॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ভ্রমণকাহিনি লেখা প্রতিযোগিতার প্রথম হলেন- দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ২৪ এর রাঙ্গামাটি জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক ফাতেমা জান্নাত মুমু।
বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের পর্যটন স্থানগুলো তুলে ধরতে ভ্রমণকাহিনি লেখা প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নিয়ে ছিল- বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বিপিসি) ও বেসরকারি ভ্রমণ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘ঘুরবো ডটকম’। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন, সমুদ্রসৈকত, ঐতিহাসিক স্থান, পাহাড়-পর্বত, দ্বীপাঞ্চল, জলা, বনসহ বাংলাদেশের যেকোনো ভ্রমণ স্থান নিয়ে লেখা । এ প্রতিযোগিতায় সারা দেশের অনেক দক্ষ অভিজ্ঞ লেখ অংশ নিয়েছিল। অবশেষে সারা দেশের হাজারো প্রতিযোগির মধ্যে রাঙ্গামাটির সাংবাদিক ফাতেমা জান্নাত মুমু’র ‘সবুজ পাহাড়ে মেঘের রাজ্য রাঙ্গামাটি’ শিরোনামের এ লেখাটি স্থান অধিকার করে। তার লেখা ও ছবি প্রকাশিত হয় ঘুরবোর বিশেষ পেজে। এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে তিনি জিতে নেয়-সর্বোচ্চ পুরস্কার কক্সবাজারে যাতায়াতের এয়ার টিকিটসহ ওশ্যান প্যারাডাইসে ৩ দিন ২ রাত থাকার সুযোগ।
এব্যাপারে সাংবাদিক ফাতেমা জান্নাত মুমু বলেন, তাছাড় ভ্রমনকাহিনী আর সম্ভব পর্যটন স্পর্ট নিয়ে নিয়ে লেখা-লেখি করার অভ্যাস আমার অনেক পুরোন। আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠান- ‘দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকায় এস বিষয়ে আমার অনেক অনেক ফিচার প্রকাশ হয়েছিল। সে আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বিপিসি) ও বেসরকারি ভ্রমণ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘ঘুরবো ডটকম’ ব্লগে লেখা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ছিলাম। আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছিনা সারা বাংলাদেশের প্রতিযোগিদের মধ্যে আমি প্রথম হয়েছি। আমার সাংবাদিকতায় ১১ বছরের জীবনে এটা আমার অর্জন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭সালে ২৯ আগষ্ট বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বিপিসি) ও বেসরকারি ভ্রমণ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘ঘুরবো ডটকম’ ‘সারা দেশের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জায়গাগুলোর খবর জানাতে আয়োজন করেছিল ‘লিখবো আমি ঘুরবে সবাই” শিরোনামে প্রতিযোগিতা কথা দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশ হয়।
একুশে পদক প্রাপ্ত এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত গুরু শেখ সাদী খানের সংগীতায়োজনে ‘‘অনুপম কথাচিত্র’’ প্রযোজিত ও সুজন বড়–য়া পরিচালিত ‘‘বান্ধব” ছবিতে (বান্ধব ছাড়া একটা মানুষ বাঁচে কেমনে) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার মুন্সী ওয়াদুদ এর লেখা এই ধরনের একটি গানে কন্ঠ দিলেন এই সময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী কোনাল। সংগীত গুরু শেখ সাদী খান কোনালের কন্ঠের ভুঁয়সী প্রসংশা করেন। এই ধরনের একটি অসাধারণ গান করতে পারাতে কোনাল শেখ সাদী খান, প্রযোজক, পরিচালক সহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের আরো সুন্দর গান করার প্রত্যাশা করেন। ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন চিত্র নায়িকা মৌ খান। এছাড়া আরো অভিনয় করেন গাজী রাকায়েত, সুমিত সেনগুপ্ত, রেবেকা রৌফ, জয়রাজ সহ আরো অনেকে। প্রযোজক অনুপ কুমার বড়–য়া ও হাবিব খান বলেন শীঘ্রই ছবিটি মুক্তি পাবে।
॥ কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাই ॥ বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর বানৌজা শহীদ মোয়াজ্জম ঘাঁটিতে অবস্থিত লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পট কাপ্তাইয়ের অন্যতম আকর্ষনীয় বিনোদন কেন্দ্র। অসংখ্য গাছ গাছালী, ছোট বড় পাহাড়ের সমাহার এবং পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে স্বচ্ছ জলে ভরা কাপ্তাই লেক। লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটের যে দিকে দৃষ্টি যায় আনন্দে ভরে উঠে মন। এখানে আসলে মন ফুরফুরে হয়ে উঠে।
প্রায় ৩০ বছর ধরে নৌ বাহিনী এই লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পট পরিচালনা করে আসছে। তবে ১৯৯৮ সাল থেকে এই বিনোদন কেন্দ্র বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যে কোন নাগরিক এখানে এসে আনন্দ বিনোদন করতে পারেন। লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটে বিনোদনের জন্য পৃথক পৃথক প্রায় ২০টি জায়গা রয়েছে। এর যে কোন একটি ভাড়া নিয়ে এখানে দিনভর পিকনিক করা যায়। এই লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটে রয়েছে ভাড়ায় চালিত বোট, প্যাডেল বোট ও স্পীড বোট। এর যে কোন একটিতে চড়ে কাপ্তাই লেকের স্বচ্ছ জলে নৌ বিহার করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও কাপ্তাই লেকে কায়াকিং করার সুবিধাও এখানে রয়েছে। খোলা মাঠে পিকনিক করা এবং স্টেজ প্রোগ্রাম করার যাবতীয় সুযোগও পাওয়া যাবে এখানে।
সর্বনিম্ন ৫০ জন থেকে শুরু করে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ এখানে একসাথে পিকনিক করতে পারবেন। শতাধিক বাস এবং বিপুল সংখ্যক প্রাইভেট কার, মাইক্রোসহ অন্য যে কোন যানবাহ এখানে নিরাপদে পার্কিং করার সুবিধা আছে। কোন প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করলে লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটের পুরোটাই ভাড়া নিয়ে সারাদিন এখানে আনন্দ বিনোদন করতে পারেন। আবার ইচ্ছা করলে ছোট একটি স্পট নিয়েও এখানে পিকনিক করা যায়। পিকনিকে আগতরা ইচ্ছা করলে নিজেরাই এখানে রান্না করে খেতে পারেন। আবার লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পট কর্তৃপক্ষকে রান্নার অর্ডারও দিতে পারেন। চাহিদানুযায়ী যে কোন ধরণের সুস্বাদু রান্না এবং আকর্ষনীয় প্যাকেটে খাবার সরবরাহ করা হয়। সকালের নাস্তা এবং দুপুর ও রাতের খাবার সরবরাহেরও সুবিধা এখানে পাওয়া যাবে। লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটে রাত্রী যাপনের জন্য আকর্ষনীয় ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ‘বনকুটির’ নামক দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি কটেজ রয়েছে। নামাজ আদায়ের জন্য আছে সুব্যবস্থা। নারী পুরুষের জন্য রয়েছে পৃথক টয়লেট ব্যবস্থা। সার্বক্ষনিক পানির ব্যবস্থা থাকার পাশাপাশি টোকাই ও অবাঞ্চিত লোকজনের প্রবেশ এখানে সম্পূর্ন নিষিদ্ধ।
আমাদের কাপ্তাই প্রতিনিধি কাজী মোশাররফ হোসেনকে কর্তৃপক্ষ জানান বছরের যে কোন দিন লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটে এসে আনন্দ ও নির্মল বিনোদনের সুযোগ রয়েছে। কাঠফাটা রোদের সময়ও লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটের সর্বত্র হিমেল হাওয়ার পরশ পাওয়া যাবে। শীতের সময় গাছগাছালীর ফাঁক গলিয়ে মিষ্টি রোদের আঁচ সত্যি মিষ্টিই লাগে। আর বৃষ্টির সময় অবিরাম ঝরঝর বৃষ্টি লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটের রুপই বদলে দেয়।
লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটে যেতে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে বাসে অথবা কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে সিএনজিতে চড়ে কাপ্তাই নতুন বাজার আসতে হবে। সেখান থেকে রিজার্ভ সিএনজি নিয়ে অনায়াসে লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটে আসা যাবে। তবে যারা ব্যক্তিগত গাড়িতে আসবেন তারা চট্টগ্রাম অথবা যে কোন স্থান থেকে সরাসরি আসতে পারবেন। বানৌজা শহীদ মোয়াজ্জম ঘাঁটি পরিচালিত লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পট বুকিং নিতে ০১৭৬৯-৭৭২১৭৪ নাম্বারে যোগাযোগ করুন।
দুবাই পুলিশের দেওয়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীদেবী হোটেল অ্যাপার্টমেন্টের পানি ভর্তি বাথটাবে সংজ্ঞা হারিয়ে ডুবে মারা যান।
শনিবার রাতে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
বলা হয়, দুবাইয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।
এনডিটিভি জানায়, রোববার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। পুলিশ শ্রীদেবীর পরিবার এবং দুবাইয়ে ভারতীয় কনস্যুলেটে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। ভাইপো মোহিত মারওয়াশের বিয়েতে যোগ দিতে স্বামী বনি কাপুর ও ছোট মেয়ে খুশিকে নিয়ে গত সপ্তাহের শেষ দিকে দুবাই গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। নিজের প্রথম সিনেমার শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় এ দম্পতির বড় মেয়ে জাহ্নবি ভারতেই ছিলেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে দুবাইয়ের খালিজ টাইমস জানায়, বনি কাপুর দুবাই থেকে ভারতে ফিরে এসেছিলেন। স্ত্রীকে সারপ্রাইজ দিতে শনিবার বিকালে তিনি আবারও দুবাই যান এবং একসঙ্গে ডিনারে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। ডিনারের প্রস্তুতি নিতেই শ্রীদেবী ওয়াশরুমে ঢুকে ছিলেন।
“বেশ কিছু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও শ্রীদেবী যখন ওয়াশরুম থেকে বের হচ্ছিলেন না তখন বনি কাপুর প্রথমে দরজার টোকা দেন। তাতেও সাড়া না পেয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে তিনি শ্রীদেবীকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পানিভর্তি বাথটাবে পড়ে থাকতে দেখেন। স্ত্রীর সংজ্ঞা ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে প্রথমে এক বন্ধুকে খবর দেন বনি, রাত ৯টার দিকে তিনি পুলিশকে ফোন দেন।”
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কাপ্তাই হ্রদের পানিতে চার মাস ডুবে থাকার পর হ্রদের পানির উচ্চতা কমে যাওয়ায় রাঙ্গামাটির পর্যটনের ঝুলন্ত সেতুটি পারাপারের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
পর্যটন কর্পোরেশন ব্যবস্থাপক আলোকময় চাকমা জানান, ঝুলন্ত সেতুটি চার মাস হ্রদের পানিতে ডুবে থাকায় সেতুর অনেক পাটাতন নষ্ট হয়ে গেছে। পানি কমে যাওয়ায় আজ থেকে সেতুটি সীমিত পারাপরের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
সেতু পাটাতন সংস্কার করে আগামী সপ্তাহে ঝুলন্ত সেতুটি পারাপারের জন্য পুরোপুড়ি খুলে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলের কারনে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়ে ঝুলন্ত সেতুটি পনিতে তলিয়ে যায়। এরপরই সেতুর উপর দিয়ে পর্যটকদের চলাচল বন্ধ করে দেয় পর্যটন কর্পোরেশন।
ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, বাঁশিবাদকের মৃত্যু হয়।
তার ছেলে সাব্বির সিদ্দিকী বলেন, তার বাবা হৃদরোগ ছাড়াও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
গত ১৭ নভেম্বর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে বারী সিদ্দিকীকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক আবদুল ওয়াহাবের তত্ত্বাবধায়নে সাত দিন আইসিইইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হলেও তার অবস্থার অবনতি ঠেকানো যায়নি।
মূলত লোকগান ও আধ্যাত্মিক ধারার গানের জন্য পরিচিত এই শিল্পী গত শতকের শেষ দিকে সারা দেশের শ্রোতাদের কাছে পৌঁছান কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরে। চলচ্চিত্রের প্লেব্যাকে তার দরদী কণ্ঠের বেশ কিছু আবেগমাখা গান দারুণ জনপ্রিয়।
শুক্রবার সকালে বারী সিদ্দিকীর মরদেহ নেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। সেখানে ভক্ত আর সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কর্মীরা তার জানাজায় অংশ নেন।
এরপর তার কফিন নেওয়া হয় বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রাঙ্গণে। সেখানে আরেক দফা জানাজার পর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে এই শিল্পীর জেলা নেত্রকোণায়।
সাব্বির সিদ্দিকী জানান, আসরের পর নেত্রকোণা সরকারি কলেজ মাঠে তার বাবার জানাজা হবে। পরে চল্লিশা কালী গ্রামে হবে দাফন।
১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর ভাটি অঞ্চলের এই জেলাতেই আবদুল বারী সিদ্দিকীর জন্ম। পরিবারেই শৈশবে তার গান শেখার হাতেখড়ি হয়।
কিশোর বয়সে নেত্রকোণার শিল্পী ওস্তাদ গোপাল দত্তের কাছে তালিম নিতে শুরু করেন বারী। পরে ওস্তাদ আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্নালাল ঘোষসহ বহু গুণীশিল্পীর সরাসরি সান্নিধ্য পান।
একটি কনসার্টে বারি সিদ্দিকীর গান শুনে তাকে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেন ওস্তাদ আমিনুর রহমান। পরে ছয় বছর ধরে চলে সেই প্রশিক্ষণ।
সত্তরের দশকে নেত্রকোণা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গে যুক্ত হন বারী সিদ্দিকী। পরে ওস্তাদ গোপাল দত্তের পরামর্শে ধ্রুপদী সংগীতের ওপর পড়াশোনা শুরু করেন। এক সময় বাঁশির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং উচ্চাঙ্গ বংশীবাদনের প্রশিক্ষণ নেন।
নব্বইয়ের দশকে ভারতের পুনে গিয়ে পণ্ডিত ভিজি কার্নাডের কাছে তালিম নেন বারী। দেশে ফিরে লোকগানের সঙ্গে ধ্রুপদী সংগীতের মিশেলে গান শুরু করেন।
ঢাকার বিভিন্ন স্টুডিওতে বাঁশি বাজিয়ে বেড়ানোর মধ্যেই ১৯৯৩ সালে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে তার বাসায় এক অনুষ্ঠানে বাঁশি শোনাতে যান বারী সিদ্দিকী। সেই অনুষ্ঠানে বারীর বাঁশির চেয়ে তার কণ্ঠে গাওয়া রশিদ উদ্দিন বাউল আর উকিল মুন্সির গানই বেশি পছন্দ হয় হুমায়ূনের।
পরে লেখক হুমায়ূনের আগ্রহেই বারীর কণ্ঠে ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়,’ ‘পুবালি বাতাসে’ গানগুলো রেকর্ড করা হয়।
টেলিভিশনে ‘রঙের বাড়ই’ নামে একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’ গানটি প্রচার করা হলে বারী সিদ্দিকী পৌঁছে যান সারা দেশের শ্রোতাদের হৃদয়ে।
১৯৯৯ সালে হুমায়ূন আহমেদের রচনা ও পরিচালনায় শ্রাবণ মেঘের দিন চলচ্চিত্রে সাতটি গানে কণ্ঠ দেন বারী সিদ্দিকী। ‘শুয়া চান পাখি’ গানটি সে সময় তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।
ওই বছরই জেনেভায় বিশ্ব বাঁশি সম্মেলনে যোগ দেন বারী সিদ্দিকী।
পরে রূপকথার গল্প, নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ, ও আমার দেশের মাটিসহ আরও কয়েকটি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকে গেয়েছেন এই শিল্পী। তার কণ্ঠের গান নিয়ে ডজনখানেক অ্যালবামও প্রকাশিত হয়েছে।
একটু উষ্ণতা পেলে কেমন হয়? ভাবছেন তো সামনেই পুজো৷ তার পরই শীত৷ আর সেই শীতে উষ্ণতার ছোঁয়া পেলে মন্দ হয় না। কিন্তু চাইলেই কি সব পাওয়া যায়? না সবসময় তা হয়তো পাওয়া যায় না। কিন্তু একটু সময় বের করে নিলে কিন্তু সব কিছুই সম্ভব। দিঘা-মন্দারমনি নয়, হাতের কাছে এমন কয়েকটি পার্ক রয়েছে যেখানে একটু গেলেই মিলবে উষ্ণতার ছোঁয়া। শুধু সময় করে বার করে নিতে হবে ঘন্টাখানেকের সময়। কি ভাবছেন শীতের দুপুরে প্রেমিক কিংবা প্রেমিকাকে নিয়ে চলে যান একবার সেখানে। রইল আপনার জন্যে বেশ কয়েকটি এমনই পার্কের নাম। যেখানে আড়ালে-আবডালে কিংবা গাছের কুটুরিতে মিলবে একটু উষ্ণতার ছোঁয়া!
সেন্ট্রাল পার্ক ( সল্টলেক)- খুব একটা দুড়ে না। সল্টলেক করুণাময়ী একাবারে কাছে সেন্ট্রাল পার্ক। যেখানে ঢুকতে খরচ করতে হয় মাত্র ৩০ টাকা। আর যদি ঢুকে পড়েন তাহলে তো আর রক্ষে নেই। উষ্ণতার ছোঁয়া পাবেনই পাবেন। শুধু আপনিই নয়, দেখবেন গাছের ঝোপে কিংবা আড়ালে-আবদালে কত কিছুই না চলছে।
ইলিয়ট পার্ক (পার্ক স্ট্রিট)- শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে এই পার্ক। এখানকার সুসজ্জিত গাছের ঝোপ প্রেমিক-প্রেমিকাদের অন্যতম আকর্ষণ। তাই সকালে পার্ক খুলতেই ভিড় বাড়তে থাকে কপোত-কোপতিদের। সময় করে আপনার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে একবার ঘুরেই আসতে পারেন।
প্রিন্সেপ ঘাট ( বাবুঘাট)- মমতা আসার পর সুন্দর করে প্রিন্সেপ ঘাটকে সাজিয়ে দিয়েছে। সঙ্গে রয়েছে নৌকা বিহারও। নৌকার মধ্যে প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মাঝ গঙ্গাতে ঘুরে বেড়ানোর মজাটাই আলাদা। যদিও এজন্যে একটি বেশি বাড়তি টাকা খরচ করতে হবে।
নলবন– সেক্টর ফাইভের একবারে শেষপ্রান্তে একটা সুন্দর জায়গা। গাছগাছালিতে ভরা, সামনে বিশাল ঝিল। সঙ্গে ঝিলে নানা বিনোদনের নানান ব্যবস্থা। রয়েছে বেশ কয়েকটি সরকারি হোটেলও। থাকা না গেলেও খাওয়াদাওয়া বেশ জম্পেশ। একবার মনের মানুষটাকে নিয়ে ঘুরে আসতেই পারেন। আশা করি ভালো লাগবে।
ইকো পার্ক– রাজারহাট-নিউটাউনের বুকে বিস্তির্ন এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে বিনোদন পার্ক। যেখানে একাধিকে যেমন রয়েছে বিশাল জলাশয়, তেমনই রয়েছে সুন্দর রেস্তোরাও। এমনকি, জলাশয়ের বুকে ভাসমান হোটেল সহ একাধিক বিনোদনের ব্যবস্থাও। যদি আরেকটু সময় কাটাতে চান আপনার প্রিয় মানুষের সঙ্গে তাহলে অবশ্যই বুক করতে পারেন হোটেলও। বিশাল জলাশয়ের পাশেই সুন্দর থাকার জায়গা। যদিও এর জন্যে বেশ বাড়তি করি খরচ করতে হবে আপনাকে।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গন পাঁচ দশকের বেশি সময় তিনি শাসন করে গেছেন রাজার মত; ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক বাংলার মানুষের কাছ থেকে শেষ বিদায় নিলেন সবার শ্রদ্ধা–ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে।
বৈরী আবহাওয়া আর যানজট উপেক্ষা করে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসেছিলেন সরকারের মন্ত্রী, আমলা, রাজনীতিবিদরা। এসেছিলেন চলচ্চিত্র অঙ্গনের সেকাল-একালের সহশিল্পীরা, শিল্প-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধি আর ভক্তরা। সবার হাতে ছিল শ্রদ্ধার ফুল।
বেশ কিছুদিন ধরে নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন ৭৫ বছর বয়সী রাজ্জাক। সোমবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে তাকে নেওয়া হয় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে। চিকিৎসকরা সন্ধ্যায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজ্জাকের মৃত্যুর খবর পেয়ে অনেকে ভিড় জমান ইউনাইটেড হাসপাতালে; শোক বিহ্বল অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ছুটে যান তার বাড়ি লক্ষ্মীকুঞ্জতেও।
পাঁচশর বেশি চলচ্চিত্রের অভিনেতা আবদুর রাজ্জাক বাংলাদেশের মানুষের কাছে খ্যাত ছিলেন নায়করাজ নামেই। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সাদা কালো যুগ থেকে শুরু করে রঙিন যুগ পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে গেছেন তিনি।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে ২৫ বছর প্রায় একাই টেনে নিয়ে গেছেন এই চিত্রনায়ক। শেষ দিকে অন্য চরিত্রে অভিনয় করলেও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গন তাকে চিরসবুজ নায়ক হিসেবেই দেখে।
সোমবার রাতে রাজ্জাকের মরদেহ রাখা হয় ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে। সেখান থেকে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নেওয়া হয় তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল এফডিসিতে।
সকাল থেকে মুষলধারায় বৃষ্টি, এরপর প্রখর রোদম কোনো কিছুই দমাতে পারেনি রাজ্জাকভক্তদের; লোকে-লোকারণ্য ছিল বিএফডিসির প্রধান ফটক থেকে শুরু করে ভেতরের চত্বর পর্যন্ত।
চলচ্চিত্রাঙ্গনের শিল্পী-কলাকুশলীদের পাশাপাশি রাজ্জাককে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন ভক্তরারও। সকাল ১১টার দিকে প্রয়াত নায়কের মরদেহ বহনকারী গাড়ির সঙ্গে আসেন তার ছেলে চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ ও সম্রাট।
এরপর নায়করাজের কফিনে শ্রদ্ধা জানায় তথ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবার, সিনেম্যাক্স মুভি পরিবার, বাংলাদেশ আওয়ামী সাংস্কৃতিক লীগ, বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব, চলচ্চিত্র গ্রাহক সংস্থা, চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি, সিনে স্থিরচিত্র গ্রাহক সমিতি, জাসাসসহ বিভিন্ন সংগঠন।
রাজ্জাককে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমাম, চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক ও গীতিকার মাজহারুল আনোয়ার, অভিনেতা আলমগীর, চিত্রনায়িকা ববিতা, শাবনূর, নায়ক শাকিব খান, অভিনেতা সুব্রত, আলীরাজ, রুবেল, ফেরদৌস, আহম্মদ শরিফ, ওমর সানি, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি অভিনেতা মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক নায়ক জায়েদ খানসহ আরও অনেকে।
প্রিয় অভিনেতাকে শ্রদ্ধা জানানোর পর সেখানে তার প্রথম জানাজা হয়।
সেখানে রাজ্জাকের বড় ছেলে বাপ্পারাজ বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
অভিনেত্রী ববিতা বলেন, “আমার জীবনের সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবি রাজ্জাকের সঙ্গে। রাজ্জাকের পর্দা উপস্থিতি, অভিব্যক্তি এখনকার নায়করা অনুসরণ করেন।”
রাজ্জাকের একসময়ের আরেক পর্দাসঙ্গী অভিনেত্রী সুচন্দা বলেন, “রাজ্জাকের নায়কের মতো রূপালী পর্দায় এসেছিলেন। তার চলে যাওয়া নায়কের মতোই হল। তিনি কখনও কারও কাছে কিছু চেয়ে ছোট হননি। রিয়েল লাইফে তিনি মহানায়ক ছিলেন।”
নায়ক আলমগীর বলেন, “আমার বলার কিছুই নাই। পিতা হারালে সন্তানের যেমন লাগে আমারও তেমন লাগছে।”
শাকিব খান বলেন, “এখনকার প্রজন্ম এবং আগামী যত প্রজন্ম আসবে তাদের কাছে নায়করাজ রাজ্জাক প্রেরণা হয়ে থাকবেন। আমরা একজন আইডল হারালাম।”
শাবনূর বলেন, “বিশ্বাস হচ্ছে না রাজ্জাক আঙ্কেল আর নেই। পর্দা থেকে পেছনের নায়ক রাজ্জাক আমার কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।”
এফডিসি থেকে বেলা সোয়া ১২টার দিকে রাজ্জাকের মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সেখানে সর্বস্তরের মানুষ নায়করাজের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানায়।
প্রথমে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ নায়করাজের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ফুল দেন মন্ত্রী আসাদুজ্জাসান নূর। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ফুল দেন তার দল জাসদের পক্ষ থেকে।
রাজ্জাকের কফিনে শ্রদ্ধা জানানোর পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “বাংলা চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন তিনি। তার চলে যাওয়ায় অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। এ শূন্যস্থান কখনও পূরণ হওয়ার নয়। তিনি ঢাকাই চলচ্চিত্রের উত্তম কুমার।”
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, “রাজ্জাকের নেতৃত্বে এ দেশের চলচ্চিত্র মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি দেশের সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করছে। সেই সংস্কৃতির আশ্রয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন।”
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদু্জ্জামান নূর অভিনেতা আবদুর রাজ্জাককে ‘প্রধান স্থপতি’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “বাংলা ছবির নির্মাণের ইতিহাস দেখলে বলতে হয়, যে ব্যক্তির ওপর দাঁড়িয়ে বাংলা চলচ্চিত্র দাঁড়িয়েছিল তিনি রাজ্জাক। নিজের দক্ষতা, নিজের গুণে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তিনি আমাদের অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন। আজ বাংলা চলচ্চিত্রের প্রধান স্থপতি চলে গেলেন।”
বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। পরে তিনি প্রয়াত এই নায়ক সম্পর্কে বলেন, “৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজ্জাক ছিল আমার প্রিয় বন্ধু। চলচ্চিত্র অঙ্গনে তার মতো সংস্কৃতিমনা মানুষ কমই দেখেছি। তার সঙ্গে যে কত স্মৃতির অধ্যায়। তিনি ছিলেন নিষ্ঠাবান ও পরিশ্রমী মানুষ।”
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, অভিনেত্রী রোজিনা, চিত্রনায়ক শাকিব খান, চিত্রনায়ক জাভেদ, অভিনেত্রী জয়া আহসান।
শ্রদ্ধা নিবেদন করে তারা অনেকেই জানালেন তাদের প্রতিক্রিয়া।
অভিনেত্রী রোজিনা বলেন, “আমার জীবনের প্রথম ছবি ‘আয়না’তে নায়ক হিসেবে পেয়েছিলাম রাজ্জাক ভাইকে। তার সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে তখন আমার হাত-পা কাঁপছিল। সেটা বুঝে তিনি আমাকে সাহস দিয়ে বললেন, ‘তোমার অভিনয় ভালো হচ্ছে।’ অভিনয়ের অনেক কিছু শিখেছি তার কাছ থেকে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তিনি নিজেই ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান।”
অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, “ইউনিটে অন্য সবাই যখন দাঁড়াত আর উনি যখন দাঁড়াতেন, তখন ক্লাসিফিকেশনটা খুব ভালো মত বোঝা যেত। উনার বাচনভঙ্গি থেকে শুরু করে সবকিছু এত মার্জিত ছিল! এরকম পারফেক্ট একটা মানুষকে হিরো হিসেবে দেখি না এখনো। যাবার সময় হলে তো সবাই যায়, কিন্তু আমাদের এখানে তো একটা জায়গা ফাঁকা হয়ে গেলে পূরণ হতে অনেক সময় লাগে, তার চলে যাওয়ায় এই জায়গাটা আর কখনো হয়ত পূরণ হবে না।”
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও রাজ্জাকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শ্রদ্ধা জানায় বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, অভিনয় শিল্পী সংঘ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, স্মৃতি ৭১, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, এনটিভি, গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ, ঋষিজ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বাংলাদেশ টেলিভিশন, ওয়ার্কার্স পার্টি, দৃষ্টিপাত নাট্য সংসদ, মুক্তধারা সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, বাংলাদেশ বাউল একাডেমি ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ যুব সমিতি, সুবচন নাট্য সংসদ, দনিয়া সাংস্কৃতিক জোট, ডিরেক্টরস গিল্ড, দেশ টিভি, প্রজন্ম ৭১, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিসহ আরও অনেক সংগঠন।
নায়ক রাজ্জাক যে বর্তমান প্রজন্মের কাছেও ‘নায়করাজ’ তার প্রমাণ মিলল শহীদ মিনারে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা তরুণদের ভিড় দেখে।
রাজ্জাক ভক্তদের তিনটি সারি শহীদ মিনার থেকে গিয়ে ঠেকে ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগের গেটে। এই লাইনে তরুণদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
রাজ্জাককে কতটুকু চেনেন জানতে চাইলে তাদের একজন নুসরাত রহমান বর্ণা বলেন, “টিভিতে একবার রংবাজ ছবিটা হচ্ছিল। রাজ্জাক স্যারকে তো এমনিতেই চিনতাম, কিন্তু রংবাজ ছবিতে তাকে একদম অন্যভাবে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত সুদর্শন নায়ক বাংলাদেশে আর নেই।”
সানিয়া সাফা বলেন, “নায়ক রাজ্জাকের সিনেমার পাগল আমার আম্মা। ইউটিউবে যে কয়টা পাই আম্মাকে ছেড়ে দেই দেখার জন্য, আমি নিজেও দেখি। আম্মা অসুস্থ, তাই আমাকে পাঠিয়েছেন তার পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে যেতে। আমি নিজেও একজন ভক্ত উনার।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যার ছাত্র ওয়ালিউল্লাহ নোমান খান ও তার কয়েকজন বন্ধু এসেছিলেন নায়করাজের মৃতদেহ দেখতে আর শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।
নোমান বলেন, “ক্যাম্পাসে কত রাত কাটাই নীল আকাশের নিচে গানটা গেয়ে! যখনই গাই নায়ক রাজ্জাকের সুন্দর চেহারাটা আমার চোখে ভাসে। আর রংবাজ ছবিতে তার অভিনয় আর অ্যাপিয়ারেন্স কোনোদিন ভুলব না।”
বাবাকে নিয়ে বকশীবাজার থেকে এসেছিলেন বোরহানউদ্দীন কলেজের ছাত্র সমরেশ কুমার মজুমদার। জানালেন তার বাবা রাজ্জাকের মৃত্যু সংবাদে গতকাল থেকে মন খারাপ করে আছেন। তার নিজেরও মন খারাপ, কারণ তিনিও প্রয়াত নায়কের ভক্ত।
“আমি তার কমপক্ষে ৬০-৭০টা সিনেমা দেখেছি। প্রতিটা ছবিতে মুগ্ধ করেছেন। তার চোখ দুটো আমার খুব প্রিয়।”
গাড়ী মেরামত কারখানায় কাজ করা সবুজ শিকদার কাজের ফাঁকেই চলে এসেছেন নায়করাজকে শেষবারের মতো দেখতে।
তিনি বলেন, “দেশে থাকতে উনার অশিক্ষিত সিনেমাটা দেখছি। আরো দেখতে মন চাইত। ঢাকায় আইসা ইন্টারনেট শিখার পর অনেক ছবিই দেখছি। এখনকার সবার চাইতে তারেই ভালো লাগে আমার।”
“আমার কাছে মনে হয় সালমান শাহ ছাড়া নায়ক রাজ্জাককে ছাড়িয়ে যাওয়ার মত আর কোনো নায়ক বাংলাদেশে নেই। এত বছর পরও তার ওরা এগার জন, জীবন থেকে নেয়া, রংবাজ, লাইলি মজনু এসব ছবির ধারেকাছে কারো সিনেমা নাই,” বললেন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা তরুণ ব্যাংকার রাসেল আহমেদ।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর কফিন নিয়ে যাওয়া হয় গুলশানের আজাদ মসজিদে। সেখানে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে শায়িত হবেন নায়করাজ রাজ্জাক।
॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক আর নেই। ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকালে তার মৃত্যু হয় বলে বাংলাদেশ পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার জানান।
রাজ্জাকের বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। ইউনাইটেড হাসপাতালের কাস্টমার কেয়ারের ইনচার্জ উজ্জ্বল জানান, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর ৫টা ২০ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয় রাজ্জাককে। তখন তার পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেন। ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
রাজ্জাক স্ত্রী লক্ষ্মী (খায়রুন নেসা), তিন ছেলে বাপ্পারাজ, বাপ্পি ও সম্রাট এবং দুই মেয়ে শম্পা ও ময়নাকে রেখে গেছেন। তার ছেলেরাও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
পাঁচশর বেশি চলচ্চিত্রের অভিনেতা আবদুর রাজ্জাক বাংলাদেশের মানুষের কাছে নায়করাজ নামেই খ্যাত ছিলেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সাদা কালো যুগ থেকে শুরু করে রঙিন যুগ পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে ছিলেন রাজ্জাক।
রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি অবিভক্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়। শৈশবেই তিনি বাবা-মাকে হারান।
অভিনেতা হওয়ার মানসে ১৯৬১ সালে কলকাতা থেকে মুম্বাই পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি; সেখানে সফল না হয়ে ফিরেছিলেন টালিগঞ্জে।
কলকাতায়ও পরিস্থিতি অনুকূলে না হওয়ায় ১৯৬৪ সালে ঢাকায় চলে আসেন রাজ্জাক। প্রথমে কাজ শুরু করেন সহকারী পরিচালক হিসেবে; এর মধ্যেই ‘তেরো নাম্বার ফেকু ওস্তাগার লেন’ চলচ্চিত্রে ছোট একটি ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। ‘ডাকবাবু’, উর্দু ছবি ‘আখেরি স্টেশন’সহ কয়েকটি চলচ্চিত্রে ছোট ছোট ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি।
এক সময় জহির রায়হানের নজরে পড়েন রাজ্জাক। তিনি ‘বেহুলা’য় লখিন্দরের ভূমিকায় অভিনয়ের সুযোগ দিলেন রাজ্জাককে, সুচন্দার বিপরীতে। ‘বেহুলা’ ব্যবসাসফল হওয়ায় আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি রাজ্জাককে।
সুদর্শন রাজ্জাক সুচন্দার পর কবরী, ববিতা, শাবানাসহ তখনকার প্রায় সব অভিনেত্রীকে নিয়ে একের পর এক ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র দেন ঢালিউডকে। এর মধ্যে রাজ্জাক-কবরী জুটি ছিল ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়।
রাজ্জাকের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘আনোয়ারা’, ‘সুয়োরাণী-দুয়োরাণী’, ‘দুই ভাই’, ‘মনের মতো বউ’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘ময়নামতি’, ‘ক খ গ ঘ ঙ’, ‘বেঈমান’।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ‘রংবাজ’ দিয়ে বাংলাদেশে অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্রের সূচনাও ঘটান রাজ্জাক।
‘আলোর মিছিল’, ‘পিচ ঢালা পথ’, ‘স্বরলিপি’, ‘কি যে করি’, ‘টাকা আনা পাই’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘বাঁদী থেকে বেগম’, ‘আনার কলি’, ‘বাজিমাত’, ‘লাইলি মজনু’, ‘নাতবউ’, ‘মধুমিলন’, ‘অবুঝ মন’, ‘সাধু শয়তান’, ‘মাটির ঘর’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘কালো গোলাপ’, ‘নাজমা’সহ অসংখ্য ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রের নায়ক রাজ্জাক।
বদনাম, সৎ ভাই, চাপা ডাঙ্গার বউসহ ১৬টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন রাজ্জাক। অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় পুরস্কারসহ অনেক সম্মাননা। ২০১৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আসরে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করেন তিনি।
এক প্রতিভা, যিনি নিজ প্রচেষ্টা ও সাধনায় নিজেকে করেছে অলংকৃত, শ্রোতা সাধারণকে করেছে বিমোহিত। যার নাম হয়ত ভবিষ্যৎ শ্রোতাদের মাঝে আন্দোলিত হতে পারে। চট্টগ্রামবাসী যাকে নিয়ে একদিন গর্ববোধ করবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস। একদিন হয়ত যার কন্ঠে বিমোহিত হতে পারে সারা বংলার শ্রোতা সাধারণ।
তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেওয়া এক স্বপ্নবাজ তরুন – মোঃ সালাহউদ্দিন কাদের মানিক। ১৯৮৪ সালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার অন্তর্গত সরল গ্রামের সম্ভান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বরকত আলী মাঝির বাড়ীর মরহুম হাজী জমির উদ্দিন এবং পশ্চিম বাঁশখালীর খ্যাতিমান জমিদার মরহুম হাজী নবাব আলী চৌধুরীর ৫ম কন্যার ৫ম সন্তান। গ্রামে যার শৈশব কৈশোর কাটে। স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কৃত্বিত্বের সাথে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে একই এলাকার সরল আমিরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা সফলভাবে শেষ করে।
মাধ্যমিক পরিক্ষা সম্পন্ন করার পর চট্টগ্রাম শহরে পাড়ী জমায় উচ্চ শিক্ষা অর্জনের তাগিদে। চট্টগ্রাম কলেজ হতে ¯œাতকোত্তর এবং চট্টগ্রাম আইন কলেজ থেকে এল.এল.বি সম্পন্ন করে বর্তমানে একটি স্বনামধ্যন্য ব্যংকে অফিসার পদে কর্মরত আছে।
সালাহ উদ্দিন কাদের মানিকের গ্রামে সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা যায়, এলাকায় তিনি মানিক নামে পরিচিত। গ্রামবাসী ও এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিদের সাথে আলাপ কলে জানতে পাির “ছোট বেলা থেকে মানিকের গানের প্রতি অধম্য আগ্রহ ছিল। যে কোন পরিস্থিতিতে তড়িৎ নিজের ভাষার গান গাওয়ার সক্ষমতা ছোট বেলা থেকে তাঁর ছিল। এলাকার যে কোন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মানিকের উপস্থিতি ছিল শতভাগ। যার সুবাধে বিভিন্ন সময় গান করার সুযোগ সৃষ্টি হত তার। প্রাণ ভরে শ্রোতারা উপভোগ করত মানিকের গান।
এলাকাবাসী ও বন্ধ বান্ধবের আক্ষেপ, যদি যথাযতভাবে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হত, তাহলে এতদিনে সত্যিকার অর্থে নামকরা একজন শিল্পি হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারত।”
চট্টগ্রাম শহরে পাড়ি জমানোর পর মানিক আবার গানের প্রতি মনোযোগী হয়। যার প্রচষ্টোয় অনেক সাধনার পর প্রথমবারের মত ঈদুল ফিতরে নিজের কথা ও সূরে ৫টি গান জনপ্রিয় অনলাইন ভিডিও মাধ্যম ইউটিইবে প্রকাশ পায়। গান গুলো যথাক্রমে:
১) আমার ভাগ্য চাকা ঘুরছে
২) ও মাইয়্য
৩) তুমি এতো বিবেকহীনা
৪) দেখো সুখের পাখি
৫) সন্ধ্যবেলায় সাগর পাড়ে।
গানের বিষয়ে তাঁহার সাধনা ও সফলতা নিয়ে তরুন শিল্পি মানিকের সাথে একান্ত আলাপ কালে বলেন, “ গানের প্রতি একটি টান ছোট বেলা থেকে আমার ছিল। যে কোন ধরেন গানের শব্দ আমার কানে পৌছলে আমি যেন ঐ সুরে হারিয়ে যেতাম। প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেওয়ায় যথাযথ সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় সেভাবে আর নিজেকে গড়ে তুলতে পারিনি। যখন মাধ্যমিক পরিক্ষা শেষে চট্টগ্রাম শহরে পাড়ি জমাই, তখন থেকে আমি মনে প্রাণে চেষ্টা করতে থাকি গান নিয়ে কিছু একটা করার।
বিভিন্ন গানের অনুষ্টানে যাতায়তের সুবাধে অনেকের সাথে আস্তে আস্তে পরিচিত হই। তাদেও সাথে আলাপ করে এটি বুঝতে পারি- একজন উস্তাদ ছাড়া সামনে এগুনোর সুযোগ নেই। তাই একজন মনের মত উস্তাদ খুজতে আরম্ভ করি। অবশেষে পেয়ে যায় এক স্বনাম ধন্য উস্তাদ, যার হাতে প্রথম কোন গানে ভিন্ন মাত্রা যোগ করলাম। তিনি হচ্ছে বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মিউজিশিয়ান উস্তাদ সৈয়দুল হক। যার হাতে দীর্ঘ ৭ বৎসর ধরে গানের তালিম নিচ্ছি এবং পাশাপাশি খ্যাতিমান শিল্পি চট্টগ্রাম বাঁশখালীতে জন্ম নেওয়া ফকির সাহাবউদ্দিন এর নিকট তালিম নিচ্ছি। যদিও বা গ্রামে থাকাকালিন কিছুদিনের জন্য উস্তাদ জিতেন্দ্র লাল এর কাছে তালিম নিয়েছিলাম।
যদিও ছোট বেলা থেকে গান গাওয়ার চেষ্টা করতাম। কিন্তু ২০০১ সাল হতে মূলত গান নিয়ে চুড়ান্ত ভাবে ভাবতে আরম্ভ করি। তখন থেকে আমি বেশ কয়েকটি গান নিজে নিজে রচনা করি।
দীর্ঘ প্রচেষ্টা পর গানগুলোতে নিজেই সূর দিয়ে নিজের কন্ঠে রেকর্ড করাতে সক্ষম হই। যা এই ঈদুল ফিতরে জনপ্রিয় অনলাইন ভিডিও মাধ্যম ইউটিউবে প্রকাশ করি।
গানগুলো প্রকাশ হওয়ার পর শ্রোতাসাধরনের যথেষ্ট সাড়া পাই। শ্রোতাদের উচ্ছাসিত আবেগ আমাকে আরো বেশী অনুপ্রেরণা দেয়। যার ফলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি- আগামী ঈদুল আযহায় গানগুলোকে নতুন আঙ্গিকে মিউজিক ভিডিওর মাধ্যমে শ্রোতা সাধারণকে পৌছে দিব। সবার কাছে দোয়া কামনা করছি।”
পরিশেষে বলতে হয়, বাংলাদেশের সংগীত অংগনে নিজের কথা ও সূর এবং কন্ঠে গান করা শিল্পির ক্ষুদ্র তালিকায় হয়ত আরেকটি নাম রেকর্ড হতে চলছে।