প্রাণঘাতী নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ভারতজুড়ে কয়েক সপ্তাহের লকডাউনের কারণে কেবল গত মাসেই দেশটির ১২ কোটির বেশি মানুষ কাজ হারিয়েছেন বলে বেসরকারি খাত নিয়ে কাজ করা একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের মূল্যায়নে উঠে এসেছে। দিনমজুর ও ক্ষুদ্র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরতরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নিদারুণ অভাবে পড়েছেন হকার, রাস্তার পাশের অস্থায়ী দোকানদার, নির্মাণ খাতের শ্রমিক, তাঁতি ও রিকশাচালকরা। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির এক মূল্যায়নে এসব উঠে এসেছে বলে এনডিটিভিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। লকডাউনে কাজ হারানো ভারতীয়দের একজন আবদুল করিম। দারিদ্রের কারণে স্কুল থেকে ঝরে পড়তে বাধ্য হওয়া উত্তরপ্রদেশের এ বাসিন্দা শুরুতে বাইসাইকেল সারানোর মতো ছুটা কাজ করতেন। ছোট ট্রাকে করে দিল্লিতে মাল পরিবহনের কাজ পাওয়ার পর পরিবারকে দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে খানিকটা সরিয়ে আনতেও সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। চাকরি, সামান্য আর্থিক নিরাপত্তা তাকে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। করোনাভাইরাস মহামারী ওই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করে দিয়ে করিমকে আবার বিপাকে ফেলেছে। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে অবরুদ্ধ অবস্থায় দিনকাটানো এ ভারতীয় লকডাউনের মধ্যে যৎসামান্য যে সঞ্চয় ছিল, তা খরচ করে ফেলেছেন। বেঁচে থাকার তাগিদে এখন খুঁজছেন যে কোনো একটি কাজ। “যখন দিল্লি ফিরে যাবো, তখন সেখানকার চাকরির পরিস্থিতি কেমন থাকবে তা বলতে পারছি না। না খেয়ে তো থাকতে পারবো না, তাই যা পাবো তাই করবো,” বলেছেন তিনি। মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস ও এর কারণে দেয়া বিধিনিষেধের ফলে বিশ্বের অর্থনীতির যে সঙ্কোচন ঘটবে তাতে প্রায় ৫ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যের তালিকায় সংযুক্ত হতে পারে বলে বিভিন্ন আন্তর্জতিক সংস্থার মূল্যায়নে আগেই জানানো হয়েছিল। এর মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যাই বেশি থাকবে বলে ধারণা অনেক বিশ্লেষকের। দারিদ্র্যমুক্তির স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় আসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য এ পরিস্থিতি বড় ধরনের রাজনৈতিক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, বলছেন তারা। “দারিদ্র্য প্রশমনে ভারতের সরকারগুলোর গত কয়েক বছরের চেষ্টা এ কয়েক মাসেই অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। ভাইরাসে যত মানুষ মারা যাবে, ক্ষুধায় এর চেয়ে বেশি মৃত্যু হতে পারে,” বলেছেন বহুজাতিক দাতা সংস্থাগুলোকে পরামর্শ দেয়া প্রতিষ্ঠান আইপিই গ্লোবালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অশ্বজিৎ সিং। এনডিটিভিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস ভারতে আঘাত হানার আগেই দেশটি এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শ্লথ প্রবৃদ্ধির পথে অগ্রসর হচ্ছিল; ২৫ মার্চ থেকে দেয়া লকডাউন ওই পরিস্থিতিকে ত্বরান্বিত করেছে। এশিয়ায় ভাইরাস সংক্রমণের হটস্পট ভারতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এক লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মানুষের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে বলে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হালনাগাদ তথ্য জানাচ্ছে। মোদী জানিয়েছেন, মহামারীর কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি থেকে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিকে টেনে তুলতে তার সরকার ২৬৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত সরকারের এ প্রণোদনা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। “সরকারের প্রতিক্রিয়াই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। অসাম্য এখানে এমনিতেই বেশি, মহামারী তা আরও বাড়িয়ে তুলবে,” বলেছেন দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অর্থনীতির অধ্যাপক ঋতিকা খেরা।
ভারতে মাত্র ৮ দিনে প্রায় ৪৮ হাজার ব্যক্তির দেহে নতুন করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কেবল রোববার থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টাতেই ৬ হাজার ৯৭৭ জনের কোভিড-১৯ ধরা পড়েছে বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৭৬৭। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৬৫৪। এ নিয়ে পরপর চারদিন দেশটিতে জ্ঞাত রোগীর সংখ্যা আগের দিনের রেকর্ড টপকাল।
সোমবার সকাল পর্যন্ত ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৫ এ দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
৮ দিন আগেও এ সংখ্যা ছিল ৯০ হাজার ৯২৭, জানিয়েছে আনন্দবাজার।
আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় ইরানকে টপকে ভারতই এখন বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে দশম বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ভারতের মধ্যে কেবল মহারাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
সোমবার কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত আরও ১৫৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার। এ নিয়ে নতুন করোনাভাইরাস দেশটির ৪ হাজার ২১ জনের প্রাণ কেড়ে নিল।
আক্রান্তদের মধ্যে ৫৭ হাজার ৭২১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
দেশটিতে লকডাউন শিথিলের পর থেকে শনাক্ত আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। চতুর্থ দফার লকডাউন শেষে বিধিনিষেধ আরও শিথিল হলে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও অনেকে আশঙ্কা করছেন।
মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক ড্রামা নতুন করে প্রকাশ্যে আসছে। ড. মাহাথির মোহাম্মদ ক্ষমতা হারানোর পর অনেকেই মনে করেছিলেন স্থিতিশীলতা আসবে রাজনৈতিক অঙ্গনে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে খেলা শেষ হয় নি। অনিষ্পন্ন রয়ে গেছে। মাহাথির মোহাম্মদের পাকাতান হারাপান (পিএইচ) সরকারেরর পতনের পর দেশবাসীর দৃষ্টি পড়েছে করোনা মহামারি মোকাবিলায়। কিন্তু সেখান থেকে নতুন করে আবার শুরু হচ্ছে। সোমবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিন নেতৃত্বাধীন পেরিকাতান ন্যাশনাল (পিএন) সরকারের অধীনে প্রথম একদিনের পার্লামেন্ট অধিবেশন বসছে। মার্চে অনানুষ্ঠানিকভাবে পিএন জোট ক্ষমতায় আসে।
জবাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ মে মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রথম তুরুপের তাসটি চেলে দেন। তাতে প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিনের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করেন তিনি। তার এই আবেদন গ্রহণ করেন পার্লামেন্টের স্পিকার। কিন্তু দৃশ্যত রাজার উদ্বোধনী বক্তব্যের জন্য সীমিত আকারে একদিনের অধিবেশন বসছে সোমবার। তাই মাহাথিরের ওই প্রস্তাব দৃশ্যত আটকে দিয়েছে সরকার। পার্লামেন্ট অধিবেশন সীমিত করা হয়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে। এ খবর দিয়েছে চ্যানেল নিউজ এশিয়া।
আবার কানকথা ছড়িয়ে পড়েছে যে, নিজের দল পার্টি প্রিবুমি বারসাতু মালয়েশিয়া (বারসাতু)-এর চেয়ারম্যান ড. মাহাথির মোহাম্মদ এবং দলের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট মাহাথির মোহাম্মদের ছেলে মুখরিজ মাহাথিরকে বহিষ্কার করতে পারে দল। তবে এ বিষয়ে নিরপেক্ষ কোনো মাধ্যম থেকে কিছু নিশ্চিত হওয়া যায় নি। নতুন করে ক্ষমতার লড়াই যখন আবার শুরু হয়েছে তখন জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কিছু রাজনৈতিক হেভিওয়েট ব্যক্তি। তারা হলেন, ড. মাহাথির মোহাম্মদ, মুহিদ্দিন ইয়াসিন, পার্টি কেদিলান রাকায়েতের (পিকেআর) আনোয়ার ইব্রাহিম ও ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) আহমদ জাহিদ হামিদি। বলা হচ্ছে তারা ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনা ভাইরাস মহামারিতে চমৎকার পারফরমেন্স করেছেন প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিন। তা সত্ত্বেও তাকে প্রমাণ করতে হবে যে, পার্লামেন্টে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। যদি না পারেন তাহলে নির্বাচন ছাড়া ‘পিছনের দরজা দিয়ে এসে সরকার গঠনের’ জন্য তিনি বড় রকম হোঁচট খেতে পারেন।
অন্যদিকে ড. মাহাথির মোহাম্মদ তার ক্ষমতায় থাকাকালীন সুবিধাগুলো হারিয়েছেন। এর ফলে তিনি পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে। আর এর মধ্য দিয়ে পিএইচের প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। বর্তমান যে পরিস্থিতি তা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য অনুজ¦ল। তিনি বার বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কাছাকাছি যেয়েও পারেন নি। এখন দেখার বিষয় বারসাতু দলের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় প্রশাসনে খুব সামান্য ভূমিকা নিয়ে সমর্থন দিতে এগিয়ে আসে কিনা ইউএমএনও। এ অবস্থায় ইউএমএনও দলের পার্লামেন্ট সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী নুর জাজলান মোহাম্মদ বলেছেন, অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে তার উত্তম সমাধান হলো একটি যথাযথ জাতীয় নির্বাচন। ঠিক ্এই মুহূর্তে সোমবার মহামান্য রাজার ভাষণের ওপর যথাযথ বিতর্ক হওয়া উচিত নয়। কারণ, উদ্বেগ রয়েছে যে, ওই ভাষণ পার্লামেন্ট অনুমোদন নাও করতে পারে। ওই ভাষণ হলো ২০২০ সালের জন্য সরকারের মৌলিক এজেন্ডা। সমস্যাটা আরো জটিল হবে আরো পরে, যখন ২০২১ সালের বাজেট আসবে। যদি বাজেট পাস করাতে ব্যর্থ হয় সরকার, তাহলে তার অর্থ হবে তারা আস্থা ভোটে হেরে গেছে। তাই কঠোর লড়াইয়ের মাধ্যমে একটি যথাযথ নির্বাচন হতে পারে উত্তম সমাধান।
ওদিকে ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া সাবাহ-এর ড. লি কুওক তিউং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ২৫০০০ কোটি রিঙ্গিতের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এ ঘোষণায় ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। এখন পর্যন্ত তার প্রশাসন গ্রহণযোগ্য। তাদের ক্ষমতার মেয়াদ মাত্র অল্প কয়েকদিনের। এ অবস্থায় সোমবারের পার্লামেন্ট অধিবেশনে বিরোধী পক্ষকে আগামী জুলাইয়ের অধিবেশনের ফাঁদে ফেলতে পারেন মুহিদ্দিন ইয়াসিন।
তবে ইউনিভার্সিটি সেইন্স মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রফেসর ড. আহমেদ ফাউজি আবদুল হামিদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন সেই ধারণাটাকে অতিক্রম করতে হবে তাকে। ফেব্রুয়ারিতে পিএইচ সরকার থেকে বারসাতুকে বের করে আনায় নেতৃত্ব দেন মুহিদ্দিন। তিনিই সাবেক ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে হাত মেলান ক্ষমতা দখলের জন্য। ড. ফাউজি বলেন, একদিক থেকে দেখলে, এই সরকার ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে নি। আইনগতভাবে তার পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষে এমপিদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখানো উচিত। তার উচিত পার্লামেন্টের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে জবাবদিহি করা। ড. ফাউজি আরো বলেন, মুহিদ্দিন ইয়াসিন নেতৃত্বাধীন সরকার পার্লামেন্ট অধিবেশনের মেয়াদ সীমিত করে একদিনে আনার মধ্য দিয়ে তাদের বৈধতার প্রশ্নকে আরো জটিল করে তুলছে। ড. ফাউজির ভাষায়, আমরা আধুনিক সময়ে এবং বহু গণতন্ত্রের মধ্যে বসবাস করছি। সর্বশেষ বৃটেন যখন অনলাইনে পার্লামেন্ট অধিবেশন করতে পারে তাহলে আমাদের সমস্যা কোথায়? আমাদের এখানে কেন ওই পথে স্বচ্ছতা দেখানো হবে না?
রাজনৈতিক ভাষ্যকার ওহ ই সান বলেন, অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করতে মুহিদ্দিন রাজনীতির অন্য পাশ থেকে এমিপদের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। তাদেরকে দলছুটে প্রলুব্ধ করতে পারেন।
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বদলীজনিত কারণে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিদায়ী সচিব মোঃ সেলিম রেজা’র দায়িত্ব অর্পণ এবং নব নিয়োগপ্রাপ্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এর দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেন, সরকার বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীদের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করেছে। তিনি আরো বলেন, মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মীরা প্রবাসীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগযোগ রাখছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী কর্মীদের সুরক্ষা ও করোনাত্তোর পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার সুরক্ষায় বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীদের সাথে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। প্রবাসী কর্মীদের সুরক্ষায় সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে নবনিয়োগপ্রাপ্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শণ সোনার বাংলা বিনির্মানে আমাদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। নিষ্ঠার সাথে সেবামূলক মনোভাব নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে দায়িত্ব পালন করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, করোনাত্তোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদেরকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
বিদায়ী সচিব মোঃ সেলিম রেজা বলেন, প্রবাসী কর্মীরা যাতে কোনরকম অসুবিধায় না পরে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, করোনাত্তোর পরিস্থিতিতে বর্তমান শ্রমবাজার ধরে রাখতে এবং নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মোঃ সামছুল আলম, ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচলক মোঃ হামিদুর রহমান, বোয়েসেল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল হাসান বাদল, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ নাজিবুল ইসলাম, খাদিজা বেগম, মোঃ শহিদুল ইসলাম এনডিসি, মোঃ মোশাররফ হোসেন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব জাবিন, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ ফজলুল করিম, ড. মোজাফফর আহমেদ, নাসরীন জাহান, বশীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
করোনা ভাইরাস থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আটকে পড়া মালদ্বীপের ৭১ জন নাগরিক বিমান বাহিনীর সহায়তায় দেশে ফিরেছে। একই সঙ্গে মালদ্বীপে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের করোনার চিকিৎসাসেবা দিতে ১০ সদস্যের সশস্ত্র বাহিনীর একটি মেডিক্যাল টিম ঢাকা ছেড়েছে।
সোমবার (২০ এপ্রিল) মালদ্বীপের উদ্দেশে বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে প্লেনটি ঢাকা ছাড়ে। এসময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল মো. আবুল বাশার, বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত আইশাত শান শাকিরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক মো. নূর ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধকল্পে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ সরকার প্রকাশিত নীতিমালা অনুসরণ করে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ বিমান বাহিনীর একটি পরিবহন প্লেনের মাধ্যমে মালদ্বীপের ৭১ জন নাগরিককে মালদ্বীপে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এসব নাগরিক বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির কারণে নিজদেশ মালদ্বীপে ফিরতে পারছিল না। দেশে পাঠানোর আগে বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা ও চাঁদপুর থেকে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের ঢাকায় একত্রিত করা হয়।
এছাড়া মালদ্বীপে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের চিকিৎসাসেবা দিতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামসহ ১০ সদস্যের একটি সশস্ত্র বাহিনীর মেডিক্যাল টিম মালদ্বীপে পাঠানো হয় একই ফ্লাইটে। এই মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা সেখানে বাংলাদেশিদের করোনার চিকিৎসাসেবা দেবেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১৫ সদস্যের এয়ার ক্রুর সমন্বয়ে গঠিত এই মিশনের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন এনামুল হক। মিশন সুসম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।
করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে আরো তিন বাংলাদেশিসহ রেকর্ড আড়াই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে ১৬০ বাংলাদেশিসহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭ হাজার ১৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখের বেশি মানুষ। এমন ভয়াবহ অবস্থার মধ্যেও মে মাসের শুরুতে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের লকডাউন খুলে দেয়া হবে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে অতীত রেকর্ড ছাড়াচ্ছে মৃতের সংখ্যা। কেবল নিউইয়র্কেই একদিনে মারা গেছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। লাখ লাখ রোগীকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। এ অবস্থায় চরম আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তায় দিন পার করছেন দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দীর্ঘদিন গৃহবন্দি থাকায় অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন অনেকে।এর মধ্যেই আগামী মাসের শুরুতে লকডাউন শিথিল করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি দাবি করেন, অর্থনীতির স্বার্থেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলব। এরই মধ্যে করোনা শনাক্তের সক্ষমতা আমরা অনেক বাড়িয়েছি। তাই আসছে সপ্তাহগুলোতে কিছু অঙ্গরাজ্যে খুলে দেওয়া হবে। কিছু নাটকীয় পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে ওই অঙ্গরাজ্যগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এদিকে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফার্মাসিউক্যিাল কোম্পানি গিলিয়াড ফার্মার তৈরি করোনার ওষুধের দারুন সাফল্য মিলেছে। এর প্রয়োগে দুই তৃতীয়াংশ রোগীর উন্নতি হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
সৌদি আরবের রাজপরিবারের কমপক্ষে ১৫০ জন সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এমনটি জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস। আর এদেরকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য ইতিমধ্যে বিলাসবহুল হাসপাতালে ৫০০টির মত বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে ওই হাসপাতালগুলোতে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে হাই এলার্ট বার্তা পাঠানো হয়েছে বলেও নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হাসপাতালে পাঠানো ওই হাই এলার্ট বার্তায় লেখা হয়, দেশের সকল ভিআইপিদের সেবা দিতে প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। আমরা জানিনা ঠিক কতজন আক্রান্ত আছেন। ওই বার্তায় রাজপরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিতে বলা হয়। এছাড়া রোগে আক্রান্ত হাসপাতালের অন্যান্য স্টাফদেরকেও অন্য কোথাও নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার কথা বলা হয়।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন বানদার বিন আব্দুলআজিজ আল সৌদ ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে আছেন বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। এছাড়া সৌদি বাদশাহ কিং সালমান জেদ্দায় লোহিত সাগরের একটি দ্বীপে নিজেকে আলাদা করে রেখেছেন। এদিকে তার পুত্র মোহাম্মদ বিন সালমানও মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের নিয়ে নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন।
ওয়ার্ল্ড ও মিটারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১২২ জন। মারা গেছেন ৪১ জন।
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস মহামারীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ভারতে মোট মৃতের সংখ্যা ১৬০ জনে দাঁড়িয়েছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী দেশটিতে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজারের কোঠা অতিক্রম করে পাঁচ হাজার ১১৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
এক দিনেই দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর সংখ্যায় সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন ঘটেছে।
করোনাভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ রুখতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৪ এপ্রিল দেশব্যাপী ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন, যা আগামী ১৪ এপ্রিল শেষ হবে। কিন্তু ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকায় বেশ কয়েকটি রাজ্যের অনুরোধে সরকার লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে বলে কর্মকর্তারা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন।
বিজেপি-শাসিত উত্তর প্রদেশসহ বেশ কয়েকটি রাজ্য লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর পক্ষে ইঙ্গিত দিয়েছে বলে বলছে এনডিটিভি। তেলেঙ্গানা এক জরিপ সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে লকডাউন ৩ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর পক্ষে বলেছে।
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে টি রামা রাও মঙ্গলবার এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, ওই জরিপে রাজ্যটিতে করোনভাইরাস সংক্রমণ ১ জুন সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছবে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে।
আসাম ও ছত্তিশগড়ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই চলাকালে তাদের রাজ্য সীমান্ত বন্ধ রাখতে চায় বলে জানিয়েছে।
মঙ্গলবার কয়েকজন মন্ত্রী নিজেরা আলোচনা করার পর ভারতজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আরও চার সপ্তাহ বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছেন। পাশাপাশি ধর্মীয় জমায়েত ও সব ধরনের সভার ওপরও নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
ভারতের মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে, এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১০১৮ জন। এরপর যথাক্রমে তামিল নাডুতে ৬৯০, দিল্লিতে ৫৭৬, তেলেঙ্গানায় ৩৬৪ এবং কেরালায় ৩৩৬ জন।
ভারতে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমন্বয়কের ভূমিকা পালনকারী সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি সামজিক দূরত্ব বজায় রীতি মেনে চললেও তাকে যদি কোয়ারেন্টিন করা না হয়, তাহলে ৩০ দিনে তার মাধ্যমে আরও ৪০৬ জন আক্রান্ত হতে পারেন।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতজুড়ে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের ৭০ শতাংশের রোগ লক্ষণ মাঝারি থেকে মৃদু এবং তাদের কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়া দরকার হবে না।
পাকিস্তানে করোনাভাইরাস মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণের (পিপিই) সঙ্কট নিয়ে প্রতিবাদরত বহু চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার বেলুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা শহরের চিকিৎসকরা প্রতিবাদে নামে বলে সিএনএন জানিয়েছে।
রোববার কোয়েটায় ১৩ জন চিকিৎসকের নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পিপিই সঙ্কট নিয়ে প্রতিবাদের এ ঘটানটি ঘটে।
প্রতিবাদস্থল থেকে চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সিএনএনকে নিশ্চিত করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাজ্জাক চীমা।
এই গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পাকিস্তানের ইয়ং ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (ওয়াইডিএ) বেলুচিস্তানজুড়ে তাৎক্ষণিকভাবে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা নাগাদ পাকিস্তানে কোভিড–১৯ আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ৫২০ জন, মৃতের সংখ্যা ৫২ জন ও সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ২৫৭ জন ছিল বলে জানিয়েছে ডন অনলাইন।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ ও জিজান শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে দেশটির দাবি তারা এই হামলা প্রতিহত করেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে হয়েছে।
তবে এই হামলায় সৌদির কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের মুখপাত্র তুরকি আল-মালকি। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, শুনিবার স্থানীয় সময় রাত ১১ টা ২৩ মিনিট নাগাদ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে। এই হামলার জন্য তিনি ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুথি গোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন। এছাড়া তিনি বলেন, রিয়াদ এবং জিজানে ওই মিসাইলের ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। রিয়াদের বাসিন্দারা জানান, তারা অন্তত তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। সৌদির আল-আরাবিয়া টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, ইউএস প্যাট্রিয়ট মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি বলে খবরে বলা হয়েছে। সূত্র : আল জাজিরা, ফাইনান্সিয়াল টাইমস।