॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ তিন পার্বত্য জেলার কোন এলাকা আর বিদ্যুৎ বিহীন থাকবে না। তিন পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ উন্নয়নের লক্ষে ৫৭৫কোটি টাকার বিদ্যুৎ উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এই কথা বলেন। এই বিদ্যুতায়ন প্রকল্প উদ্বোধনের মাধ্যমে স্বাধীনতার ৪৯বছর পর আজ আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বিদ্যুতের আলোতে আলোকিত হলো দুর্গম সোনাইছড়ি ইউনিয়ন।
পার্বত্য মন্ত্রী পরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ৯৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৫টি উন্নয়ন প্রকল্প ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রায় ১৮ কোটি ব্যয়ে ৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। পরে পার্বত্য মন্ত্রী সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ এর নতুন ভবন উদ্বোধন করে সেখানে একটি জনসভায় যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি ছাড়াও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট্র মাহবুবুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল কুদ্দুছ, নাইক্ষংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিল্লুর রহমান , পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ বান্দরবানে গরীব, অসহায়, দুঃস্থ প্রতিবন্ধী পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে এককালীন আর্থিক অনুদান বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (২সেপ্টেম্বর) সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে ও বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ এর ব্যবস্থাপনায় বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের হল রুমে জেলার গরীব, অসহায়, দুঃস্থ প্রতিবন্ধী পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে এই আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এসময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রেজা সরোয়ার, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চনজয় তঞ্চঙ্গ্যা, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিলটন মুহুরী, বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু সহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সরকারি শিশু পরিবারের ১জন মেধাবী শিক্ষাথীকে ৩০হাজার টাকা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, ১জন ক্যান্সার রোগীকে ৫০হাজার টাকা, ৯টি বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে ৩০হাজার টাকা করে মোট ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, জেলার ৫১৫টি গরীব, অসহায়, দুঃস্থ প্রতিবন্ধী পরিবারকে ৫হাজার টাকা করে মোট ২৫ লক্ষ ৭৫হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার মানুষকে শুধু স্বপ্ন দেখায় না, সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন ও করে। যার উদাহরন তিন পার্বত্য জেলার মানুষ আজ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। পার্বত্য মন্ত্রী আরো বলেন, আজ পার্বত্য এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে স্থানীয় জনগন।
॥বান্দরবান প্রতিনিধি॥ বান্দরবানের বাঘমারায় মঙ্গলবার রাতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মংচিংউ মারমার (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের চিংক্যউ পাড়ায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গুলি করে মংচিংউ মারমা (৩৮) নামে একজনকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হত্যা করে। সে জামছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এসময় পাড়াবাসীদের মধ্যে ভীতি ছড়াতে আরও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে সন্ত্রাসীরা। এদিকে খবর পেয়ে রাতেই বান্দরবান সদর থেকে পুলিশও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায় এবং মৃত মংচিংউ মারমার লাশ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে।
এদিকে ২ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকাল ১১টায় ময়না তদন্ত শেষে নিহত মংচিংউ মারমার লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এসময় বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ উপস্থিত থেকে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির পক্ষ থেকে নিহত মংচিংউ মারমার পরিবারকে নিহতের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার জন্য নগদ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এসময় বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ বলেন, আমরা চাই এই ঘটনার সুষ্ট বিচার। যারা হত্যা গুমের রাজনীতি করে পাহাড়ে অশান্তি বিরাজ করছে তাদের যথাযথ শাস্তি প্রদানই আমাদের এখনকার সময়ের দাবি।
পুলিশ জানায় ঘটনায় পরপরই ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ আরো জানায় এই ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এই হত্যাকান্ডের কারণ অনুসন্ধান ও ঘটনায় জড়িতদের ধরতে আমাদের পুলিশের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, ওসি আরো বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের হলেই আমরা পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
অপরদিকে দুপুর ১২টায় বান্দরবান বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে জেলা যুবলীগের আয়োজনে এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা যুবলীগসহ এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা এই হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে যথাযথ শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান। বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো.আব্দুর রহিম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ, জেলা যুবলীগ এর আহবায়ক কেলুমং মারমা, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো.সাদেক হোসেন চৌধুরীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৭জুলাই বান্দরবানের বাঘমায়ায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে জনসংহতি সমিতির সংস্কারপন্থী (এমএন লারমা) গ্রুপের বান্দরবান জেলা সভাপতিসহ ৬জনকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা, এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় আরো তিনজন। আর দিন দিন বাঘমারা এলাকায় হত্যাকান্ড বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ তিন পার্বত্য জেলার দূর্গম বিদ্যুৎহীন এলাকার জনসাধারণের সুবিধার্থে বর্তমান সরকার ২১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪২ হাজার পরিবারের মধ্যে সোলার বিতরনের উদ্যোগ নিয়েছে।
মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয়দের মাঝে সোলার বিতরনের সময় এসব কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এসময় পার্বত্য মন্ত্রী আরো বলেন, দ্রুত এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে এবং প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে তিন পার্বত্য এলাকার দুর্গম এলাকা গুলো বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় চলে আসবে। তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে পার্বত্য এলাকার জনগনের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় ও পার্বত্য এলাকার জনগন কিছু না কিছু পায় এবং এলাকার শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হয়।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি সুয়ালক ইউনিয়নের গরিব ও অসহায় ৪৩ পরিবারের মাঝে সোলার হোম সিস্টেম তুলে দেন, পরে সুয়ালক এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)র প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সুলতানপুর সড়কের উদ্বোধন ও ৩ কোটি ৮২ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা ব্যয়ে রেইছা বাজার শেডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ শফিউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রেজা সরোয়ার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল হাসান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, পৌর কাউন্সিলর মোঃ হাবিবুর রহমান খোকন, অজিত কান্তি দাশ, সৌরভ দাশ শেখর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান, সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উক্যনু মার্মা, প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিনসহ প্রমুখ।
॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান॥ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ১৭ আগস্ট ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে ও ২১ আগস্ট নৃশংস গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ও নিহতদের স্মরণে বান্দরবান শহর আওয়ামীলীগের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৯ আগস্ট (শনিবার) বিকালে বান্দরবানের বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বান্দরবান শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এসময় বান্দরবান শহর আওয়ামীলীগের নেতা কামাল পাশা এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি আবদুর রহিম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, সাবেক যুগ্ন-সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাহাদুর, ক্য সা প্রু, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ফিলিপ ত্রিপুরা, শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামশুল ইসলাম, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সাদেক হোসেন চৌধুরী, জেলা যুবলীগের আহবায়ক কেলুমং মারমা, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি প্রজ্ঞাসার বড়–য়া পাপন সহ জেলা-উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু কে ছাড়া বাংলাদেশ হবেনা, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু। যার জন্ম না হলে আজ বাঙ্গালী জাতি একটি লাল সবুজের পতাকা পেতনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের কলঙ্কময় একটি তারিখে ভোরের আলো ফোটার আগে মুয়াজ্জিনের আযানের ধ্বনির সময় বাঙালি জাতির রাখাল রাজা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। তিনি আরো বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী আইভি রহমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এই হামলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগকে নেতৃত্বশুন্য করে হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামায়াত এ বর্বর গ্রেনেড হামলা চালায়। অবিলম্বে হত্যাকান্ডে জড়িত খুনিদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মধ্য দিয়ে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার আহবান জানান।
বান্দরবান প্রতিনিধি ॥ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির নির্দেশনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য রোটারিয়ান কাজল কান্তি দাশ এর বাস্তবায়নে বান্দরবান পৌর এলাকায় ১৫ দিন ব্যাপী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকালে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য রোটারিয়ান কাজল কান্তি দাশ এর বাস্তবায়নে বান্দরবান পৌর এলাকায় ১৫ দিন ব্যাপী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা,ব্লিসিং পাউডার মিশ্রিত জীবানুনাশক পানি ছিটানো, মশক নিধন স্প্রে, গরীব রোগীদের চলমান অক্সিজেন সেবা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজা সরোয়ার, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাস, সদস্য মোজ্জাম্মেল হক বাহাদুর, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশসহ বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের এর অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এদিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচীর উদ্বোধন কালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির বলেন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ, তাই প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বান্দরবান একটি পর্যটন এলাকা, এখানে দেশ বিদেশ থেকে বিভিন্ন পর্যটক ভ্রমণ করতে আসে, তাই আমাদের সকলেই উচিত এই পর্যটন শহরকে আরো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। এসময় তিনি আরো বলেন, করোনার সময় কাল থেকে বান্দরবানে কাজল কান্তি দাশের ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। আজও তার নেতৃত্বে বান্দরবান পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, ব্লিসিং পাউডার মিশ্রিত জীবানুনাশক পানি ছিটানো, মশক নিধন স্প্রে সহ বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন। এভাবে সকলে যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন একটি শহরে পরিণত হবে বান্দরবান জেলা। এসময় কর্মসূচী উদ্বোধন করার মধ্যে দিয়ে বান্দরবান বাজারের বিভিন্ন অলি-গলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা এবং ব্লিসিং পাউডার মিশ্রিত জীবানুনাশক পানি ছিটানো, মশক নিধন স্প্রে করা হয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য রোটারিয়ান কাজল কান্তি দাশ ব্যক্তিগত উদ্যোগে বান্দরবান পৌর এলাকার ময়লা আর্বজনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য তিনটি ভ্যান গাড়ি প্রদান করা হয়। পরে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রলণালয় কর্তৃক প্রদানকৃত রোড রোলারের চাবি বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবীর কাছে হস্তান্তর করেন পার্বত্য মন্ত্রী।
॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান॥ ২১ আগষ্ট বান্দরবানের পূরবী বার্মিজ মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ২৩ ব্যবসায়ী ও নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে নগদ অর্থ ও চাল বিতরণ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। ২৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে বান্দরবান সদরের পূরবী বার্মিজ মার্কেট এর সামনে এই ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আপদকালীন খাত থেকে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান প্রতি ২০ হাজার টাকা, ৫০ কেজি চাল ও বান্দরবান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্টির এর পক্ষ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এাণ সহায়তা প্রদানকালে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.রেজা সরোয়ার, পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুরসহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। এাণ বিতরণকালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদানকালে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, আমাদের সবাইকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি মার্কেটে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের এই ক্ষতি কাটিয়ে সবাইকে আবার পুরোদমে ব্যবসায় নামতে হবে এবং সেই সাথে সাথে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। প্রসঙ্গত, ২১ আগস্ট বিকেলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে বান্দরবান সদরের পূরবী বার্মিজ মার্কেটে আগুন লেগে ২৩টি দোকান পুড়ে যায় আর এতে প্রায় ৪কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ বান্দরবানের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক কাজল কান্তি দাশ, যেকোন দুর্যোগে যাকে সবসময় কাছে পেয়েছে বান্দরবানের জনসাধারণ। করোনার এই মহামারিতে তিনি বসে ছিলেন না, ব্যক্তিগত অর্থায়নে বিভিন্ন সড়কে জীবানুনাশক স্প্রে প্রদান, মশার ঔষধ ছিটানোসহ নানা কর্মকান্ডে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছেন। তারই ধারবাহিকতায় আবারো মানবতার উদারতা প্রকাশ করলেন তিনি।
২১ আগস্ট (শুক্রবার) বিকালে তার ব্যক্তি মালিকানাধীন বান্দরবান পূরবী বার্মিজ মার্কেটে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ২২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আর এতে প্রায় চার কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা করছে ব্যবসায়ী ও পূরবী বার্মিজ মার্কেটের স্বতাধিকারী কাজল কান্তি দাশ। অগ্নিকান্ডের পরপরই সন্ধ্যায় তিনি ছুটে যান নিজ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের খোঁজ নিতে, এসময় তিনি ২২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ১৮জন মালিককে প্রতিজনকে নগদ ১০হাজার টাকা করে প্রদান করেন। এসময় তিনি অতিদ্রুত মার্কেটটি পূন: নির্মাণ করে ব্যবসায়ীদের আবার পুরোদমে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ করে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। বান্দরবান পূরবী বার্মিজ মার্কেটের স্বতাধিকারী কাজল কান্তি দাশ একজন সফল ব্যবসায়ী এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের একজন সদস্য। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ প্রদানকালে তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বান্দরবান জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লা, পৌর মেয়র ও বান্দরবান জেলা আ:লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, বান্দরবান রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট, পৌর প্রশাসন, বান্দরবান বিদ্যুৎ বিভাগ, সাংবাদিকসহ যারা এই অগ্নিকান্ড নিবারণে নিঃস্বার্থভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের সকলের প্রতি।
॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ করোনা প্রতিরোধে দীর্ঘ প্রায় ৫মাস বন্ধ থাকার পর শুক্রবার থেকে বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শর্তসাপেক্ষে ২১ আগস্ট (শুক্রবার) থেকে বান্দরবানের সকল পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে বান্দরবানের জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসনে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হোসেন। মহামারী দূর্যোগ করোনা মোকাবেলার জন্য প্রায় পাঁচ মাস ধরে পর্যটন বন্ধ রয়েছে, তাতেই বিরাট ক্ষতির মুখে পরেছে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা, অবশেষে জেলার পর্যটন শিল্পের কথা ভেবে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আগামী শীত মৌসুমকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার থেকে বান্দরবানে সব সরকারি-বেসরকারি পর্যটনকেন্দ্র ও আবাসিক হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়া হবে। সবুজ অরণ্যে ঘেরা সৌন্দর্যের অপরুপ জেলা বান্দরবান। যেখানে রয়েছে মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরি, বৌদ্ধ জাদি, চিম্বুক, শুভ্রনীলা, থানচির রেমাক্রি, নাফাকুম, রুমার বগালেক, কেউক্রাডং, লামার মিরিঞ্জা, আলীকদমের আলীর সুড়ঙ্গসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট। পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়ার পর স্পটগুলোতে বাড়বে পর্যটকের সংখ্যা, এমন মত সংশ্লিষ্টদের। এই ব্যাপারে বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: শামীম হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বান্দরবানের পর্যটনস্পটে পর্যটকদের প্রবেশ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে কড়া নজরদারি থাকবে, মাস্ক ছাড়া কাউকে পর্যটন কেন্দ্র ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে গত ১৮মার্চ থেকে জেলার সব পর্যটন কেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন। জেলায় ৬০টি হোটেল মোটেল রয়েছে, আর পর্যটকবাহী যান রয়েছে প্রায় ৪ শতাধিক, এই পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত জেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ যথাযথ মর্যাদায় বান্দরবানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ১৫ আগস্ট (শনিবার) সকালে বান্দরবানের বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এরপরে সারিবদ্ধভাবে যথাক্রমে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার জেরিন আখতার, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী, সরকারি বেসরকারী কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আবদুর রহিম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক সামশুল ইসলাম, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মোঃ মুছা কোম্পানী, সাধারণ সম্পাদক মো: রফিুকল ইসলামসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বান্দরবান জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে কোরআন খানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে দিবসটি উপলক্ষে বান্দরবানে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনাসহ আলোচনাসভা ও নানান কর্মসুচি উদযাপন করছে জেলা আওয়ামীলীগ ও প্রশাসন।