॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ “ শিশুর সাথে শিশুর তরে ,বিশ্ব গড়ি নতুন করে ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে বান্দরবানে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৫ অক্টোবর) সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও শিশু একাডেমির আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে এই অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল কুদ্দুস, সিভিল সার্জন ডা.অং সুই প্রু মারমা, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শিলাদিত্য মুৎসুদ্দিসহ বান্দরবানের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও শিশু কিশোররা।
এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম বলেন, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, তাই এই পৃথিবীকে তাদের বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এসময় তিনি আরো বলেন, করোনার এই মহামারীতে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, কারন আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
সভা শেষে শিশুদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এসময় কবিতা ও বিভিন্ন সংগীত পরিবেশন করে শিশু শিল্পীরা।
বান্দরবান শিশু একাডেমির আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আগামী ১১ অক্টোবর সমাপ্তি হবে এই বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ।
॥ থানচি প্রতিনিধি ॥ বান্দরবানে থানচিতে নাফাঁখুম পর্যটন স্পটে ভ্রমনে গিয়ে রেমাক্রী খালে পারপার সময় এক পর্যটক খালে ডুবে নিখোঁজ পর্যটকের ২৪ ঘন্টায় স্থানীয়দের সহযোগীতায় বিজিবি পুলিশ যৌথভাবে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টা ডুবে যাওয়ার স্থান থেকে ঔ পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে তাঁর অভিভাবকদের হাতে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
নাফাঁকুম পর্যটন কেন্দ্রে ঢাকা হতে ভ্রমন সংগী মোহাম্মদুর রহমান ৩০ ও তাঁর স্ত্রী ছিত্রাতুল মমতাহার মমিন, জানান শনিবার (৩ অক্টোবর) সকালে নাফাঁখুম পর্যটন কেন্দ্রের আওয়ামী লীগের নেতা শিমন ত্রিপুরা এর কটেজ হতে রেমাক্রী বাজার উদ্যেশে আসার পথে রেমাক্রী খালে সইগংয়ান নামক স্থানে খাল পাড়াপারের সময় আমরা দুইজনের পাঁয়ের স্লিপ খেয়ে খালে পড়ে যায়। তৎক্ষনিকভাবে মৃত কাজী জাকারুল ইসলাম কানন, আমাদের উদ্ধার করতে গিয়ে তিনি নিজেই খালে পানির ¯্রােতে ডুবে গিয়ে মারা যাওয়া ঘটনা আমাদের চোখের সামনে ছিল।
থানচি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুরদ্দিন আনোয়ার, আইন-শৃংঙ্খলা কমিটি সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুল যৌথ নেতৃত্বে থানচি থানা এস আই অনুপ দে, এ এস আই মিঠুন দাশ, কনষ্টেবল ফেরদৌস, রববানিকে ঘটনা স্থলে নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে জন্য পাঠানো হয়। পরদিন রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা অক্ষত অবস্থা মৃতদেহ উদ্ধার করে অভিভাবকের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
এস আই অনুপ দে জানান, নাফাঁখুম যাওয়ার রাস্তায় রেমাক্রী খালে সইগংয়ান নামক স্থানে খাল পারাপার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সুতারাং ঔ একটি স্থানে একটি ঝুলন্ত ব্রীজ নির্মানের অত্যন্ত জরুরী। গত বছরে একজন চিকিৎসক ও একইস্থানে পানিতে ডুবে মারা গিয়েছিলো।
পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার পর্যটক কাজী জাকারুল ইসলাম কানন, বাবা কাজী জহিরুল ইসলাম ও মা সালমা বেগম দুইজনের চক্ষু বিশেষজ্ঞ। রাজধানী উত্তরায় একটি নিজস্ব ফ্লাট বাড়ীতে থাকতেন।
বান্দরবান ॥ বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নে বিএনকেএস এর আয়োজনে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও সিডা সহযোগিতায় তিন পার্বত্য জেলা’সহ সমগ্র বাংলাদেশের নারী ও শিশু প্রতি ধর্ষণ ও সকল সহিংসতা ন্যায় বিচার ও শাস্তি দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বান্দরবান সদর উপজেলা সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উক্যনু মারমা সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে অতিথি হিসেবে ইউনিয়ন পরিষেদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: জসিম উদ্দিন, বিএনকেএস এর জিবিভি প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর উবানু মারমা, সংরক্ষিত নারী সদস্যা রিনা বেগম, সামাথুই মারমা ও সদস্য মুইবাইঅং মারমা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বিএনকেএস এর জিবিভি প্রকল্পের ফিল্ড অর্গানাইজার মেলকন ¤্রাে সংঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রজেক্ট কো-অডির্নেটর উবানু মারমা। এছাড়া সুয়ালক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত নারী, কিশোর- কিশোরীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বিএনকেএস এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর উবানু মারমা বলেন, তিন পার্বত্য জেলা’সহ সমগ্র বাংলাদেশের নারী ও শিশু প্রতি ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মানববন্ধন আযোজন। যারা ঘৃন্য ও অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। কোন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মানববন্ধন না। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে প্রতিবন্ধী কিশোরী উপর যে নৃশংস গণধর্ষণ করা হয়েছে তার ন্যায় বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে দাবী জানান।
এসময় মানববন্ধনে সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উক্যনু মারমা বলেন, দেশের নারী ও শিশু প্রতি ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও অন্যান্য সহিংসতা দিনদিন যেভাবে বেঁেড় চলেছে। তা প্রতিবাদে উদ্যোগ গ্রহণ না করলে ধর্ষণকারীদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করা যাবেনা। তিনি আরো বলেন, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা প্রতিবন্ধী কিশোরী গণধর্ষণের স্বীকার হয়েছে তার প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে এবং অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা জন্য আহবান করেন। তিনি আরো বলেন, নারী ও শিশু প্রতি সহিংসতা এমন পর্যায়ে পৌছেঁ গেছে সম্মিলিত উদ্যোগে মাধ্যমে প্রতিবাদ করা না গেলে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি রুপ নিবে। তিনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকলকে পদক্ষেপ নেওয়া অনুরোধ জানান।
॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান॥ অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব নিমূল এবং অপুষ্টিজনিত মৃত্যু প্রতিরোধ করার লক্ষে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২০ উপলক্ষে বান্দরবানে সাংবাদিকদের নিয়ে এক ওরিয়েন্টশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান,জাতীয় পুষ্টি সেবার বাস্তবায়নে ও স্বাস্থ্য বিভাগ বান্দরবানের আয়োজনে বান্দরবান সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সেমিনার কক্ষে এই ওরিয়েন্টশন কর্মশালা অনুষ্টিত হয়। সিভিল সার্জন ডা: অংসুই প্রু মারমার সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সাসুইচিং মার্মা, ডা: মো.আলমগীর, ডা. আব্দুল হক সজীবসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। সভায় সিভিল সার্জন ডা: অংসুই প্রু জানান, আগামী ৪অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর বান্দরবানে ৬৫ হাজার ৯শত ৫০ জন শিশুকে ভিটামিন “এ” ক্যাম্পেইনের আওতায় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এসময় বক্তারা আরো জানান,এবারে বান্দরবান জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ৮ হাজার ৩শত ৬৮জন শিশুকে ১টি করে নীল রঙ্গের ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫৭ হাজার ৫শত ৮২জন শিশুকে ১টি করে লাল রংয়ের ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ৩৫ লক্ষ টাকার বরাদ্দে ১টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের তত্ত্বাবধানে উন্নয়ন কাজটি হলো ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে বান্দরবান সদর উপজেলার আমতলী পাড়া জামে মসজিদ নির্মাণ উদ্বোধন করা হয়েছে। এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মাহবুব আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম মোবাশ্বের হোসেন, পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আব্দুল আজিজ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত, সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, ৯নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর মোঃ আবুল কালামসহ প্রমুখ। মসজিদ উদ্বোধন শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে পার্বত্য এলাকায় আজ উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। পার্বত্য জেলার আনাচে কানাচে রাস্তা, ব্রীজ, শিক্ষা প্রতিষ্টান, ধর্মীয় প্রতিষ্টানসহ নানান উন্নয়ন কাজ তরান্বিত হচ্ছে।
॥ হাসান মাহমুদ, আলীকদম ॥ বান্দরবানের আলীকদমে চেরাই পথে কাঠ পাচার কালে কাঠভর্তি গাড়ি কেড়ে নিল এক কিশোরের প্রাণ। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা ত্রিশ মিনিটে আলীকদম উপজেলার ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের আবু মেম্বার পাড়া এলাকা দিয়ে চোরাই কাঠ নিয়ে যাওয়ার সময় মর্মান্তিক এঘটনা ঘটে।
এসময় কিশোর ইসমাইল (১৩) গাড়িতে ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ে গেলে ঘাতক ড্রাইভার পেছনের গিয়ার লাগিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়া কিশোর ইসমাইলকে চাকায় পৃষ্ঠ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
পরবর্তীতে ঘোনাপাড়া সড়ক বেয়ে ঘাতক ড্রাইভার পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন।
ঘটনার বিষয়ে আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ কাজি রকিব উদ্দিন বলেন, ঘটনা ঘটনাস্থলেই ইসমাইল মারা গেছে। তবে ময়না তদন্তের বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করা যায় নাই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমিও শুনেছি যে, ব্যাক গিয়ারে এসে ইসমাইলের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে যেহেতু আমরা ছিলামনা সেহেতু এবষিয়ে নিশ্চিত করে বলা যাবেনা।
এদিকে নিহত ইসমাইলের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। পিতা ওমর ফারুখ ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায়। স্বজনরা বলছেন একটি কোন দুর্ঘটনা নয়। আমাদের ছেলেকে ইচ্ছাকৃত চাকায় পৃষ্ঠ করে হত্যা করা হয়েছে। এর বিচার চেয়েছেন স্বজনরা।
॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ আওয়ামীলীগ সরকার শিক্ষাবান্দব সরকার, আর এই সরকারের আমলেই শিক্ষার মান উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে পার্বত্য এলাকায় দিন দিন শিক্ষার হার বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
১৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকালে বান্দরবান সরকারি কলেজে পাঁচতলা বিশিষ্ট ছাত্রীনিবাসের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এই কথা বলেন। এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, এক সময়ে দুর্গম এই পার্বত্য জেলায় শিক্ষার্থীরা উন্নত শিক্ষা অর্জনে অনেক ভোগান্তী পেলে ও বর্তমানে বান্দরবানে কয়েকটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ায় দুর্গম এই পার্বত্য জেলায় এখন শিক্ষার হার বাড়ছে এবং সরকার ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করছে।
এসময় বান্দরবান শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ৪ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৩২ শয্যা বিশিষ্ট পাঁচতলা ছাত্রীনিবাসের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়। এর আগে বান্দরবান সরকারি কলেজের নিজস্ব তহবিল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ৪৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুন একটি কলেজ বাসের ও শুভ উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এসময় অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর, বান্দরবান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার মো.মকছুদুল আমিন, রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোর্শেদ আলী, বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল কলেজের অধ্যক্ষ লে: কর্ণেল মো: রেজাউল করিম, বান্দরবান শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.কামরুল আহসান, সহকারী প্রকৌশলী মো: আমিনুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মো. ইয়াছির আরাফাত, বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্র্তা (ওসি) মো:শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, পার্র্বত্য মন্ত্রীর সহকারি একান্ত সচিব মো.সাদেক হোসেন চৌধুরীসহ বান্দরবান সরকারি কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নে ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান জেলা কার্যালয় ও উপজেলা প্রশাসন লামা এর যৌথ উদ্যোগে অবৈধ পাহাড় কর্তনের বিরুদ্ধে এই ভ্রামমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় অভিযানে ছয়টি ইটভাটার প্রতিনিধিকে পাহাড় কর্তনের দায়ে চার লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য্য ও আদায় করা হয়।
ভ্রামমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রেজা রশীদ।
এসময় অভিযানে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজা রশীদ, পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের সিনিয়র কেমিস্ট এ কে এম ছামিউল আলম কুরসি, জুনিয়র কেমিস্ট মোঃ আব্দুস সালামসহ পুলিশের সদস্য এবং ইটভাটার মালিক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জুনিয়র কেমিস্ট মোঃ আব্দুস সালাম।
পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট এ কে এম ছামিউল আলম কুরসি বলেন, অবৈধভাবে পাহাড় কর্তন বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ৬খ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, তাই অবৈধ পাহাড় কর্তনের বিরুদ্ধে এরকম অভিযান অব্যাহত থাকবে। পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট এ কে এম ছামিউল আলম কুরসি আরো বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের এই অভিযানে লামার ফাইতং ইউনিয়নের পিবিসি ব্রিক্সকে ১লক্ষ টাকা, এবিসি ব্রিক্সকে ১লক্ষ টাকা, এফবিএম ব্রিক্সকে ১ লক্ষ, বিবিএম ব্রিক্সকে ৫০ হাজার টাকা, এসবিডব্লিউ ব্রিক্সকে ৩০হাজার, এফএসি ব্রিক্সকে ২০ হাজার টাকা সর্বমোট চার লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং তা আদায় করা হয়েছে।
॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ তিন পার্বত্য জেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এবার প্রায় ৮শ কোটি টাকার সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। আর এসব সড়ক নির্মানের কাজ শেষ হলে তিন পার্বত্য জেলার পর্যটন শিল্পের বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, পিছিয়ে পড়া বান্দরবানের যোগাযোগ ব্যবস্থার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করা এবং রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির যে সমস্ত সড়কের কাজ বরাদ্দকৃত অর্থে সমাপ্ত হয়নি তার রিভাইসের বিষয়টিও বিবেচনায় রেখে কাজ করা হবে বলে বৈঠকে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ তিন পার্বত্য জেলার ৭ টি পৌরসভার সড়কগুলোও প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত হবে।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র সাথে বৈঠকে এইসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
বৈঠককালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা এন,ডিসি। পার্বত্য সচিব মেসবাহুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবদুর রশিদ খান, সিএইচটিআরডিপি”র প্রকল্প পরিচালক শাহ নুরুল কাদির, তিন পার্বত্য জেলার দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ নুরুন্নবীসহ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী প্রকৌশলীবৃন্দ ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, তিন পার্বত্য জেলার উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুবই আন্তরিক, এর অংশ হিসাবে এই উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন করা হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পার্বত্য জেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার অমূল পরিবর্তন আসবে।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্পসমূহের গুণগত মান ঠিক রেখে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। মানের বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। প্রকল্প পরিচালকদের প্রকল্প এলাকা বেশি বেশি করে পরিদর্শনের মাধ্যমে গুণগত মান ঠিক রাখার আহবান জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এসময় তিন পার্বত্য জেলার সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়নে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ এলজিআরডির অগ্রণী ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন পার্বত্য মন্ত্রী।
নিজস্ব সংবাদদাতা রোয়াংছড়ি: বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিট পক্ষ থেকে রোয়াংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তার ডা: মংহ্লাপ্রু মারমার হাতে স্বাস্থ্য রক্ষা সরঞ্জামাদি সামগ্রী হস্তাতর করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চহাইমং মারমা। সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জাতীয় সদর দপ্তর ঢাকা যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগ এর তত্ত্ববধানের আইসিআরসি সহযোগিতায় বান্দরবান ইউনিট আওতায় কোভিড-১৯, করোনা ভাইরাস সংক্রামন প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের হাত ধোয়া ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়ন,পিপিই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (বার্নার তৈরী) এবং জীবানুণাশক কার্যক্রমের সরকারি হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিছন্ন কর্মীদের প্রশিক্ষণ সহ অত্রসাৎ সংযুক্ত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যে রক্ষা সরঞ্জামাদি সামগ্রী হস্তাতর করা হয়। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০) সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সভা মিলনায়তনের সরঞ্জামাদি সামগ্রী বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পষিদের চেয়ারম্যান চহাইমং মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ক্রইংচিংপ্রু মারমা,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: মংহ্লাপ্রু মারমা,রোয়াংছড়ি উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্ট দলের লীডার উমংনু মারমা, জনসংযোগ ও পরিকল্পনা বিভাগীয় প্রধান অংসিংউ মারমা, উপ দল নেতা সুমন তঞ্চঙ্গ্যা, বন্ধুত্ব বিভাগীয় প্রধান বিয়াক সিয়াম বম, ক্যমংচৌ মারমা, প্রশিক্ষণ বিভাগের উপ সম্পাদক সুকেল তঞ্চঙ্গ্যা, প্রশিক্ষণ বিভাগীয় প্রধান রেশমি তঞ্চঙ্গ্যা, বন্ধুত্ব বিভাগ উপ সম্পাদক উমংপ্রু মারমা প্রমুখ।