————————–
পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক গিরিদর্পন ও সাপ্তাহিক বনভূমির সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে একুশে পদক দেয়ার দাবী জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি পৌরসভার মেয়র মোঃ আকবর হোসেন চৌধুরীসহ বিভিন্ন সূধীজন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সাংবাদিক,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ অনেকেই প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদকে একুশে পদকে ভূষিত করার দাবী জানান।
বিষয়টি নিয়ে রাঙ্গামাটি পৌরসভা মেয়র মোঃ আকবর হোসেন চৌধুরীর কাছে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক দেয়ার দাবী জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ যে আলোচনা বা দাবী উঠেছে তা আমি অবগত হয়েছি, এ দাবীর প্রতি আমি ও একমত পোষণ করছি। কারন এই মানুষটি তার লেখনির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমস্যা, সম্ভাবনা, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পাহাড়ের মানুষের কথা দেশ বিদেশের পত্র পত্রিকায় তুলে ধরেছেন। পৌরসভা মেয়র বলেন, আমরা চেয়েছিলাম পাহাড়ে এই গুণী মানুষটিকে নাগরিক সংবর্ধনা দেব, কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারনে সে বিষয়ে আর উদ্যোগ নেয়া সম্ভব হয়নি, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা তাকে পৌরবাসীর পক্ষ থেকে নাগরিক সংবর্ধনা দিতে পারব বলে আশা করছি। তিনি সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদের মত মানুষকে একুশে পদক প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, আমি বিশ^াস করি পাহাড়ের এই গুণী মানুষটির কথা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরতে পারলে অবশ্যই একেএম মকছুদ আহমেদকে সরকার মূল্যায়ন করবে। তিনি সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদের সফলতা কামনা করেন। উল্লেখ্য, পিছিয়ে থাকা পার্বত্য জনপদে সুদীর্ঘ সময় ধরে একটি সাপ্তাহিক ও একটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছেন সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদ। একই সঙ্গে পিছিয়ে থাকা এলাকা ও এলাকার জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন পাহাড়ের এই বাতিঘর এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ। পিছিয়ে পড়া জনগনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে লেখনীর মাধ্যমে ভূমিকা রাখায় এবং পার্বত্য অঞ্চলের সংবাদপত্র জগতের অবদানের জন্য রাখতে একুশে পদকের মাধ্যমে তাকে সম্মানিত করলে পাহাড়ের মানুষের পাশাপাশি দেশের মানুষও আনন্দিত হবে ও অনেকে মতামত ব্যক্ত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাহাড়ের এই মানুষটিকে একুশে পদক প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদানের বিষয়ে অনেকেই সমহত প্রকাশ করেছেন। তাদের সামান্য কয়েকজনের মতামত তুলে ধরা হলো। চট্টগ্রামের এই প্রতিতযশা সাংবাদিক মোস্তফা নঈম তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাহাড়ের এই বরপত্র এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের সম্পর্কে লিখেন পার্বত্য সাংবাদিকতা বাতিঘর মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করা হোক —— তিনি বলেন, সরকারের প্রতি একটি আহ্বান, পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার বাতিঘর, সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করুন। মকছুদ আহমদ একটি পিছিয়ে থাকা জনপদে সুদীর্ঘ সময় ধরে একটি সাপ্তাহিক ও একটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছেন। একই সঙ্গে পিছিয়ে থাকা এলাকা ও এলাকার জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এখনো করছেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানাই পার্বত্য সাংবাদিকতার প্রতিকৃত মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করে প্রান্তিক এলাকার সম্পাদককে মূল্যায়ণ করলে পুরো পার্বত্য এলাকার সাংবাদিক সমাজকে সম্মানিত করা হবে। রাঙ্গামাটি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক নন্দন দেবনাথ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদের হাত ধরে অনেক নবীন তরুন সাংবাদিক উঠে এসেছে। আমরা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী মেখ হাসিনার প্রতি দাবী জানাচ্ছি পাহাড়ে সাংবাদিক তৈরীর কারিগর প্রবীন সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদকে ভূষিত করা হোক। পাহাড়ের সর্বপ্রথম অনলাইন নিউজ সিএইচটিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক ও রাঙ্গামাটির প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এস,এম শামসুল আলম পাহাড়ের এই প্রবীন সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পক্ষে লিখে একুশে পদক প্রাপ্তির বিষয়ে সহমত প্রকাশ করে সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন। এদিকে রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার এক শিক্ষক মোহাম্মদ সাইদুল হক তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কালের কন্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা নঈম এর লেখনীতে সমর্থন করে তিনি লিখেন— এ.কে.এম মকছুদ আহমদ স্যার পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। উনাকে একুশে পদক দেয়া হোক।ইউনুস মিয়া নামে একজন তার লেখনীতে একুশে পদকের প্রাপ্তির বিষয়ে সহমত জানিয়ে বলেন, আমার সাথে মকছুুদ ভাই ও সাংবাদিক সুনীল দে’র সাথে পরিচয় সেই ১৯৮১ সালে। তাঁরা পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির আদর্শিক মানুষ। দুজনেই “কলম যোদ্ধা” হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। মকছুদ ভাইকে একুশে পদক দেয়ার আহবানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে দাবী উঠেছে তা অত্যন্ত যুক্তিসংগত এবং সময়োপযোগী আমি এই দাবীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি। সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন মন্তব্য করেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা বাতিঘর একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের গুণী ব্যক্তিকেই মূল্যায়ন করা হবে।বান্দরবান পার্বত্য জেলার তরুন উদীয়মান সাংবাদিক খগেশপতি চন্দ্র খোকন পাহাড়ের এই সংসপ্তক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পক্ষে লিখে একুশে পদক প্রদানের জন্য সহমত প্রকাশ করেন।চট্টগ্রামের একজন প্রবীন সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পক্ষে লিখে একুশে পদক প্রদানের জন্য সহমত প্রকাশ করেছেন।রাঙ্গামাটির একজন প্রবীন ব্যক্তিত্ব বোরহান উদ্দিন তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, চারন সাংবাদিক আলহাজ্ব মাকছুদ ভাইকে জাতীয় পয্যায়ে তার অবদানকে মুল্যায়ন করা উচিত।এভাবে আরো অনেকে পার্বত্য সাংবাদিকতার বাতিঘর মকছুদ আহমদকে একুশে পদক দেয়ার জন্য সহমত প্রকাশ করেছেন।পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদ ১৯৭৮ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথম সাপ্তাহিক বনভূমি ও পরে দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকা প্রকাশ করেন। তিনি পার্বত্য অঞ্চলের লেখকদের জন্য রাঙ্গামাটি প্রকাশনী নামে একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।পার্বত্য শান্তি প্রক্রিয়ায় অবদানের জন্য দক্ষিন এশিয়া সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ, ঢাকা কর্তৃক মাদার তেরেসা শান্তি পদক ও ভারতের উত্তর বঙ্গের নাট্য জগৎ পত্রিকার পক্ষ থেকে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া সাংবাদিকতসহ সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অবদানের জন্য সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদকে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ এবং চট্টগ্রামের বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকা সাঙ্গুর পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া ও এই প্রবীণ সাংবাদিককে তিন পার্বত্য জেলা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ ঢাকা থেকে ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়া ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরাও প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বিষেশ প্রতিবেদক :: পাহাড়ে সাংবাদিকতার পথিকৃত চারণ সাংবাদিক খ্যাত একেএম মকছুদ আহমেদের সাংবাদিকতায় ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাঁকে সংবর্ধনা দিচ্ছে রাঙামাটি প্রেসক্লাব। সংবর্ধনা ঘিরে বুধবার রাঙামাটি প্রেসক্লাবে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাঙামাটি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মকছুদ আহমেদের সাথে একই অনুষ্ঠানে আরো চার গুণী ব্যক্তিত্বকে সংবর্ধনা প্রদান করবে প্রেসক্লাব।
প্রস্তুতি সভায় জানানো হয়, আগামী ৫ জানুয়ারি এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের খাদ্যমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এমপি। অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলাপ্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ উর্ধতন কর্মকর্তাগণ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্সের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাঙামাটিতে কর্মরত সকল গণমাধ্যম কর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
অনুষ্ঠানে যাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে তাঁরা হলেন, প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ কে এম মকছুদ আহমেদ, প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ও কেডিএস গার্মেন্টস এর চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত পারিজাত কুসুম চাকমা (মরণোত্তর), প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ও বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মরহুম সাংবাদিক ওবায়দুল হক (মরণোত্তর) ও প্রেসক্লাবের শুভাকাক্সক্ষী, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা। রাঙামাটি প্রেসক্লাবের প্রস্তুতি সভায় সংবর্ধনা আয়োজনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ ছাড়াও ক্লাবে নবযোগদান করা ৭ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। প্রস্তুতি সভার শুরুতে রাঙামাটি প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে নবযোগদান করা সাত সদস্যকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় প্রেসক্লাবের সদস্যরা। পরে নতুন সদস্যরা তাদের পক্ষ থেকে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল। সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক এর সঞ্চালনায় এ সময় সম্ভাব্য সংবর্ধিত অতিথি একেএম মকছুদ আহমেদসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রেসক্লাবের মর্যাদার বিষয়টি মাথায় রেখে একটি সুন্দর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজনের লক্ষ্যে সকলের সহযোগীতা কমানা করেন প্রেসক্লাব সভাপতি।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য অঞ্চলের সংবাদপত্রের বাতিঘর, চারণ সাংবাদিক, দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের একুশে পদক পাওয়া এখন সময়ের দাবী। পাহাড়ের এই চারণ সাংবাদিককে একুশে পদক প্রদানের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার পাশাপাশি পাহাড়ের মানুষকে মূল্যায়ন করতে দাবী জানিয়েছেন রাঙ্গামাটির রাজণেতিক, সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। তারা দাবী করেন পার্বত্য অঞ্চলের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা উজ্জ্বল নক্ষত্র, পার্বত্য অঞ্চলে মানুষের সুখ, দুঃখ, আনন্দ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের পথ সুগম করা পত্রিকা দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে একুশে পদকে ভুষিত করলে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ পদকে ভ’ষিত হবে বলে মনে করেন।
এই অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ মানুষ সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও একুশে পদক কমিটির দিকে অধির আগ্রহে বসে আছেন এবারের ২০২১ সালের একুশে পদকে দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের নাম আসার অপেক্ষায়। পুরো পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলণ ঘটিয়ে একুশে পদকে পার্বত্য অঞ্চলের বাতিঘর চারণ সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের নাম ঘোষণার দাবী জানিয়েছেন।
এই দাবীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এশিয়ান ছিন্নমুল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা জাতীয় পার্টি, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপি, রাঙ্গামাটির ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন শিল্পী নিকুঞ্জ, খেলাঘর আসর, প্রিয় রাঙ্গামাটি, জীবন, রাঙ্গামাটি জেলা অটোরিক্স চালক কল্যাণ সমিতি, মাষ্টার হারাধন স্মৃতি ফাউন্ডেশন সহ রাঙ্গামাটির বেশ কিছু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এই দাবী জানান।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি, রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ একটি ইনিষ্টিটিউট তার হাত ধরে পাহাড়ের সাংবাদিকতার জন্ম। তার পত্রিকার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিটি সাংবাদিকের হাতে খড়ি। তিনি পার্বত্য অঞ্চলের অর্থনীতি, সামাজিক ও পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নেও সরকারের সহযোগিতা করে গেছেন দীর্ঘ বছর ধরে। এই অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা পথিকৃতকে একুশে পদকে ভুষিত করা হলে পাহাড়ের সব মানুষ সম্মানিত হবে। আমার পক্ষ থেকে জোর সুপারিশ থাকবে যাতে এবারের ২০২১ সালের যোগ্যতার ভিত্তিতে একুশে পদকে যাতে তার নাম অন্তভ’ক্ত করা হয়।
রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শাহ আলম বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ একুশে পদক পাওয়ার দাবীদার। তিনি দীর্ঘ বছর ধরে পার্বত্য অঞ্চলের সকল মানুষের সেবা করে এসেছেন লেখনীর মাধ্যমে। তিনি দলমত ও সাম্প্রদায়িকতার উর্দ্বে। তার লেখনীর মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে। অনেক মানুষ তার লেখনীতে উপকৃত হয়েছেন। তার একুমে পদক পাওয়া দাবী রাখে। তাই আমরা একুশে পদক কমিটির কাছে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করতে জোর দাবী জানাচ্ছি।
রাঙ্গামাটি জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ হারুন মাতব্বর বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের প্রবীন সাংবাদিক হিসাবে পাহাড়ের মানুষের জনপ্রিয় ব্যক্তি এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে একুশে পদকে ভ’ষিত করা মানেই পুরো পার্বত্য বাসীকে সম্মানিত করা। তিনি একজন প্রবীন কলম সৈনিক এবং সাদিকতার পথিকৃৎ, এমন একজন সম্মানিত মানুষকে সম্মাননা জানালে পাহাড়ের প্রতিটি মানুষ খুশি হবে। তিনি বলেন, পদক কমিটির কাছে পাহাড়ের এই প্রবীন সাংবাদিকের জন্য একুশে পদকে ভূষিত করার দাবী জানান।
এশিয়ান ছিন্নমুল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশনের মোঃ দুলাল মিয়া বলেন, একুশে পদকে ভূষিত করে পার্বত্য এলাকার সম্মান উজ্জল রাখতে প্রবীণ সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদ কে মনোনয়নে সম্মিলিত মানবাধিকার সমাজের প্রস্তাব প্রধান মন্ত্রী সমীপে আবেদন করছি।
মাষ্টার হারাধন স্মৃতি ফান্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক নন্দন দেবনাথ বলেন, পাহাড়ের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা যার হাত ধরে তার পত্রিকার মাধ্যমে আমার সাংবাদিকতার জন্ম। তার হাতে কমলে আমার শিক্ষা গ্রহণ। তিনি আছেন বলেই পত্রিকার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ তার অভাব অভিযোগ গুলো এখনো প্রধানমন্ত্রী সহ উচ্চ পর্যায়ে জানানো যাচ্ছে। মানুষের ভালো কাজ গুলো প্রধানমন্ত্রীর সহ বিভিন্ন সংস্থার চোখে পড়ছে। তার লেখনীর মাধ্যমে পাহাড়ের আনাচে কানাচে উন্নয়নশীল প্রতিষ্ঠান গুলো উন্নয়ন করার সুযোগ পাচ্ছে। মানুষ উপকৃত হচ্ছে। তিনি চট্টগ্রামের আজাদির ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালে স্মৃতি পদক পাওয়ার পাওয়ার পর থেকে পাহাড়ের মানুষ মনে করেছিলো একশে পদক অথবা স্বাধীনতা পদক যে কোন একটি তিনি পাবেন। দীর্ঘ বছর নতুন করে তার নাম আবারো আলোচনা আসায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি আশা করছি এবারের একুশে পদকের নাম ঘোষণা করলে তার নাম অবশ্যই অবশ্য থাকবে। কারণ পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতা জগতে একুশে পদকের জন্য একমাত্র তিনিই দাবী রাখেন।
রাঙ্গামাটির ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন শিল্পী নিকুঞ্জের সভাপতি দুলাল দাশ গুপ্ত ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব তালুকদার বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অনন্য ভ’মিকা রেখে চলেছেন পাহাড়ের সংবাদপত্রের বরপুত্র ও সাংবাদিকতার পথিকৃতৎ দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ। তিনি পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক চর্চাকে ধরে রাখতে তার পত্রিকার লেখনীর মাধ্যমে সহযোগিতা করে গেছেন। তার পত্রিকার মাধ্যমে শিল্পীরা সংস্কৃতি চর্চা করলে তার প্রকাশ করতে পারছে। এছাড়া নতুন কবি সাহিত্যিকদের লেখনীর মাধ্যমে নিজেদের সাহিত্য চর্চা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই মানুষটি তার জীবদশায় যদি একুশে পদকে ভূষিত হয় তাহলে পুরো পার্বত্য বাসী খুশি ও আনন্দিত হবে। তাই প্রধানমন্ত্রী ও একুশে পদক কমিটির কাছে চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে একুশে পদকে ভ’ষিত করতে দাবী জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক,রাঙ্গামাটি :
————————–
পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক গিরিদর্পন ও সাপ্তাহিক বনভূমির সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে একুশে পদক দেয়ার দাবী জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি পৌরসভার মেয়র মোঃ আকবর হোসেন চৌধুরীসহ বিভিন্ন সূধীজন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সাংবাদিক,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ অনেকেই প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদকে একুশে পদকে ভূষিত করার দাবী জানান।
বিষয়টি নিয়ে রাঙ্গামাটি পৌরসভা মেয়র মোঃ আকবর হোসেন চৌধুরীর কাছে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক দেয়ার দাবী জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ যে আলোচনা বা দাবী উঠেছে তা আমি অবগত হয়েছি, এ দাবীর প্রতি আমি ও একমত পোষণ করছি। কারন এই মানুষটি তার লেখনির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমস্যা, সম্ভাবনা, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পাহাড়ের মানুষের কথা দেশ বিদেশের পত্র পত্রিকায় তুলে ধরেছেন। পৌরসভা মেয়র বলেন, আমরা চেয়েছিলাম পাহাড়ে এই গুণী মানুষটিকে নাগরিক সংবর্ধনা দেব, কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারনে সে বিষয়ে আর উদ্যোগ নেয়া সম্ভব হয়নি, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা তাকে পৌরবাসীর পক্ষ থেকে নাগরিক সংবর্ধনা দিতে পারব বলে আশা করছি। তিনি সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদের মত মানুষকে একুশে পদক প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, আমি বিশ^াস করি পাহাড়ের এই গুণী মানুষটির কথা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরতে পারলে অবশ্যই একেএম মকছুদ আহমেদকে সরকার মূল্যায়ন করবে। তিনি সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদের সফলতা কামনা করেন। উল্লেখ্য, পিছিয়ে থাকা পার্বত্য জনপদে সুদীর্ঘ সময় ধরে একটি সাপ্তাহিক ও একটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছেন সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদ। একই সঙ্গে পিছিয়ে থাকা এলাকা ও এলাকার জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন পাহাড়ের এই বাতিঘর এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ। পিছিয়ে পড়া জনগনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে লেখনীর মাধ্যমে ভূমিকা রাখায় এবং পার্বত্য অঞ্চলের সংবাদপত্র জগতের অবদানের জন্য রাখতে একুশে পদকের মাধ্যমে তাকে সম্মানিত করলে পাহাড়ের মানুষের পাশাপাশি দেশের মানুষও আনন্দিত হবে ও অনেকে মতামত ব্যক্ত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাহাড়ের এই মানুষটিকে একুশে পদক প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদানের বিষয়ে অনেকেই সমহত প্রকাশ করেছেন। তাদের সামান্য কয়েকজনের মতামত তুলে ধরা হলো। চট্টগ্রামের এই প্রতিতযশা সাংবাদিক মোস্তফা নঈম তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাহাড়ের এই বরপত্র এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের সম্পর্কে লিখেন পার্বত্য সাংবাদিকতা বাতিঘর মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করা হোক —— তিনি বলেন, সরকারের প্রতি একটি আহ্বান, পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার বাতিঘর, সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করুন। মকছুদ আহমদ একটি পিছিয়ে থাকা জনপদে সুদীর্ঘ সময় ধরে একটি সাপ্তাহিক ও একটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছেন। একই সঙ্গে পিছিয়ে থাকা এলাকা ও এলাকার জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এখনো করছেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানাই পার্বত্য সাংবাদিকতার প্রতিকৃত মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করে প্রান্তিক এলাকার সম্পাদককে মূল্যায়ণ করলে পুরো পার্বত্য এলাকার সাংবাদিক সমাজকে সম্মানিত করা হবে। রাঙ্গামাটি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক নন্দন দেবনাথ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদের হাত ধরে অনেক নবীন তরুন সাংবাদিক উঠে এসেছে। আমরা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী মেখ হাসিনার প্রতি দাবী জানাচ্ছি পাহাড়ে সাংবাদিক তৈরীর কারিগর প্রবীন সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদকে ভূষিত করা হোক। পাহাড়ের সর্বপ্রথম অনলাইন নিউজ সিএইচটিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক ও রাঙ্গামাটির প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এস,এম শামসুল আলম পাহাড়ের এই প্রবীন সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পক্ষে লিখে একুশে পদক প্রাপ্তির বিষয়ে সহমত প্রকাশ করে সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন। এদিকে রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার এক শিক্ষক মোহাম্মদ সাইদুল হক তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কালের কন্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা নঈম এর লেখনীতে সমর্থন করে তিনি লিখেন— এ.কে.এম মকছুদ আহমদ স্যার পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। উনাকে একুশে পদক দেয়া হোক।ইউনুস মিয়া নামে একজন তার লেখনীতে একুশে পদকের প্রাপ্তির বিষয়ে সহমত জানিয়ে বলেন, আমার সাথে মকছুুদ ভাই ও সাংবাদিক সুনীল দে’র সাথে পরিচয় সেই ১৯৮১ সালে। তাঁরা পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির আদর্শিক মানুষ। দুজনেই “কলম যোদ্ধা” হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। মকছুদ ভাইকে একুশে পদক দেয়ার আহবানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে দাবী উঠেছে তা অত্যন্ত যুক্তিসংগত এবং সময়োপযোগী আমি এই দাবীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি। সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন মন্তব্য করেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা বাতিঘর একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের গুণী ব্যক্তিকেই মূল্যায়ন করা হবে।বান্দরবান পার্বত্য জেলার তরুন উদীয়মান সাংবাদিক খগেশপতি চন্দ্র খোকন পাহাড়ের এই সংসপ্তক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পক্ষে লিখে একুশে পদক প্রদানের জন্য সহমত প্রকাশ করেন।চট্টগ্রামের একজন প্রবীন সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পক্ষে লিখে একুশে পদক প্রদানের জন্য সহমত প্রকাশ করেছেন।রাঙ্গামাটির একজন প্রবীন ব্যক্তিত্ব বোরহান উদ্দিন তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, চারন সাংবাদিক আলহাজ্ব মাকছুদ ভাইকে জাতীয় পয্যায়ে তার অবদানকে মুল্যায়ন করা উচিত।এভাবে আরো অনেকে পার্বত্য সাংবাদিকতার বাতিঘর মকছুদ আহমদকে একুশে পদক দেয়ার জন্য সহমত প্রকাশ করেছেন।পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদ ১৯৭৮ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথম সাপ্তাহিক বনভূমি ও পরে দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকা প্রকাশ করেন। তিনি পার্বত্য অঞ্চলের লেখকদের জন্য রাঙ্গামাটি প্রকাশনী নামে একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।পার্বত্য শান্তি প্রক্রিয়ায় অবদানের জন্য দক্ষিন এশিয়া সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ, ঢাকা কর্তৃক মাদার তেরেসা শান্তি পদক ও ভারতের উত্তর বঙ্গের নাট্য জগৎ পত্রিকার পক্ষ থেকে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া সাংবাদিকতসহ সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অবদানের জন্য সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদকে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ এবং চট্টগ্রামের বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকা সাঙ্গুর পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া ও এই প্রবীণ সাংবাদিককে তিন পার্বত্য জেলা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ ঢাকা থেকে ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়া ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরাও প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
প্রতি বছর কুরবানির পর বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বা টেলিভিশনে জবেহকৃত পশুর বর্জ্য দূর্গন্ধে জনসাধারণ এর চলা চল বিঘ্নিত হচ্ছে এমন খবর পাওয়া যায়। গ্রাম অঞ্চলে এই সমাস্যাটা কম হলেও শহরে বেশি লক্ষ করা যায়। .কুরবানির পশু জবাইয়ের পর সেই বর্জ্য পরিস্কার করা সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বর্জ্য পরিস্কার তো দুরের কথা বরং আমরা যত্রতত্র পশু কুরবানি করে থাকি। পশু জবাইয়ের পর বর্জ্য পরিস্কার না করে যদি খোলা যায়গায় ফেলে রাখি তবে তা মনবদেহ এবং পরিবেশের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর কারণ হতে পারে।পশুর রক্ত, মাংস বানানোর পরে উচ্ছিষ্ট, বর্জ্য রাস্তায় পড়ে থাকলে তা পচেঁ বাতাসের সাথে ছড়িয়ে পড়ে।এবং তাতে জন্ম নিতে পারে নিভিন্ন রকম ভাইরাস। আর এই পচাঁ বর্জ্য হতে সৃষ্ট ভাইরাস আমাদের জন্য মারাত্নক স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে পারে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি। তাই কোরবানি করার পরবর্তী সময়ে আপনাকে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং সচেতন থাকতে হবে। আসুন কোরবানির আগে ও পরে অবশ্যই করণীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নেই। স্থান নির্দিষ্ট করণ শহর অথবা গ্রাম যেখানেই হোক না কেন নির্দিষ্ট স্থানে একেকটা পাড়া বা মহাল্লা কুরবানির আয়োজন করার উদ্দ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানি করলে সকল বর্জ্য একত্র করে অপসরণে সুবিধা হবে।গ্রামে নির্দিষ্ট স্থান পাওয়া গেলেও শহরে পাওয়াটা প্রায় মুশকিল হয়ে যায়।তবুও সিটি কর্পোরেশন অথবা পৌরসভা কর্তৃক নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানির পশু জাবাই করার চেষ্টা করতে হবে। জবেহ করার ধারালো যন্ত্রপাতি সাবধানে রাখা কুরবানির পুশু জবাই এবং মাংস কাটার জন্য অতি ধারালো দা,বটি চাকু ইত্যাদি যন্ত্রপাতি ব্যাবহার করা হয়।যা একটু অসাবধানতার কারণে রড় ধরনের বিপদ হতে পারে।বিশেষ করে বাড়ির ছোট বাচ্চাদের নাগালের বাহিরে ধারালো অস্র গুলো রাখার ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরিত্যক্ত জায়গায় বর্জ্য রাখার গর্ত খনন এজন্য কোরবানির আগেই বাড়ির পাশে কোনো মাঠে কিংবা পরিত্যক্ত জায়গায় একটা গর্ত তৈরি করে রাখা যেতে পারে, কোরবানির পর সকল পরিত্যক্ত বর্জ্য সেখানে ফেলে মাটিচাপা দিতে হবে। তবে শহরাঞ্চলে গর্ত খুঁড়ার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যাতে পানি ও গ্যাসের পাইপ, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের তার ইত্যাদি কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করার একটি উপায় হলো, গ্রামাঞ্চলের লোকেরা কয়েকজন একত্রে কোরবানি করা ও কোরবানির বর্জ্য মাটির নিচে পুতে রাখা, যা পরবর্তী বছর কোরবানির আগেই উঠিয়ে জৈব সার হিসেবে শষ্যক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। পর্যাপ্ত পানি এবং জীবাণুনাশক এর ব্যাবস্থা রাখা কুরবানির পশু জবাইয়ের পর রক্তে মাখা রাস্তাঘাট ধুয়ে এবং জীবাণু পরিস্কার করার জন্য কুরবানিদাতাকে পর্যাপ্ত পানি ও ব্লিচিং পাউডার ও জীবাণুনাশক এর ব্যাবস্থা করে রাখতে হবে। সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুফল ও অব্যবস্থাপনার কুফল সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করা সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুফল ও অব্যবস্থাপনার কুফল সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৌরির কাজ কুরবানির আগেই করতে হবে।এই ক্ষেত্রে সরকাররের পাশা পাশি সকল মসজিদের খতিবদের এগিয়ে আসতে হবে।ইদের আগে শুক্রবার বা অন্য কোন নামাজের পর ইমাম এই বিষয়ে জনসচেতনতা মূলক বক্তব্য দিতে পারেন।তাহলে সাধারণ মানুষ অনেকটা সচেতন হবে বলে অাশা করি। কুরবানির পর করণীয় সমূহ বর্জ্য অপসারণ কোরবানির ক্ষেত্রে পশু জবেহ শেষে তার রক্ত ও শরীরের যাবতীয় উচ্ছিষ্ট যথাযথভাবে অপসারণ করা জরুরী। যারা শহরে থাকেন তারা বিচ্ছিন্ন স্থানে কোরবানি না দিয়ে কয়েকজন মিলে এক স্থানে কোরবানি করতে পারলে ভালো। এতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাজ করতে সুবিধা হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, কোরবানির জায়গাটি যেন খোলামেলা হয়।গরু জবাইয়ের গর্তটি মাটি দিয়ে ঢেকে দিন। গর্তের মধ্যে কিছু চুন বা ব্লিচিং পাউডার বা জীবাণুনাশক পদার্থ দেয়া যেতে পারে। যেসব এলাকায় গর্ত খুঁড়ার উপযুক্ত জায়গা নেই সেসব এলাকার বর্জ্য প্রচলিত উপায়ে অপসারনের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারেআর আশেপাশে যদি কোনো বর্জ্য থাকে তাহলে তা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া রক্তপানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নাড়িভুঁড়ির উচ্ছিষ্ট পশুর দেহ থেকে নাড়িভুঁড়ির উচ্ছিষ্ট (অর্ধহজমযুক্ত খাদ্য/গোঘাষি) ইত্যাদি যেখানে সেখানে ফেলে দিলে তা পচে জনসাধারণের চলাচল বিঘ্নিত হবে। এবং মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়াবে এবং পরিবেশ দূষিত হয়ে বিভিন্ন রোগ ছড়াবে। তাই যথাযথ স্থানে এই বর্জ্য গুলো ফেলতে হবে। গরম পানি যে স্থানটিতে পশু জবায় করবেন ওই স্থানটি সম্ভব হলে গরম পানি ঢেলে পরিষ্কার করতে পারেন। অথবা ঠান্ডা পানি হলেও চলবে। তবে পানি দিয়ে স্থানটি পরিষ্কার করার পর অবশ্যই ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে দূর্গন্ধ ছড়াবে না এবং জীবনুমুক্ত হবে। সিটি করপোরেশন গুরুর জবাই ও মাংস বানানোর কাজ শেষ হলে বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য নিজ নিজ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের সাথে যোগায়োগ করতে পারেন। তারা আপনাকে সহযোগিতা করবেন। সেভলন বা হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যাবহার করোনার দূর্যোগে মানুষের জীবন বিপ্রর্যস্ত। এমন সংকটকালীন সময়ে এবারের কুরবানির ইদ।তাই জীবাণু থেকে নিরাপদ থাকতে বর্জ্য পরিষ্কারের পরে যে কাজটি করতে হবে সেটি হোল আপনার হাত, পা ও সারা শরীর ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। পরিস্কারের জন্য সবান, হ্যান্ডস্যানিটাইজার অথবা সেভলন ব্যবহার করতে পারেন। সর্বোপরি কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি নিতে হবে ব্যক্তিগত উদ্যোগ। সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্বশীল আচরণ ও দায়বোধই নগরকে পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য করতে পারে।
লেখক: আব্দুর রউফ
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
01773769415
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার বাতিঘর পাহাড়ের সংবাদপত্র জগতের বরপুত্র দৈনিক গিরিদর্পন ও সাপ্তাহিক বনভূমির সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে একুশে পদক দেয়ার দাবী উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাহাড়ের এই মানুষটির অবদানের কথা উল্লেখ করে কালের কন্ঠের ষ্টাফ রিপোর্টর চট্টগ্রাম ব্যুারোর দায়িত্বেরত মোস্তফা নঈম এই দাবী জানান। তিনি দাবী করেন পিছিয়ে পড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উত্থান, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সহ বিভিন্ন সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে পাহাড়ের মানুষের কথা দেশ বিদেশের পত্র পত্রিকায় তুলে ধরেছেন এই মহান মানুষটি।
পিছিয়ে থাকা জনপদে সুদীর্ঘ সময় ধরে একটি সাপ্তাহিক ও একটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছেন। একই সঙ্গে পিছিয়ে থাকা এলাকা ও এলাকার জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন পাহাড়ের এই বাতিঘর এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ। পিছিয়ে পড়া জনগনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে লেখনীর মাধ্যমে ভূমিকা রাখায় এবং পার্বত্য অঞ্চলের সংবাদপত্র জগতের অবদানের জন্য রাখতে একুশে পদকের মাধ্যমে তাকে সম্মানিত করলে পাহাড়ের মানুষের পাশাপাশি দেশের মানুষও আনন্দিত হবে।
চট্টগ্রামের এই প্রতিতযশা সাংবাদিক মোস্তফা নঈম তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাহাড়ের এই বরপত্র এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের সম্পর্কে লিখেন পার্বত্য সাংবাদিকতা বাতিঘর মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করা হোক ——
সরকারের প্রতি একটি আহ্বান, পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার বাতিঘর, সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করুন। মকছুদ আহমদ একটি পিছিয়ে থাকা জনপদে সুদীর্ঘ সময় ধরে একটি সাপ্তাহিক ও একটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছেন। একই সঙ্গে পিছিয়ে থাকা এলাকা ও এলাকার জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এখনো করছেন। মকছুদ আহমদ সম্পর্কে এতো ছোট পরিসরে সব কিছু লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানাই পার্বত্য সাংবাদিকতার প্রতিকৃত মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করে প্রান্তিক এলাকার সম্পাদকের পুরস্কৃত করলে পুরো পার্বত্য এলাকার সাংবাদিক সমাজকে সম্মানিত করা হবে।
৭৬ তম জন্মদিনে মকছুদ ভাইয়ের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করছি।
এদিকে রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার এক শিক্ষক মোহাম্মদ সাইদুল হক তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কালের কন্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা নঈম এর লেখনীতে সমর্থন করে তিনি লিখেন—
এ.কে.এম মকছুদ আহমদ স্যার পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। উনাকে একুশে পদক দেয়া হোক।—-মোহাম্মদ সাইদুল হক
সাংবাদিকতায় সত্য কথা বলতে অনেকেই ভয় পায়, কিন্তু মকছুদ স্যার ভয় পাননি। সাহসিকতার পাশাপাশি তাঁর সাংবাদিকতায় মানবিক মূল্যবোধও ফুটে উঠেছে। তাই তিনি আমাদের চোখে এক অনুকরণীয় সাংবাদিক।
এবার উনার ৭৬ তম জন্মদিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বরেণ্য লেখক,সাংবাদিক,শিক্ষক বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তন্মধ্যে কালের কন্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক মোস্তফা নাঈম বলেছেন, “পার্বত্য সাংবাদিকতার বাতিঘর মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করা হোক।
সরকারের প্রতি একটি আহ্বান, পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার বাতিঘর, সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরি দর্পণ পত্রিকার সম্পাদক মকছুদ আহমদ কে একুশে পদক প্রদান করুন। মকছুদ আহমদ একটি পিছিয়ে থাকা জনপদে সুদীর্ঘ সময় ধরে একটি সাপ্তাহিক ও একটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছেন। একই সঙ্গে পিছিয়ে থাকা এলাকা ও এলাকার জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এখনো করছেন। মকছুদ আহমদ সম্পর্কে এতো ছোট পরিসরে সব কিছু লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানাই পার্বত্য সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করে প্রান্তিক এলাকার সম্পাদকের পুরস্কৃত করলে পুরো পার্বত্য এলাকার সাংবাদিক সমাজকে সম্মানিত করা হবে।
৭৬ তম জন্মদিনে মকছুদ ভাইয়ের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করছি।”
মোস্তফা নাঈম সাহেবের উপরিউক্ত স্ট্যাটাসে ইউনুস মিয়া নামের একজন কমেন্ট করে বলেছেন
“সহমত।
আমার সাথে মাকসুদ ভাই ও সনীল দে’র সাথে পরিচয় সেই ১৯৮১ সালে। তাঁরা পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির আদর্শিক মানুষ। দুজনেই “কলম যোদ্ধা” হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তবে সুনীল ভাই এখনো বেঁচে আছেন কিনা(?),তা জানিনা।
মাকসুদ ভাইকে নিয়ে এ স্ট্যাটাস দেয়ার জন্য মোস্তফা নঈম ভাই আপনাকে ধন্যবাদ।”
বোরহান উদ্দিন নামের এক ব্যাক্তি বলেছেন “চারন সাংবাদিক আলহাজ্ব মাকছুদ ভাইকে জাতীয় পর্যায়ে তার অবদানকে মুল্ল্যায়ন করা উচিত, শুভ কামনা রইল শুভ জন্মদিনে, আল্লাহ মাকছুদ ভাইকে হায়াতে তৈয়বা দান করুন, আমিন।”
এভাবে আরো অনেকে পার্বত্য সাংবাদিকতার বাতিঘর মকছুদ আহমদকে একুশে পদক দেয়ার জন্য সহমত প্রকাশ করেছেন।
১৯৪৫ সালের ১০ জুলাই চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলায় উত্তর মগাদিয়া গ্রামে মৃতঃ জামাল উল্লাহ, জমিলা খাতুনের কোল জুড়ে আসে এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ।
বাল্যকাল সহ শৈশব কাল মীরসরাইয়ে কাঠলেও এস,এসসি পাশ করার পর তিনি চলে আসেন পার্বত্য চট্টগ্রামে। এর পর থেকে শুরু হয় তার পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে ও কাজ করা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার গুরু, সাংবাদিকদের পথ প্রদর্শক, সাংবাদিকদের ইনিষ্টিটিউট ও সংবাদপত্রের পথিকৃৎ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে না আসলে হয়তো পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতা অনেক পিছিয়ে থাকতো। এই মহান ব্যক্তির হাত ধরে জন্ম নিয়েছে তিন পার্বত্য জেলা, চট্টগ্রাম ও ঢাকার অসংখ্য সংবাদ কর্মী আজ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে।
মহান এই মানুষটি দীর্ঘ সাংবাদিকতার জীবনে কিছু না পেলেও তার হাত ধরে উঠে এসেছে শত শত সংবাদকর্মী। তার অর্জনের মধ্যে রয়েছে পার্বত্য অঞ্চলের সর্বপ্রথম দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক গিরিদর্পণ। তাঁর এই ৭৬ তম জন্ম দিনে রাঙ্গামাটির সর্বস্তরের মানুষ গতকাল থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
পাহাড়ের সংবাদপত্রের জনক, চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের সাংবাদিকতার ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। স্বাধীনতার আগে ১৯৬৯ সালের নভেম্বর মাসেই তিনি দৈনিক আজাদী পত্রিকার মাধ্যমে তার সাংবাদিকতা শুরু করেন। দীর্ঘ ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে, অনেকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে, শতশত মৃত্যুর হুমকীকে তোয়াক্কা না করে এগিয়ে গেছেন পাহাড়ের মানুষের অভাব অভিযোগ তুলে ধরতে। পায়ে হেটে হেটে এই পাহাড় থেকে ঐ পাহাড়ে ছুটে ছুটে পাহাড়ের মানুষের কথা দেশবাসীকে জানিয়েছেন। এই মহান সাংবাদিকের পেশাকে তিনি নিজের করে নিয়ে একে একে প্রকাশ করেছেন সাপ্তাহিক বনভূমি ও পার্বত্য অঞ্চলের সর্বপ্রথমক দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক গিরিদর্পণ।
সংবাদপত্র জগতে তিনি পার্বত্য তিন জেলা, চট্টগ্রাম, সহ বিভিন্ন অঞ্চলের অসংখ্য বেকার যুবককে দৈনিক গিরিদর্পন ও সাপ্তাহিক বনভ’মির মাধ্যমে সাংবাদিক বানিয়েছেন। অনেকে জন আজ স্বীকার করলেও অনেকে আজ বড় বড় পত্রিকার মালিক হয়ে এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে চিনেন না এবং পত্রিকার মালিক হয়ে এই চারণ সাংবাদিকের সাথে প্রতিযোগিতা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ তার সাংবাদিকতা জীবনে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের অভাব অভিযোগ গুলো যেমন তুলে ধরেছেন তেমনি অসংখ্য অসহায় মানুষের তিনি সুখে দুঃখে পাশে দাড়িয়েছেন। অসংখ্য শিক্ষার্থীকে তিনি বই সহ বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া চাকুরী দিয়েছেন বেশ কিছু শিক্ষিত বেকার যুবককে।
এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পিতার নাম মৃতঃ জামাল উল্লাহ, মাতার নাম জমিলা খাতুন। তিনি ১৯৪৫ সালের ১০ জুলাই চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলায় উত্তর মগাদিয়া পোষ্ট- মলিয়াইশ জন্ম গ্রহণ করেন।
বর্তমান ঠিকানা ঃ- দৈনিক গিরিদর্পণ, জেল রোড, তবলছড়ি রাঙ্গামাটি। বাসাঃ- গুর্খা কটেজ, জেল রোড, রাঙ্গামাটি। ০৩৫১-৬১৬৩৩। মোবাইল-০১৮২০৩৩২১২০/ ০১৫৫০৬০৯৩৪২।
শিক্ষাগত যোগ্যতা ঃ- ম্যাট্রিক- ১৯৬২ (আবু তোরাব হাই স্কুল), (মলিয়াইশ জুনিয়ার হাই স্কুল, মিঠানালা হাইস্কুল, দুর্গাপুর হাই স্কুল) আই, এ শিক্ষক প্রাইভেট ১৯৬৮ ইং (রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজ), পিআইবিতে সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক, দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক সহ অসংখ্যবার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।
রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসার পর তৎকালীন জেলা স্কুল পরিদর্শক জনাব আলী আহমেদ দ্বারা ১৯৬৬ সনের নভেম্বরে কাউখালী উপজেলার কলমপতির বেতছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে চাকুরী করেন। পরে ১৯৬৮ সনে লংগদু থানার সোনাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এবং ১৯৬৯ সনের নভেম্বর পর্যন্ত বরকল থানার গোরস্থান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তৎকালীন সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন।
ঐ সময় তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম রাঙ্গাামাটি, কাউখালীর কলমপতি, লংগদু, রামগড় এবং চট্টগ্রামের মীরসরাই, ও রাঙ্গুনিয়া, ফেনী, কুমিল্ল¬ার অন্তত পক্ষে দেড় হাজারেরও অধীক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে নিয়োগ প্রদানে সহযোগিতা করে তাদের পরিবারের ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করেছেন এদের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে চাকুরীরত আছেন এবং অনেকেই অবসর গ্রহণ করে সুন্দর জীবন যাপন করছেন।
সর্বশেষ কর্মরত প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা- পদবী ঃ-
সম্পাদক প্রকাশকঃ- বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সর্বপ্রথম ও তৎকালীন একমাত্র সংবাদপত্র সাপ্তাহিক বনভূমি (১৯৭৮ ইং) দৈনিক গিরিদর্পণ (১৯৮৩ ইং) বর্তমানে তিন পার্বত্য জেলার সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক সংবাদপত্র যার বয়স বর্তামনে ৩৩ বছর পূর্ণ করে ৩৪ শে পা রেখেছে।
১৯৬৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রামস্থ দৈনিক আজাদীর রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি হিসাবে সাংবাদিকতা জীবনের শুরু হয়। ১৯৭৩ দৈনিক জনপদ জেলা সংবাদদাতা, ১৯৭৪ দৈনিক পূর্বদেশ, বার্তা সংস্থা এনাতে, ১৯৭৪-৭৭ এবং ১৯৭৯-৮৬ বাসসে কর্মরত ছিলাম, ১৯৭৬ সন থেকে ২০০৮ সালের ফেব্র“য়ারী পর্যন্ত ইত্তেফাকের রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ইত্তেফাক (১৯৭৮ ইং থেকে) বর্তমানে জেলা প্রতিনিধি ইত্তেফাক। ১৯৮৬-৮৯ পর্যন্ত ইত্তেফাক সংবাদদাতার পাশাপাশি নিউ নেশন এর জেলা সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করেছিলেন। ১৯৯২-৯৩ দি টেলিগ্রাফ পত্রিকায়, সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ থেকে জানুয়ারী ২০০১ পর্যন্ত দি ডেইলী ইন্ডিপেনডেন্ট এর রাঙ্গামাটি জেলা সংবাদদাতা এবং ১৯৮৩-১৯৯৮ ইং পর্যন্ত বিবিসির জন্য কাজ করেছিলেন। চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিশ্বের নিকট পরিচিত করে তুলতে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন।
জেলা সংবাদদাতা- জেলা সংবাদদাতা বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম ১৯৯৫ সাল হতে ও রাঙ্গামাটি কেন্দ্রে ২০০৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ বেতার রাঙ্গামাটি বার্তা বিভাগের জেলা সংবাদদাতা হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিঃ এর ২০১৪ সাল পর্যন্ত কর্মরত এবং জুন ২০০৫ থেকে নিউ নেশানের ২০০৮ পর্যন্ত জেলা সংবাদদাতা হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
প্রকাশক ঃ- চাক্মা-মারমা কথোপকথন (জুভাপদ) (১৯৭৭), নোয়ারাম চাক্মা প্রণীত গোজেন লামা (১৯৭৭), পরিবার পরিকল্পনা প্রাথমিক গান (১৯৭৭) অধীর কান্তি বড়–য়া প্রণীত প্রাথমিক বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষা, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম (শ্রেণীর পাঠ্য) হাবিবুর রহমান মজুমদারের রাঙ্গামাটির ভাবনা (কবিতার বই), নন্দলাল শর্মার পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা। সৈয়দ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদের শিক্ষা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, করমালী। এডভোকেট প্রতিম রায় পাম্পুর পার্বত্য আইন তত্ত্বেও প্রয়োগে। ত্রিপুরা ভাষার বর্ণমালা- মহেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (২০০২), আকাশে হেলান দিয়ে- নন্দলাল শর্মা (২০০৩)। পরিবেশক জেলা প্রশাসক কর্তৃক সম্পাদিত রাঙ্গামাটি বৈচিত্রের ঐকতান (২০০৫)। স্বত্বাধিকারী রাঙ্গামাটি প্রকাশনী।
সম্মাননা ও পদক ঃ- মুক্তিযুদ্ধের বিজয় রজত জয়ন্তী, রাঙ্গামাটি রোটার্যাক্ট ক্লাব ও চট্টগ্রাম ডাউন টাউন (১৯৯৫), পরিবার পরিকল্পনা প্রচার সপ্তাহ এফপিএবি (১৯৯৫), সুধীজন ও গুনীজন সংবর্ধনা খেলাঘর আসর (১৯৯৬), ফুলকঁড়ির আসর ১৯৯৯, শিল্পী নিকুঞ্জ- সাংবাদিকতায় অবদান- ২০০১, ১৯৯০ সনে “আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনষ্টিটিউট এর পৃথিবীর পাঁচ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব নামক” বইতে জীবন বৃত্তান্ত স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশ প্রেস ইনষ্টিটিউট এর সাংবাদিক অভিধানে জীবন বৃত্তান্ত যোগ করা হয়েছে।
চারণ সাংবাদিক হিসেবে সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মরহুম আব্দুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার স্মৃতি পদক ২০০৩ লাভ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব সংবর্ধনা ও সম্মাননাা প্রদান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাঙ্গামাটি জেলা কর্তৃক সম্মাননা প্রদান, বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি রাঙ্গামাটি পার্বত্য শাখা কর্তৃক সম্মাননা, শিল্পী নিকুঞ্জ কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা ২০০৪ এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য রিজার্ভ বাজার ক্রীড়া একাডেমীর সম্মাননা ২০০৪, ২০০৩-২০০৪ ইং বর্ষে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩২৮০ কর্তৃক রোটারী ক্লাব অব রাঙ্গামাটির প্রেসিডেন্ট হিসাবে পুরস্কার লাভ। বান্দরবান প্রেসক্লাব কর্তৃক সম্মাননা প্রদান, ২০০৪, কাপ্তাই রাঙ্গুনিয়া সাংবাদিক ফোরাম কর্তৃক স্বর্ণ পদক, ২০০৪, স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি বাংলাদেশ কর্তৃক চট্টগ্রামে আব্দুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার মৃত্যু বার্ষিকীতে ২০০৪ সনে সম্মাননা লাভ। পত্রিকায় সেনিটেশন বিষয়ে কভারেজ দেওয়ার প্রেক্ষিতে সম্মাননা প্রদান, ২০০৫, রাঙ্গামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান, ১২ মে ২০০৫, স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি বাংলাদেশ কর্তৃক চট্টগ্রামে আব্দুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার মৃত্যু বার্ষিকীতে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্রের বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা প্রদান, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৫, পার্বত্য চট্টগ্রামে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ফুটন্ত ফুলের আসরের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান, ২৪ অক্টোবর ২০০৫, ৬০ বৎসর পূর্তিতে রিজার্ভ বাজার ক্রীড়া একডেমীর পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদানের জন্য বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিশ্ব প্রেস কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান, ১০ ডিসেম্বর ২০০৫, ২৮ জানুয়ারী’ ০৬ ইং মীরসরাই সমিতি চট্টগ্রাম কর্তৃক সম্মাননা প্রদান। ২০ নভেম্বর ২০০৯ ফরিদপুরের নির্ণয় শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য স্বর্ণপদক ও সম্মাননা প্রদান। ২০১০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য দক্ষিণ এশিয়া সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ কর্তৃক মাদার তেরেসা শান্তি পদক লাভ। ২০১২ সালে দৈনিক আজাদীর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাঙ্গামাটির অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। ২০১২ সালে ভারতের উত্তরবঙ্গ নাট্য জগত পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দুই বাংলার সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য পদক। ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের রাঙ্গামাটি জেলা সম্মেলনে মানবাধিকার ও সাংবাদিকতার জন্য বিশেষ সম্মানান পুরস্কারে ভূর্ষিত করা হয়। সম্মাননা-২০১৪ সালে পরিবেশ ও মানবাধিকার উন্নয়ন সোসাইটি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৫০ তম বর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠানে বিশেস অবদানের জন্য পদকে ভূষিত হয়েছেন। ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাকিতায় অবদানের জন্য গুনীজন সম্মাননা প্রদান। গত ২০ মে ২০১৬ সালে দৈনিক রাঙ্গামাটির পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান। ৫ই এপ্রিল ২০১৯ মিরসরাইয়ে খবরিকা পত্রিকার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আন্তর্জাতিক কবি সমাবেশ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননা প্রদান। ৬ এপ্রিল ২০১৯ সালে হাজী আব্দুল বারী মাতব্বর ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কর্তৃক ক্রড়িা উন্নয়নে অবদানের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
১৬ই এপ্রিল প্রয়াস এর উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ অলিম্পিয়ার্ডের গুনিজন সংবর্ধনায় পাহাড়ের প্রথম সাংবাদিকতা ও জনস্বার্থে অবদান রাখায় সম্মাননা প্রদান। ১৬ এপ্রিল বাংলা নববর্স উদ্্যাপন পরিষদ ১৪২৬ মাঝেরবস্তি তবলছড়ি রাঙ্গামাটি কর্তৃক আলোকিত রাঙ্গামাটি কর্তৃক সম্মমানা প্রদান। ১৯ এপ্রিল ২০১৯ রাঙ্গামাটি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মানবাধিখার সম্মেলনে মানবাধিকার কর্মকান্ডে বিশেষ অবদানের জন্য দুটি সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। ৩ মে ২০১৯ রাঙ্গামাটিতে চ্যানেল আই এর অফিস উদ্বোধন ও অনলাইন পাহাড়ের আলোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতার গুরুত্বপুর্ণ অবদানের জন্য বিশেস সম্মাননা প্রদান।
২৩ জুন ২০১৯ ওয়াল্ড পীস এন্ড হিউম্যান রাইটস্্ সোসাইটি রাঙ্গামাটি এর উদ্যোগে গুনীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সম্মানা প্রদান করা হয়। ৩০ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটির অনলাইন সিএইচটি নিউজের ৬ষ্ঠ বর্ষ পূর্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাংবাদিকতায় বিশেষ ভ’মিকা রাখায় সম্মাননা প্রদান। ১ জানুয়ারী ২০২০ রাঙ্গামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুর্ণর্বাসন কেন্দ্রের উদ্যোগে বই বিতরণ ও গুনীজন সংবর্ধনায় সাংবাদিকতায় ৫০ বছর পূর্তিতে সম্মননা প্রদান করা হয়। ২৪ জানুয়ারী ২০২০ রাঙ্গামাটি চারুকলা একাডেমীতে সিএইচটি মিডিয়া ২৪ ডট কম এর ৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে গুনীজন সম্মানা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতায় ৫০ বছর পূর্তিতে বিশেস সম্মাননা প্রদান করা হয়।
আজীবন সদস্য ঃ- বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি, (এফপিএবি) এবং দুইবার সহ-সভাপতি এবং একবার সভাপতি এফপিএবি, পার্বত্য জেলা শাখা। সমাজ কল্যাণ বিভাগের অপরাধ দমন কমিটি, দাতা সদস্য ঃ- রাঙ্গামাটি সাধারণ পাঠাগার, শহীদ আব্দুল আলী একাডেমী। আজীবন সদস্য ও রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সদস্য, রাঙ্গামাটি ডায়াবেটিক হাসপাতাল। সহ-সভাপতি নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ কমিটি, সহ-সভাপতি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রাঙ্গামাটি জেলা শাখা, কেন্দ্রীয় কবরস্থান পরিচালনা কমিটি, সহ-সভাপতি জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ কমিটি (নাটাব), রাঙ্গামাটি জেলা শাখা। সভাপতি রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব (২৫ বৎসর), সভাপতি বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা রাঙ্গামাটি জেলা শাখা। সভাপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল সংবাদপত্র পরিষদ। সভাপতি-রিজার্ভ বাজার ক্রীড়া একাডেমী, সদস্য বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ। প্রতিষ্ঠাতা ভাইস প্রেসিডেন্ট রোটারী ক্লাব অব রাঙ্গামাটি এবং প্রেসিডেন্ট ২০০৩-০৪, ২০০৭-২০০৮, সর্বোচ্চ পরিষদ সদস্য- জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা বাংলাদেশ, কেন্দ্রীয় সদস্য বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। অপরাধী সংশোধনী ও পুনর্বাসন সমিতি রাঙ্গামাটির সদস্য। ৫ বৎসরের জন্য রাঙ্গামাটি জেলা রোভার স্কাউটস্ কমিশনার, সহ-সভাপতি রাঙ্গামাটি জেলা রোভার স্কাউটস। বেসরকারী কারা পরিদর্শক সদস্য। সভাপতি পরিবেশ ও মানবাধিকার উন্নয়ন সোসাইটি, রাঙ্গামাটি জেলা শাখা। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি, রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি হিসাবে দায়িত্বরত আছে।
সাবেক সভাপতি ঃ- রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসাবে ২৪ বছর দায়িত্ব পালন, বাংলাদেশ গ্রামীন সংবাদপত্র পরিষদ ও জাতীয় সংবাদপত্র পরিষদ, সদস্য ইন্টারন্যাশনাল বায়োগ্রাফিক্যাল ইনিষ্টিটিউট। সদস্য এ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল, সাবেক সদস্য ইন্টারন্যাশনাল আর্গানাইজেশন অব জার্নালিষ্ট (আই ও জে), এ্যামিক-সিঙ্গাপুর, রিপোটার্স সান্সফ্রন্টিয়ার্স-ফ্রান্স।
প্রধান উপদেষ্টা- রাঙ্গামাটি বেবী টেক্সী চালক কল্যান সমিতি, উপদেষ্ঠা-আবাহনী ক্রীড়া চক্র- রাঙ্গামাটি, রিজার্ভ বাজার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতি ও বেবী টেক্সী মালিক সমিতি, মানব কল্যান পরিষদ, পার্বত্য কাঠ ব্যবসায়ী কল্যান সমিতি ও উপদেষ্ঠা, এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন, ঢাকা, রাঙ্গামাটি ডায়বেটিক সমিতি, উপদেষ্ঠা, শাপলা নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, রাঙ্গামাটি, উপদেষ্ঠা রাখাইন ত্রিপুরা (আরটি) প্রকাশনা সংস্থা মহালছড়ি, উপদেষ্ঠা মাইজভারী গাউসিয়া হক রাঙ্গামাটি বাংলাদেশ কমিটির উপদেষ্ঠা।
১৯৭৭ সন থেকে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সভাপতি ছাড়াও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জাতীয় শান্তি ও সমন্বয় পরিষদ এর সহ সভাপতি হিসেবে এবং এছাড়া এ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশেনালের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় বিভিন্ন মানবাধিকার কাজের সঙ্গে জড়িত থেকে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখা হয়েছে।
মানবাধিকারের বিষয় ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার পরিবেশ ও বন রক্ষা, বন্য হাতির আবাসস্থল নিরাপদ রাখতে এবং কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং ও দূষণ প্রতিরোধে বিভিন্ন পর্যায়ে অবদান রেখেছেন।
॥ আলহাজ্ব এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ ॥ দেশের করোনা সনাক্ত ও নমুনা পরীক্ষার ধীর গতির কারণে দেশের করোনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোন রোগীর নমুনা নেয়ার হওয়ার ৭ থেকে ৮ দিন পর রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন নড়ে চড়ে বসে। রোগী সনাক্ত হওযার পর ঘটা করে এলাকা লক ডাউন ও রোগীদের আবারো নমুনা পরীক্ষা করানোর চেষ্টা চলে। এই অবস্থায় পজেটিভ এই রোগী দীর্ঘ এই ৭ থেকে ৮ দিন কোথায় কোথায় গেছে কোথায় চিকিৎসা সেবা নিয়েছে, কার কার সাথে কথা বলেছে তার কোন সদ উত্তর কেউ দিতে পারছে না। এই অবস্থায় পুরো রাঙ্গামাটিবাসীর মাঝে আতংক বিরাজ করছে। রাঙ্গামাটি সহ তিন পার্বত্য জেলায় করোনা রোগী সনাক্ত করতে পিসিআর মেশিন ও উন্নত মানের কিট আনার দাবী উঠেছে। রাঙ্গামাটি সচেতন মহল মনে করেন দেশের অর্থনীতিতে স্বাস্থ্য বিভাগ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা ব্যায় করলেও সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষায় প্রতিটি জেলায় জেলায় পিসিআর মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত ও দ্রুত করোনা রোগীদের সনাক্ত করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানানো হয়েছে। রাঙ্গামাটির কয়েকজন সচেতন মহল তাদের বক্তব্যে বলেন, একটি করোনা সনাক্ত করতে যদি ৭ দিন লাগে তাহলে তাদের এই ৭ দিন কোথায় রাখা হবে সেই বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগকে ভাবতে হবে। যাদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে তাদেরকে ৭ দিন পর্যন্ত আইসোলেশন অথবা প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টইন এবং হোম কোয়ারেন্টইনে রেখে তাদের নজরদারীতে রাখতে হবে। তারা যাতে কোথাও বের হতে না পারো যাতে অ কোন নতুন রোগী আক্রান্তের কারণ না হয় সেই দিকে ভাবতে হবে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে। রাঙ্গামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের হাতে হস্তান্তরিত বিভাগ। তাই রাঙ্গামাটির সর্বস্তরের জনগন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে তিন পার্বত্য জেলা হাসপাতাল গুলোতে পিসিআর মেশিন স্থাপনের জন্য দাবী জানান। পার্বত্য অঞ্চলের জন্য বরাদ্ধ কৃত অর্থ থেকে তিন পার্বত্য জেলায় পিসিআর মেশিন ও উন্নত মানের কীট সংগ্রহ সহ অভিজ্ঞ স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ দেয়ার আহবান জানান। রাঙ্গামাটি জেলার বেশ কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের মন্তব্যে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ পুরোপুরি চেষ্টা করলেও দীর্ঘসুত্রিতার কারণে মানুুষের মাঝে আতংক ছড়াচ্ছে। রাঙ্গামাটি হাসপাতালে পিসিআর মেশিন না থাকায় সনাক্ত করা যাচ্ছে করোনা রোগী। রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে পিসিআর মেশিন স্থাপনের ও দাবী জানান। অন্য দিকে রাঙ্গামাটি জেলা শহরে যে রোগী গুলো সনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে শিশুটি রাঙ্গামাটি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলো। সে কতো জনকে ছড়িয়ে দিয়েছে তার কোন সঠিক তথ্য স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে আছে কিনা জানা যায়ণি।
এদিকে অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুধু চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মুহূর্তে পিসিআর মেশিন রয়েছে পাঁচটি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ ও ইনস্টিটিউট অব মেরিন সাযে ন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ বিভাগে অন্তত পাঁচটি সচল পিসিআর মেশিন রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) চট্টগ্রাম শাখা, চট্টগ্রাম মেরিন ফিশারিজ অ্যাকাডেমিসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে আরও ১০টির বেশি পিসিআর মেশিন রয়েছে। আছে পিসিআর মেশিনে ভাইরাস পরীক্ষায় প্রশিক্ষিত জনবলও।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব পিসিআর মেশিন ও প্রশিক্ষিত জনবল ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বিভাগের করোনার নমুনা পরীক্ষা সম্ভব।
নিজেদের অনুসন্ধানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন মেশিন ও অভিজ্ঞ জনবল থাকার কথা জানার পর থেকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু জাতির এই দুঃসময়ে নিজ থেকে করোনা পরীক্ষায় এগিয়ে আসা তো দূরের কথা, তাদের হাবভাবে অনেকটা পালিয়ে থাকার মতো।
সম্প্রতি এক বক্তব্যে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) প্রফেসর জুনায়েদ সিদ্দিকী জানান, শুধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বিসিএসআইআর গবেষণাগার, চট্টগ্রাম বা মেরিন ফিশারিজ নয়, চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও করোনা পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় পিসিআর মেশিন ও প্রশিক্ষিত টেকনেশিয়ান রয়েছে। যারা চাইলেই সুরক্ষিত ল্যাবে করোনাভাইরাস নমুনা পরীক্ষা সম্ভব।
॥ আলহাজ্ব এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ ॥ দেশের করোনা সনাক্ত ও নমুনা পরীক্ষার ধীর গতির কারণে দেশের করোনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোন রোগীর নমুনা নেয়ার হওয়ার ৭ থেকে ৮ দিন পর রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন নড়ে চড়ে বসে। রোগী সনাক্ত হওযার পর ঘটা করে এলাকা লক ডাউন ও রোগীদের আবারো নমুনা পরীক্ষা করানোর চেষ্টা চলে। এই অবস্থায় পজেটিভ এই রোগী দীর্ঘ এই ৭ থেকে ৮ দিন কোথায় কোথায় গেছে কোথায় চিকিৎসা সেবা নিয়েছে, কার কার সাথে কথা বলেছে তার কোন সদ উত্তর কেউ দিতে পারছে না। এই অবস্থায় রাঙ্গামাটি সহ তিন পার্বত্য জেলায় করোনা রোগী সনাক্ত করতে পিসিআর মেশিন ও উন্নত মানের কিট আনার দাবী উঠেছে। সচেতন মহল মনে করেন দেশের অর্থনীতিতে স্বাস্থ্য বিভাগ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা ব্যায় করলেও সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষায় প্রতিটি জেলায় জেলায় পিসিআর মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত ও দ্রুত করোনা রোগীদের সনাক্ত করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানানো হয়েছে।
রাঙ্গামাটির কয়েকজন সচেতন মহল তাদের বক্তব্যে বলেন, একটি করোনা সনাক্ত করতে যদি ৭ দিন লাগে তাহলে তাদের এই ৭ দিন কোথায় রাখা হবে সেই বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগকে ভাবতে হবে। যাদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে তাদেরকে ৭ দিন পর্যন্ত আইসোলেশন অথবা প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টইন এবং হোম কোয়ারেন্টইনে রেখে তাদের নজরদারীতে রাখতে হবে। তারা যাতে কোথাও বের হতে না পারো যাতে অ কোন নতুন রোগী আক্রান্তের কারণ না হয় সেই দিকে ভাবতে হবে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে।
রাঙ্গামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের হাতে হস্তান্তরিত বিভাগ। তাই রাঙ্গামাটির সর্বস্তরের জনগন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে তিন পার্বত্য জেলা হাসপাতাল গুলোতে পিসিআর মেশিন স্থাপনের জন্য দাবী জানান। পার্বত্য অঞ্চলের জন্য বরাদ্ধ কৃত অর্থ থেকে তিন পার্বত্য জেলায় পিসিআর মেশিন ও উন্নত মানের কীট সংগ্রহ সহ অভিজ্ঞ স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ দেয়ার আহবান জানান।
রাঙ্গামাটি জেলার বেশ কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের মন্তব্যে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ পুরোপুরি চেষ্টা করলেও দীর্ঘসুত্রিতার কারণে মানুুষের মাঝে আতংক ছড়াচ্ছে। রাঙ্গামাটি হাসপাতালে পিসিআর মেশিন না থাকায় সনাক্ত করা যাচ্ছে করোনা রোগী। রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে পিসিআর মেশিন স্থাপনের ও দাবী জানান।
অন্য দিকে রাঙ্গামাটি জেলা শহরে যে রোগী গুলো সনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে শিশুটি রাঙ্গামাটি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলো। সে কতো জনকে ছড়িয়ে দিয়েছে তার কোন সঠিক তথ্য স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে আছে কিনা জানা যায়ণি।
এদিকে অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুধু চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মুহূর্তে পিসিআর মেশিন রয়েছে পাঁচটি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ ও ইনস্টিটিউট অব মেরিন সাযে ন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ বিভাগে অন্তত পাঁচটি সচল পিসিআর মেশিন রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) চট্টগ্রাম শাখা, চট্টগ্রাম মেরিন ফিশারিজ অ্যাকাডেমিসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে আরও ১০টির বেশি পিসিআর মেশিন রয়েছে। আছে পিসিআর মেশিনে ভাইরাস পরীক্ষায় প্রশিক্ষিত জনবলও।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব পিসিআর মেশিন ও প্রশিক্ষিত জনবল ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বিভাগের করোনার নমুনা পরীক্ষা সম্ভব।
নিজেদের অনুসন্ধানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন মেশিন ও অভিজ্ঞ জনবল থাকার কথা জানার পর থেকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু জাতির এই দুঃসময়ে নিজ থেকে করোনা পরীক্ষায় এগিয়ে আসা তো দূরের কথা, তাদের হাবভাবে অনেকটা পালিয়ে থাকার মতো।
সম্প্রতি এক বক্তব্যে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) প্রফেসর জুনায়েদ সিদ্দিকী জানান, শুধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বিসিএসআইআর গবেষণাগার, চট্টগ্রাম বা মেরিন ফিশারিজ নয়, চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও করোনা পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় পিসিআর মেশিন ও প্রশিক্ষিত টেকনেশিয়ান রয়েছে। যারা চাইলেই সুরক্ষিত ল্যাবে করোনাভাইরাস নমুনা পরীক্ষা সম্ভব।
॥ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ ॥ দেশের করোনা সনাক্ত ও নমুনা পরীক্ষার ধীর গতির কারণে দেশের করোনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোন রোগীর নমুনা নেয়ার হওয়ার ৭ থেকে ৮ দিন পর রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন নড়ে চড়ে বসে। রোগী সনাক্ত হওযার পর ঘটা করে এলাকা লক ডাউন ও রোগীদের আবারো নমুনা পরীক্ষা করানোর চেষ্টা চলে। এই অবস্থায় পজেটিভ এই রোগী দীর্ঘ এই ৭ থেকে ৮ দিন কোথায় কোথায় গেছে কোথায় চিকিৎসা সেবা নিয়েছে, কার কার সাথে কথা বলেছে তার কোন সদ উত্তর কেউ দিতে পারছে না। এই অবস্থায় পুরো রাঙ্গামাটিবাসীর মাঝে আতংক বিরাজ করছে। রাঙ্গামাটি সহ তিন পার্বত্য জেলায় করোনা রোগী সনাক্ত করতে পিসিআর মেশিন ও উন্নত মানের কিট আনার দাবী উঠেছে।
রাঙ্গামাটি সচেতন মহল মনে করেন দেশের অর্থনীতিতে স্বাস্থ্য বিভাগ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা ব্যায় করলেও সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষায় প্রতিটি জেলায় জেলায় পিসিআর মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত ও দ্রুত করোনা রোগীদের সনাক্ত করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানানো হয়েছে।
রাঙ্গামাটির কয়েকজন সচেতন মহল তাদের বক্তব্যে বলেন, একটি করোনা সনাক্ত করতে যদি ৭ দিন লাগে তাহলে তাদের এই ৭ দিন কোথায় রাখা হবে সেই বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগকে ভাবতে হবে। যাদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে তাদেরকে ৭ দিন পর্যন্ত আইসোলেশন অথবা প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টইন এবং হোম কোয়ারেন্টইনে রেখে তাদের নজরদারীতে রাখতে হবে। তারা যাতে কোথাও বের হতে না পারো যাতে অ কোন নতুন রোগী আক্রান্তের কারণ না হয় সেই দিকে ভাবতে হবে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে।
রাঙ্গামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের হাতে হস্তান্তরিত বিভাগ। তাই রাঙ্গামাটির সর্বস্তরের জনগন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে তিন পার্বত্য জেলা হাসপাতাল গুলোতে পিসিআর মেশিন স্থাপনের জন্য দাবী জানান। পার্বত্য অঞ্চলের জন্য বরাদ্ধ কৃত অর্থ থেকে তিন পার্বত্য জেলায় পিসিআর মেশিন ও উন্নত মানের কীট সংগ্রহ সহ অভিজ্ঞ স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ দেয়ার আহবান জানান।
রাঙ্গামাটি জেলার বেশ কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের মন্তব্যে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ পুরোপুরি চেষ্টা করলেও দীর্ঘসুত্রিতার কারণে মানুুষের মাঝে আতংক ছড়াচ্ছে। রাঙ্গামাটি হাসপাতালে পিসিআর মেশিন না থাকায় সনাক্ত করা যাচ্ছে করোনা রোগী। রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে পিসিআর মেশিন স্থাপনের ও দাবী জানান।
অন্য দিকে রাঙ্গামাটি জেলা শহরে যে রোগী গুলো সনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে শিশুটি রাঙ্গামাটি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলো। সে কতো জনকে ছড়িয়ে দিয়েছে তার কোন সঠিক তথ্য স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে আছে কিনা জানা যায়ণি।
এদিকে অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুধু চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মুহূর্তে পিসিআর মেশিন রয়েছে পাঁচটি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ ও ইনস্টিটিউট অব মেরিন সাযে ন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ বিভাগে অন্তত পাঁচটি সচল পিসিআর মেশিন রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) চট্টগ্রাম শাখা, চট্টগ্রাম মেরিন ফিশারিজ অ্যাকাডেমিসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে আরও ১০টির বেশি পিসিআর মেশিন রয়েছে। আছে পিসিআর মেশিনে ভাইরাস পরীক্ষায় প্রশিক্ষিত জনবলও।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব পিসিআর মেশিন ও প্রশিক্ষিত জনবল ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বিভাগের করোনার নমুনা পরীক্ষা সম্ভব।
নিজেদের অনুসন্ধানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন মেশিন ও অভিজ্ঞ জনবল থাকার কথা জানার পর থেকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু জাতির এই দুঃসময়ে নিজ থেকে করোনা পরীক্ষায় এগিয়ে আসা তো দূরের কথা, তাদের হাবভাবে অনেকটা পালিয়ে থাকার মতো।
সম্প্রতি এক বক্তব্যে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) প্রফেসর জুনায়েদ সিদ্দিকী জানান, শুধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বিসিএসআইআর গবেষণাগার, চট্টগ্রাম বা মেরিন ফিশারিজ নয়, চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও করোনা পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় পিসিআর মেশিন ও প্রশিক্ষিত টেকনেশিয়ান রয়েছে। যারা চাইলেই সুরক্ষিত ল্যাবে করোনাভাইরাস নমুনা পরীক্ষা সম্ভব।