুনে গোটা ফ্রান্স পুড়ে যাবে। এযাবৎ যুগে যুগে যারা আল্লাহর রাসুল (সঃ)এর সাথে বেয়াদবি করে রেহাই পায়নি। ফ্রান্সও রেহাই পাবেনা। বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি ফ্রান্স সরকার মুসলমানদের কলিজায় আঘাত করেছে তাই বাংলাদেশে ফ্রান্সের সকল পণ্য আমদানি বন্ধ
রাখতে হবে।
তৌহিদী জনতার ব্যানারে মোঃ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা খোরশেদ আলম, মাওলানা মোঃ সোয়াইব জেলা ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা ওসমান গনি, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন,আবদুল মোমেন ও নুর মোহাম্মদসহ আরো অনেকে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু বক্কর মোল্লা বলেন, এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার দায়ে ফ্রান্সকে আন্তর্জাতিক আদালতে ক্ষমা চাইতে। তাই ফ্রান্স সরকারকে বলবো আগুন নিয়ে খেলা খাবেন না ওই আগুনে গোটা ফ্রান্স পুড়ে যাবে। এযাবৎ যুগে যুগে যারা আল্লাহর রাসুল (সঃ)এর সাথে বেয়াদবি করে রেহাই পায়নি। ফ্রান্সও রেহাই পাবেনা। বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি ফ্রান্স সরকার মুসলমানদের কলিজায় আঘাত করেছে তাই বাংলাদেশে ফ্রান্সের সকল পণ্য আমদানি বন্ধ
রাখতে হবে।
এসময় বক্তারা বলেন, গত ৬ অক্টোবর ফ্রান্সের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে প্রদর্শন করায় তার নিন্দাসহ তীব্র প্রতিবাদ জানান। বাংলাদেশের সকল স্থানে ফ্রান্সের তৈরী পণ্য সামগ্রী বর্জনসহ সব কিছু বয়কট করার আহবান জানান।
বক্তারা বলেন, ফ্রান্সের সরকার রাষ্ট্রীয় ভাবে কি করে তা সমর্থন করলো তারও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ফ্রান্স সরকারের কাছে জোরদাবি দ্রুত ওই শিক্ষককে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার করা না হলে পৃথিবীর সকল মুসলমান একত্রিত হয়ে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
॥ রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবান ॥ “ মানবতার সেবায় আমরা আছি, আমরা থাকব ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বান্দরবানে স্বেচ্ছায় রক্তদানকারি সংগঠন বান্দরবান ইয়ুথ্ ব্লাড ডোনার গ্রুপের ১ যুগপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে।
৩০ অক্টোবর (শুক্রবার) সকালে এই যুগপূর্তি উপলক্ষে বান্দরবান ইয়ুথ্ ব¬াড ডোনার গ্রুপের উদ্দ্যোগে অরুন সারকী টাউন হলে এক আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্টান অনুষ্টিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এসময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বান্দরবানকে মানবতার বান্দরবানে পরিনত করা সম্ভব। করোনার এই দুঃসময়ে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বিভিন্ন মানবিক সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে সহযোগিতার মাধ্যমে মানুষের ঘরে ঘরে বিভিন্ন সাহায্য পৌঁছে দিয়ে যে নজির স্থাপন করা হয়েছে তা সারাদেশের মধ্যে অন্যতম। এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, সকলে মিলে এক সাথে যেকোন কাজ করলে অসম্ভব কাজও সম্ভব হওয়ার মাধ্যমে সফলতা আসবেই।
অনুষ্টানে এসময় বান্দরবান ইয়ুথ্ ব্ল¬াড ডোনার গ্রুপের সভাপতি আহ্সানুল আলম রুমুর সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এন এ জাকিরের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আছাদ্দুজ্জামান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সিভিল সার্জন ডাঃ অংসুই প্রু মারমা, পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের সেক্রেটারী অমল কান্তি দাশ।
অনুষ্টানের শেষ পর্যায়ে করোনাকালীন এই দু:সময়ে বান্দরবানে মানবতার হাত বাড়িয়ে মানবিক সেবামুলক বিভিন্ন কাজ করায় বিভিন্ন সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবক, ডাক্তার, পুলিশ, সাংবাদিকসহ মোট ৪০টি সম্মাননা স্বারক প্রদান করেন বান্দরবান ইয়ুথ্ ব¬াড ডোনার গ্রুপ।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে বিশাল জশনে জুলুছে বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাউছিয়া কমিটি রাঙ্গামাটি জেলার উদ্যোগে শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর রিজার্ভ বাজার জামে মসজিদের সামনে থেকে জুলুছ বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরূপা গিয়ে শেষ হয়। এসময় বিভিন্ন মসজিদ থেকে শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লী জুলুছে যোগদান করে।
জশনে জুলুছে বর্ণাঢ্য র্যালীতে রাঙ্গামাটি জেলা গাউছিয়া কমিটির আহবায়ক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, সদস্য সচিব মুহাম্মদ আবু সৈয়দ, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মহসিন রানা, গাউছিয়া কমিটির সদস্য মাওলানা শফিউল আলম আল ক্বাদেরী, হাজী মোঃ আবদুল করিম খান, হাজী মোঃ নাছির উদ্দিন, হাজী মোঃ জসীম উদ্দিন, বনরূপা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ইকবাল হোসেন আল ক্বাদেরী, রিজার্ভ বাজার জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা হাফেজ ক্বারী নঈম উদ্দিন আল ক্বাদেরী, কাঠালতলী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হাফেজ ক্বারী সেকান্দর হোসেন আল ক্বাদেরী, পুরাতন বাস স্টেশন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা জসীম উদ্দিন নুরীসহ বিভিন্ন মসজিদের ইমামগণ র্যালীতে যোগদান করেন। পরে বনরূপা জামে মসজিদে গিয়ে আলোচনা, মিলাদ কিয়াম মোনাজাত শেষে সমাপ্তি হয়।