মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দুটি মামলা করা হয়েছে।
রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে প্রথমে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পেনাল কোডের ১২৩ (এ), ১২৪ (এ) ও ৫০০ ধারায় মামলাটি আমলে নেয়ার জন্য ব্যারিস্টার সুমন আদালতে আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।
অন্যদিকে একই অভিযোগে ঢাকা বারের কার্যনির্বাহী সদস্য ইব্রাহীম খলিল তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান নোমানের আদালতে দণ্ডবিধি ১২৪ (ক) ধারায় তিনি মামলাটি করেন। ইব্রাহীম খলিল পেনাল কোডের ১২৪ (এ) ধারা অনুযায়ী প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।
এর আগে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাতে ফেসবুক লাইভে এসে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন ব্যারিস্টার সুমন। সেদিন তিনি বলেন, ‘আমি তার বিরুদ্ধে অবশ্যই মামলা করব, আপনারা আমার পাশে থাকবেন।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) হোয়াইট হাউসে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান।
প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।’ এরপর তিনি বলেন, ‘এখন সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।’
ভিডিওতে দেখা গেছে, এক পর্যায়ে ট্রাম্প নিজেই সহানুভূতির সঙ্গে এই নারীর সঙ্গে হাত মেলান।
প্রিয়া সাহা আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যকার কথোপকথন প্রকাশ পেলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
আর্থিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও জোরালো প্রবৃদ্ধি ও বিপুল উন্নয়ন চাহিদার কল্যাণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আগের মতোই ‘স্থিতিশীল’ থাকবে বলে আভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস (এসঅ্যান্ডপি)।
বাংলাদেশের ঋণমান দীর্ঘ মেয়াদে ‘বিবি-’ ও স্বল্প মেয়াদে ‘বি’ বহাল রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আর্থিক সেবাদাতা সংস্থাটি, যা বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়েছে। ঋণমানেরর প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের জোরালো প্রবৃদ্ধির ধারা গড় আয় বাড়াতে থাকবে এবং বছরজুড়ে বাহ্যিক ঝুঁকি মোকাবেলা করে টিকে থাকবে বলে যে প্রত্যাশা ছিল র্যাটিংয়ে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। ২০১০ সালে
এসঅ্যান্ডপির কাছ থেকে প্রথমবারের মতো ঋণমান পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ একই রেটিং পেয়ে আসছে। অর্থনীতির মূল্যায়নের সার-সংক্ষেপে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের অর্থনীতি, বাজেট ঘাটতি ও বিপুল উন্নয়ন চাহিদার সম্মুখীন হলেও কম বিদেশি ঋণ ও জোরালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে সুবিধা পাচ্ছে।
প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেশের প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতাকে চিহ্নিত করার বিপরীতে ভাল বাহ্যিক পরিস্থিতি, উল্লেখযোগ্য দাতাসম্পৃক্ততা থেকে প্রতিফলিত সহায়তা, বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও বিশ্বমানের তৈরি পোশাক শিল্পকে তুলে ধরে এসঅ্যান্ডপি। এসঅ্যান্ডপি বলছে, ভবিষ্যত রাজস্ব পরিস্থিতি জোরদারের জন্য সরকার রাজস্ব উদ্যোগগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে র্যাটিং আরও উন্নত হতে পারত।
রাজনীতির ক্ষেত্রে এ ঋণমান সংস্থার মূল্যায়ন হলো, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক চিত্র প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতার পথে বাধা সৃষ্টি করছে এবং সুষ্ঠু নির্ধারণের পথ বন্ধ করছে।
দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, অবকাঠামো ঘাটতি ও ব্যবসায় পরিবেশে জটিলতার কারণে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ধারাবাহিকভাবে নিম্ন পর্যায়ে আছে বলে সংস্থাটির পর্যবেক্ষণ।
ভাল ঋণমানের জন্য বর্তমানের মাথাপিছু আয় এক হাজার ৯০০ ডলারকে অন্যতম প্রধান বাধা হিসেবে চিহ্নিত করে এসঅ্যান্ডপি বলছে, এই মাত্রার আয় দুর্বল ও সংকীর্ণ রাজস্ব ভিত্তি তৈরি করে, যার ফলে বাহ্যিক ধাক্কা মোকাবেলায় রাজস্ব ও মুদ্রা পরিস্থিতির স্থিতিস্থাপকতায় সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়।
নিম্ন আয় ও অনেক কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতার পরও ২০১৩-২০২২ মেয়াদের বাংলাদেশের ৫ দশমিক ৯ শতাংশ প্রকৃত মাথাপিছু জিডিপি প্রবৃদ্ধি জোরালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
এসঅ্যান্ডপি ব্যাংক খাতের ঋণ ঝুঁকি মূল্যায়নে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতকে নবম গ্রুপে রেখেছে, প্রথম সর্বোচ্চ ও দশম সর্বনিম্ন।
ব্যক্তি খাতের ব্যাংকগুলো ভাল অবস্থানে থাকলেও রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে উল্লেখযোগ্য রয়েছে বলে এসঅ্যান্ডপির মূল্যায়ন।
গিরিদর্পণ ডেস্ক ঃ
———————–
বাস্তুচ্যুত মুসলমান জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমারে তাদের অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও বাস্তুতন্ত্র নিয়ে বর্তমান বিশ্ব যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে, তা মোকাবিলায় ওআইসিকে একটি কৌশল গড়ে তোলার আহ্বানও জানান তিনি, যাতে জোটের সদস্য দেশগুলো একে অন্যের জন্য কাজ করতে পারে। শনিবার ভোররাতে সৌদি আরবের মক্কার সাফা প্যালেসে ইসলামী দেশগুলোর জোট ওআইসির চতুর্দশ সম্মেলনে ভাষণ দেন শেখ হাসিনা। ওআইসির ৫৭টি সদস্য রাষ্ট্রের বাদশাহ, রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং প্রতিনিধরা অংশ নিচ্ছেন এই সম্মেলনে। শুক্রবার রাতে শুরু হওয়া এই শীর্ষ সম্মেলনে অতিথিদের স্বাগত জানান সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। শেখ হাসিনা সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করলে বাদশাহ তাকে স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সম্মেলনের শুরুতেই বক্তব্য দেন সৌদি বাদশাহ। সংস্থার
মহাসচিবের বক্তব্যের পর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বক্তব্য দেন। সম্মেলনে ওআইসির এশিয়া গ্রুপের প্রতিনিধি হিসেবে দেওয়া ভাষণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে নিপীড়িত হওয়া এবং তাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও মিয?ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয? দিয?েছে বাংলাদেশ। কিন্তু মিয?ানমার রাখাইন অঞ্চলে একটি সহায?ক পরিবেশ তৈরির প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ায় রোহিঙ্গাদের সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন এখনও অনিশ্চিত। গত মার্চে আবুধাবিতে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে রোহিঙ্গাদের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করার জন্য এবং জবাবদিহি ও বিচার সম্পর্কিত প্রশ্নের বিষয়টি সামনে আনার লক্ষ্যে এই ইস্যুকে আন্তনর্জাতিক বিচার আদালতে যাওয়ার একটি পথ নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়াকে এতদূর নিয়ে আসার জন্য গাম্বিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা স্বেচ্ছায় তহবিল ও কারিগরি সহায?তার দিয়ে মামলাটি চালু করার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আছে আবেদন করছি।” সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের প্রতি বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণার বিষয়টি উল্লেখ তিনি তা মোকাবেলায় ওআইসির সক্রিয়তা প্রত্যাশা করেন শেখ হাসিনা। রিয়াদ সম্মেলনে নিজের দেওয়া চারটি প্রস্তাব মক্কা সম্মেলনেও তুলে ধরেন তিনি। সেগুলো হল- অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, সন্ত্রাসে অর্থায?ন বন্ধ করা, মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ভেদাভেদ নিরসন, সংলাপের মাধ্যমে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান করা। শেখ হাসিনা বলেন, “ইসলামের আবির্ভাব হয়েছিল অন্ধকার জগতের আলোকবর্তিকা হিসেবে। কিন্তু অপব্যাখ্যার কারণে সন্ত্রাসবাদ ও সংঘাতের ভাবধারা হিসেবে ইসলামকে ভুলভাবে তুলে ধরা হচ্ছে।” শেখ হাসিনা শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “খ্রিস্টান চার্চ আক্রমণের দুঃখভোগী পরিবারের প্রতি আমরা সহানুভূতি ও সংহতি জানিয়েছি, যে হামলার আমার আট বছর বয়সী নাতি শেখ জায়ানও নিহত হয়।”
ফিলিস্তিন, সিরিয?া ও বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় সাহায্য-সহযোগিতাহীন মানুষ যেভাবে হত্যাকাণ্ডে শিকার হচ্ছে সেসব অসহায? মানুষের বেদনা ও যন্ত্রণার সঙ্গেও সংহতি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ওআইসি যে লক্ষ্য নিয়ে গঠিত হয়েছিল, তা পূরণ না হওয়ার কথাও সম্মেলনে তুলে আনেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই ও বোনদের জমি ও সার্বভৌমত্বের অধিকার ফিরিয?ে আনতে, উম্মাহর মর্যাদা ও অধিকার রক্ষা এবং মুসলিম বিশ্বের জনগণের মধ্যে একাত্মতা ও সহযোগিতা জোরদার করার জন্য লক্ষ্যে ওআইসির জন্য হয়েছিল। কিন্তু সাত দশক পরেও ফিলিস্তিনের সমস্যা এখনও বিদ্যমান এবং এ বিষয়ে মুসলিম উম্মাহ এখনও বিভক্ত।”
মুসলমানদের অমর্যাদা ও দুর্ভোগের অবসানের পথ নির্দেশনা তৈরি করতে সৌদি বাদশাহর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “বর্তমান বিশ্বে রয়েছে অর্থনীতি, বাস্তুতন্ত্র ও নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ। এসব মোকাবেলায? ওআইসিকে একটি বিস্তৃত কৌশল গড?ে তুলতে হবে, যার মধ্যে সদস্য রাষ্ট্রগুলো একে অন্যের জন্য কাজ করতে পারে।”
তিনি বলেন, “পৃথিবীর কৌশলগত সম্পদের এক তৃতীয?াংশেরও বেশি এবং যুবশক্তির বেশিরভাগই রয়েছে আমাদের হাতে। আমাদের নিজেদের সমস্যা নিজেদেরেই সমাধান করার সমক্ষতা থাকা উচিত।”
দরিদ্র্যকে সবচেয?ে বড? চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অসঙ্গতি মোকাবেলার জন্য যৌথ ইসলামী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ওআইসি -২০২৫ কর্মসূচি বাস্তবায?ন করতে হবে।
ওআইসির ইন্সটিটিউশনগুলোকে বিশেষ করে ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের নীতিমালা ও অনুশীলনগুলোকে ওআইসির এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ার উপরও জোর দেন তিনি।
‘পণ্য বাজারজাত ও পরিষেবায় ধারণা ও উদ্ভাবন আজ ইসলামী বিশ্বের প্রয?োজন’ বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আওএম) উপ মহাপরিচালক পদে প্রার্থী বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের জন্য ইসলামী দেশগুলো নেতাদের সমর্থন চান।
ওআইসির চতুর্দশ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার বিকালে জাপান থেকে সৌদি আরবে পৌঁছেন শেখ হাসিনা।
সৌদি সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছাড়াও রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন প্রমূখ।
সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর শনিবার সন্ধ্যায় ওমরাহ পালন করবেন শেখ হাসিনা। এরপর রোববার মদিনায় হযরত মুহাম্মদ (স.) এর রওজা জিয়ারত করবেন তিনি।
সৌদি আরব সফর শেষে মদিনা থেকে জেদ্দা ফিরে সোমবার ভোরে ফিনলান্ডের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। ফিনল্যান্ড সফর শেষে ৮ জুন দেশ ফিরবেন তিনি।
‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার ঢাকা থেকে টোকিও পৌঁছান শেখ হাসিনা।
বর্তমান বিশ্বে সর্বজনীন সমস্যা হলো পরিবেশ দূষণ। কার্বন নিঃস্বরণসহ নানা কারণে পৃথিবী তার যৌলুস হারাচ্ছে এরমধ্য অন্যমত হলো প্লাস্টিক। যা মাটি ও পানির মারাত্বক ক্ষতি করে এবং নষ্ট করে বাস্তুসংস্থান। তাই প্লাটিক একুশ শতকের মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। হাজার চেষ্টা করেও বন্ধ করা যাচ্ছে না এই মারণ জিনিসের ব্যবহার।
মানবজাতির মধ্যে সচেতনতা বাড়ার পরির্বতে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে প্লাস্টিকের ব্যবহার। আর সেটা এতটাই মাত্রা ছাড়িয়েছে যে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন ‘গ্রেট প্যাসিফিক গারবেজ প্যাচ’। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা দ্য ওয়াল এমন খবর প্রকাশ করেছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন সমুদ্রে সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক জমা হয়। নদীর পানিতে ভেসে আসে এই সমস্ত প্লাস্টিক। আর সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক জমা হয়েছে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ এবং ক্যালিফোর্নিয়ার মাঝের বিস্তৃত অংশে। এই প্লাস্টিকের স্তূপের নামই বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন ‘গ্রেট প্যাসিফিক গারবেজ প্যাচ’। যা আয়তনে টেক্সাসের দ্বিগুণ।
পরিসংখ্যান মোতাবেক, আমেরিকার তিনটি বৃহত্তম শহরের মধ্যে অন্যতম হলো টেক্সাস। তবে এখানেই শেষ নয়। ফ্রান্সের তুলনায় এই গারবেজ প্যাচ আয়তন তিনগুণ বড়। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আঁতকে উঠে সারা বিশ্ব।
বিজ্ঞানীরা জানান, প্রতি বছর নদী থেকে সাগরে এসে জমা হয় ১.১৫ থেকে ২.৪১ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক পরিমাণ প্লাস্টিকের ঘনত্ব পানির তুলনায় বেশি। ফলে সমুদ্রের বুকে জমা হলেও তা ডুবে যায় না।
বিজ্ঞানীরা আরো জানাচ্ছেন, যেহেতু এ জাতীয় প্লাস্টিক পানিতে ডুবে বা মিশে যায় না, ফলে খোলা জায়গায় সূর্যের তাপে নানা বিক্রিয়ার মাধ্যমে এরা মাইক্রোপ্লাস্টিক জাতীয় জিনিসে ভেঙে যায়। আর প্লাস্টিকে থাকা অণু–পরমাণু একবার ভাঙতে শুরু করলে পরিবেশের জন্য তা হয়ে দাঁড়ায় আরো ক্ষতিকর। সমগ্র সামুদ্রিক ইকোসিস্টেমের জন্য ত্রাস হয়ে যায় এই মাইক্রোপ্লাস্টিক।
সম্প্রতি প্রকাশ করা একটি প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা জানান, প্যাসিফিক গারবেজ প্যাচের উপর যত প্লাস্টিক ভেসে থাকে তার পরিমাণ প্রায় ১.৮ ট্রিলিয়ন। ওজনে এই বর্জ্য প্রায় ৮০ হাজার টন। এই ওজন প্রায় ৫০০টি জাম্বো জেটের সমান। আর দিনদিন এই নন–ডিগ্রেডেবল প্লাস্টিকের পরিমাণ প্যাসিফিক গারবেজ প্যাচে বেড়েই চলেছে।
সামুদ্রেও এর প্রভাব মারাত্মক। বিভিন্ন জলজ প্রাণী এবং মাছেরা এইসব প্লাস্টিককে নিজেদের খাবার ভেবে ভুল করে। আর দিনের পর দিন খাবার ভেবে প্লাস্টিক খাওয়ার ফলে নানা রকমের রোগের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ জমে থাকা জঞ্জালের মধ্যে প্রায় ৮৪ শতাংশ আবর্জনাই থাকে মারাত্মক বিষাক্ত। আর এই বিষ শরীরে প্রবেশ করলে মৃত্যু অবধারিত। ফলে মারা যায় বহু মাছ এবং সামুদ্রিক প্রাণী। এমনকী এই প্লাস্টিকের দৌলতেই বিলুপ্তির পথেও পৌঁছে যায় সামুদ্রিক ইকোসিস্টেমের বেশ কিছু প্রাণী।
বহু বছর ধরে চলা অসংখ্য গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রায় ৭০০ ধরণের সামুদ্রিক প্রজাতি প্রতিনিয়ত মেরিন ডেবরিস’র (সামুদ্রিক ধ্বংসাবশেষ) সংস্পর্শে আসে। যার মধ্যে ৯২ শতাংশ প্রাণীই এই ক্ষতিকর প্লাস্টিকের সংস্পর্শেই থাকে।
একটি ভয়ঙ্কর দাবানল যেমন যত দিন যায় ততই বাড়তে থাকে। ছড়িয়ে পড়ে জঙ্গলের ভিতর। পুড়ে ছারখার করে দেয় অরণ্যের জীবন। ঠিক ততটাই মর্মান্তিক পরিণতি ঘটাবে এই ‘গ্রেট প্যাসিফিক গারবেজ প্যাচ’এ কথাই বলছেন বিজ্ঞানীরা।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আজ মহান মে দিবস। এ দিনটি মাঠে-ঘাটে, কলকারখানায় খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে রক্তঝরা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস সৃষ্টির দিন। দীর্ঘ বঞ্চনা আর শোষণ থেকে মুক্তি পেতে ১৮৮৬ সালের এদিন বুকের রক্ত ঝরিয়েছিলেন শ্রমিকরা।
এদিন শ্রমিকরা আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের সব শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। সে ডাকে শিকাগো শহরের তিন লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ বন্ধ রাখেন। শ্রমিক সমাবেশকে ঘিরে শিকাগো শহরের হে মার্কেট রূপ নেয় লাখো শ্রমিকের বিক্ষোভ সমুদ্রে। এক লাখ পঁচাশি হাজার নির্মাণ শ্রমিকের সঙ্গে আরও অসংখ্য বিক্ষুব্ধ শ্রমিক লাল ঝান্ডা হাতে সমবেত হন সেখানে। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালালে ১০ শ্রমিক প্রাণ হারান।
অন্যদিকে হে মার্কেটের ওই শ্রমিক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে। গড়ে ওঠে শ্রমিক-জনতার বৃহত্তর ঐক্য। অবশেষে তীব্র আন্দোলনের মুখে শ্রমিকদের দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
পরে ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে শিকাগোর রক্তঝরা অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়ে ওই ঘটনার স্মারক হিসেবে ১ মে ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৮৯০ সাল থেকে প্রতি বছর দিবসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘মে দিবস’ হিসাবে পালন করতে শুরু করে।
শ্রমিক দিবসের প্রেরণা থেকে বাংলাদেশ মোটেও পিছিয়ে নেই। এ দেশে নারায়ণগঞ্জে প্রথম মে দিবস পালিত হয় ১৯৩৮ সালে। তখন ব্রিটিশ শাসনামল। তারপর পাকিস্তান আমলেও মে দিবস যথাযথ উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের শাসন থেকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে বিপুল উদ্দীপনা নিয়ে মে দিবস পালিত হয়। ঐ বছর সদ্য স্বাধীন দেশে পয়লা মে সরকারি ছুটি ঘোষিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা, শ্রমজীবী মানুষসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আগামীকাল সরকারি ছুটি। সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব তফসিলি ব্যাংক ও কলকারখানা বন্ধ থাকবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন ও বেতারগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র ও নিবন্ধ প্রকাশ করবে।
দিবসটি উপলক্ষে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন তাদের পৃথক পৃথক কর্মসূচীর আয়োজন করেছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা শ্রমিকলীগের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালী এছাড়া রাঙ্গামাটির গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বাজার রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি, বনরূপায় পৃথক পৃথক সমাবেশের আয়োজন করেছেন শ্রমিকলীগ।
রাঙ্গামাটি জেলা সড়ক ও নৌ-পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এবং নৌ যান (লঞ্চ) শ্রমিক ইউণিয়নের উদ্যোগে পৌর পরিবহন টার্মিনাল চত্ত্বরে শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করেছে। রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি থাকনে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদ, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর কবীর, রাঙ্গামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বড় জয়ে বিশ্বনেতাদের শুভেচ্ছা পাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, যিনি টানা তৃতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
চীনের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ভুটানের রাজা, প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টেলিফোন করেন শেখ হাসিনাকে।
তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার দলকে ভোটের জয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে দুই দেশের পুরনো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এছাড়া দেশেও রাজনীতিক ও সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিকরা গণভবনে গিয়ে শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনাকে।
রোববার অনুষ্ঠিত ভোটের ফলাফলে নৌকার এই অভাবনীয় জয়ের বিপরীতে ভরাডুবি হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে নির্বাচনে আসা বিএনপির।
ভোট হওয়া ২৯৯ আসনের মধ্যে ২৫৯টি আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সবমিলিয়ে মাত্র ৭টি আসনে জয় পেয়েছে ধানের শীষের প্রার্থীরা; তাদের চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অন্যতম অংশীদার জাতীয় পার্টি ২০টি।
বিবিসির প্রতিবেদনে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার পূরণের বাস্তব চিত্র বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে এলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ওয়াদা আর অঙ্গীকারের বাস্তব চিত্র — (১৯৯১- ১৯৯৬) শাসনামলে বিএনপি সরকার পূরণ করছে ৩৩% (১৯৯৬-২০০১) শাসনামলে আওয়ামী লীগ সরকার পূরণ করছে ৫২% (২০০১-২০০৫) শাসনামলে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার পূরণ করছে ২৪% (২০০৮-২০১৪) শাসনামলে আওয়ামী লীগ মহাজোট সরকার পূরণ করছে ৬৭% (২০১৪-২০১৮) শাসনামলে আওয়ামী লীগ মহাজোট সরকার পূরণ করছে ৮২%। এযাবৎ কালে আওয়ামী লীগ যে অঙ্গীকার করেছে তার বেশিরভাগ পূরণ করেছে আওয়ামী লীগ। সম্প্রতি একটি জরীপ সমীক্ষায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণটি উঠে এসেছে। আওয়ামী লীগের ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহার ছিল উন্নয়ন বান্ধব , তবে এর ধারাবাহিকতা তারা শুরু করেছিল ২০০৮ এর নির্বাচনী ইশতেহারে। মুলত তারুণ্য , মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর তথ্য প্রযুক্তির উপর ভর করেই – ২০০৮ সালে এই দল নতুন আঙ্গিকে যাত্রা করেছিল – দেশ পরিচালনার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে। ২০০৮ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একটা সুস্পষ্ট ঘোষণা তরুন প্রজন্মের ভোটাররা আগ্রহ নিয়ে গ্রহণ করেছিল – তা ছিল ক্ষমতায় আসলে তারা ১৯৭১ সালে মানবতা অপরাধে অপরাধীদের বিচার করবে। মূলত ২০০৮ সরকারের সাফল্য আর তাদের অঙ্গীকার পূরণে সক্ষমতা – বাংলাদেশের মানুষের মাঝে স্বপ্নের বীজ বুন্তে সাহায্য করেছিল – আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সরকার বারবার বলেছে – দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে তারা অঙ্গীকারাবদ্ধ। তাই তারা নির্বাচনী ইশতেহারে যে উন্নয়ন আর আধুনিক বাংলাদেশের কথা বলেছিল , তা তারা অক্ষরে অক্ষরে পালণ করার চেষ্টা করেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন আওয়ামী লীগ সরকার এই পাঁচ বছরে করতে পেরেছে বলেই দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে প্রায় সবকটি মেগা প্রকল্প, এই বিষয়টি বা ওয়াদা রক্ষার বেপারটি বাংলাদেশের মানুষের খুব মনে ধরেছে। পদ্মাসেতু আজ স্বপ্ন নয়, বাস্তবে রূপ নিয়েছে। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও মেট্রোরেল, পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো মেগা প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো- ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিসমৃদ্ধ এবং মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৮ থেকে ১০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল। ২০০৯-১০ সালের বাজেটে মহাজোট সরকারের নির্বাচনী ওয়াদার প্রথম বিষয়টি ছিল বিশ্ব মন্দার মোকাবেলা, দ্রব্যমূল্যের হ্রাসকরণ এবং দেশজ উৎপাদন বাড়িয়ে বা যথাসময়ে আমদানি করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। আরেকটি অঙ্গীকার ছিল জ্বালানি ও বিদ্যুত্ সংকটের সমাধান এবং সেই লক্ষ্যে একটি জরুরি কার্যক্রম বাস্তবায়ন। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা থেকে আজ উন্নয়ন বাজেটের আকার দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। দেশ এখন পারমানবিক বিদ্যুত্ প্রকল্প, স্যাটেলাইট প্রকল্পের মতো সাহসী পদক্ষেপ নিতে পেরেছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে শুধু ঘোষণা বা পাঠ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলনা – তারা এর বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে সমর্থ হয়েছে। জনগুরুত্ব বিবেচনায় সরকার দশটি বৃহৎ প্রকল্পকে মেগা প্রজেক্ট হিসেবে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এগুলো হলো—পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প, পদ্মা রেল সেতু সংযোগ প্রকল্প, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে গুনদুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প, ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (এমআরটি), পায়রা বন্দর নির্মাণ প্রকল্প, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্প, মাতারবাড়ি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রকল্প, মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্প বা রামপাল বিদ্যুত প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প এবং এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প। আওয়ামী লীগের বিগত টার্মের নির্বাচনী ইশতেহার আর তাদের সফলতা বিশ্লেষণের একটা নজির দেখলেই বুঝা যায় – ১)নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে বাংলাদেশকে উন্নীত করা হয়েছে। ২) দারিদ্র হার ২১.৫% কমেছে। ৩) উন্নয়নের সুচক বেড়েছে ৭.৮% ৪)সাক্ষরতার হার ৭৩% উন্নীত হয়েছে। ৫) মাথাপিছু আয় ১৭৫২ ডলার ৬) বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০৪০০ মেগাওয়াট ৭) সফল্ভাবে জঙ্গিবাদ দমন । কথা দিয়ে কথা রাখে আওয়ামী লীগ । আর বিএনপি ও তার শরীকরা ক্ষমতায় এসেই লুটপাট করে এর প্রমাণ তাদের ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তারা দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাঁচ বার। একটা কথা মনে রাখতে হবে বিএনপি শুধু নির্বাচনের আগেই নিয়ম রক্ষার জন্যই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে। এই পর্যন্ত কোনও সময়ই তারা তাদের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে মাথা ঘামায়নি ক্ষমতায় আসার পর, নিজেদের বাণিজ্যেস্বার্থে এবং সুবিধা বুঝেই এরা দেশ চালায়। আসুন জনবান্ধব দেশপ্রেমিক আওয়ামী লীগ সরকারকে আমরা আরেকবার দেশ পরিচালনার সুযোগ দেই , মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা – দেশের প্রতি মমতা এই দলটিই ধারণ করে। এবারো ২১ টি ওয়াদা নিয়ে তারা তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে – এই ঘোষণাগুলো যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বাস্তবায়ন করে তবে দেশকে নিয়ে আমাদের গর্বের শেষ থাকবেনা। দেশের জনগণ নিজেদের স্বার্থেই এবং দেশের মঙ্গলের জন্যই আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে এটাই আমাদের বিশ্বাস।
মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের বার্ষিকীতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসে একাত্তরে পাকিস্তানের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে নিজের যাতনার কথা বললেন এক মার্কিন অধ্যাপক।
ইউনিভার্সিটি অব হিউস্টনের স্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক মাইকেল কটিংহ্যাম রোববার সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেছিলেন হুইল চেয়ারে বসে। তার পোশাকে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার লাল আর সবুজ।
মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদের স্মৃতির বেদীতে ফুল দিয়ে ফেরার পথে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমি অনুভব করি, আমার দেশ অনেক ভুল করেছে। আমি আমার দেশ ও দেশের সমস্যা নিয়ে অনেক কথা শুনেছি। আমি সেজন্য দুঃখও প্রকাশ করছি। আমি মনে করি, আমরা অনেক খারাপ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি সেজন্য যাতনা বোধ করি।”
শারীরিক প্রতিবন্ধীদের খেলাধুলা নিয়ে গবেষণার তথ্য সংগ্রহে প্রথমবারের মত বাংলাদেশে এসেছেন অধ্যাপক কটিংহ্যাম। কয়েক দিন আগে ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কে ‘অনেক কিছু’ জেনেছেন তিনি।
“তখন পূর্ব পাকিস্তানে কী ঘটেছিল, যুদ্ধ কেমন ভয়াবহ ছিল, কত মানুষ জীবন দিয়েছে- সে সম্পর্কে জেনেছি। আমি অনেক ছবি দেখেছি, ঘটনাগুলো মর্মস্পর্শী। আমি সেজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।”
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে কিছু বই কিনেছেন অধ্যাপক কটিংহ্যাম।
তিনি বলেন, “আমি বাঙালির আত্মত্যাগকে সাধুবাদ জানাই। এটা ছিল অত্যন্ত ভয়ঙ্কর যুদ্ধ।”
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন রিচার্ড নিক্সন। তিনি বিশ্বাস করতেন, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আরও সময় নেওয়া উচিৎ।
নিজের দেশের আইন লংঘন হবে জেনেও সাড়ে চার দশক আগে তিনি যে মুক্তিকামী বাঙালিকে দমনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সমরাস্ত্র যুগিয়েছিলেন, তা পাঁচ বছর আগে প্রকাশিত একটি বইয়ে উঠে আসে।
হোয়াইট হাউজের প্রকাশিত বিভিন্ন অডিও টেপের ভিত্তিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় নিক্সন ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের ভূমিকা নিয়ে ২০১৩ সালে বইটি বই প্রকাশ করেন প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক গ্যারি ব্যাস।
‘দ্য ব্লাড টেলিগ্রাম: নিক্সন, কিসিঞ্জার অ্যান্ড আ ফরগটেন জেনোসাইড’ নামের ওই বইয়ে তিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার নানা দিক তুলে ধরেন।
তবে ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল অনেক মানুষ। নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ারে বিশ্বখ্যাত শিল্পীদের অংশগ্রহণে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সারা পৃথিবীতে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে থাকলেও মার্কিন জনগণ কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল, সে প্রসঙ্গ টেনে মাইকেল কটিংহ্যাম বলেন, “সিনেটর টেড কেনেডি মুক্তিযুদ্ধের বড় সমর্থক ছিলেন। আমি মনে করি, শিল্পী, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও যুব সমাজ তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতার স্বাক্ষর রেখেছিল।”
এবার বাঙালির বিজয় উদযাপনের অংশ হতে পেরে ‘সম্মানিত’ বোধ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি অনুভব করি, এটা আত্মত্যাগের উদযাপন। আশা করি, আমাদের দুই দেশ একসঙ্গে মিলিত হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ একই সঙ্গে করবে।(”বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
ইরানের তেল রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্র বন্ধ করতে পারবে না আর সেরকম কোনো চেষ্টা চললে পারস্য উপসাগর দিয়ে সব দেশের তেল রপ্তানিই বন্ধ করে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার টিভিতে প্রচারিত এক বক্তব্যে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, দেশটির তেল রপ্তানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনাই এ নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য। যাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রাশ টেনে ধরা যায় এবং তাদের আঞ্চলিক প্রভাবও কমানো যায়।
এরই প্রতিক্রিয়ায় রুহানি ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় একটি শহর পরিদর্শনকালে টিভিতে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের জানা উচিৎ, আমরা তেল বিক্রি করছি এবং তা চলতেই থাকবে। তারা আমাদের তেল রপ্তানি থামাতে পারবে না।”
“তারা ইরানের তেল রপ্তানি বন্ধ করতে গেলে, পারস্য উপসাগর দিয়ে আর কোনো তেলই যাবে না,” বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মে মাসে ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সই করা পরমাণু চুক্তি থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা বহাল করার পর থেকেই দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
রুহানি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলসহ বাদবাকী বিশ্বের সঙ্গে ইরানের অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারবে না।
ওদিকে, মঙ্গলবার ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসহাক জাহাঙ্গিরি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইরানের সরকারকে ঠেকাতে চাওয়ার কথা বললেও এতে আসলে ইরানের অসহায় মানুষেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্বনেতাদের পর এবার শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চাইলেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ধারাবাহিকতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসাও করেন সৌদি বাদশাহ। খবর বাসসের।
স্থানীয় সময় বুধবার বিকালে রিয়াদে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি বাদশার বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক সৌদি বাদশার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে তাহলে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও উন্নত হবে এবং সকল ক্ষেত্রে উন্নতি সাধিত হবে।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সৌদি বাদশাহ তিনবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার কথা উচ্চারণ করেন।
সচিব বলেন, বৈঠকটি উষ্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাদশাহ নিজে রাজপ্রসাদের প্রবেশ দ্বারে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বাদশা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, ‘এটি আপনার ঘর এবং আপনাকে সবসময় এখানে স্বাগতম।’
বাদশাহ বলেন, সৌদি আরব ও বাংলাদেশ দু’টি ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ এবং ধর্মের পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন বিষয়ে একই বন্ধনে বাঁধা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাদশার আথিয়েতার জন্য ধন্যবাদ জানালে সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ বলেন, এটা তার দায়িত্ব।
তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক অনেক উন্নত হয়েছে এবং উল্লেখ করেন যে অর্থনীতি, সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদারের সুযোগ রয়েছে।
বাদশাহ বলেন, ‘আমরা যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছি।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এটা অব্যাহত থাকবে এবং এটি দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের জনগণের অভিন্ন আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের প্রস্তাব করলে বাদশাহ প্রস্তাবগুলো যথাযথ বলে অভিহিত করেন।
বাদশাহ বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক পর্যায়ে আলোচনার পর এক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেব।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কাজ করছে উল্লেখ করে এ ক্ষেত্রে তাদের দেখাশোনা করার জন্য সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
সৌদি বাদশাহ সেদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা সৌদি অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছে উল্লেখ করে বলেন, তাদের দেখভাল করা আমার দায়িত্ব।
প্রধানমন্ত্রী সৌদি বাদশাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাদশাহ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন এবং ‘আমরা এটি কূটনৈতিক পর্যায়ে সম্পন্ন করবো বলে জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, বাদশা ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সবসময় মুসলিম উম্মার প্রশ্নে লড়াই করে। বিশেষ করে ফিলিস্তিন ইস্যুতে।’
বাদশাহ বলেন, ‘এ ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান সবসময় সম্মানজনক এবং এজন্য আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।’ –বাসস