সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
আওয়ামী লীগের সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে দেওয়া মন্ত্রী জানান, ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ওই বিদেশিরা বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন।
এর মধ্যে ২০১৩ সালে সবচেয়ে কম বিদেশি বাংলাদেশে এসেছেন। ওই বছর দুই লাখ ৭৭ হাজার ৫৯৬ জন বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন।
আর ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি- ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯৪ জন বিদেশি পর্যটক বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, “সারাদেশের অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আট হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যানুপাতে প্রতি জেলা/উপজেলায় বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে।
খোরশেদ আরা হকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা’ নির্ণয়ের জন্য ৪৭০টি যাচাই-বাছাই কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি নির্দেশিকার আলোকে যাচাই-বাছাই করছে। তাদের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে নামের গেজেট প্রকাশ এবং সনদ প্রদান করা হবে।
উম্মে রাজিয়া কাজলের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশের জন্য একটি ঘৃণাস্তম্ভ তৈরির পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।”
জাতীয় পার্টির এ কে এম মাঈদুল ইসলামের প্রশ্নে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন জানান, সারাদেশে বর্তমানে ছয় হাজার ৭৪০টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ও নবয়ন করেছে চার হাজার ৯৯০টি। ছাড়পত্রবিহিন ইটভাটার সংখ্যা এক হাজার ৭৫০টি।
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নে ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ জানান, সরকারের বিগত ও চলতি মেয়াদে ১৮ হাজার ২৭টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য ৯৯ হাজার ৯৩১ দশমিক ৬২ একর খাসজমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে।
একই সাংসদের আরেক প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে সারাদেশে ছয় হাজার ৬৮ দশমিক ৪৭ একর পরিত্যক্ত সম্পত্তি রয়েছে।
‘গডফাদার ট্রিলজি’র জনক ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার ‘অ্যাপোকালিপ্স নাউ’ ১৯৭৯ সালে জেতে পাম দ’র। ভিয়েতনাম যুদ্ধের পটভূমিতে এই সিনেমার গল্পে দেখা যায় ক্যাপ্টেন উইলার্ড (মার্টিন শিন) নামের একজন যুদ্ধ নায়ককে পাঠানো হয় কম্বোডিয়ায় এক কর্নেলকে (মার্লোন ব্র্যান্ডো) হত্যা করার জন্য, যিনি ওই এলাকায় ঈশ্বরের মতো আধিপত্য নিয়ে থাকেন।
উৎসবের আগে সিনেমাটিকে কানে প্রদর্শন করবেন কিনা- এই নিয়েই সংশয়ে ছিলেন কপোলা। কিন্তু শেষমেশ প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল তার প্রমাণ মেলে স্বর্ণপাম জেতার পর।
২. দ্য লেপার্ড
১৯৬৩ সালে স্বর্ণপাম জেতা এই সিনেমাটি আবারও খ্যাতির আলোয় উঠে আছে ২০১০ সালে কানে এটিকে ফের প্রদর্শনের পর। ইতালীয় নির্মাতা লুসিনো ভিসকন্তির নির্মিত সিনেমাটি গল্প বলে ১৮৬০ সালের সিসিলি বিদ্রোহের সময়কার এক পরিবারের কথা, যারা বৈরি পরিবেশেও নিজেদের আভিজাত্য বজায় রাখার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যায়। অস্কারজয়ী নির্মাতা মার্টিন স্করসেজি এই সিনেমা সম্পর্কে বলেছেন, এটি তার জীবনের দেখা অন্যতম সেরা সিনেমা।
৩. ট্যাক্সি ড্রাইভার
১৯৭৬ সালের কাল্ট ক্লাসিক ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’-এর জয়যাত্রার শুরু কান চলচ্চিত্র উৎসবে স্বর্ণপাম জেতার মাধ্যমেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধ ফেরত এক মানসিক ভারসাম্যহীন সৈনিক, সত্তর দশকের শেষে যে উপার্জন করতো শহরের রাস্তায় ট্যাক্সি চালিয়ে- ট্র্যাভিস বিকেল নামের এমন এক চরিত্রে অভিনয় করে রবার্ট ডি নিরো অর্জন করেন বিশ্বজোড়া খ্যাতি। আয়নার দিকে তাকিয়ে ট্র্যাভিসের ‘আর ইউ টকিন টু মি?’ সংলাপটি এখনও থ্রিলার প্রেমীদের মুখে মুখে ফেরে। এই সিনেমায় ১২ বছর বয়সী এক যৌনকর্মীর ভূমিকায় অভিনয় করে রূপালি পর্দায় অভিষেক ঘটে আরেক বিখ্যাত অভিনেত্রী জোডি ফস্টারের।
৪. পাল্প ফিকশন
১৯৯৪ সালে ‘ফরেস্ট গাম্প’ কিংবা ‘শশ্যাঙ্ক রিডেম্পশন’-এর মতো বিখ্যাত সিনেমা থাকলেও কুয়েন্টিন ট্যারেন্টিনোর ‘পাল্প ফিকশন’য়ের জনপ্রিয়তা পৌঁছে যায় আলাদা একটি যায়গায়। উমা থারম্যান, জন ট্রাভোল্টা, স্যামুয়েল এল জ্যাকসন এবং ব্রুস উইলিসদের মতো হেভিওয়েট তারকাদের একই ফ্রেমে বেঁধে ডার্ক হিউমার সৃষ্টির কাজটি যে ট্যারেন্টিনো খুব ভালোভাবেই পেরেছিলেন, তার স্বীকৃতি মিলেছিল কানে সিনেমাটির স্বর্ণপাম জেতার মাধ্যমে।
৫. দ্য ওয়েজেস অফ ফিয়ার
১৯৫৩ সালে হেনরি জর্জেস ক্লুজোর এই সিনেমাটি কানে প্রদর্শনের সঙ্গে সঙ্গেই হইচই পড়ে যায়, কারণ সিনেমার প্রতিটি দৃশ্যই ছিল রোমাঞ্চে ভরপুর। দক্ষিণ আমেরিকার এক প্রত্যন্ত গ্রামে চারজন লোকের শক্তিশালী বিস্ফোরক নাইট্রোগ্লিসারিন বহন করে নিয়ে যাওয়ার গল্পটিকে অভিহিত করা হয় সেসময়ের অন্যতম সফল থ্রিলার হিসেবে। দুই ঘন্টা ১১ মিনিটের এই সিনেমা জিতে নেয় সেবারের স্বর্ণপাম।
এফডিসিতে শিল্পী সমিতিতে তখন নতুন করে ভোট গণনা চলছিল। নির্বাচন কমিশনার ও আপিল বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে সেখানে ছিলেন একসময়ের দাপুটে নায়ক-নায়িকা এবং এবারের নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ওমর সানী ও কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য মৌসুমী। বাইরে সহশিল্পীদের অপেক্ষা। গণমাধ্যমের সঙ্গে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেরিয়ে পড়ার সময় কান্নার শব্দ শোনা যায়। সহশিল্পীরা শুরুতে ওমর সানীকে ঘিরে ধরে কান্নাকাটি করতে থাকেন। সবাইকে নিজের মতো করে সান্ত্বনা দিয়ে গাড়ির দিকে এগিয়ে যান সানী। এরপর মৌসুমী বের হলে তাঁকেও ঘিরে ধরেন অনেক সহশিল্পী।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে এভাবেই মৌসুমী ও ওমর সানীকে এফডিসি থেকে বিদায় জানায় সহশিল্পীদের একটা অংশ।
মৌসুমী ও ওমর সানীকে জড়িয়ে ধরে যাঁদের সবচেয়ে বেশি কাঁদতে দেখা গেছে, তাঁদের মধ্য আছেন কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত কমল ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য জেসমিন। তাঁদের দাবি, সভাপতি পদে ওমর সানীকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিল্পীদের কাছে তিনি যতটা জনপ্রিয়, তাঁর হারার কোনো কথা না।
মৌসুমী-ওমর সানী দম্পতি তাঁদের সবাইকে বুকে টেনে সান্ত্বনা দেন। মন দিয়ে সবাইকে কাজ করে যেতে বলেন।
মৌসুমী বলেন, ‘আমি আসলে ওদের এমন আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ দেখে কী বলব বুঝতে পারছি না। এটাই আসলে আমাদের শিল্পীসমাজ। এমন একটা পরিবেশ-পরিস্থিতি আজ তৈরি হবে, এটা বুঝতে পারিনি। সব শিল্পীকে ভালোবাসি ও শ্রদ্ধা করি।’
সহশিল্পীদের কাছ থেকে এমন ভালোবাসা পেয়ে ওমর সানীও চোখের পানি আটকাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘এখনো কেউ মানতেই চায় না আমি হেরেছি। তারা হাউমাউ করে কান্নাকাটি করছে। শিল্পীরা আমাকে যে এভাবে ভালোবেসেছে, এটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় বিজয়। আমি শুধু এটুকু বলব, আমার পুরো অভিনয়জীবনে এমন নির্বাচন দেখিনি।’
বান্দরবনে |আলিকদমের মুরং কমপ্লেক্স
আফরিন জামান লিনা:অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম। এই অঞ্চলে না গেলে বোঝাই যায় না কত অপরুপ সৌন্দর্যে সেজে আছে আমাদের জন্মভুমি।কবির ভাষায় সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি, এত টুকুন মিথ্যা কবি বলেন নাই। এই মাসের মাঝামাঝি আমি ছিলাম এই রুপ সম্রাজ্ঞের বিপুল ভান্ডারের রাজ্যে। হ্যা পার্বত্য চট্টগ্রামে। চিটাগং হিল ট্র্যাক্ট সংক্ষেপে সি এইচ টি। এটা নিয়ে দ্বিতীয়বার আমার এই অঞ্চলে ভ্রমন করা। নিজের লেখালেখির উৎসাহ আর এই বাংলার রুপকে অতি নিকট থেকে দেখার লোভ আবারো নিয়ে গিয়েছিল আমাকে সি এইচ টি তে। বলতে পারেন নিজের গবেষনার খনি খোজার লোভেও চলে যাওয়া সমতল থেকে শত শত মাইল উঁচুতে।
গত ডিসেম্বরে সিএইচটি থেকে ফিরে এসে আমি লিখেছিলাম বান্দরবনে মুরং জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রয়োজন। তখনো আমি জানিনা বান্দরবন জেলার অন্তর্গত আলিকদম উপজেলাতে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর করা মুরং কমপ্লেক্স। বান্দরবান ব্রিগেড এবং আলিকদম জোনের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে এখানে আবাসিক ভাবে রয়েছে ১১৭ জন শিক্ষার্থি। যার ভেতরে ৫০ জন মেয়ে এবং ৬৭ জন ছেলে। আমরা কথায় কথায় আমার দেশের এই অতন্দ্র প্রহরীদের ধিক্কার সহকারে কথা বলি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বলতেই আগেই এক ঘা দিয়ে গাল দিয়ে উঠে আমাদের সুশীল সমাজ। তাদের মতে ওখানে সেনাবাহিনী ঘাস কাটে। যদিও পাহাড়ি ঘাস কেটে সুপ্রশস্ত রাস্তা বা মনোহর স্থাপনা সবই এই গাল খাওয়া পার্টিদেরই করা। যা শুধু এই অঞ্চলে গিয়ে একটু সুনজরে তাকালেই দেখতে পাওয়া যায়। মুরং কমপ্লেক্সের কথা জানার পর এবার আমি ছুটে যাই আলিকদমে।বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বান্দরবান জেলার অন্তর্গত আলিকদম একটি উপজেলা। এই উপজেলার দক্ষিনে রয়েছে মায়ানমার। উত্তরে লামা, পূর্বে থানচি,এবং পশ্চিমে নাইক্ষ্যাংছড়ি উপজেলা।
পারতপক্ষে “আলোহক্যডং” থেকে আলীকদম নামের উৎপত্তি। বোমাং সার্কেল চীফের নথি পত্র ও১৯৬৩ সালের তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার কর্তৃক আকা মানচিত্রে আলোহক্যডং নামের সত্যতাপাওয়া যায়। বিশিষ্ট সাংবাদিক ও গবেষক আতিকুর রহমান এর মতে আলী পাহাড়ের সাথে সঙ্গতি শীলনাম হল আলীকদম। তাছাড়া কথিত আছে যে ৩৬০ আওলিয়া এ উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারের জন্যএসেছিলেন। তাদের মধ্যে আলী নামে কোন এক সাধক এতদঞ্চলে আসেন। উনার পদধুলিতে ধন্য হয়ে এএলাকার নাম করণ হয় আলীকদম। পূর্ববর্তী সময়ে এটি লামার একটি ইউনিয়ন ছিল। ১৯৮২সালেবাংলাদেশ সরকার প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের ফলে একে উপজেলায় অধিষ্ঠিত হয়।৬৩৬ টি গ্রাম বাপাড়ার সমন্বয়ে আলীকদম উপজেলায় আলীকদম সদর ও চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের আওতায় ৪ টি ইউনিয়নপরিষদ ।আলীকদম সদর,চৈক্ষ্যং,নয়াপাড়া,কুরুকপাতা। আর এই আলিকদম সদরেই রয়েছে মুরং কমপ্লেক্স। ২০০৮ সালের ১৫ই জুলাই ৩৫ জন শিক্ষার্থি নিয়ে আলিকদম জোনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদের হাত ধরে মুরং কপ্লেক্সের জন্ম।যেখানে এখন রয়েছে ১১৭ জন ছাত্রছাত্রী। এখান থেকে এস এস সি পাস করে মুরং ছেলেমেয়েরা চলে যাচ্ছে সমাজের নানা স্তরে। কেউ উচ্চতর পড়াশোনা কেউ চাকুরী কেউ ব্যাবসা। পার্বত্য অঞ্চলের মুরংদের শিক্ষার নিম্ন অবস্থানের জায়গা থেকে তুলে আনার এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত না জানানোর কোন কারন থাকতে পারে বলে মনে করা উচিৎ নয়। অথছ স্বাগত দূরে থাক এই অঞ্চলের একটা বড় অংশ এই কার্যক্রম সম্পর্কে জানেই না। জানবেই বা কি করে এখানে যে প্রচার করার কেউই নেই। যেসব সুশীল সমাজ এই অঞ্চল নিয়ে কাজ করছেন তারা এই সকল অবাঞ্ছিত মানুষদের জন্য না কথা বলে কথা বলছেন যাদের হয়ে বা যে বিষয়গুলি নিয়ে তা এই পাহাড়ের সরল মানুষগুলির কতখানি প্রয়োজনে আসছে এটাও একটু খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
যারা খুব দর্পের সাথে বলছেন সেনাবাহিনীর এখানে কি কাজ? তাদের বলি আপনারা দয়া করা সেনাবাহিনীর এই মাছি মারার দায়িত্বটা নিন। যে ছেলেটা ২০/২১ বছরের তরুন ল্যাফটেন্যান্ট সে তার পরিবার,সমাজ,চাকচিক্যময় কর্মস্থল ছেড়ে এখানে এসে আসলে বসে কি করছে!!!!!!! এই অভিজ্ঞতাটা আপনাদেরো থাকা উচিৎ। যেই অঞ্চলে বিদ্যুৎ নেই,প্রযুক্তির ছোয়া নেই সেই ধরনের একটা পাহাড়ের উপরে একটা ক্যাম্প করে ওরা আসলে কেন থাকছে?? ঐ ক্যাম্পের পাস দিয়ে যেই সুপ্রশস্ত রাস্তা চলে গেছে আপনাদের পৌঁছানোর জন্য সেই রাস্তা করার দায় কি ওর???? যেই অঞ্চলে বিদ্যুৎ নেই সেখানে বিদ্যুতের খাম্বা বসানোর দায়িত্ব কি ওর??? যে এলাকায় মেডিকেল সেবা নেই সেই এলাকায় ঔষধ পৌছে দেবার দায়িত্ব কি শুধুই ওর??? আপনারা কেন রাজধানীর বুকে এসির হাওয়াতে বসে ওদের গাইল দিচ্ছেন??? আপনারাই তো এই পাহাড়ের সরল মানুষগুলির ভালবাসার গঙ্গা। আসুন না ওদের কাছে। থাকুন ওদের সাথে মিশে। আপনাদের কন্ঠগুলি কেন ওদের শিক্ষা নিয়ে হয়না??? কেন ওদের সামাজিক অবস্থান নিয়ে হয়না??? যখন একটা পাহাড়ি মেয়ে তার পৈত্রিক সম্পত্তিকে বেদখল হয়ে যাবার জন্য কেঁদে ফিরে কেন আপনাদের কন্ঠ তাদের জন্য কথা বলেনা??? কেন মুকুল চাকমা অপহৃত হবার পরে তার মেয়ে নমিশা চাকমা বা মনিশা চাকমার জন্য আপনারা কথা বলেন না? মুকুল চাকমা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সদস্য ছিল তাই????? কোথায় নমিশা??? কেন মানবাধিকার এখানে নিশ্চুপ??? কথা বলতে জানেন, প্রতিবাদ করতেও জানেন,আপনারাই এইগুলির অধিপতি, তাহলে আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি এত পক্ষপাতিত্য কেন???? সেনাবাহিনীর কোন সদস্য ঐ অঞ্চল কিনে নিয়ে বসে নেই। ওরা মাসে সেই বেতনই পায় যেই বেতন সমতলের সৈন্যরা পায়।তাহলে আপনারাই বলুন কিসের লোভে ওরা ঐ দুর্গম অঞ্চলে পড়ে থাকে??? আমার লেখার উদ্দেশ্য কোন বাহিনীকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া নয় কারন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দিকে যারা কাঁদা ছুড়ে দিচ্ছেন তারা হয়ত নিজেরাই বুঝে না কাঁদাটা ঘুরে তাদের গায়েই এসে লাগছে কারন দেশটা আমাদের সবার। আমার দেশের অহংকার আমার দেশের সম্মানকে কাঁদা লেপন করার মহৎ উদ্দেশ্য গ্রহনকারীরা কতখানি দেশপ্রেমিক এটাও দেখার বিষয়। পার্বত্য অঞ্চলে কাজ করতে গিয়ে পাহাড়ের সরল মানুষগুলির আচরন শুধু কাছেই টানেনা ওদেরকে নিয়ে ভাবায়। তবে বিষয়টা হচ্ছে সেই ভাবনাটাকে কে কোন ভাবে ব্যবহার করছে। আমরা কেন ওদের শিক্ষা নিয়ে লড়াই করিনা। আমি শুধু যদি এক আলিকদমের শিক্ষার সমিকরন দাড় করাই তাতেই বোঝা যাবে ঐ অঞ্চলের শিক্ষার হার সমতল থেকে কতখানি নিচেয় আছে। পার্বত্য আলীকদম উপজেলায় স্বাধীনতা পূর্ববর্তী কাল থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার সূচনা হয়। ১৯৬০ সালে ‘আলীকদম প্রাথমিক বিদ্যালয়’ বর্তমান আলীকদম আদর্শ সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়’টির গোড়াপত্তন ঘটেছিল। এ উপজেলা শিক্ষাক্ষেত্রে খুবই অনগ্রসর জনপদ। আধুনিকবিশ্বে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির চরম উৎকর্ষর এ যুগে শিক্ষিত সমাজ সৃষ্টি না হলে দারিদ্র বিমোচন থেকেশুরু করে কোন পরিকল্পনা প্রণয়ন, উন্নয়ন বাস্তবায়ন, সংস্কৃতি ও শিল্প-সাহিত্য চর্চাকে এগিয়ে নেওয়াঅসম্ভব। অথচ এখানে একটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, একটি বেসরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও একটিদাখিল মাদরাসা রয়েছে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে। বাস্তবতার নিরিখে বলতে হয়, এসবশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমুহের লেখাপড়ার মান ও পরিবেশ কাঙ্খিতমানের নয়। দু:খজনক হলেও সত্য যে,এতদাঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার জন্য কলেজ না থাকায় দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীরা অধিকন্তু উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। তবে আশার কথা যে, আলীকদম জোনের সাবেক অধিনায়ক লেঃ কর্ণেলআবুল কালাম আজাদ, পিএসসি, এলএসসি’র উৎসাহ-উদ্দীপনায় স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের দাবীর প্রেক্ষিতে‘আলীকদম মৈত্রী জুনিয়র হাইস্কুল (প্রস্তাবিত স্কুল এন্ড কলেজ)’ নামে আরো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরগোড়াপত্তন হয়েছে। আর সেখানেই যোগ হয়েছে মুরং কমপ্লেক্স। নিদৃষ্ট একটি পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীকে টেনে তুলে আনার একটা মহতী উদ্যোগ। যে জাতির শিক্ষার অবস্থা এমন তাদেরকে আপনারা শিক্ষার আলোর জন্য লড়াই করতে না শিখিয়ে কোন অধিকার আদায় করতে শেখাচ্ছেন??? আপনাদের অধিকার আদায়ের লড়াইকি পাহাড়ের সাধারন জনগোষ্ঠীর জন্য না নিদৃষ্ট গুটি সংখ্যক অস্ত্রধারীদের উস্কে দেবার জন্য??? আন্দোলনের ইস্যুগুলি একবার নিজেরাই খতিয়ে দেখুন। ৩০ লক্ষ প্রানের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা, এই বাংলাদেশ। একটি সোনার বাংলার গড়ার আশায় হায়েনাদের মুখ থেকে যে দেশকে আমরা ছিনিয়ে এনেছিলাম সেই স্বাধীন বাংলার সোনার রাজ্যের মানুষগুলিই অন্ধকারে পড়ে আছে। তাই বলছি নিদৃষ্ট একটি বাহিনীকে নিজেদের প্রতিহিংসার আগুনে পোড়ানোর চেষ্টা না করে আসুন সবাই মিলে ওদের শিক্ষার আলোতে আনার চেষ্টা করি। মুরং কমপ্লেক্সের মত আরো কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি, হোক সেটা সেনাবাহিনীর হোক ব্যাক্তিমালিকানার,হোক সরকারী, হোক আধা সরকারী। ঐ এলাকায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার জন্য লড়াই করুন দেখুন এই মহতি কাজে অন্তরায় কারা হয়ে দাঁড়ায়।
পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিটা উপজেলা প্রতিটা থানায় স্কুল হোক,আর কমপ্লেক্সই হোক ওদেরকে প্রাথমিক শিক্ষার ব্যাবস্থা করিয়ে দেবার জন্য সরকারের সূদৃষ্টি কামনা করছি। আর সুশিলদেরকে আবারো বলছি ওদেরকে আলোতে আসতে উৎসাহ দিন ওরা শিক্ষিত জাতি হয়ে উঠুক এরপর ওরাই সিদ্ধান্ত নিবে ওরা কি হতে চায় বাংলাদেশের সুনাগরিক না অন্য কিছু। আপনারা কতজন সাধারন পাহাড়িদের মতামত নিয়েছেন আমি জানিনা তবে এটা নিশ্চিত শতকারা ৯০ ভাগ সাধারন মানুষ চায় সুনাগরিক হতে। যারা ঘরে বসে সমালোচনায় বিভোর তাদেরকে আহ্বান করব একবার আলিকদম যান। দেখে আসুন মুরং কমপ্লেক্স। আমি যখন ওদের কাছে যাই ওদেরকে এক সারিতে দাড় করিয়ে গাওয়াই আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি,সে সুখের অনুভুতি বোঝাতে পারব না। শুধুই মনে হচ্ছিল এই সোনার বাংলাই তো আমার বাবা সহ আমার দেশের লাখো শহিদের রক্ত চেয়েছিল।আপনারা যারা আজ ঐ অঞ্চলের সরল মানুষ গুলিকে আলাদা করে দেখার কথা ভাবছেন তাদেরকে মনে করিয়ে দেই বঙ্গবন্ধু যেই সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর জন্য স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠী কিন্তু তাদের বাইরে ছিলনা। ঐ অঞ্চলেও মুক্তি যুদ্ধ হয়েছে, ঐ জায়গাকেও এই দেশের মানুষ প্রানের বিনিময়ে স্বাধীন করেছে। যার জলন্ত প্রমান বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ। যার সমাধি ঐ অঞ্চলেই আছে। সুতারাং আমার দেশের একটা অংশকে নিয়ে কারোরই কোন অপরাজনীতি করার অধিকার নেই। ঐ অঞ্চলের প্রতিটা মানুষকে সেই অধিকারের জন্য লড়াই করতে শেখান উচিৎ যে অধিকার এদেশের সমতলের বাকি জনগোষ্ঠী গুলো পাচ্ছে।
একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী। অডিও ক্যাসেটের যুগে তার অসংখ্য গানের অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছে। বর্তমানে অ্যালবাম প্রকাশ থেকে দূরে রয়েছেন ডলি। কিন্তু গানের সঙ্গেই আছেন তিনি। নতুন করে প্রত্যাবর্তনের কথাও ভাবছেন।
কেমন কাটছে দিনকাল? এমন প্রশ্নের জবাবে ডলি সায়ন্তনী বলেন, ‘এইতো বেশ ভালো আছি। গান নিয়েই দিন কাটছে। আর আমার মেয়েদেরও সময় দিচ্ছি। পরিবার ও গান নিয়েই মূল ব্যস্ততা।’
অ্যালবাম থেকে দূরে থাকলেও অন্যশিল্পীরা স্টেজ শো নিয়ে মেতে আছেন। কিন্তু ডলি বললেন, ‘খুব বেশি স্টেজে গাচ্ছি তা কিন্তু না। তবে বড় মাপের শো-গুলোতে অংশ নেয়ার চেষ্টা করি আমি। গত কয়েক মাস ধরে ব্যাস্ততাটা একটু বেশি। বর্ষার মৌসুম চলে আসছে। তখনতো আর শো আয়োজন হবে না। তাই এখন একটু কষ্ট হলেও টানা শো করতে হচ্ছে। গত কয়েকদিনে দিনাজপুর, চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে শো করেছি।’
ডলি সায়ন্তনী বলেন, ‘যেহেতু আমি শিল্পী, তাই গান গাওয়াটাই আমার কাজ। ফলে স্টেজ শোর পাশাপাশি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলেও লাইভ করছি। আবার শুটিংও থাকে নিয়মিত। এইসব নিয়েই আসলে ব্যস্ততায় কাটছে সময়।’
এদিকে ডলি সায়ন্তনী টুকটাক চলচ্চিত্রের গানেও কণ্ঠ দিচ্ছেন। সর্বশেষ নাদের চৌধুরী পরিচালিত ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ ছবিতে ‘মনের মধ্যে’ শীর্ষক একটি গান গেয়েছেন। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায় এ গানটির সুর ও সংগীত করেছেন ফরিদ আহমেদ।
গত বছর প্রকাশ হয়েছিলো ডলি সায়ন্তনীর একক অ্যালবাম ‘একলা হবি’। এর দু’টি গানের মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করতে যাচ্ছেন এই তারকা। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে জানাবেন তিনি।
ডলি সায়ন্তনী বলেন, ‘নতুন গানের কাজ চলছে। বেশ কিছু গানের রেকর্ডিং হবে সামনে। তবে অ্যালবাম আকারে করব নাকি ভিডিও আকারে একটি করে গান প্রকাশ করবো তা এখনও ঠিক করিনি। এ বছর শ্রোতারা বেশ কিছু নতুন গানে আমাকে পাবেন এতটুকু বলতে পারি।’
এখন অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা প্রসঙ্গে ডলি সায়ন্তনী বলেন, ‘আসলে খুব খারাপ অবস্থা থাকার কারণেই আমি বিরতি নিয়েছিলাম। এখন অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা ভালোই বলা চলে। পুরনো অনেকেই ফিরছেন। আমিতো ভেবেছিলাম আর হয়তো আগের অবস্থায় ফিরবে না ইন্ডাস্ট্রি। সেটা হয়তো এখনও হয়নি। তবে অবস্থার কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে। এখন অনেক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানই বিনিয়োগ করছে। পুরোনো কোম্পানিগুলো ফিরছে। নতুন কোম্পানি আসছে। এটা অডিও ইন্ডাস্ট্রির জন্য সুখবর। এখন সিডির বদলে ডিজিটাল মাধ্যমে শ্রোতারা গান বেশি শুনছেন। এটা সময়ের চাহিদা। সারা বিশ্বেই এমনটা হচ্ছে। আশা করছি সবাই মিলে আগের মতো করে কাজ করতে পারব।
বলিউড ছবির দাপুটে অভিনেতা ইরফান খান। শুধু ভারতই নয়, অভিনয় দক্ষতা দিয়ে এরই মধ্যে সারা বিশ্বের দর্শকদের হৃদয় জয় করেছেন তিনি। বলিউড ছাড়িয়ে হলিউডের বড় বড় ছবিতেও নিজের অভিনয় কারিশমা দেখিয়েছেন। এরইমধ্যে বিভিন্ন চরিত্র নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছেন এ গুণী অভিনেতা। তবে তাকে যদি শাড়ি পরিহিত অবস্থায় দেখা যায় কেমন হবে ব্যাপারটা? ঠিক এমনটাই ঘটেছে। বর্তমানে সাকেট চৌধুরী পরিচালিত ‘হিন্দি মিডিয়াম’ ছবির দৃশ্যধারণের কাজ শুরু করেছেন ইরফান খান। ছবিতে একজন শাড়ির দোকানের মালিকের চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। এজন্য ছবির কয়েকটি দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে নিজের শরীরে শাড়ি জড়িয়েছেন তিনি। এরইমধ্যে ইরফানের এ শাড়ি পরা ছবিটি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। সাকেট চৌধুরী পরিচালিত ‘হিন্দি মিডিয়াম’-এ ইরফানের পাশাপাশি অভিনয় করছেন সাবা কামার, অমৃতা সিং, যশপাল শর্মা, বিজয়কুমার দগরা প্রমুখ। আগামী ১২ই মে মুক্তি পাবে ছবিটি।
অনেকদিন ধরেই বলিউডে নেই সাবেক বিশ্ব সুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। সবশেষ ২০১৫ সালে ‘নির্বাক’ ছবিতে দেখা গেছে বলিউডের এই অভিনেত্রীকে। এরপর থেকে অনেকটাই আড়ালে চলে গেছেন। শেষবারের বিশ্ব সুন্দরীর বিচারক হিসেবে অবশ্য তাকে পাওয়া গেছে। কিন্তু টিভি পর্দা কিংবা চলচ্চিত্রে একেবারেই নেই সুস্মিতা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাকে তেমন একটা পাওয়া যায় না। তবে এবার আড়াল ভাঙলেন এ অভিনেত্রী। তাও আবার মেয়েকে নিয়ে। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের নাচের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সুস্মিতা। ওই ভিডিওতে ছোট মেয়ে আলিশা ছিল তার সঙ্গে। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার পরপরই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটিতে দারুণ ভঙ্গিমায় ও খোলামেলাম পোশাকে মজা করে মেয়ের সঙ্গে নাচতে দেখা যায় সুস্মিতাকে। এ ভিডিওর বিপরীতে ভক্তরা সুস্মিতা ও তার মেয়ের এই ভিডিওর প্রশংসায় ছিল পঞ্চমুখ।
এই পর্যন্ত তার যতগুলো ছবি মুক্তি পেয়েছে, প্রত্যেকটিই পেয়েছে অপ্রত্যাশিত সাফল্য। শুরুটা করণ জোহরের ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ থেকে। ২০১২ থেকে এখন পর্যন্ত ফ্লপ ছবি উপহার দেননি বরুণ ধাওয়ান। স্বাভাবিকভাবেই সমাজের প্রতি দায়িত্ব অনুভব করতে শুরু করেছেন তরুণ প্রজন্মের এই নায়ক। আর তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সমাজের বার্তা রয়েছে যে সমস্ত ছবির কাহিনিতে, শুধু সেগুলোতেই অভিনয় করবেন বরুণ।এই মাসের ১০ তারিখ মুক্তি পেয়েছে বরুণ অভিনীত ‘বাদ্রিনাথ কি দুলহানিয়া’। বক্স অফিসে এখন পর্যন্ত ভালো ব্যবসা করেছে ছবিটি। মূল ভূমিকায় বরুণের সঙ্গে অভিনয় করেন আলিয়া ভাট। এই ছবিতে নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার বার্তা ছিল। ছবিটি সাফল্য পাওয়ার পর এমন ঘরানার ছবিতে আগ্রহী হয়েছেন বরুণ।
নায়ক বলেন, ‘বিনোদনের উদ্দেশ্যে নির্মিত ছবিতেই অভিনয় করা আমার মূল লক্ষ্য। তবে আমি আমার ছবির মাধ্যমে সমাজের উন্নতির জন্য বার্তা দিতে চাই। আমার ছবিতে এমন কিছু রাখতে চাই, যা দর্শক সিনেমা হল থেকে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেন এবং বিষয়টি নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবেন।’বাদ্রিনাথের সাফল্যের পর এই মুহূর্তে বাবা ডেভিড ধাওয়ানের পরিচালনায় ‘জুড়ুয়া ২’ ছবির কাজে ব্যস্ত আছেন বরুণ। এছাড়াও হাতে আছে ‘পিকু’ ছবির নির্মাতা সুজিত সরকারের একটি ছবি। সব মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে, খুব ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে চিন্তেই সিনেমা হাতে নিচ্ছেন বরুণ।সূত্র- ডেকান ক্রনিকলস
॥ লিটন ভট্টাচার্য্য রানা, খাগড়াছড়ি ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্পের বিকাশে সাজেক-নীলগিরি পর্যন্ত ‘ট্যুর ডি সিএইচটি মাউন্টেন বাইক প্রতিযোগিতা’ নামে তিনব্যাপী সাইকেলিং প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ এ্যাডভেঞ্চার ক্লাব যৌথভাবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
শুক্রবার (২৪মার্চ) সকালে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারতের মিজোরাম রাজ্য সন্নিহিত রাঙ্গামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের রুইলুই পাড়ায় প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এএসএম শাহেন রেজা, সুবিনয় ভট্টাচার্য্য ও বাংলাদেশ এ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের পরিচালক মশিউর খন্দকার প্রমুখ।
শুক্রবার খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছের পরে প্রতিযোগীতার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আয়োজক কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালী থেকে খাগড়াছড়ি হয়ে বান্দরবানের নীলগিরি পর্যন্ত মোট ২৫০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৩১ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছেন। শুক্রবার প্রথম দিনে সাজেক হতে ৬৮ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে তারা খাগড়াছড়িতে অবস্থান করছেন। দ্বিতীয়দিন শনিবার ভোর ৭টায় খাগড়াছড়ির চেঙ্গী ব্রীজ থেকে রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে প্রতিযেগাীতারা যাত্রা শুরু করবেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৬শে মার্চ বান্দরবানের নীলগিরি গিয়ে শেষ হবে এ প্রতিযোগীতা। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ এ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের পাশাপাশি খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলা পরিষদ, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও বিজিবি এ প্রতিযোগীতায় পৃষ্ঠপোষকতা করেছে।