সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে আলোচনায় দাঁড়িয়ে তিনি এই সময়ের অন্যতম আলোচিত বিষয় প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এমসিকিউ প্রশ্ন পর্যায়ক্রমে তুলে দেওয়া হবে। তাহলে প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ থাকবে না।”
চলতি এসএসসিতে এই পর্যন্ত সবগুলো বিষয়েরই এমসিকিউ প্রশ্ন পরীক্ষা শুরুর আগেই ফেইসবুকসহ ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে।
১৯৯২ সালে এসএসসিতে প্রবর্তনের সময় ৫০ নম্বরের পরীক্ষা এমসিকিউতে নেওয়া হত। পরে তা কমিয়ে আনা হয়।
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এমসিকিউ তুলে দেওয়ার পক্ষে এর আগে শিক্ষা সচিবও মত জানিয়েছিলেন।
গত বছরজুড়ে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের পর এবার এসএসসিতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কড়া হুঁশিয়ারি এবং প্রশ্ন ফাঁসকারীদের ধরিয়ে দিলে পুরস্কার ঘোষণার পরও চলছে একই ধারা।
এক মাস আগে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে আসা কাজী কেরামত বলেন, “একটি চক্র প্রশ্ন ফাঁস করে সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে তাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
প্রতিমন্ত্রী বলার পর প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে সংসদে জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম মিলন বলেন, “পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। চরম ব্যর্থতা বলব না। মনে হয় সাহসী সৎ নিষ্ঠাবান লোক সেখানে নেই।
“শিক্ষা বোর্ড দুর্নীতির আখড়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। সৎ নিষ্ঠাবান লোক খুঁজে বের করে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। কোচিং ব্যবস্থাও দায়ী। এটা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।”
আলসার শব্দটি এসেছে লাতিন শব্দ আলকাস থেকে। ওরাল আলসারে মুখের অভ্যন্তরে মিউকাস মেমব্রেন ভাঙন বা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। আবার মুখের সন্নিবেশিত অ্যাপিথেলিয়াম বা বহিরাবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। লিখেছেনডা: মো: ফারুক হোসেন
সবচেয়ে বেশি দেখা যাওয়া ওরাল আলসারের মধ্যে একটি হলো অ্যাপথাস আলসার, আর অন্যটি কোল্ড সোর যা হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস দিয়ে হয়ে থাকে।
ওরাল আলসার দেখতে কেমন
ওরাল আলসার সাধারণত দেখা যায় সাদা বা হলুদাভ ডিম্বাকৃতির মতো, যার চারপাশে প্রদাহজনিত লাল রঙের বর্ডার দেখা যায়। ক্ষত স্থানের চারপাশে সাদা বৃত্তাকার লাইন দেখা যেতে পারে। ধূসর সাদা অথবা হলুদাভ রঙের আলসারযুক্ত স্থান লাল রঙের বর্ডার বা বাউন্ডারির মধ্যে দেখা যায়। এটি হয় ফিব্রিনের স্তর গঠন হওয়ার কারণে। ফিব্রিন একটি প্রোটিন, যা রক্ত জমাট বাঁধার সাথে সম্পৃক্ত। আলসার যখন তীব্র ব্যথাযুক্ত হয় তখন চোয়ালের নিচে ব্যথাযুক্ত লিস্ফনোড বা লসিকাগ্রন্থির ফোলা ভাব পরিলক্ষিত হতে পারে, যা অনেক সময় ভুলবশত দাঁতের ব্যথা বলে মনে হয়।
ওরাল আলসারের কারণ
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ত্রুটিজনিত কারণ, মানসিক চাপ, হরমোনের পরিবর্তন, মাসিকের সমস্যা, খাদ্যজনিত এলার্জি, ভিটামিন বি ১২, আয়রন বা ফলিক এসিডের অভাব, কিছু ওষুধ যেমন নিকোরানডিল ধূমপান বা নেশাজাতীয় দ্রব্যাদি গ্রহণ, ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণ, ফাঙ্গাল সংক্রমণ।
যেসব রোগে মুখে আলসার হতে পারে
সিলিয়াক ডিজিজ (ক্ষুদ্রান্ত্রের রোগ), জিনজাইভোস্টোমাটাইটিস, লিউকোপ্লাকিয়া, ওরাল লাইকেন পস্ন্যানাস, লুপাস ইরাইথিম্যাটোসাস, ওরাল থ্রাস, আলসারেটিভ কোলাইটিস, বুলাস পেনফিগয়ড, সিফিলিস, গনোরিয়া, যক্ষ্মা, মারাত্মক রক্তশূন্যতা।
ট্রমা বা আঘাতজনিত ওরাল আলসার
মুখে আঘাত মুখের আলসারের সচরাচর পরিলক্ষিত কারণ। দাঁতের কোনো অংশ যদি ধারালো থাকে তাহলে সেখান থেকে আলসার হতে পারে। অসাবধানতাবশত কামড় সাধারণত ধারালো ক্যানাইন বা ছেদন দাঁত দিয়ে হয়ে থাকে। মুখে যদি ধারালো দাঁত থাকে তাহলে হাঁচি দেয়ার সময় ও ধারালো দাঁত দিয়ে জিহ্বা বা মুখের অন্য যেকোনো অংশ কেটে যেতে পারে। তাই ধারালো দাঁত যত দ্রুত সম্ভব ট্রিমিং করে নিতে হবে।
এব্রেসিভ বা ক্ষয়কারক খাবার যদি মুখের ভেতর সারা রাত রেখে দেয়া হয়, তাহলে মুখে আলসার হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যারা পান খান তাদের অনেকেই পান, সুপারি এবং জর্দার মিশ্রণ গালের এক পাশে রেখে সারা রাত সুখনিদ্রা যাপন করেন। যা মুখের আলসার থেকে শুরু করে ক্যান্সার পর্যন্ত সৃষ্টি হতে পারে। অর্থোডনটিক চিকিৎসাকালীন মুখের ভেতরে ডেন্টাল ব্রেসের কোনো ত্রুটির কারণে খোঁচা লেগে মুখে আলসার হতে পারে। টুথব্রাশের আঘাতের কারণে মিউকাস মেমব্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মুখে আলসার হতে পারে। এ ধরনের আলসার সাধারণত উৎসজনিত কারণ অপসারিত হলে ভালো হয়ে যায়।
রাসায়নিক ক্রিয়াজনিত ওরাল আলসার
রাসায়নিক দ্রব্যাদি যেমন এসপিরিন বা এলকোহল যদি মুখের সংস্পর্শে বারবার আসে তাহলে মুখে আলসারের মতো আবরণ তৈরি হতে পারে। বেশির ভাগ টুথপেস্টের উপাদানগুলোর অন্যতম এসএলএস বা সোডিয়াম লরিল সালফেট, যা অনেক ক্ষেত্রে মুখের আলসারের অন্যতম কারণ। সোডিয়াম লরিল সালফেট কখনো কখনো মুখের আলসারের তীব্রতা বাড়িয়ে দেয় আবার আলসারকে দীর্ঘস্থায়ী করে। অতএব টুথপেস্ট ব্যবহারে সচেতন হতে হবে এবং আপনার মুখের জন্য উপযোগী টুথপেস্ট সম্পর্কে জানার জন্য একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
সংক্রমণজনিত ওরাল আলসার
ভাইরাস, ফাঙ্গাস অথবা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে মুখে আলসার হতে পারে। ভাইরাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় হারপিস সিমপেস্নঙ্ ভাইরাস। এ ভাইরাসটির কারণে মুখে বারবার আলসার দেখা দিতে পারে। রোগী দুর্বল অনুভব করতে পারে। সংক্রমণের সময় রোগীর গায়ে জ্বর জ্বর ভাব অনুভূত হতে পারে। তবে জ্বরের মাত্রা থাকে খুবই কম। এইচআইভি ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে মুখে আলসার সৃষ্টি করতে পারে।
ব্যাকটেরিয়া
যক্ষ্মা রোগের ক্ষেত্রে মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস এবং সিফিলিস রোগের ক্ষেত্রে ট্রিপেনিমা প্যালিডাম ব্যাকটেরিয়া দিয়ে মুখে আলসার হতে পারে। গনোরিয়া রোগের ক্ষেত্রে নাইসেরিয়া গনোরি ব্যাকটেরিয়াও একই ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া ট্রেপটোকক্কাই, একটিনোমাইসিস দিয়ে আলসার দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
ফাঙ্গাসজনিত মুখের আলসার
ভ্যালি ফিবারের জন্য কক্কিডাইওডিস ইসিটিস, ক্রিপটোকক্কোসিস রোগে ক্রিপটোকক্কাস নিওফরম্যানস, নর্থ আমেরিকান বস্নাসটোমাইকোসিস রোগে বস্নাসটোমাইকোসিস ডার্মাটাইটিডিস জীবাণু দিয়ে সংক্রমণ বিস্তার লাভ করে। সব ফাঙ্গাসজনিত রোগে মুখে আলসার হতে পারে। এছাড়া ক্যানডিডা অ্যালবিকানস মুখের আলসার সৃষ্টি করতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ত্রুটিজনিত আলসার
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে আলসার হতে পারে। বারবার মুখে আলসার হলো মুখের মিউকাস মেমব্রেনে ইমমিউনোগ্লোবিউলিনের পরিমাণ কমে যাওয়ার সতর্ক সঙ্কেত। কেমোথেরাপি এবং এইচআইভি সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অনেক কমিয়ে দিতে পারে। ফলে মুখে আলসার দেখা দিতে পারে।
অটোইমিউনিটি
অটোইমিউনিটিও ওরাল আলসারের একটি কারণ। মিউকাস মেমব্রেন পেমফিগয়ড, যা একটি অটোইমিউন রিঅ্যাকশন যা অ্যাপিথেলিয়াম বেসমেন্ট মেমব্রেনে সংঘটিত হয় এবং ওরাল আলসার সৃষ্টি করে।
অ্যালার্জিজনিত মুখের আলসার
বিভিন্ন অ্যালার্জেন দিয়ে মুখে দীর্ঘস্থায়ী আলসার হতে পারে।
খাদ্যজনিত ও পুষ্টিজনিত কারণে মুখের আলসার
ভিটামিন সি’র অভাবে স্কার্ভি রোগ হতে পারে এবং ভিটামিন সি’র অভাবে মুখে আলসার দেখা দিতে পারে। একইভাবে ভিটামিন বি–১২, আয়রন, জিংক এবং ফলিক এসিডের ঘাটতির কারণে মুখে আলসার দেখা দিতে পারে। ওরাল আলসারের কারণগুলোর অন্যতম সিলিয়াক ডিজিজ; যার কারণে গম, রাই অথবা বার্লি খেলে মুখে আলসার হতে পারে ধীরে ধীরে। যদি গস্নুটেন ইনটলারেন্সের কারণ হয় তাহলে খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে। সে ক্ষেত্রে বেশির ভাগ ব্রেড বা রুটি জাতীয় খাবার, কেক, পাই, কুকিজ, বিস্কুট, বিয়ার ইত্যাদি খাবার কমিয়ে দিতে হবে। আবার ক্ষেত্রবিশেষে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে গস্নুটেন মুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। ডায়েট কোলাতে কৃত্রিম চিনি, সুগারলেস গামও কোনো কোনো ক্ষেত্রে মুখের আলসারের কারণ হয়ে দাঁড়ালে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
ক্যান্সারজনিত ওরাল আলসার
ওরাল ক্যান্সারের কারণে মুখে আলসার হতে পারে যেহেতু সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল রক্ত সঞ্চালন পায় না। স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা বা ক্যান্সারের একটি উদাহারণ।
ওরাল আলসারের চিকিৎসা
ওরাল আলসারের ক্ষেত্রে রোগীর খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। রোগের কারণ অনুসন্ধান করে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। দায়সারা গোছের চিকিৎসা হলে আলসারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ওরাল আলসারের রোগীদের টুথপেস্ট ব্যবহারে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এবং একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে। রোগীর সার্বিক শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসা প্রদান করা খুবই জরুরি। বিশেষ করে ওরাল আলসারের কিছু ওষুধের মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। কিছু খাবার ওষুধের কারণে রোগী বেশ দুর্বলতা অনুভব করতে পারে আবার চোখে ঝাপসা দেখতে পারে। তাই ওরাল আলসারের চিকিৎসা অভিজ্ঞতার আলোকেই করতে হয়।
॥ সুলতান মাহামুদ বাপ্পা, রাঙ্গামাটি ॥ পাহাড় হ্রদ ঘেরা অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলভুমি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। অর্থনৈতিক ও শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে থাকা পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের দাবী হিসেবে ১৯৬৫ সালে রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৭০ সালে জাতীয়করনের ফলে এটি সরকারি কলেজ হিসেবে আতœপ্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠার পর এর অগ্রযাত্রা কখনো থেমে থাকেনি। কালের প্রবাহে এলাকবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ কলেজটি আজ দেশের ৭০ টি ¯œাতকোত্তর কলেজের একটির স্বীকৃতি পেয়েছে।
কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর জাফর আহম্মদ এই কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান থাকাকালীন ২০০৫ সালে তার বন্ধু ও ব্যাচ ম্যাট মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের বর্তমান পরিচালক (প্রশাসন) এ প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় হিসাব বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অর্নাস খোলার মাধ্যমে অর্নাস কলেজ হিসেবে এ কলেজের যাত্র শুরু হয়। সে চলার পথ থেমে থাকেনি শুধু সামনে এগিয়ে চলার গৌরবময় ইতিহাস।
বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর জাফর আহম্মদ ২০১৬ সালের ২ মার্চ এই কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। চাকুরী জীবনের একটি সুর্দীঘ সময় রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজে অতিবাহিত করার সুবাধে এবং পাশ্ববর্তী চট্টগ্রাম জেলার অধিবাসী হিসেবে এই কলেজের প্রতি তাঁর অভিজ্ঞতা, দায়িত্ববোধ ও মমতাবোধ তাকেঁ কলেজের উন্নয়নের সাথে একাত্ব হতে অনুপ্রানিত করেছে। স্বল্প সময়ে তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর সহযোগিতায় এবং এক সময় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অর্থ) হিসেবে কাজ করার সুবাধে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজে লাগিয়ে কলেজে বহুমাত্রিক উন্নয়নমূলক সারা দেশের সরকারি কলেজসমূহ যখন শিক্ষক সংকটে দিশেহারা সেখানে পার্বত্য জেলার একটি কলেজ হওয়া সত্ত্বেও এখানে বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকের সংখ্যা ৫২ জন মোট অনুমোদিত পদ-৬২)। শুধু বর্তমান অধ্যক্ষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কলেজ বিভিন্ন বিষয়ে ১৪ জন শিক্ষক ও সার্বক্ষনিক খেলাধুলার জন্য ১জন ক্রীড়া শিক্ষক যোগদান করেছেন।
পাবর্ত্য জেলায় ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই আর্থিক কারণে বাইরে গিয়ে লেখাপড়া করতে পারেনা। আবার অনেকে পরিবেশগত কারণে বাইরে গিয়ে লেখাপড়া করতে চায় না। ফলে অনেকের উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন অপূর্ন থেকে যায়। তাই পার্বত্য রাঙ্গামটিবাসীর সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন বিষয়ে অনার্স খোলেন এবং কলেজে চলমান অর্নাস বিষয়গুলোর আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করেন ৮০০। ফলে অনার্স পর্যায়ে আরো ১০০০ এর মতো ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়ার সুযোগ পায়।
আর্থিক পরিবেশগত কারণে বাইরে গিয়ে ¯œাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যায়নের সুযোগ পায়না বলে এখানকার অনেক ছাত্র-ছাত্রীর ¯œাতক ডিগ্রী অর্জনের পর লেখা-পড়া বন্ধ হয়ে যায়। তাদের কথা মাথায় রেখে কলেজ হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে প্রিলিমিনারি এবং অর্থনীতি ইংরেজি, উদ্ভিদ বিজ্ঞান ও ইতিহাস বিভাগে মার্স্টাস খোলা প্রায় সমাপ্তির পথে।
৭ বিষয়ে প্রিলি ও মার্ষ্টাস খোলার ব্যাপার অধ্যক্ষ বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার মহোদয়ের দারুন সহযোগিতা দিল। এ ছাড়া কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর বিধান চন্দ্র বড়–য়া সকল শিক্ষক ও কর্মচারী এবং ছাত্র সংগঠনের নেতৃবন্দ এ ব্যাপারে আন্তরিক সহযোগিতা করেছে। সকলের সহযোগিতা আমাকে একসাথে এই বিশাল কাজ করার শক্তি যোগিয়েছে।
তিনি আরো বলেন এই কলেজ অচিরেই ১২টি বিষয়ে অর্নাস, ৭টি বিষয়ে মাস্টার্স ও ৩টি বিষয়ে প্রিলি নিয়ে একটি বড় ম্যাপের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্টানের রূপ পরিগ্রহ করবে এবং এটি এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার চাহিদা পূরণ করবে।
কলেজের অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে বর্তমানে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণকরা হয়েছে। বর্তমান অধ্যক্ষের কার্যকালীন সময়ে অনেক কাজ হয়েছে এবং হচ্ছে। এ সকল কাজের পরিমান এতবেশী যে যা রেকর্ড হয়ে থাকবে। যেমন- ৫তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন কাম কম্পিউটার ন্যায় অন্যতম। এ ছাড়া পুরাতন দুটি ভবনের মেরামত দুটি ভবনের বৈদুতিক সিস্টেমের আধুনিকায়ন ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে ২নং ভবনের সিড়ি প্রসস্তকরন ও ব্যবহার উপযোগী করন ইত্যাদি। আবার ৫ম তলা বিশিষ্ট ছাত্রী হোস্টেল এবং কলেজের সুপ্রসস্ত দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য্যের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে যা মন্ত্রনালয় কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।
জানা যায়, বর্তমান অধ্যক্ষের কর্মকালীন সময়ে অধিকাংশ শ্রেনিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৪০ টি আধুনিক কম্পিউটার দ্বারা কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীদেরকে মন্ত্রনালয় ও কলেজের শিক্ষকদের দ্বারা পাঠদান করা হচ্ছে।
জেলার প্রধান কলেজ হওয়ায় এসএসসি পাশের পর সকলের ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকে এ কলেজে একাদশ শ্রেনিতে ভতি হওয়ার সকলের আঙ্কাক্ষার কথা মাথায় রেখে বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের আসন সংখ্যা ৯০০ থেকে বাড়িয়ে ১০৫০ এ উন্নীত করা হয়।
একটি শিক্ষা প্রতিষ্টানের জন্য লাইব্রেরি খুবই গুরুত্বপূর্ন সম্পদ কলেজের অন্যান্য দিকের উন্নয়ন ও সম্প্রসারনের পাশাপাশি লাইব্রেরিতে র উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ জানান কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও সেমিনার লাইব্রেরিতে প্রায় ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকার বই ক্রয় করা হয়েছে এবং আসবাবপত্র দ্বারা লাইব্রেরিকে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। যা কলেজে অধ্যয়নরত ৮০০০ হাজার শিক্ষার্থীর পড়ালেখার মনোন্নয়ন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
কলেজের সৌন্দর্য বর্ধন ও ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের সুবির্ধাথে কলেজের মূল গেইট থেকে অধ্যক্ষভবন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ গজের পাথর ঢালাই করা প্রসস্ত রাস্তা রাঙ্গামাটি পৌরসভার মেয়রের সহায়তায় ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
বিরল প্রজাতি ও হারিয়ে যাওয়া বৃক্ষ রাজিকে আবার ফিরিয়ে এনে এর জীবন দান করার জন্য একটি ”টিস্যু ল্যাাব” শীঘ্রই কলেজের জন্য নির্ধারিত বোটানিক্যাল গার্ডেন এ স্থাপিত হবে। যা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় হতে পঁচিশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শীঘ্রই এর কার্যক্রম শুরু হবে।
আগামীর ”রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ” সর্ম্পকে অধ্যক্ষ বলেন, এ কলেজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবায় সহযোগিতা আমাকে অনুপ্রনিত করেছে। আমার লক্ষ্য এ কলেজকে দেশের র্শীষস্থানীয় উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা এবং এ প্রতিষ্ঠান থেকে আগামীর জন্য মেধাবী নাগরিক সৃষ্টি করা যারা পাবর্ত্য জনপদের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি দেশকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করবে এবং দেশপ্রেম বুকে ধারণ করে দেশ ও জাতিকে নেতৃত্ব দেবে। সর্বোপরি সোনার বাংলা বির্নিমনে এ কলেজ অগ্রনীভূমিকা পালন করবে, জ্ঞানপিপাসুদের বাতিঘর ঘর হিসেবে চির অম্লান থাকুক এটাই আমার শেষ প্রত্যশা।
ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ: মুসলিমরা দিনে পাঁচবার নামাজ পড়ে। এর মাধ্যমে মূলত আল্লাহর একটি আদেশ পালন হয়। সেই সাথে আল্লাহর সাথেও সাক্ষাত হয়। একটি হাদিসে এসেছে, নামাজ হচ্ছে মুমিনের মেরাজ।
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, তারপর তোমরা নামাজ শেষ করার পর দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে সব অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকো। আর মানসিক প্রশান্তি লাভ করার পর পুরো নামাজ পড়ে নাও। আসলে নামাজ নির্ধারিত সময়ে পড়ার জন্য মুমিনদের ওপর ফরয করা হয়েছে। (সুরা নিসা: ১০৩)
নামাজের এই বিধানটি মুসলমানদের জন্য অনেকভাবেই উপকারী। বিশেষভাবে নামাজ মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়। যেই মানুষিক চাপগুলো আমাদের দৈনন্দিনের জীবনে তৈরি হয়।
নামাজ বিশেষভাবে মহান আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। কেননা নামাজের মাধ্যমেই আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিংহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা এটা প্রমাণ করেছে যে, দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার মাধ্যমে মানুষ স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও উপকৃত হতে পারে এবং শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে পারে।
গবেষকরা বলেছেন, নামাজের সময় শারীরিক যে ক্রিয়া হয়ে থাকে এটা যদি নিয়মিতভাবে ও নির্ধারিত সময়ে হয় তবে অন্য সকল চিকিৎসা থেকে পিঠের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে বেশি ভূমিকা পালন করবে এই নামাজ। শারীরিক এই উপকার ছাড়াও নামাজ আল্লাহর সাথে মানুষের সম্পর্ক বৃদ্ধি করে। আর এই সম্পর্ক মানুষের আত্মাকে প্রশান্ত করে।
নিয়মিত নামাজ শরীরের উপর এই ঝিম প্রভাব, রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন কমাতে পারে, পরিণামে পেশী শিথিল করতে সাহায্য করে ।
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, তারাই এ ধরনের লোক যারা (এ নবীর দাওয়াত) গ্রহণ করেছে এবং আল্লাহর স্মরণে তাদের চিত্ত প্রশান্ত হয়। সাবধান হয়ে যাও। আল্লাহর স্মরণই হচ্ছে এমন জিনিস যার সাহায্যে চিত্ত প্রশান্তি লাভ করে। (সূরা রাদ: ২৮)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিংহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখিয়েছেন, যদি কেউ ঠিক মত রুকু করতে পারে তাহলে তার পিঠে কোন ব্যাথা থাকবে না। কেননা রুকুর সময়ই পিঠ সময় হয়ে থাকে।
এই গবেষণায় মূলত নামাজ পড়লে শারীরিক যে উপকারগুলো হবে সেই বিষয়গুলোকেই বড় করে তুলে ধরা হয়েছে।
রুকু: নীচের পিঠ, উরু এবং ঘাড়ের পেশীগুলি সম্পূর্ণভাবে প্রসারিত করে। রক্ত শরীরের উপরের অংশে প্রবাহিত হয়।
সিজদা : সিজদা দিলে হাড়ের জোড়ার নমনীয়তা বাড়ে। মাথা নামানোর সময় মস্তিকে রক্ত সঞ্চালন হলে রক্তচাপও কমে, এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
সিজদার পুনরাবৃত্তি: এই সিজদা শরীরিরে ভারসাম্য এনে দেয়।
এটা সত্য যে নামাজ শারীরিক উপকারের জন্য পড়তে হয়না। নামাজ পড়তে হয় মহান আল্লাহর আদেশ পালন করার জন্য। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত নামাজ পড়ে থাকেন তারা শারীরিক অনেক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকেন। এবং তাদের রোগ ব্যাধির হওয়ার সম্ভাবনাও কম
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাংলাদেশের ইতিহাসে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বৌদ্ধ ধর্মীয়গ্রন্থ ত্রিপিটক এই প্রথম বাংলায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। পূর্নাঙ্গভাবে বাংলা ভাষায় ত্রিপিটক প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার। পালি ভাষায় ৫৯টি গ্রন্থকে ২৫ খন্ডে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে এই ত্রিপিটক গ্রন্থে স্থান পেয়েছে। ২৫ আগষ্ট বাংলা ভাষায় অনুবাদ করা ত্রিপিটকের মোড়ক উন্মোচন করবে বিহার কর্তৃপক্ষ।
আড়াই হাজার বছর পূর্বে গৌতম বুদ্ধ বৌদ্ধত্ব লাভের পর মানবমুক্তির জন্য ধর্ম প্রচার করেছিলেন। সেই সাধনালব্ধ অর্জিত জ্ঞান দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে তিনি জীব জগতে হিত-সুখ কামনায় প্রচার করেছিলেন তারই সমন্বিত রূপ হলো ত্রিপিটক। এ ত্রিপিটক নানা দেশে বহু ভাষায় পূর্নাঙ্গভাবে প্রকাশিত হলেও বাংলা ভাষায় আজো ত্রিপিটক প্রকাশিত হয়নি।
রাঙ্গামাটি রাজ বন বিহারের বনভান্তের শিষ্যসংঘের প্রধান, শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির জানান, বৌদ্ধদের তীর্থ স্থান হিসেবে খ্যাত রাঙ্গামাটির রাজবন বিহারের প্রয়াত ধর্মীয় গুরু বনভান্তের আশা ও স্বপ্ন ছিল একদিন বাংলা ভাষায় পূর্নাঙ্গ ত্রিপিটক অনুবাদ করা হবে। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে বনভন্তের শিষ্যরা বাংলায় ত্রিপিটক অনুবাদ করা উদযোগ নেয়। এ চিন্তা থেকেই রাজবন বিহার কর্তৃপক্ষ ২০১৫ সালে নয় সদস্য বিশিষ্ট ‘বাংলায় সমগ্র ত্রিপিটক প্রকাশনা কমিটি’ গঠন করেন। এ কমিটি দীর্ঘ দেড় বছর ধরে ত্রিপিটকের পালি ভাষায় রচিত ৫৯টি গ্রন্থকে ২৫ খন্ডে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে।
পালি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এই প্রথম ত্রিপিটক প্রকাশের ফলে বাংলা ভাষাষীদের গৌতম বুদ্ধের জীবন দর্শন ও শান্তির বাণী মনে প্রাণে ধারন করে উপলদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া বাংলা ভাষায় ত্রিপিটক প্রকাশের ফলে শুধু বৌদ্ধ ধর্ম নয়, বাংলা সাহিত্যও উপকৃত হবে। ত্রিপিটকের বৌদ্ধ উপদেশ বাংলা ভাষায় প্রকাশিত হওয়ায় প্রয়াত বনভন্তের স্বপ্ন পুরণ হয়েছে বলে জানান বনভন্তের শিষ্য শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।
পালি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এই প্রথম ত্রিপিটক প্রকাশের ফলে বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে বিশেষ করে বৌদ্ধদের মধ্যে গৌতম বুদ্ধের জীবন দর্শন ও শান্তির বাণী প্রাণে উপলদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মনে করছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ।
॥ সুমন্ত চাকমা, জুরাছড়ি ॥ শান্তি-সম্প্রীতির-উন্নয়নের মূলমন্ত্রে পার্বত্য এলাকায় সেনা বাহিনী শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এ উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে সর্বস্থরের জনসাধারণকে সহযোগীতায় এগিয়ে আসতে হবে।
শনিবার জুরাছড়ি সেনা বাহিনীর উদ্যোগে এসএসসি পরিক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অনুদান প্রদান কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জোন অধিনায় লেঃ কর্ণেল কেএম ওবায়দুল হক একথা বলেন।
তিনি কৃতি শিক্ষার্থীদের উদ্দিশ্যে বলেন, বাবা-মা যেমনি তোমাদেরকে নিয়ে বিভিন্ন স্বপ্ন দেখছেন-তেমনি দেশও তোমাদের কাছ থেকে আগামী উন্নয়েন অনেক প্রত্যাশা করছে। সুতরাং নিজেকে নিজে গন্তব্যে পৌছানোর লক্ষ্যে লেখা-পড়ার আরো বেশী মনোযোগী হতে হবে।
এ সময় বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, হেডম্যান করুনা ময় চাকমা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, বনযোগীছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিকাষক মেঘবর্ণ চাকমাসহ সেনা বাহিনীর পদস্থ্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে কৃতি শিক্ষার্থীদের সনদ ও গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের কলেজে ভর্তির লক্ষে অনুদান তুলে দেওয়া হয়।
॥ লিটন ভট্টাচার্য্য রানা, খাগড়াছড়ি ॥ মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা ছাড়া উচ্চ-শিক্ষার মান উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই প্রাথমিক শিক্ষার মান বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাগড়াছড়ি সাংসদ সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
রবিবার (২৮ মে) দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার প্রশাসনের উদ্যোগে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ৭৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিদের নিয়ে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজ এলিজ শারমিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চঞ্চুমণি চাকমা, ভাইচ-চেয়ারম্যান রনিক ত্রিপুরা, সংরক্ষিত মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান বিউটি রাণী ত্রিপুরা প্রমূখ।
প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, সব শিক্ষকের মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতা সমান হবে- এমনটি আশা করা যায় না। তবে সবার মাঝে নিষ্ঠা, নৈতিক মূল্যবোধ ও দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। প্রাথমিক স্তর থেকেই শিক্ষার্থীদের সৎ, দেশ-প্রেমিক ও সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়েই শিশুদের নৈতিক শিক্ষা প্রদান করতে হবে।
সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছিলেন। আর বর্তমান সরকার উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নেও কাজ করে চলেছে। তাই মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
দুর্গম স্কুল গুলোতে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে উন্নয়ন বোর্ড ঃ তরুন কান্তি ঘোষ
পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুর্গম স্কুলে হাই ব্যাঞ্চ
ও লো ব্যাঞ্চ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে উন্নয়ন বোর্ড
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুর্গম স্কুলে হাই ব্যাঞ্চ ও লো ব্যাঞ্চ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। মঙ্গলবার (২৩ মে) রাঙ্গামাটি শহীদ আব্দুল আলী একাডেমী মিলনায়তনে ১০০ জোড়া ব্যাঞ্চ বিতরণ করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুন কান্তি ঘোষ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে স্কুলের শিক্ষকদের হাতে এই ব্যাঞ্চ তুলে দেন।
এ সময় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুজিবুল আলম, বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী পল্লব চাকমা সহ অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকরা উপস্থিত ছিলেন।
তরুন কান্তি ঘোষ বলেন, সরকার পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে খুবই আন্তরিক। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসাবে রাঙ্গামাটি জেলার দুর্গম স্কুল গুলোতে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে উন্নয়ন বোর্ড। এই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আবেদনের ভিত্তিতে বেশ কিছু স্কুলকে ক্লাস করার সুবিধা হাই ব্যাঞ্চ লো ব্যাঞ্চ বিতরণ করা হচ্ছে।
এসময় অতিথিবৃন্দরা বলেন, দূগর্ম এলাকার শিক্ষার্থীরা যাতে সঠিক শিক্ষা লাভ করে শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও একটি ব্যাঞ্চে ৩/৪জন চাপা-চাপি করে বসতে না হয় এবং স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে স্বাচ্ছন্দে বসে সঠিকভাবে পড়া-লেখার সুযোগ সৃষ্টি প্রয়াসে এই ব্যাঞ্চ প্রদান।
মাটিরাঙ্গাঃ-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তার পদমর্যাদা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন প্রদানসহ ৫ দফা দাবি আদায়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি মানববন্ধন করেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো: এরশাদ আলী, সাধারন সম্পাদক মংসাথোয়াই মারমা, স্কাউট সম্পাদক মো: মুছা মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে শান্তিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রবিউল ইসরাম. সহকারী শিক্ষক সমিতির নেতা কাজী মো: সাইফুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক মো: জাকির হোসেন, মো: নাদেরুজ্জামান, শিক্ষক নেতা মো: আবদুল গফুর প্রমুখ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
গত ৯ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বেতন স্কেল সহকারী শিক্ষকদের হতাশ করেছে উল্লেখ করে বেতন বৈষম্যের অবসান না হওয়া পর্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপুর্ণ আন্দোলনের ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা। তারা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা শিক্ষা বিভাগের প্রাণ হলেও সরকার আমাদের দাবী আদায়ে আন্তরিকতার পরিচয় দেয়নি। তারা অবিলম্বে প্রাথমিক শিক্ষকদের ৫দফা দাবী মেনে নেয়ারও আহবান জানান।
কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ রোববার জারি করা এ নীতিমালা অনুযায়ী, ভর্তির জন্য অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে ৯ মে থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। চলবে ২৬ মে পর্যন্ত।
অনলাইনের জন্য www.xiclassadmission.gov.bd ঠিকানায় এবং টেলিটকে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
অনলাইনের ক্ষেত্রে ১৫০টাকা ফি দিয়ে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে হবে। আর এসএমএসের মাধ্যমে প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ১২০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন করতে হবে।
এরপর একজন শিক্ষার্থী যতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
কলেজে ভর্তির জন্য প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ৫ জুন। এরপর আরও দুই দফায় আবেদন গ্রহণ করা হবে।
নির্ধারিত সময়ে ভর্তির কাজ শেষ করে ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে। শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালাটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
গত বৃহস্পতিবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে ১০ বোর্ডের অধীনে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন। এর মধ্যে আট বোর্ডের অধীন এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৭ হাজার ৯৬৪ জন।