॥ লিটন ভট্টাচায্য রানা, খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলা তাইন্দং ইউনিয়নে বৃহত্তর মাঝপাড়া চারটি গ্রাম ছয়শত পরিবার ও তবলছড়ি ইউনিয়নের আদর্শ পাড়া তিনটি গ্রামে পাঁচশত পরিবার এলাকায় চারটি গ্রামে মোট ১১শ পরিবার নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পেলো।
বৃহস্পতিবার (৬ আগষ্ট) সকালে খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলা তাইন্দং ইউনিয়নে ১১শ পরিবার মাঝে দুই কোটি টাকায় ব্যয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্ধোধনে করেন শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ। আর সমতলের সাথে তাল মিলিয়ে পার্বত্য এলাকা দিনি দিন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১-এর কথা পুনরুল্লেখ করে বলেন, ‘দেশের প্রত্যেক মানুষের ঘরে আমরা আলো জ্বালব, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’ যেখানে বিদ্যুতের লাইন নেই, সেখানে তাঁর সরকার সোলার সিস্টেম বসিয়ে দিচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় এমপি’র বরাদ্দ থেকে টিআর, কাবিটা প্রকল্প থেকে সোলার সিস্টেম বসানো হয়েছে প্রতান্ত গ্রাম গুলিতে। মানুষের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বৃদ্ধির সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়টি যুক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষের এই চাহিদার সঙ্গে মিল রেখেই সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাচ্ছে।
এর আগে তাইন্দং পরিষদ মাঠে এসআইডি-সিএইচটিডিএফ, ইউএনডিপি ও পার্বত্য বিষষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ৫২৪ পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী তুলেদেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেরা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাহী কর্মকর্তা বিভিশন কান্তি দাশ, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য এড. আশুতোষ চাকমা, খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, মংসুইপ্রু চৌধুরী, মাটিরাঙ্গ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোরশেদ খাঁন, সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চাকমা, সহকারী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড রাঙ্গামাটি যতœ মানিক চাকমা, জেলা সিএইচটিডিএফ, ইউএনডিপি কর্মকর্তা সুভাষিশ চাকমা, তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ন কবীর ও তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোর জন্য ১০ প্রকারের দ্রব্যাদি বিতরণ করা হয় এবং বিতরণকৃত প্রতিটি প্যাকের মধ্যে রয়েছে -চাল ১৫ কেজি, ডাল ২ কেজি, লবণ ১ কেজি, সয়াবিন তেল ১ লিটার, পিয়াজ ১ কেজি, আলু ৫ কেজি, সাবান ২ টি, সবজি বীজ ৭ প্যাকেট (করলা বীজ – ১০ গ্রাম, ঢ়েড়স বীজ ১০ গ্রাম, মিষ্টি কুমড়া বীজ ১০ গ্রাম, শসা বীজ ১০ গ্রাম, লাউ বীজ ১০ গ্রাম, পুঁইশাক বীজ ১০ গ্রাম, চালকুমড়া বীজ ১০ গ্রাম করে), মাস্ক ৪ পিস ও সচেতনতাবৃদ্ধির লক্ষ্যে করোনা বিষয়ক ১টি ও বন্যপ্রাণী ও বন সংরক্ষণ বিষয়ক ১টি করে পোস্টার দেওয়া হবে।
॥ লিটন ভট্টাচায্য রানা ॥ খাগড়াছড়ি সদরস্থ ভাইবোনছড়া ইউনিয়নে বৃহত্তর গাছবান এলাকায় চারটি গ্রামে মোট ছয়শত পরিবার নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পেলো। মন্ত্রীপাড়া, অমৃতপাড়া, কুমার ধনপাড়া, ২নং প্রকল্প গ্রাম সহ মোট ছয় কিলোমিটার ছয়শত পরিবার মাঝে এককোটি পঞ্চশ লক্ষ টাকায় ব্যয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্ধোধনে করেন শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা,এমপি।
প্রধান অথিতি বক্তব্য বলেন বর্তমান উদ্দ্যেগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। সমতলের সাথে পার্বত্য এলাকা উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে।সরকারের ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১-এর কথা পুনরুল্লেখ করে বলেন, ‘দেশের প্রত্যেক মানুষের ঘরে আমরা আলো জ্বালব, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
যেখানে বিদ্যুতের লাইন নেই, সেখানে তাঁর সরকার সোলার সিস্টেম বসিয়ে দিচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় এমপি’র বরাদ্দ থেকে টিআর ,কাবিটা প্রকল্প থেকে সোলার সিস্টেম বসানো হয়েছে প্রতান্ত গ্রাম গুলিতে। মানুষের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বৃদ্ধির সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়টি যুক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষের এই চাহিদার সঙ্গে মিল রেখেই সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাচ্ছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য এড. আশুতোষ চাকমা, খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু,পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল,সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সনজিৎ ত্রিপুরা, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় দাশ, সহকারী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড রাঙ্গামাটি যতœ মানিক চাকমা,খাগড়াছড়ি সদর ভাইবোনছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পরিমল ত্রিপুরা ও এলাকার কারব্বারী পূর্ণ ভুষন ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।
॥ লিটন ভট্টচার্য্য রানা, খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি নুরন্নবী চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহে রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে তিনি নিজগৃহে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি ১ ছেলে, ৩ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
প্রবীন রাজনীতিবিদ ও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি নুরন্নবী চৌধুরীর মুত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এক শোক বার্তায় গুণী এ নেতার মৃত্যুতে সমবেদনা জ্ঞাপন করে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী ও দলের সাধারণ সম্পাদক। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন, শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম।
এদিকে-শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, নেতৃত্বে জেলা ও নয় উপজেলার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সামাজিক দূর্রন্ত বজায় রেখে একে একে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ও গভীর সমবেদনা জানিয়ে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।
এদিকে আওয়ামীলীগের প্রবীণ এ নেতার মৃত্যুতে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতারা। শুক্রবার সকালে মরহুমকে শেষ বারের মত দেখে বিদায় জানাতে সদরের টাউনহল সংলগ্ন এই প্রবীণ নেতার বাস ভবনে।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তিনি ১৯৯১ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য ও খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা প্রক্রিয়ায় পাহাড়ী বাঙ্গালী জনগোষ্টীর সমন্বিত নেতৃত্বে অন্যতম ভূমিকা অক্লান্ত পরিশ্রমীক দায়িত্ব পালন করেছেন।
॥ লিটন ভট্টচার্য্য রানা, খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলা পাবলাখালি হাই স্কুল মাঠে এসআইডি-সিএইচটিডিএফ, ইউএনডিপি ও পার্বত্য বিষষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নয় উপজেলায় ৫হাজার ৬৬০ কর্মহীন পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
দীঘিনালা উপজেলায় কোভিড-১৯ এর কারনে কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাএমপি।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলা পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদে মোট ১২১০ পরিবারের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বর্জায় রেখে কর্মহীন, অসহায় দরিদ্রদের মাঝে মানবিক খাদ্য সহায়তা ত্রাণ বিতরণ করেন।
এসময় প্রধান অতিথি বক্তব্য বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মহামারি আকার ধারণ করেছে। কভিড-১৯-এর করাল থাবায় বিশ্ব আজ ল-ভ-। সারা বিশ্বে দুই লাখের বেশি মানুষ এরই মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে। খোদ যুক্তরাষ্ট্র ঠেকাতে পারছে না তাদের মৃত্যুর মিছিল। করোনার হিংস্রতায় ইউরোপ ছিন্নভিন্ন। বিগত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই সংকটে বিশ্বের তাবৎ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হতভম্ব! দিশাহারা বিশ্ববাসী! খাগড়াছড়ি জেলাতে আজ একশত পঞ্চশ জনের উপরে আক্রান্ত।
এ ভাইরাসজনিত কারণে অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল মানুষের কাছে একদিকে যেমন ত্রাণ পৌঁছে দিতে হচ্ছে, আক্রান্তদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য জেলা ও উপজেলা ডাক্তারা দিনরাত্র সেবা দিচ্ছে, পাশাপাশি ত্রাণ বিতরণ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকে নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিচ্ছেন, বিনা কারণে বাড়ি থেকে বাহির না হাওয়া জন্য অনুরোধ করছি, আপনি সুস্থ্য থাকলে পরিবার সুস্থ্য থাকবে ও সমাজ সুস্থ্য থাকবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য এড্ আশুতোষ চাকমা, শতরুপা চাকমা, দীঘিনালা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কাশেম, উপজেলা পরিষদ ভূমি কর্মকর্তা গাজালা পারভিন রুনি। জেলা সিএইচটিডিএফ, ইউএনডিপি কর্মকর্তা সুভাষিশ চাকমা।
॥ লিটন ভট্টাচার্য্য রানা, খাগড়াছড়ি ॥ নির্বিচারে বনভূমি উজাড় ও বৃক্ষনিধন বিরূপ প্রভাব ফেলছে পরিবেশের ওপর। প্রকৃতির ওপর অব্যাহত এ অত্যাচারের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে প্রাণ-প্রকৃতি ও জীব-বৈচিত্র্য। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাণ-প্রকৃতি ও জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় সীমিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ) উপলক্ষে তিন পার্বত্য জেলায় এক লক্ষাধিক গাছের চারা সৃজনের এ কার্যক্রমের আওতায় এরই মধ্যে পার্বত্য তিন জেলার প্রতিটি পাড়াকেন্দ্রে বিভিন্ন ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপন করা হয়েছে।
সোমবার (২০জুলাই) সকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদর উত্তর মহালছড়া পাড়াকেন্দ্র, ৩নং গোলাবাড়ি, ১৯নং ক্লাস্টার, ইউনিসেফ পাড়াকেন্দ্রের মাধ্যমে কিশোরী ও অভিভাবকদের মাঝে ফলজ ও ভেষজ চারা বিতরণ কর্মসূচী করা হয়েছে।
এ সময় ১৯নং ক্লাস্টারের মাঠ সংগঠক চৈতালী চাকমা, জাবারাং কল্যাণ সমিতির স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামের ফিল্ড মনিটরিং মনসুর আলম, পাড়াকেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সভাপতি অসীমা ত্রিপুরা ও গ্রীন ভয়েস (পরিবেশবাদী যুব সংগঠন) খাগড়াছড়ি পাবর্ত্য জেলা শাখার সভাপতি চারু বিকাশ ত্রিপুরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাণ-প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার করতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানান, উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান’ প্রকল্পের অধীনে তিন পার্বত্য জেলায় ৪ হাজার ৩০০টি পাড়াকেন্দ্রের মাধ্যমে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ৪ হাজার ৩০০টি পাড়াকেন্দ্রের প্রতিটি পাড়াকেন্দ্রে ২৫টি করে মোট ১ লাখ ৭ হাজার ৫০০ গাছের চারা সৃজিত হয়েছে। এর মধ্যে রাঙ্গামাটির ১ হাজার ৬০৭ পাড়াকেন্দ্রে ৪০ হাজার ১৭৫টি, খাগড়াছড়ির ১ হাজার ৫১৮টি পাড়াকেন্দ্রে ৩৭ হাজার ৯৫০টি ও বান্দরবানের ১ হাজার ১৭৫টি পাড়াকেন্দ্রে ২৯ হাজার ৩৭৫টি বিভিন্ন জাতের চারা সৃজন করা হয়। প্রতিটি পাড়াকেন্দ্রের আওতায় জামের চারা দুটি, জাম্বুরা বা বাতাবি লেবুর চারা দুটি, বেলের চারা দুটি, আমলকী তিনটি, নিম তিনটি, হরীতকী তিনটি, বহেরা তিনটি, তেঁতুল তিনটি, অর্জুন দুটিসহ ২৫টি গাছের চারা সৃজন করা হয়েছে।
এরই মধ্যে গাছের চারা রোপণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যা সম্পর্কে তিন পার্বত্য জেলার ২৬টি উপজেলায় পাড়াকর্মী ও মাঠ সংগঠকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। চারা রোপণের স্থান নির্ধারণসহ এ কাজে সার্বিকভাবে সহায়তা করছেন প্রতিটি পাড়াকেন্দ্রের পরিচালনা কমিটি ও কিশোর-কিশোরী দল। এসব চারা রোপন করা হয় পাড়াকেন্দ্রের নির্দিষ্ট জায়গা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। এছাড়া রোপনকৃত গাছের পরিচর্যা করবেন পাড়াকেন্দ্র পরিচালনা কমিটি ও কিশোর-কিশোরী দলের সদস্যরা। গত ১৫ জুলাই সকাল ১০টায় পার্বত্য তিন জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ৪ হাজার ৩০০টি পাড়াকেন্দ্রে এসব গাছের চারা সৃজন করা হবে।
মাঠ সংগঠক ও পাড়াকর্মীরা জানান, বিভিন্ন জাতের ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণের বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী এসব গাছের চারা কলাম রোপণের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে গর্ত তৈরির জন্য বলা হয়। এরই মধ্যে অনেকেই গর্ত খননকাজ ও জৈবসার সংগ্রহ করে বিশেষত মাঠ সংগঠক ও পাড়াকর্মীদের পাড়াকেন্দ্র পরিচালনা কমিটি ও পাড়াকেন্দ্রের কিশোর-কিশোরী দলের সদস্যরা সহযোগিতা করছে। পাড়াকেন্দ্রের আশপাশের এলাকা ও ব্যক্তিমালিকানাধীন বিশেষ স্থানেও চারা কলাম রোপণ করা হয়।
টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাণ-প্রকৃতি, জীব-বৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষায় পাড়াকেন্দ্রের মাধ্যমে ফলদ, বনজ, ওষধি গাছের চারা রোপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। পাড়াকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের প্রচেষ্টায় তিন পার্বত্য জেলার ৪ হাজার ৩০০টি পাড়াকেন্দ্রে একযোগে এসব চারা কলাম রোপন করা হয়েছে সংশ্লিষ্টরা এরই মধ্যে বাড়তি চারা সৃজনের ইচ্ছাপোষণ করায় আমাদের এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার চারা সৃজন করা হয়েছে গত ১৫ জুলাই। এটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের পাঁচটি উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় দিন দিন বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে। যে হারে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে, সে অনুপাতে রোপন করা হচ্ছে না। তাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা এ উদ্যোগ গ্রহণ করি। পার্বত্য চট্টগ্রামে সংরক্ষিত বনাঞ্চল মোট আয়তনের এক-চতুর্থাংশ, যা ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে। এতে করে হুমকির মুখে পড়ছে এখানকার পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য। এখানকার পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় লক্ষাধিক বৃক্ষ সৃজন করে কিছুই হবে না। এ ব্যাপারে বন বিভাগকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। উন্নয়ন বোর্ড মূলত পাড়াকেন্দ্রের আশপাশ এলাকায় এসব চারা কলাম রোপন করছে, যার মধ্যে ওষধি, ফলদ ও বনজ চারাও আছে। এসব চারা কলাম বড় হলে ব্যক্তিগতভাবে নয়, সবাই উপকৃত হবে।
সোহেল রানা দীঘিনালা প্রতিনিধি:: খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে অনেকে পরিবার। উপজেলার কবাখালী, আলীনগর, হেডম্যানপাড়া, বোয়ালখালীর কাঁঠালতলী , মেরুং এর অনার্থ আশ্রাম,বাবুছাড়ার উল্টাছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ে ও পাহাড়ের পাদদেশ কেটে ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস করছে আড়াইশত পরিবার। ভারী বৃষ্টি হলেই এসব এলকায় কাটা পাহাড় থেকে মাটি ধসে পড়ে প্রশাসন থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নে সতর্কতামূলক মাইকিং করলেও সেখান থেকে লোকজন সরে আসেনি। গত সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, কবাখালীর হেডম্যান পাড়া, বোয়ালখালীর কাঁঠালতলী নতুন পাড়া, পশ্চিম কাঁঠালতলী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ বাড়িঘর তৈরি করা হয়েছে পাহাড়ে ও পাহাড় কেটে। বৃষ্টি হলে মাটি ধসে পড়া আটকানোর জন্য বস্তা ও গাছের খুঁটি দিয়ে আটকানো চেষ্টা করা হলেও পাহাড়ের মাটি নরম হওয়া টানা কয়েক দিন বৃষ্টি হলে সেগুলো ধসে পড়ে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, গত কয়েদিন আগে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ এলকায় বসবাসরত লোকজকে আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে আসার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে আশ্রয় কেন্দ্রের খাবার ব্যবস্থাও রয়েছে।
মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, খাগড়াছড়ি থেকে:-খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ‘করোনা’ প্রাদুর্ভাবে থমকে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধমীয় কর্মকান্ড। দীর্ঘ সময় আয়-রোজগার বঞ্চিত মানুষজনের মাঝে ঈদ-আনন্দের আমেজ নেই। বিশেষ করে মাঝারী পরিবারেও কোরবানের প্রস্তুুতি অনেক কম। ফলে আসন্ন কোরবানকে ঘিরে জেলার ৯টি উপজেলার ছোট-বড় অর্ধশত গো-খামার ও কৃষকের ঘরে মোটাতাজা কয়েক হাজার দেশী-বিদেশী জাতের গরু নিয়ে দুশ্চিতায় গো-খামারীরা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ উপেক্ষা করে পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে হাট পরিচালনা করতে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা থাকলেও অনেককে মাস্ক পরে হাটে যেতে দেখা যায়নি। হাটের প্রবেশদ্বারে হাত ধোয়ার কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। তাছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতা ছাড়াও অনেক দর্শনার্থীর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। লাইভ ওয়েট পদ্ধতিতে বিক্রিতেও তেমন সাড়া নেই গো-খামারে। ফলে এসব খামারীরা পুঁজি হারানো ভয়ে শংকিত।
কৃষকের ছোট ও মাঝারী গরু অনায়াসে বাজারে উঠানো গেলেও গো-খামারের ৫শ-৮শ কেজি ওজনের গরু বাজারে উঠানো খুবই কষ্টকর। যার ফলে লাইফ ওয়েট পদ্ধতিতে আমরা বড় গরুগুলো বিক্রি করে থাকি। এ বছর ক্রেতার সাড়া নেই। এছাড়া উপজেলার গ্রামে-গঞ্জের হাজারো কৃষক নিজ গৃহে কয়েক হাজার দেশী বলদ, ষাঁড় মোটাতাজা করে থাকে। ইতোমধ্যে হাট-বাজারে কৃষকের ছোট-মাঝারী গরু উঠালেও ক্রেতাশুন্য বাজার! ফলে খামারে মোটাতাজা করা গরু নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত গো-খামারীরা। বিগত সময়ে কোরবানকে ঘিরে এখানকার হাট-বাজার, গ্রামে-গঞ্জে পাইকারদের আনা-গোনায় মূখরিত হয়ে উঠে কোরবানের বেচা-কেনা। আর এ বছর ‘করোনা’ আতংকে এখন পর্যন্ত জনপদের কোথাও কোরবানের গরুর খোঁজে কেউই আসেনি। হাট-বাজারগুলোতে দেশী গরু বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা হলেও ক্রেতাশূণ্য বাজার দেখে দুঃচিন্তাতায় পড়েছে গো-খামারীরা। বৃহষ্পতিবার বড় বাজারে প্রচুর দেশী ছোট ও মাঝারী গরু উঠলেও ক্রেতা না থাকায় বিক্রেতাদের মূখে হাসি নেই। গরু ব্যবসায়ী আনু মিয়া বলেন, প্রতি বছর কোরবানির বাজারে দেশী গরুর চাহিদা প্রচুর। কোরবানের এক দেড় মাস আগ থেকেই শহরের ব্যবসায়ীরা গরুর খোঁজে বাড়ি বাড়ি আসতে শুরু করেন। যার ফলে এখানকার ঘরে ঘরে কম-বেশি দেশী বলদ, ষাঁড় দেশী পদ্ধতিতে লালন-পালন করা হয়। অনেক আবার এ খাতে ২০/৫০লক্ষ টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গরু বর্গা দিয়ে রাখেন।
স্থানীয় গরু ব্যাবসায়ী মো: আব্দুল আলী বলেন, ব্যাপক গরু ছাগলের সমাগম হলেও দাম এবং ক্রেতার সংখ্যা কম। ফলে আমার নিজেরও বেশ লোকসান দিতে হবে। চট্রগ্রাম থেকে গরু ক্রয় করতে আসা আবুল কালাম জানান, অতীতের তুলনায় দাম কিছু কম হলেও আমরা বেশ শঙ্কা ও ঝুঁকি নিয়ে গরু কিনতে এসেছি। গ্রামের দেশী গরু পছন্দ বিধায় রিস্ক নিয়েও চলে এসেছি। একসত্যা পাড়ার মো: আবুল কালাম বলেন, আমরা নিজ বাড়ীতে দেশীয় পদ্ধতিতে যৎসামান্য পুঁজি বিনিয়োগ করে ৫/৭টি দেশীয় বলদ.ষাড় লালন-পালন করেছি। এ বছর ‘করোনা’র ছোবলে দূর্বিসহ জনজীবনে কোরবানের আনন্দে ভাটার আশংকা দেখা দিয়েছে। ফলে বাজারে ক্রেতা নেই বললেই চলে। গিরিকলি এগ্রো ফার্মের মালিক মো: লুৎফর রহমান বলেন, শখের বসে এ বছর থেকে গরু ফার্ম শুরু করেছি। কিন্তু ব্যবসার শুরুতেই মোটাতাজা গরু নিয়ে বিপাকে পড়লাম। ক্রেতাশুন্য মার্কেটে ব্যবসার ভবিষৎ নিয়ে শংকিত। আমার ফার্মে মাঝারী ও বড় ১৫/২০টি গরু মোটাতাজা করেছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ক্রেতাদের সাড়া মিলছেনা।
এদিকে মানিকছড়ির বাজার ইজারাদার উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মো: তাজুল ইসলাম বাবুল বলেন, শনিবার(১৮ জুলাই) মানিকছড়ির বাজারের প্রচুর দেশী গরু উঠেছে। কিন্তু পাইকার নেই, স্থানীয় ক্রেতারা সাধারণত গরু কিনে শেষ সময়ে। তাই গত ২/৩টি বাজার গেছে ক্রেতাশুন্য অবস্থায়! উপজেলার ‘একে এগ্রো ডেইরী’ ফার্মের মালিক ও উপজেলা ডেইরী ফার্ম মালিক সমিতির সভাপতি এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় ডেইরী ফার্ম মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মো: ইকবাল হোসেন বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবার উপজেলার ছোট, মাঝারী ও বড় ৩৯টি খামারের পাশাপাশি কৃষকের ঘরে মোটাতাজা দেশীয় পদ্ধতিতে সু-স্বাদু খাবারে পালিত গরু বাজারজাত করা নিয়ে আমরা দুঃচিন্তায় আছি। এছাড়া উপজেলার গো-খামারগুলোতে প্রায় সহ¯্রাধিক গরু বাজারজাতের অপেক্ষায় রয়েছে। ‘করোনা’য় ক্ষতিগ্রস্থ অনেক পরিবারে এবার কোরবানের প্রস্তুুতি না থাকায় চরম মূল্য দিতে হতে পারে খামারীদের! ফলে দুশ্চিতায় পড়েছে খামারী ও কৃষকরা।
মানিকছড়ির উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস ও গো-খামার মালিক সূত্রে জানা গেছে, মানিকছড়ি উপজেলায় ছোট-বড় গো-খামার রয়েছে ৩৯টি। এতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কোরবানে বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে সহস্রাধিক দেশী-বিদেশী গরু মোটাতাজা করা হয়। উপজেলা প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা ডা: সুচয়ন চৌধুরী বলেন, উপজেলার ৩৯টি তালিকাভুক্ত ছোট-বড় খামারসহ অসংখ্য কৃষক কোরবানকে ঘিরে সু-স্বাদু খাবার ও আধুনিক পদ্ধতিতে গরু গুলোতে মোটাতাজা করছে। এখন কোরবানের বাজার ও খামারে গরু বেচা-কেনা এবং পরিচর্যায় আমরা নজরদারী বাড়িয়েছি। যাতে কেউ কোনভাবে প্রতারিত না হয়। অপরদিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের অফিসের পাশে ছাগলের হাট এবং পথের দু-ধারে বসছে গরুর হাট। অত্র উপজেলার গোমতী ও মাটিরাঙ্গাকে সবচেয়ে বড় পশুর হাট বলে ধারণা করেন অনেকে। মাটিরাঙ্গা উপজেলায় সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার গোমতী এবং প্রতি শনিবার মাটিরাঙ্গায় গরু ছাগলের হাট বসে। এসব হাটে দেশীয় প্রজাতির গরু ও ছাগলের আধিক্য বেশি থাকায় সবাই এ দুই প্রজাতির পশু দিয়েই কোরবানি করে থাকেন। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে ক্রেতা সমাগম কম থাকায় আশানুরূপ দামে পশু বিক্রি করতে পারেননি অনেকে। অত্র উপজেলার খেদাছড়া, বেলছড়ি, গোমতী, শান্তিপুর, রামশিরা, বোর্ড অফিস, ডাকবাংলা, তবলছড়ি ও তাইন্দং বাজারে সুবিধাজনক দিনে কোরবানির পশুর হাট বসে। স্থানীয় এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পশু ব্যাবসায়ী এবং ক্রেতারা এসব বাজার থেকে গরু, ছাগল ক্রয় করে থাকেন। দেশী গরুর কদর বেশি হওয়ায় এসব স্থান থেকে পশু ক্রয়-বিক্রয়ে আগ্রহ থাকে অনেকের।
গত বছরের তুলনায় এ বছরের কোরবানির চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া অনেকেই কোরবানি দিতে অনিচ্ছুক বলে জানিয়েছেন। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু ক্রয়-বিক্রয় জরুরি উল্লেখ করে মাটিরাঙ্গা বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: সোহাগ মজুমদার বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে ক্রয় বিক্রয় করতে বাজার ইজারাদারদের অবগতি করলে তারা বলেন, বেচাকেনা কম হওয়ার কারনে তারা পশুর হাট অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন না। মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: পলাশ কান্তি চাকমা জানান, অত্র উপজেলায় বড় ৫টি বাজারে আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করছে। তারা সুস্থ ও অসুস্থ পশু চিহ্নিতকরণে সবাইকে সহযোগীতা করবে। উলেখ্য পার্বত্য জেলা পাহাড়ের প্রাকৃতিক সবুজ ঘাসে লালিত-পালিত দেশী-বিদেশী গরু কোরবানে চাহিদা থাকায় এ গো-খাতে লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন সাধারণ কৃষক ও গো-খামারীরা। গো-খামারে এবং গ্রামের পালিত গরুর নিয়মিত খাবারের তালিকায় প্রাকৃতিক সবুজ ঘাস, ভূষি, খৈল এবং খেড়। এসব খাবার সু-স্বাদু হওয়ার কারণে অল্প সময়ে গরু মোটাতাজায় পরিপুষ্ট হয়। ফলে এসব গরু কোরবানে বেশ চড়া দামে বিক্রি করে লাভবান হয় ব্যবসায়ীরা।
॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় দুই লাখ ১০ হাজারটি গাছের চারা রোপণের কর্মসূচি গ্রহন করেছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে গাছের চারা বিতরন অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে আজ সকালে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে আয়োজিত গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা যুগ্ন সচিব মো: নুরুজ্জামান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী প্রমূখ।
চারা বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, অক্সিজেন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। আর সে অক্সিজেন উৎপন্ন করে বৃক্ষ। তিনি বলেন, শুধু বৃক্ষ রোপন করলেই হবে না। সে চারা গাছের পরিচ্ছর্যাও করতে হবে বলে মন্তব্য করেন হবে।
অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এলাকার কৃষকদের মাঝে ৩৬ জাতের ফলজ, বনজ ও ঔষধী চারা বিতরণ করা হয়।
॥ খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা ॥ খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় জেএসএস সমর্থিত সাবেক পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) নেতা উষা মারমা (২৬) কে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। এসময় তার ডান পায়ে গুলি লাগলে তিনি মারাত্মক আহত হন।
শনিবার (১৮ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে শিলাছড়ি এলাকা তংতুল্লা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। উষা মারমা তংতুল্লা পাড়ার কংচাইরি মারমার ছেলে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লক্ষ্মীছড়ির শিলাছড়ি এলাকার তংতুল্লা পাড়ায় একটি চায়ের দোকানে আড্ডারত অবস্থায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে পালানোর সময় উষা মারমা পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়।
গুলিবিদ্ধ উষা মারমা (২৬)কে মারাত্মক আহত অবস্থায় স্থানীয়রা দ্রুত লক্ষ্মীছড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তার উন্নত চিকিৎসার্থে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
লক্ষ্মীছড়ি হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁর ডান পায়ে ২টি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এখানে আধুনিক সরঞ্জামাদি না থাকায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে হাসপাতালে আসার আগে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে ডাক্তারের ধারণা।
লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ হুমায়ূন কবীর জানান, ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে তাঁর ধারণা।
উষা মারমা এর আগে জেএসস (সন্তু গ্রুপ) এর পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি ছিলেন। এখন কোনো পার্টির সাথে সে জড়িত নয় বলে তার নিকটত্মীয়রা জানান।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা বাতিঘর একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদানের দাবী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জোড়ালো হচ্ছে। পাহাড়ের এই মানুষটি সাংবাদিক সৃষ্টির পাশাপাশি পাহাড়ের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে পাহাড়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে তার অবদান কম নয়। একই সঙ্গে পিছিয়ে থাকা এলাকা ও এলাকার জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এখনো করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর শুভাকাঙ্খীরা এই কথা তুলে ধরেন। তার এই অসামান্য অবদানে একুশে পদক প্রাপ্তি দাবী করা যেতে পারে বলে অনেকেই সহমত প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
পার্বত্য অঞ্চলের অনলাইন সাংবাদিকতার এক উদীয়মান সম্পাদক নির্মল বড়–য়া তার লেখনীতে বলেন,
পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা বাতিঘর একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করার দাবি
বর্তমান সরকারের প্রতি একটি আহ্বান, পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার বাতিঘর, সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরি দর্পণ পত্রিকার সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করার দাবি জানাচ্ছি। মকছুদ আহমদ একটি পিছিয়ে থাকা জনপদে সুদীর্ঘ সময় ধরে একটি সাপ্তাহিক ও একটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছেন। একই সঙ্গে পিছিয়ে থাকা এলাকা ও এলাকার জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এখনো করছেন। মকছুদ আহমদ সম্পর্কে এতো ছোট পরিসরে সব কিছু লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানাই পার্বত্য সাংবাদিকতার প্রতিকৃত মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করে প্রান্তিক এলাকার সম্পাদকের পুরস্কৃত করলে পুরো পার্বত্য এলাকার সাংবাদিক সমাজকে সম্মানিত করা হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিক জগতের নক্ষত্র, কবি, সাহিত্যিক ও চারণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদ ১৯৭৮ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথম সাপ্তাহিক বনভূমি ও পরে দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকা প্রকাশ করেন। তিনি পার্বত্য অঞ্চলের লেখকদের জন্য রাঙ্গামাটি প্রকাশনী নামে একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিতে যার অবদান স্বরণ করার মতো। পার্বত্য শান্তি প্রক্রিয়ায় অবদানের জন্য দক্ষিন এশিয়া সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ, ঢাকা কর্তৃক মাদার তেরেসা শান্তি পদক ও ভারতের উত্তর বঙ্গের নাট্য জগৎ পত্রিকার পক্ষ থেকে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদকে সম্মাননা প্রদান করে। ১৯৯৭ স্বাক্ষরিত পার্বত্য শান্তি চুক্তির ১৯ বছর বর্ষ পূর্তিতে সাংবাদিকতায় একেএম মকছুদ আহমেদকে সম্মাননা পুরস্কার এবং একুশে পদক প্রদান করা প্রয়োজন বলে মনে করি।
মকছুদ ভাইয়ের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করছি।
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাহাড়ের এই মানুষটিকে একুশে পদক দিতে অনেকেই সমহত প্রকাশ করো তারা অনেকেই অনেক মন্তব্য করেছেন। তারা তাদের সমহতে যে কথা গুলো তুলে ধরেছেন আমরা তা হুবহু প্রকাশ করছি।
পাহাড়ের সর্বপ্রথম অনলাইন নিউজ সিএইচটিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক ও রাঙ্গামাটির প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এস,এম শামসুল আলম পাহাড়ের এই সংসপ্তক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পক্ষে লিখে একুশে পদক প্রাপ্তির বিষয়ে সহমত প্রকাশ করে সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন।
ইউনুস মিয়া নামে একজন তার লেখনীতে একুশে পদকের প্রাপ্তির বিষয়ে সহমত জানিয়ে বলেন, আমার সাথে মাকসুদ ভাই ও বাবু সনীল দে’র সাথে পরিচয় সেই ১৯৮১ সালে। তাঁরা পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির আদর্শিক মানুষ। দুজনেই “কলম যোদ্ধা” হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তবে সুনীীল ভাই এখনো বেঁচে আছেন কিনা(?),তা জানিনা। মাকসুদ ভাইকে নিয়ে এ স্ট্যাটাস দেয়ার জন্য মোস্তফা নঈমে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আরেকজন তার আইডিতে পাহাড়ের এই সংসপ্তক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পক্ষে লিখে একুশে পদক প্রদানের জন্য দাবী জনিয়েছেন।
চট্টগ্রামরে একজন প্রবীন সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি পাহাড়ের এই সংসপ্তক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পক্ষে লিখে একুশে পদক প্রদানের জন্য সহমত প্রকাশ করেছেন।
বান্দরবান পার্বত্য জেলার তরুন উদীয়মান সাংবাদিক খগেশপতি চন্দ্র খোকন পাহাড়ের এই সংসপ্তক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পক্ষে লিখে একুশে পদক প্রদানের জন্য সহমত প্রকাশ করেন।
কাজী ফেরদৌস নামে একজন তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একই মহান সাংবাদিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সরকারের দুটি পদকের মধ্যে একুশে পদক প্রদানের জন্য জোর দাবী জানিয়ে বলেন, এই পদকের জন্য জোরালো তদবির ছাড়া হবে না বলে মন্তব্য করেন।
রাঙ্গামাটির একজন প্রবীন ব্যক্তিত্ব বোরহান উদ্দিন তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, চারন সাংবাদিক আলহাজ্ব মাকছুদ ভাইকে জাতীয় পয্যায়ে তার অবদানকে মুল্ল্যায়ন করা উচিত, শুভ কামনা রইল শুভ জন্মদিনে, আল্লাহ মাকছুদ ভাইকে হায়াতে তৈয়বা দান করুন, আমিন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এস এম নাজির হোসেন তার আইডিতে বলেন, পাহাড়ের এই সংসপ্তক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পক্ষে লিখে একুশে পদক প্রদানের জন্য দাবীর প্রতি সহমত প্রকাশ করেন।
অপর একজন মহসিন কাজী তার আইডিতে দৈনিক গিরিদর্পন সম্পাদক পাহাড়ের চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে একুশে পদক প্রদানের দাবীতে সহমত প্রকাশ করেন।
আলী আদনান তার আইডিতে বলেন, এটি একটি সুন্দর প্রস্তাব। পাহাড়ের এই সংসপ্তক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পক্ষে লিখে একুশে পদক প্রাপ্তি খুবই জরুরী।
বিশ^জিৎ পাল নামে এক জন তার আইডিতে বলেন, পাহাড়ের এই কৃতি মানুষটার জন্য অনেকের ভালোবাসা ও আন্তরিকতা রয়েছে। তার একুশে পদক প্রদান সরকারের জন্য একটি দায়িত্ব বলে তিনি মনে করেন।
অরতিময় নন্দী নামে একজন তার আইডিতে পাহাড়ের এই সংসপ্তক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পক্ষে লিখে একুশে পদক প্রাপ্তির পক্ষে সহমত প্রকাশ করেছে।
এছাড়াও আরো অসংখ্য মানুষ তার একুশে পদক পাওয়ার জন্য সহমত প্রকাশ করেছেন।