আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। রবিবার পাকিস্তান সুপার লিগে পেশওয়ার জালমির হয়ে ২৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলার পর এ ঘোষণা দেন হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান।
২০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার সমাপ্তি ঘোষণার সময় তিনি বলেন, আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছে। আমি শুধু আমার ভক্তদের জন্য খেলে যাচ্ছি। আগামী দুইবছর হয়তো পিএসএল এ খেলবো। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এখানেই শেষ। এই মুহূর্তে আমার ফাউন্ডেশনই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
কেনিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অভিষেক হয় আফ্রিদির। তবে টেস্ট খেলেছেন মাত্র ২৭টি। রান ১১৭৬ ও উইকেট ৪৮। ৩৯৮ ওয়ানডেতে ১১৭ স্ট্রাইক রেটে তার রান ৮০৬৮। উইকেট ৩৯৫।
তবে টি-টোয়েন্টি বল হাতে দারুণ সফল বুম বুম আফ্রিদি। তার ঝুলিতে রয়েছে সর্বোচ্চ ম্যাচ (৯৮) ও সর্বোচ্চ উইকেট(৯৭) রেকর্ড।
এবার একসঙ্গে অভিনয় করছেন জাহিদ হাসান ও মৌসুমি হামিদ। বকেয়া মজিদ নামে নাটকে আরো অভিনয় করেছেন মম শিউলি ও সুজন হাবিবসহ আরো অনেকে।
সম্প্রতি এর শুটিং শেষ হয়েছে। একঘণ্টার নাটকটি লিখেছেন মোমিন স্বপন।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, গ্রামের টঙ দোকানদার বকেয়া মজিদ (জাহিদ হাসান) তার দোকানে কোনো মালামাল নেই। আছে শুধু একখান লাল মলাটের বাকির খাতা। তাই নিয়ে সারাদিন দোকানে বসে থাকে। আর হঠাৎই রাস্তা-ঘাটে পাওনাদারদের ধরে ধরে বিভিন্ন কৌশলে বাকি আদায়ের চেষ্টা করেন। আর নিয়ে ঘটে মজার মজার ঘটনা। ওই গ্রামের মেয়ে লতিকা বানু (মৌসুমী হামিদ) তাকে ভালোবাসবার চেষ্টা করে কিন্তু মজিদের স্বপ্ন বাকি না তুলে সে ভালোবাসা বা বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে না।
এ নাটকের পরিচালক তারেক মিয়াজী বলেন, ‘বকেয়া মজিদ নাটক সম্পর্কে বলতে গেলে অনেক কথাই হয়। অসাধারণ এক হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গল্প ‘বকেয়া মজিদ’। আর সেই সাথে সাংবাদিক মোমিন স্বপনের রচনায় প্রতিটি দৃশ্য অনেক মজার হয়েছে। গ্রামগঞ্জের টঙ দোকানের ব্যবসা কেমন হয়, বাবা-মায়ের আনুগত্য একজন ছেলে কেমন হতে পারে তা বকেয়া মজিদ নাটকটি না দেখলে বুঝা যাবে না।’
এ ব্যাপারে সাংবাদিক ও নাট্যকার মোমিন স্বপন বলেন, ‘আমাদের এক ঘণ্টার নাটকের ক্রান্তিকালে গল্পনির্ভর ভালো একটা নাটক লিখতে পেরে ভালো লাগছে। আশা রাখি নাটকটি দর্শকরা দেখে আনন্দ পাবেন।’
নাটকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিতে প্রচারিত হবে।
বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, ইতোমধ্যে কাজ দিয়েই হলিউডে পা রেখেছেন। ২০১৩ সালে বাবাকে হারান এ অভিনেত্রী। বাবার প্রতি সব সময়ই নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করে এসেছেন তিনি।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছিল এ অভিনেত্রীর বাবা-মায়ের বিবাহবার্ষিকী। বিশেষ এই দিনটিতে বাবাকে স্মরণ করে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন প্রিয়াঙ্কা।
ইনস্টাগ্রামে বাবা-মায়ের বিয়ের একটি ছবি পোস্ট করে তার শিরোনামে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘মা এবং বাবা বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা। কোনো কিছুই বাবার শূন্যতা পূরণ করতে পারবে না। কিন্তু কিছু অসাধারণ স্মৃতি আমরা কখনই ভুলতে পারব না। আমি তোমাকে ভালোবাসি মা।
উল্লেখ্য, প্রিয়াঙ্কার বাবা অশোক চোপড়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন চিকিৎসক হিসেবে দীর্ঘজীবন কাজ করেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৩ সালের ১০ জুন মুম্বাইয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
সর্বত্র নয়; তবে এক জায়গায় মোবাইল ও ঘড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না শ্রদ্ধা কাপুর। তার উপর এমন নির্দেশই জারি করা হয়েছে। আর শ্রদ্ধাও বিনা প্রতিবাদে তা মেনে নিয়েছেন, টুঁ শব্দটি পর্যন্তও করেননি।
তা কোন জায়গায় মোবাইল ও ঘড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না শ্রদ্ধা? জায়গাটি হল ‘হাসিনা’ ছবির সেট। এখানে ঢোকার পরই শ্রদ্ধাকে নিজের মোবাইল ও ঘড়িকে ত্যাগ করতে হয়।
তবে শুধু শ্রদ্ধা নন; সেটে ঢোকার পর সমস্ত অভিনেতা-অভিনেত্রী, এমনকি জুনিয়র আর্টিস্টদের উপরেও এই নির্দেশ জারি করা হয়। গাড়িতে বা মেক-আপ ভ্যানে সবাইকে মোবাইল রেখে আসতে হয়।
কিন্তু কেন? এর আগে শুটিংয়ের সময় মোবাইল নিয়ে অনেক সমস্যা তৈরি হয়েছে ওই সেটে। শিল্পীরা যখন শট দিচ্ছিলেন পকেট থেকে মাঝেমধ্যেই উঁকি মারছিল মোবাইল। কখনো মোবাইলের জায়গাটি এমনভাবে ফুটে উঠছিল ক্যামেরায়, নির্ভুল শট নেওয়া যাচ্ছিল না। তাই এই ব্যবস্থা।
‘হাসিনা’ ছবিটি সত্তর-আশি-নব্বই দশকের পটভূমিকায় তৈরি হচ্ছে। সেই সময়ের হিসেবে সেট নির্মাণ করা হয়েছে। জুনিয়র আর্টিস্টদের জন্য নকল ঘড়ি আনা হয়েছে, সেগুলো দেখতে ওই দশকগুলোর ঘড়ির মতো।
দাউদ ইব্রাহিমের বোন হাসিনা পার্কারকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে হাসিনা ছবিটি। ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন শ্রদ্ধা কাপুর।
২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার প্রস্তাব করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
সোমবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০১৭ সালের একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ভাষা-শিল্প-সাহিত্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবময় অবদান ও কীর্তির স্বীকৃতিস্বরূপ ১৭ গুণী ব্যক্তির হাতে একুশে পদক ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব গুণী ব্যক্তিত্ব এখনও আড়ালে আছেন, তাদেরকে খুঁজে বের করে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা হবে। দেশ-জাতির জন্য তাদের অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে আমরা কৃতার্থ হবো।
একুশ মাথা উঁচু করে যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শেখায় বলে উল্লেখ করে একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। অনুষ্ঠানে শিল্প-সাহিত্যসহ সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।