মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, খাগড়াছড়ি থেকে:- করোনা মোকাবেলা ও রোগিদের জীবন বাঁচাতে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জেলা সদর হাসপাতালে ৩০টি বড় অক্সিজেন সিলিন্ডার হস্থান্তর করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী। এ সময় ১টি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা ও ১টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেট চিকিৎসা সামগ্রীও প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব সামগ্রী হস্থান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডা. নূপুর কান্তি দাশ এর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য বিভাগের আহবায়ক এমএ জব্বার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মিঠুন চাকমা, জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পূর্ণজীবন চাকমা, ডা. টুটুল চাকমা, গাইনী কনসাল্টেন ডা. জয়া চাকমা, ডা সুভাস বসু, ডা. আলা উদ্দিন,ডা. নিউচিং চৌধুরী এমেলি প্রমূখ। পরে হাসপাতাল সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন,স্বাস্থ্য সেবা ও জীবণ বাঁচাতে সকলকে সচেতন থাকার বিকল্প নেই। তাই করোনা মোকাবেলায় ডাক্তারদের পাশপাশি সকলকে সচেতন হতে হবে মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, চিকিৎসা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য খাতে সংকট মোকাবেলায় জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসার ফলে করোনা মোকাবেলার অন্যতম হাতিয়ার অক্সিজেন সিলিন্ডার পেল খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল। এ সময় তিনি আগামীতে চিকিৎসা সামগ্রী সংকট কাটাতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ^াস দেন। খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী তার বক্তব্যে উন্নত চিকিৎসা ও খাগড়াছড়ি হাসপাতালে সম্প্রতি ৪৫ কেজি ওজনের টিউমার ওপারেশনসহ উল্লেখ যোগ্য সাফল্যের জন্য ডাক্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে আগামীতেও সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান প্রতিশ্রুতি দেন।
॥ ডেস্ক রির্পোট ॥ ‘আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে চাই। পার্বত্য চট্টগ্রাম, হাওর ও চরাঞ্চলসহ দেশের প্রত্যন্ত সব এলাকায় বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিতে হবে। যেখানে সরাসরি বিদ্যুতের লাইন টানানো সম্ভব হবে না, সেখানে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে’ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠকে সংযুক্ত হন তিনি। বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
এসময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমসহ অন্যান্য মন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ভূমি ব্যবস্থাপনা উন্নত করার প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সভায় শেখ হাসিনা আরও বলেন, জমির মালিকানা নিষ্কণ্টক হতে হবে। এ জন্য ভূমি ব্যবস্থাপনা উন্নত করা জরুরি। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জমি সুরক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে। মোট কথা ভূমি ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হবে।
এ সময় স্থানীয় সরকারকে ঢেলে সাজানোর ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করা দরকার বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাবলম্বী হয়ে নিজেদের টাকায় পথ চলতে বলেছেন। নিজেদের টাকায় উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের পরামর্শ দেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, মঙ্গলবার একনেক বৈঠকে ৪ হাজার ২৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুন অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার নির্মাণ ও উন্নয়ন (ফেজ-১)’ প্রল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সরকারি তহবিল থেকে এ প্রকল্পের সব ব্যয় মেটানোর সুপারিশ করেন।
সরকারের তহবিল থেকে বরাদ্দ চেয়ে মেয়র বলেন, এবার আমাদের টাকা নেই। এ প্রকল্পের সব টাকা দিয়ে দেন। পরবর্তীতে আমাদের সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবো।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী মেয়রকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা (ডিএনসিসি) স্থানীয় সরকারের আওতায়। আপনারা নাগরিকদের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন। রাজস্ব আদায় করতে পারছেন না কেন? উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন- এগুলো স্থানীয় সরকারের আওতায়। এখন আমাদের সময় এসেছে এগুলো (স্থানীয় সরকার) ঢেলে সাজানোর। একদিকে এরা বলে, আমরা (স্থানীয় সরকার) স্বাধীন, অন্যদিকে আবার টাকা ওঠাতে পারে না। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে সহায়তা চায়। এই দুইটাতো একসঙ্গে চলতে পারে না। আপনি যদি স্বাধীন হন, তাহলে স্বাধীনভাবেই চলেন। স্থানীয় সরকারের চলমান পদ্ধতি দীর্ঘ দিনের, এটা এখন ঢেলে সাজাতে হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিডের কারণে টাকা শর্টেজ হবে, তারপরও প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের সবাইকে মিতব্যয়ী হতে হবে, ব্যয় সাশ্রয় করতে হবে। এমনকি গাড়ি কেনার বিষয়েও একটা বিধি-নিষেধ এসেছে। আগে আমরা সভা-সমিতি করতাম, চা-কেক খেতাম, কিন্তু (ব্যয় কমাতে) এখনতো আমরা সবাই এমনটি করি না। আমরাতো এখন সভা করি ডিজিটালি, যার যার ঘরে বসে। সুতরাং এখানেও অনেক টাকা সাশ্রয় হবে। প্রকল্পের কাজে বিদেশে যেতে হতো, এখন প্রয়োজন হয় না। গাড়ি-ঘোড়া ক্রয়, বিদেশ ভ্রমণসহ সব ব্যাপারে আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে।
এদিন বৈঠকে দেশের যত্রতত্র সেতু নির্মাণ না করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন এমন একটি পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, জনপ্রতিনিধিরা সবাই ঘরে ঘরে বা বাড়ির সামনে একটি করে সেতু চান। কিন্তু এতে অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত দুই দিক থেকেই ক্ষতি হয়। তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখন অনেক সেতু হয়েছে। আর লাগবে না। তাই এখন থেকে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। সেতু এভাবে বানাতে থাকলে নদী মরে যাবে।
এ ছাড়া তিনি যত্রতত্র সেতু নির্মাণ না করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, জনপ্রতিনিধিরা সবাই ঘরে ঘরে বা বাড়ির সামনে একটি করে সেতু চান। এতে অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত দুই দিক থেকেই ক্ষতি হয়।
॥ মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে চারদিনের টানা বৃষ্টি ও ভারি বর্ষণে ফলে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পাহাড় পাদদেশে বসবাসকারীদের মৃত্যুঝুঁকিতে চাপা পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
রোববার থেকে থেমে বৃষ্টি হলেও বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বৃষ্টির কারণে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। এদিকে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে বেড়েছে চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বিপদসীমা অতিক্রম করে প্লাবিত হবে নি¤œাঞ্চল। পাহাড় ধস মোকাবেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুুত রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, খাগড়াছড়ির জেলা সদরের শালবাগান, কদমতলী, কুমিল্লা টিলা, মোল্লাপাড়া, সবুজবাগ পাহাড় এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় স্থানীয়রা পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। এছাড়া জেলার পানছড়ি, মাটিরাঙা, দীঘিনালা, রামগড়, গুইমারা, মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি এবং মহালছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছেন স্থানীয়রা। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ‘এখানে আমরা বছরের পর বছর বসবাস করছি। অন্য কোথাও আমাদের থাকার জায়গা নেই।’
প্রতি বছর পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও পাহাড় ধস রোধে নেই কোনো স্থায়ী টেকসই ব্যবস্থাপনা বা পরিকল্পনা। ফলে প্রতি বছরই পাহাড় ধস বা পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। পাহাড় কর্তন করে পাদদেশে কিংবা পাহাড়ের ওপর বসবাসরতদের বেশির ভাগই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ। বিকল্প উপায় না পেয়ে বছরের পর বছর তারা এখানে বসবাস করছেন। মৃত্যুঝুঁকি জেনেও বাধ্য হয়ে এখানে তারা বসবাস করছেন। প্রত্যক বছর বর্ষা এলে পাহাড়ে বসবাসরতদের মাঝে আতঙ্ক বাড়ে।
অপরদিকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সাংসদ সদস্যসহ সকলে দুর্যোগপুর্ণ অবস্থায় শালবন, কুমিল্লাটিলা, ন্যান্সি বাজার এলাকার প্রতিটি স্থান পরিদর্শন করে থাকেন। কিন্তু এসব এলাকার জনগণকে পুনর্বাসন করা সম্ভব হয়নি অনুসন্ধান করে জানা যায়, এর মুল কারন মৌজা ও খাস জমি না থাকায় এসব এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদস্থানে সরিয়ে নেওয়া যাচ্ছে না কারন জেলা সদরে যে সকল ভুমি বা জায়গা রয়েছে তার কিছু অংশ জেলা প্রশাসন(কালেক্টরিয়েট এলাকা), সেনানিবাস (কুমিল্লা টিলা), বন বিভাগ (নারানখাইয়া), পিডিবি (পান খাইয়া পাড়া), পানি উন্নয়ন বোর্ড(নদী তীরবর্তী বাজার এলাকা) এবং কর্ণফুলী পেপার মিলে (মহাজন পাড়া)র জায়গা। যার ফলে বাধ্য হয়ে উদ্বাস্তুুদের ন্যায় বসবাস করছে ওখানকার মানুষ। এ ব্যাপারে পরিবেশবাদীরা আশা করেন সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার উদ্ভুদ্ধ করন এবং জনগনকে ঝুঁকি হ্রাস কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করা জরুরি।
খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী জানান, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। খাগড়াছড়িতে সরকারিভাবে পাহাড় কেটে উন্নয়নের প্রবণতা বেশি। এতে বিভিন্ন জায়গায় কর্তনকৃত পাহাড় ধসে পড়বে। দীঘিনালার আবহাওয়া অফিসের উচ্চমান পর্যবেক্ষক ধর্মজ্যোতি চাকমা জানান, আগামী ২১জুলাই পর্যন্ত পাহাড়ে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় পার্বত্য এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাবিবুল্লাহ মারুফ জানান, পাহাড় ধস মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা প্রস্তুুত নেয়া হয়েছে। এসকল সৃষ্ট সমস্যা ও ঝুকিপূর্ণ শ’শ লোকবলকে বার বার স্থানান্তর করার ব্যাপারে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো: রফিকুল ইসলাম জানান এ বিষয়ে সব সময় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়। অতীতের আষাঢ় মাসের ভয়াবহতা বর্তমান ৯ই জুলাই থেকে ১২ই জুলাই রোববার পর্যন্ত ৪দিনের প্রবল বর্ষণে গা-শিউরে উঠার মত গল্প মনে পড়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য পাহাড়ের চুড়ায় ঝুকিপূর্ণ শত শত বসতবাড়ি গুলো যেকোনো সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে লন্ডভন্ড হওয়াসহ ব্যপক প্রান হানির শঙ্কা রয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থান, কুপ্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য ও ঘনবসতি এবং অপরিকল্পিত পাকা বহুতল ভবন নির্মানের কারনে সদর উপজেলার শালবন, কুমিল্লাটিলা, ন্যান্সিবাজার এলাকা অন্যতম দুর্যোগ পুর্নস্থান হিসেবে পরিচিত প্রশাসনের নজরে। প্রতি বছর ভারী বৃষ্টি ও দুর্যোগের সময় এসব এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয় অন্যত্র, আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঐসকল লোকজন পুনরায় ঝুকিপুর্ণ বসত যার যার নিজস্ব বাড়িতে ফিরে আসে।
॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥ খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের গহীন অরণ্য মরা কয়লা নামক এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩ ইউপিডিএফ সশস্ত্র চাঁদাবাজকে ২টি একনালা বন্দুক, চাঁদা আদায়ের রশিদ বই, মোবাইলসহ আটক করা হয়েছে। নিরাপত্তাবাহিনী সুত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রে মরা কয়লা এলাকায় সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে শনিবার (১১ জুলাই) গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় অস্ত্রসহ হাতে-নাতে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত ইউপিডিএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হলো-(১) ইন্দ্রকুমার (সুমন চাকমা) চাকমা (৩০)। পিতা. আশিক কুমার চাকমা সাং: কালাপানি, রামগড়, খাগড়াছড়ি। (২) বিমল চাকমা (৩১), পিতা. মনোব কুমার চাকমা, কালাপানি, রামগড়, খাগড়াছড়ি। (৩) নিলংদন চাকমা (৩৫)। পিতা. করিকে চাকমা, কালাপানি, রামগড়, খাগড়াছড়ি। আটক ব্যক্তিদের নিকট থেকে একনালা বন্দুক ২ টি, চাঁদা আদায়ের রশিদ বই -৬টি, মোবাইল ৪টি, ইউপিডিএফ মূল দলের পতাকা-৯ টি উদ্ধার করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মানিকছড়ি সেনাক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মানিকছড়ি থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিরাপত্তাবাহিনী।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটিতে শুরু হয়েছে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ। করোনা কালে রাঙ্গামাটি দায়িত্ব প্রাপ্ত সচিব বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীর আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় পিসিআর ল্যাব স্থাপনের অর্থ প্রদানের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের অনুমতি প্রদান করায় গতকাল থেকে রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের নিচ তলায় পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে।
আজ থেকে পুরোদমে ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা করোনার ফোকাল পারসন ডাঃ মোস্তফা কামাল।
রাঙ্গামাটি জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী পিসিআর ল্যাব স্থাপন কাজ শুরু হওয়ায় রাঙ্গামাটির জেলাবাসীর মাঝে রিপোর্ট নিয়ে দীর্ঘ সুত্রিতার সেই ধকল কেটে যাবে। এছাড়া রাঙ্গামাটি হাসপাতালকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিষ্টাম স্থাপন কাজ শুরু হচ্ছে আগামী কিছু দিনের মধ্যে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বশীল সুত্র।
অপরদিকে পার্বত্য অঞ্চলের করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউ ব্যাড ও কিডনী রোগীদের জন্য ডায়ালাইসিস ইউটিন স্থাপন করা হলে রাঙ্গামাটি রোগীদের জন্য আর্শিবাদ বয়ে আনবে। রাঙ্গামাটি জেলাবাসী মনে করেন হয়তো আগামী দিন গুলোতে এই কাজ করে রাঙ্গামাটি জেলায় স্বাস্থ্য সেবার মান আরো বৃদ্ধি করা হবে।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে রাঙ্গামাটিতে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। রাঙ্গামাটিতে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের ৬৯ লক্ষ টাকার চেক রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসার কাছে প্রদান করেন রাঙ্গামাটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।
শুক্রবার (২৬ জুন) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার কাজ তত্ত্বাবধান ও পরিবীক্ষণ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, জেলা উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা শুরুর পূর্বে রাঙ্গামাটি জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব পবন চৌধুরী রাঙ্গামাটি জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসার কাছে এই চেক হন্তান্তর করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, জেলা পরিষদ সদস্য ত্রিদ্বীপ কান্তি চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা উপমাসহ বিভিন্ন সরকারী উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
॥ নন্দন দেবনাথ ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্রের বরপুত্র, সংবাদপত্র জগতের পথিকৃত, চারণ সাংবাদিক সর্বপ্রথম প্রচারবহুল পত্রিকা সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের ৭৬ তম জন্মদিন আগামী ১০ জুলাই। পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার গুরু, সাংবাদিকদের পথ প্রদর্শক, সাংবাদিকদের ইনিষ্টিটিউট ও সংবাদপত্রের পথিকৃৎ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে না আসলে হয়তো পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতা অনেক পিছিয়ে থাকতো। এই মহান ব্যক্তির হাত ধরে জন্ম নিয়েছে তিন পার্বত্য জেলা, চট্টগ্রাম ও ঢাকার অসংখ্য সংবাদ কর্মী আজ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে।
মহান এই মানুষটি দীর্ঘ সাংবাদিকতার জীবনে কিছু না পেলেও তার হাত ধরে উঠে এসেছে শত শত সংবাদকর্মী। তার অর্জনের মধ্যে রয়েছে পার্বত্য অঞ্চলের সর্বপ্রথম দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক গিরিদর্পণ। তাঁর এই ৭৬ তম জন্ম দিনে রাঙ্গামাটির সর্বস্তরের মানুষ গতকাল থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
পাহাড়ের সংবাদপত্রের জনক, চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের সাংবাদিকতার ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। স্বাধীনতার আগে ১৯৬৯ সালের নভেম্বর মাসেই তিনি দৈনিক আজাদী পত্রিকার মাধ্যমে তার সাংবাদিকতা শুরু করেন। দীর্ঘ ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে, অনেকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে, শতশত মৃত্যুর হুমকীকে তোয়াক্কা না করে এগিয়ে গেছেন পাহাড়ের মানুষের অভাব অভিযোগ তুলে ধরতে। পায়ে হেটে হেটে এই পাহাড় থেকে ঐ পাহাড়ে ছুটে ছুটে পাহাড়ের মানুষের কথা দেশবাসীকে জানিয়েছেন। এই মহান সাংবাদিকের পেশাকে তিনি নিজের করে নিয়ে একে একে প্রকাশ করেছেন সাপ্তাহিক বনভূমি ও পার্বত্য অঞ্চলের সর্বপ্রথমক দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক গিরিদর্পণ।
সংবাদপত্র জগতে তিনি পার্বত্য তিন জেলা, চট্টগ্রাম, সহ বিভিন্ন অঞ্চলের অসংখ্য বেকার যুবককে দৈনিক গিরিদর্পন ও সাপ্তাহিক বনভ’মির মাধ্যমে সাংবাদিক বানিয়েছেন। অনেকে জন আজ স্বীকার করলেও অনেকে আজ বড় বড় পত্রিকার মালিক হয়ে এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে চিনেন না এবং পত্রিকার মালিক হয়ে এই চারণ সাংবাদিকের সাথে প্রতিযোগিতা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ তার সাংবাদিকতা জীবনে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের অভাব অভিযোগ গুলো যেমন তুলে ধরেছেন তেমনি অসংখ্য অসহায় মানুষের তিনি সুখে দুঃখে পাশে দাড়িয়েছেন। অসংখ্য শিক্ষার্থীকে তিনি বই সহ বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া চাকুরী দিয়েছেন বেশ কিছু শিক্ষিত বেকার যুবককে।
এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পিতার নাম মৃতঃ জামাল উল্লাহ, মাতার নাম জমিলা খাতুন। তিনি ১৯৪৫ সালের ১০ জুলাই চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলায় উত্তর মগাদিয়া পোষ্ট- মলিয়াইশ জন্ম গ্রহণ করেন।
বর্তমান ঠিকানা ঃ- দৈনিক গিরিদর্পণ, রাঙ্গামাটি প্রকাশনী, রিজার্ভ বাজার, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। । বাসাঃ- গুর্খা কটেজ, জেল রোড, রাঙ্গামাটি। ০৩৫১-৬১৬৩৩। মোবাইল-০১৮২০৩৩২১২০/০১৫৫০৬০৯৩৪২।
শিক্ষাগত যোগ্যতা ঃ- ম্যাট্রিক- ১৯৬২ (আবু তোরাব হাই স্কুল), (মলিয়াইশ জুনিয়ার হাই স্কুল, মিঠানালা হাইস্কুল, দুর্গাপুর হাই স্কুল) আই, এ শিক্ষক প্রাইভেট ১৯৬৮ ইং (রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজ), পিআইবিতে সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক, দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক সহ অসংখ্যবার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।
রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসার পর তৎকালীন জেলা স্কুল পরিদর্শক জনাব আলী আহমেদ দ্বারা ১৯৬৬ সনের নভেম্বরে কাউখালী উপজেলার কলমপতির বেতছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে চাকুরী করেন। পরে ১৯৬৮ সনে লংগদু থানার সোনাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এবং ১৯৬৯ সনের নভেম্বর পর্যন্ত বরকল থানার গোরস্থান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তৎকালীন সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন।
ঐ সময় তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম রাঙ্গাামাটি, কাউখালীর কলমপতি, লংগদু, রামগড় এবং চট্টগ্রামের মীরসরাই, ও রাঙ্গুনিয়া, ফেনী, কুমিল্লার অন্তত পক্ষে দেড় হাজারেরও অধীক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে নিয়োগ প্রদানে সহযোগিতা করে তাদের পরিবারের ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করেছেন এদের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে চাকুরীরত আছেন এবং অনেকেই অবসর গ্রহণ করে সুন্দর জীবন যাপন করছেন।
সর্বশেষ কর্মরত প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা- পদবী ঃ-
সম্পাদক প্রকাশকঃ- বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সর্বপ্রথম ও তৎকালীন একমাত্র সংবাদপত্র সাপ্তাহিক বনভূমি (১৯৭৮ ইং) দৈনিক গিরিদর্পণ (১৯৮৩ ইং) বর্তমানে তিন পার্বত্য জেলার সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক সংবাদপত্র যার বয়স বর্তামনে ৩৩ বছর পূর্ণ করে ৩৪ শে পা রেখেছে।
১৯৬৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রামস্থ দৈনিক আজাদীর রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি হিসাবে সাংবাদিকতা জীবনের শুরু হয়। ১৯৭৩ দৈনিক জনপদ জেলা সংবাদদাতা, ১৯৭৪ দৈনিক পূর্বদেশ, বার্তা সংস্থা এনাতে, ১৯৭৪-৭৭ এবং ১৯৭৯-৮৬ বাসসে কর্মরত ছিলাম, ১৯৭৬ সন থেকে ২০০৮ সালের ফেব্র“য়ারী পর্যন্ত ইত্তেফাকের রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ইত্তেফাক (১৯৭৮ ইং থেকে) বর্তমানে জেলা প্রতিনিধি ইত্তেফাক। ১৯৮৬-৮৯ পর্যন্ত ইত্তেফাক সংবাদদাতার পাশাপাশি নিউ নেশন এর জেলা সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করেছিলেন। ১৯৯২-৯৩ দি টেলিগ্রাফ পত্রিকায়, সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ থেকে জানুয়ারী ২০০১ পর্যন্ত দি ডেইলী ইন্ডিপেনডেন্ট এর রাঙ্গামাটি জেলা সংবাদদাতা এবং ১৯৮৩-১৯৯৮ ইং পর্যন্ত বিবিসির জন্য কাজ করেছিলেন। চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিশ্বের নিকট পরিচিত করে তুলতে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন।
জেলা সংবাদদাতা- জেলা সংবাদদাতা বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম ১৯৯৫ সাল হতে ও রাঙ্গামাটি কেন্দ্রে ২০০৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ বেতার রাঙ্গামাটি বার্তা বিভাগের জেলা সংবাদদাতা হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিঃ এর ২০১৪ সাল পর্যন্ত কর্মরত এবং জুন ২০০৫ থেকে নিউ নেশানের ২০০৮ পর্যন্ত জেলা সংবাদদাতা হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
প্রকাশক ঃ- চাক্মা-মারমা কথোপকথন (জুভাপদ) (১৯৭৭), নোয়ারাম চাক্মা প্রণীত গোজেন লামা (১৯৭৭), পরিবার পরিকল্পনা প্রাথমিক গান (১৯৭৭) অধীর কান্তি বড়–য়া প্রণীত প্রাথমিক বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষা, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম (শ্রেণীর পাঠ্য) হাবিবুর রহমান মজুমদারের রাঙ্গামাটির ভাবনা (কবিতার বই), নন্দলাল শর্মার পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা। সৈয়দ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদের শিক্ষা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, করমালী। এডভোকেট প্রতিম রায় পাম্পুর পার্বত্য আইন তত্ত্বেও প্রয়োগে। ত্রিপুরা ভাষার বর্ণমালা- মহেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (২০০২), আকাশে হেলান দিয়ে- নন্দলাল শর্মা (২০০৩)। পরিবেশক জেলা প্রশাসক কর্তৃক সম্পাদিত রাঙ্গামাটি বৈচিত্রের ঐকতান (২০০৫)। স্বত্বাধিকারী রাঙ্গামাটি প্রকাশনী।
সম্মাননা ও পদক ঃ- মুক্তিযুদ্ধের বিজয় রজত জয়ন্তী, রাঙ্গামাটি রোটার্যাক্ট ক্লাব ও চট্টগ্রাম ডাউন টাউন (১৯৯৫), পরিবার পরিকল্পনা প্রচার সপ্তাহ এফপিএবি (১৯৯৫), সুধীজন ও গুনীজন সংবর্ধনা খেলাঘর আসর (১৯৯৬), ফুলকঁড়ির আসর ১৯৯৯, শিল্পী নিকুঞ্জ- সাংবাদিকতায় অবদান- ২০০১, ১৯৯০ সনে “আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনষ্টিটিউট এর পৃথিবীর পাঁচ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব নামক” বইতে জীবন বৃত্তান্ত স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশ প্রেস ইনষ্টিটিউট এর সাংবাদিক অভিধানে জীবন বৃত্তান্ত যোগ করা হয়েছে।
চারণ সাংবাদিক হিসেবে সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মরহুম আব্দুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার স্মৃতি পদক ২০০৩ লাভ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব সংবর্ধনা ও সম্মাননাা প্রদান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাঙ্গামাটি জেলা কর্তৃক সম্মাননা প্রদান, বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি রাঙ্গামাটি পার্বত্য শাখা কর্তৃক সম্মাননা, শিল্পী নিকুঞ্জ কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা ২০০৪ এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য রিজার্ভ বাজার ক্রীড়া একাডেমীর সম্মাননা ২০০৪, ২০০৩-২০০৪ ইং বর্ষে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩২৮০ কর্তৃক রোটারী ক্লাব অব রাঙ্গামাটির প্রেসিডেন্ট হিসাবে পুরস্কার লাভ। বান্দরবান প্রেসক্লাব কর্তৃক সম্মাননা প্রদান, ২০০৪, কাপ্তাই রাঙ্গুনিয়া সাংবাদিক ফোরাম কর্তৃক স্বর্ণ পদক, ২০০৪, স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি বাংলাদেশ কর্তৃক চট্টগ্রামে আব্দুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার মৃত্যু বার্ষিকীতে ২০০৪ সনে সম্মাননা লাভ। পত্রিকায় সেনিটেশন বিষয়ে কভারেজ দেওয়ার প্রেক্ষিতে সম্মাননা প্রদান, ২০০৫, রাঙ্গামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান, ১২ মে ২০০৫, স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি বাংলাদেশ কর্তৃক চট্টগ্রামে আব্দুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার মৃত্যু বার্ষিকীতে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্রের বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা প্রদান, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৫, পার্বত্য চট্টগ্রামে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ফুটন্ত ফুলের আসরের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান, ২৪ অক্টোবর ২০০৫, ৬০ বৎসর পূর্তিতে রিজার্ভ বাজার ক্রীড়া একডেমীর পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদানের জন্য বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিশ্ব প্রেস কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান, ১০ ডিসেম্বর ২০০৫, ২৮ জানুয়ারী’ ০৬ ইং মীরসরাই সমিতি চট্টগ্রাম কর্তৃক সম্মাননা প্রদান। ২০ নভেম্বর ২০০৯ ফরিদপুরের নির্ণয় শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য স্বর্ণপদক ও সম্মাননা প্রদান। ২০১০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য দক্ষিণ এশিয়া সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ কর্তৃক মাদার তেরেসা শান্তি পদক লাভ। ২০১২ সালে দৈনিক আজাদীর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাঙ্গামাটির অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। ২০১২ সালে ভারতের উত্তরবঙ্গ নাট্য জগত পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দুই বাংলার সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য পদক। ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের রাঙ্গামাটি জেলা সম্মেলনে মানবাধিকার ও সাংবাদিকতার জন্য বিশেষ সম্মানান পুরস্কারে ভূর্ষিত করা হয়। সম্মাননা-২০১৪ সালে পরিবেশ ও মানবাধিকার উন্নয়ন সোসাইটি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৫০ তম বর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠানে বিশেস অবদানের জন্য পদকে ভূষিত হয়েছেন। ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাকিতায় অবদানের জন্য গুনীজন সম্মাননা প্রদান। গত ২০ মে ২০১৬ সালে দৈনিক রাঙ্গামাটির পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান। ৫ই এপ্রিল ২০১৯ মিরসরাইয়ে খবরিকা পত্রিকার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আন্তর্জাতিক কবি সমাবেশ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননা প্রদান। ৬ এপ্রিল ২০১৯ সালে হাজী আব্দুল বারী মাতব্বর ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কর্তৃক ক্রড়িা উন্নয়নে অবদানের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
১৬ই এপ্রিল প্রয়াস এর উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ অলিম্পিয়ার্ডের গুনিজন সংবর্ধনায় পাহাড়ের প্রথম সাংবাদিকতা ও জনস্বার্থে অবদান রাখায় সম্মাননা প্রদান। ১৬ এপ্রিল বাংলা নববর্স উদ্্যাপন পরিষদ ১৪২৬ মাঝেরবস্তি তবলছড়ি রাঙ্গামাটি কর্তৃক আলোকিত রাঙ্গামাটি কর্তৃক সম্মমানা প্রদান। ১৯ এপ্রিল ২০১৯ রাঙ্গামাটি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মানবাধিখার সম্মেলনে মানবাধিকার কর্মকান্ডে বিশেষ অবদানের জন্য দুটি সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। ৩ মে ২০১৯ রাঙ্গামাটিতে চ্যানেল আই এর অফিস উদ্বোধন ও অনলাইন পাহাড়ের আলোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতার গুরুত্বপুর্ণ অবদানের জন্য বিশেস সম্মাননা প্রদান।
২৩ জুন ২০১৯ ওয়াল্ড পীস এন্ড হিউম্যান রাইটস্্ সোসাইটি রাঙ্গামাটি এর উদ্যোগে গুনীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সম্মানা প্রদান করা হয়। ৩০ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটির অনলাইন সিএইচটি নিউজের ৬ষ্ঠ বর্ষ পূর্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাংবাদিকতায় বিশেষ ভ’মিকা রাখায় সম্মাননা প্রদান। ১ জানুয়ারী ২০২০ রাঙ্গামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুর্ণর্বাসন কেন্দ্রের উদ্যোগে বই বিতরণ ও গুনীজন সংবর্ধনায় সাংবাদিকতায় ৫০ বছর পূর্তিতে সম্মননা প্রদান করা হয়। ২৪ জানুয়ারী ২০২০ রাঙ্গামাটি চারুকলা একাডেমীতে সিএইচটি মিডিয়া ২৪ ডট কম এর ৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে গুনীজন সম্মানা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতায় ৫০ বছর পূর্তিতে বিশেস সম্মাননা প্রদান করা হয়।
আজীবন সদস্য ঃ- বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি, (এফপিএবি) এবং দুইবার সহ-সভাপতি এবং একবার সভাপতি এফপিএবি, পার্বত্য জেলা শাখা। সমাজ কল্যাণ বিভাগের অপরাধ দমন কমিটি, দাতা সদস্য ঃ- রাঙ্গামাটি সাধারণ পাঠাগার, শহীদ আব্দুল আলী একাডেমী। আজীবন সদস্য ও রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সদস্য, রাঙ্গামাটি ডায়াবেটিক হাসপাতাল। সহ-সভাপতি নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ কমিটি, সহ-সভাপতি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রাঙ্গামাটি জেলা শাখা, কেন্দ্রীয় কবরস্থান পরিচালনা কমিটি, সহ-সভাপতি জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ কমিটি (নাটাব), রাঙ্গামাটি জেলা শাখা। সভাপতি রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব (২৫ বৎসর), সভাপতি বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা রাঙ্গামাটি জেলা শাখা। সভাপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল সংবাদপত্র পরিষদ। সভাপতি-রিজার্ভ বাজার ক্রীড়া একাডেমী, সদস্য বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ। প্রতিষ্ঠাতা ভাইস প্রেসিডেন্ট রোটারী ক্লাব অব রাঙ্গামাটি এবং প্রেসিডেন্ট ২০০৩-০৪, ২০০৭-২০০৮, সর্বোচ্চ পরিষদ সদস্য- জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা বাংলাদেশ, কেন্দ্রীয় সদস্য বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। অপরাধী সংশোধনী ও পুনর্বাসন সমিতি রাঙ্গামাটির সদস্য। ৫ বৎসরের জন্য রাঙ্গামাটি জেলা রোভার স্কাউটস্ কমিশনার, সহ-সভাপতি রাঙ্গামাটি জেলা রোভার স্কাউটস। বেসরকারী কারা পরিদর্শক সদস্য। সভাপতি পরিবেশ ও মানবাধিকার উন্নয়ন সোসাইটি, রাঙ্গামাটি জেলা শাখা। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি, রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি হিসাবে দায়িত্বরত আছে।
সাবেক সভাপতি ঃ- রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসাবে ২৪ বছর দায়িত্ব পালন, বাংলাদেশ গ্রামীন সংবাদপত্র পরিষদ ও জাতীয় সংবাদপত্র পরিষদ, সদস্য ইন্টারন্যাশনাল বায়োগ্রাফিক্যাল ইনিষ্টিটিউট। সদস্য এ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল, সাবেক সদস্য ইন্টারন্যাশনাল আর্গানাইজেশন অব জার্নালিষ্ট (আই ও জে), এ্যামিক-সিঙ্গাপুর, রিপোটার্স সান্সফ্রন্টিয়ার্স-ফ্রান্স।
প্রধান উপদেষ্টা- রাঙ্গামাটি বেবী টেক্সী চালক কল্যান সমিতি, উপদেষ্ঠা-আবাহনী ক্রীড়া চক্র- রাঙ্গামাটি, রিজার্ভ বাজার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতি ও বেবী টেক্সী মালিক সমিতি, মানব কল্যান পরিষদ, পার্বত্য কাঠ ব্যবসায়ী কল্যান সমিতি ও উপদেষ্ঠা, এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন, ঢাকা, রাঙ্গামাটি ডায়বেটিক সমিতি, উপদেষ্ঠা, শাপলা নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, রাঙ্গামাটি, উপদেষ্ঠা রাখাইন ত্রিপুরা (আরটি) প্রকাশনা সংস্থা মহালছড়ি, উপদেষ্ঠা মাইজভারী গাউসিয়া হক রাঙ্গামাটি বাংলাদেশ কমিটির উপদেষ্ঠা।
১৯৭৭ সন থেকে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সভাপতি ছাড়াও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জাতীয় শান্তি ও সমন্বয় পরিষদ এর সহ সভাপতি হিসেবে এবং এছাড়া এ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশেনালের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় বিভিন্ন মানবাধিকার কাজের সঙ্গে জড়িত থেকে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখা হয়েছে।
মানবাধিকারের বিষয় ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার পরিবেশ ও বন রক্ষা, বন্য হাতির আবাসস্থল নিরাপদ রাখতে এবং কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং ও দূষণ প্রতিরোধে বিভিন্ন পর্যায়ে অবদান রেখেছেন।
॥ আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ ॥ তিন পার্বত্য জেলায় রেল সংযোগের নির্দেশ দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কেননা তিন পার্বত্য জেলায় এখনও যে যোগাযোগ ব্যবস্থা চলছে একটা উন্নয়ন করতে অনেক সময় এবং ব্যয়বহুল তাই কম খরচে দ্রুত যোগাযোগের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রেল যোগাযোগের পরিকল্পনা নেয়ার জন্য রেল মন্ত্রনালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। তাই তিন পার্বত্য জেলার সকল জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়াকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ না জানিয়ে উপায় নাই। এই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে তিন পার্বত্য জেলার মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম যেমন সৃষ্টি হবে তেমনি বাস যোগাযোগের জন্য পার্বত্য রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের বাস মালিকদের একক ছত্র আধিপত্য ও এক গুয়েমীর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। সাথে সাথে পার্বত্য এলাকার জনগন আরাম দায়ক রেল ভ্রমন করতে পারবে। উল্লেখ্য যে, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি তিন পার্বত্য জেলার সড়ক উন্নয়নের সাথে সাথে রেল পথ উন্নয়নের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বপ্রথশ ও তৎকালীন একমাত্র সংবাদপত্র সাপ্তাহিক বনভূমি এবং পরে দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকায় ছদ্মনামে নীলকন্ঠ বকলম এবং পরে স্বনামে অনেক কলাম দীর্ঘ ত্রিশ বছরের বেশী সময় ধরে লিখে আসছি।
পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগনের যোগাযোগের উন্নয়নের জন্য রেল যোগাযোগের পরিকল্পনা নেয়ায় জনগনের পক্ষ থেকে আবারো কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত লিখে সরকারের এবং কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে লিখে আসছিলাম যে, তিন পার্বত্য জেলায় রেল যোগাযোগের জন্য নি¤œ লিখিত রুট গুলো নিয়ে যাছাই বাছাই করলে অনেক উপকারে আসবে। প্রথমতঃ হাটহাজারী থেকে রাউজান হয়ে রানীরহাট, ঘাগড়া, মানিকছড়ি হয়ে রাঙ্গামাটি পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণ করা।
দ্বিতীয়তঃ চট্টগ্রামের কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে রাঙ্গুনিয়া, চন্দ্রঘোনা, কাপ্তাই পর্যন্ত আরেকটি রুট দেয়া যায়। তৃতীয়তঃ চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেল ষ্টেশন সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কেরানীহাট থেকে বান্দরবান জেলা সদরের রেল যোগাযোগ করা দরকার। চতুর্থতঃ রামু থেকে নাইক্ষংছড়ি হয়ে ঘুমধুম সীমান্ত পর্যন্ত সংযোগ করা যায়। পঞ্চমতঃ নাজিরহাট রেল ষ্টেশন থেকে মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা হয়ে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা হয়ে বাঘাইছড়ি পর্যন্ত সংযোগ দেয়া যেতে পারে। ষষ্ঠতঃ ধুমঘাট রেলষ্টশন থেকে করেরহাট, হেঁয়াকো, রামগড়, মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, মাটিরাঙ্গা পর্যন্ত, সম্প্রসারণ করা গেলে তিন পার্বত্য জেলায় রেল যোগাযোগের উন্নয়ন করা গেলে জনগনের অনেক উপকারে আসবে।
এছাড়া ও রেল যোগাযোগ স্থাপন করা গেলে পার্বত্য জেলা গুলোতে উৎপাদিত মৌসুমী পণ্য গুলোর বিশেষ করে পচনশীল পণ্য গুলো দ্রুত আনা নেয়া এবং কম খরচে পরিবহন সম্ভব হবে। সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।
কাজেই তিন পার্বত্য জেলায় রেল যোগাযোগের উন্নয়ন কাজ করতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মতামত নিয়ে করা গেলে অধিকতর গ্রহণযোগ্য হবে বলে আমার ধারনা।
দীর্ঘ ৩/৪ যুগের ও বেশী সময় যাবত অথ্যাৎ ৫০ (পঞ্চাশ) বছর সাংবাদিকতা করতে গিয়ে তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের সাথে জড়িত থেকেই সাংবাদিকতা করেছি।
তারই আলোকেই আমার প্রস্তাবলী তুলে ধরেছি। বিভিন্ন স্তরে মতামত পরামর্শ নিয়ে কাজ করা গেলে কাজে লাগবে আশা করি দীর্ঘদিন যাবত লেখালেখির ফল এটাই।
পানছড়ি প্রতিনিধি: অভাবের সঙ্গে বড় হয়েছেন তিনি। স্বপ্ন ছিল নতুন কিছু করার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর নিজেকে মেলে ধরেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য দশটা শিক্ষার্থীর মতো বিসিএস ক্যাডার হওয়ার গতানুগতিক স্বপ্নে হাবুডুবু খাওয়ার ছেলে তিনি নন। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় বেড়ে উঠা সেই ছেলেটি এখন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক হয়েছেন। তিনি এখন এমন পলিমারিক ম্যাটেরিয়াল উদ্ভাবন করার চেষ্টা করেছেন, যেগুলো সহজে রিসাইকেল (ৎবপুপষব) করা যায় এবং সেলফ হিলিং (ংবষভ-যবধষরহম), অর্থাৎ এসব ম্যাটেরিয়ালে স্ক্রাচ (ংপৎধঃপয) হলে অথবা আঘাত হলে নিজে নিজে এই ম্যাটেরিয়াল ঐ স্ক্রাচ/আঘাত দূর করতে পারবে। সফলতার এই গল্পটা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান প্রজ্ঞাতেজ চাকমার। জানালেন বিসিএসের স্বপ্ন দেখলে হয়তো তিনি আন্তর্জাতিক মানের গবেষক হতে পারতেন না। জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সেরা মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তার পিএইচডি গবেষণার বিষয় ছিল অর্গানিক আর পলিমার কেমিস্ট্রি। পিএইচডি অর্জন করার পর ড. প্রজ্ঞাতেজ চাকমা এখন পোস্ট ডক স্কলার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনে যোগদান করছেন। পানছড়ি উপজেলার মঞ্জু আদাম এলাকার বাসিন্দা বিনিময় চাকমার ছেলে প্রজ্ঞাতেজ চাকমা। তিনার তিন সন্তান প্রথম কন্যা রেশমি চাকমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয? শিক্ষক, দ্বিতীয? পুত্র নোবেল চাকমা সিএমপি কমিশনার (অতিরিক্ত), তৃতীয? সন্তান হলো প্রজ্ঞাতেজ চাকমা।পানছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। খাগড়াছড়ি ক্যান্ট. পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করায় পিতা বিনিময? চাকমা আনন্দের সহিত তার উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন। ২০০৬ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এনজিও সংস্থা ইউএনডিপির কমিউনিটি ফ্যাসিলেটেটর হিসেবে দায?িত্বরত ছিলেন। এর আগে তিনি পানছড?ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয? জুনিয?র থাকাকালীন শিক্ষকতা করেছেন। পানছড?ি উপজেলাধীন মন্জু আদাম গ্রামের বাসিন্দা বর্তমানে তিনি গ্রামের বাড?ি শচীন্দ্র কার্বারী পাড়া অবস্থান করছেন।
প্রজ্ঞাতেজ চাকমা বিগত ৫ বছরে তার ১১টি প্রকাশনা
গধপৎড়সড়ষবপঁষবং, গধপৎড় খবঃঃবৎং, অহমবধিহফঃব ঈযবসরব, চড়ষুসবৎ ঈযবসরংঃৎু নামক স্বনামধন্য জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। প্রজ্ঞাতেজ চাকমাকে হাই রিসার্চ এক্টিভিটির জন্য ডিপার্টমেন্ট থেকে উরংংবৎঃধঃরড়হ ঝপযড়ষধৎ পুরস্কার দেয়া হয়। যা তার জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।
ড. প্রজ্ঞাতেজ চাকমা বলেন, ঢাবিতে ভর্তি হয়ে থার্ড ইয়ারের দিকে অনেক সিনিয়রকে দেশের বাইরে পিএইচডি নিতে দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হন। এছাড়াও আমাদের পাহাড়ি সমাজের কৃতি সন্তান আমেরিকান প্রবাসী ড. মংসানু মারমাও আমার কাছে অনুপ্রেরণার ছিলেন। আর্থিকভাবে আমাদের পরিবার কখনো সচ্ছল ছিলাম না। আমিও হয়তো ঢাবি থেকে অনার্স-মাস্টার্স করে বিসিএস অথবা সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে পারতাম। কিন্তু আমি সংকল্প নিই আমাকে যেকোন উপায়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে একজন বিজ্ঞানী হতে হবে। আমার পরিবারের নাম, আমার সমাজের নাম উজ্জ্বল করতে হবে। তিনি বলেন, আর্থিক অসচ্ছলতার মাঝেও আমার পরিবার যতটুকু সম্ভব আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে। আমি আমার এই পিএইচডি ডিগ্রি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে উৎসর্গ করতে চাই, যিনি ছোটবেলা থেকে নিজের সবকিছু দিয়ে আমাদের তিন ভাই-বোনকে আগলে রেখেছেন। শত কষ্ট সহ্য করে আমাদের মানুষ করেছেন। মায়ের ত্যাগ ছাড়া এতদূর আসা কখনো সম্ভব ছিলো না।
আরিফুল ইসলাম মহিন,পানছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: মানবিক সেবার অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলাতে করোনা ভাইরাস নামক মহামারী থেকে পরিত্রাণের জন্য হােম কোয়ান্টাইনে থাকা নিন্মবিত্ত , গরিব , অসহায় , এবং দুস্থ জনগোষ্ঠীদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ( খাগড়াছড়ি সদর জোন ) ।
সোমবার (২৯ জুন) সকালে প্রদীবপাড়াসহ নীলকারবারীপাড় , হরিমঙ্গলপাড়া , তালতলা এবং ফাতেমানগর এলাকায় অসহায় দুস্থদের মাঝে এই ত্রাণ বিতরণ করেন খাগড়াছড়ি সদর জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মােঃ জাহিদুল ইসলাম , পিএসসি ।
এ সময় তিনি করােনা ভাইরাস রােধকল্পে অঘোষিত লক ডাউনে থাকা প্রায় ৩৫০ টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন এবং অসহায়দের খোঁজ খবর নেন ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি সদর জোনের জোন উপ – অধিনায়ক মেজর চৌধুরী মােহাম্মদ ফাহিম আশরাফী , পিএসসি এবং পানছড়ি সাবজোন কমা-ার ক্যাপ্টেন মোঃ আহসান হাবীব ।
ত্রাণ বিতরণের সময় জোন কমান্ডার অতি জরুরি প্রয়ােজন না হলে কাউকে বাইরে না আসার জন্য এবং সরকারী সকল বিধিনিষেধ মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরােধ করেন । এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা , বারবার সাবান দিয়ে হাত ধােয়া এবং বাইরে আসলে মাস্ক ব্যবহারের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন ।
তিনি সাংবাদিকদের জানান , খাগড়াছড়ি সদর জোন যেকোনাে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে আর্ত – মানবতার সেবায বেসামরিক প্রশাসনকে তাৎক্ষণিক সহায়তায় সার্বক্ষণিক পাশে ছিল এবং আগামীতেও পাশে থাকবে । শান্তি , সম্প্রীতি এবং উন্নয়ন এই মুলমন্ত্রকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন যাবৎ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছে । আর্থ – সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা , চিকিৎসাসহ সকল সম্প্রদায়ের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সেনাবাহিনীর এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে ।
তিনি আরও বলেন , পাহাড়ের জনগণের জানমাল রক্ষা ও যেকোন দুর্যোগ মােকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে , সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য সদা তৎপর হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ।
॥ আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ ॥ তিন পার্বত্য জেলার সকল উপজেলার হাসপাতাল গুলোর ব্যাপক উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সহ সকল মন্ত্রনালয়ের যৌথ বাজেটের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া গেলে জনগনের অনেক উপকারে আসবে।
কিছু কিছু মন্ত্রনালয় তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় ধরনের প্রকল্প নিয়ে থাকে। যে গুলো দিয়ে জনগনের তেমন উপকারে লাগে না। অথবা এখন না করলেই তেমন ক্ষতি নেই এ ধরনের প্রকল্প গুলো আপাততঃ বাদ দিয়ে তিন পার্বত্য জেলার হাসপাতাল গুলোর উন্নয়ন করা গেলে জনগন বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়া থেকে রক্ষা পেত। সরকারের এখনেই উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন যাতে উপজেলা হাসপাতাল গুলোর করুন অবস্থা করা যায়।
প্রসুতি সেবা পর্যন্ত পাওয়া যায় না। দুর্গম এলাকা গুলোতে মৃত্যু পথযাত্রীদের সেনাবাহিনী, হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম সিএমএইচে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে জীবন রক্ষা নিয়ে এসেছে। এছাড়া বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটলে সেনাবাহিনীকে চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে আসতে হয়।
এ অবস্থায় প্রত্যেক উপজেলায় হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে জরুরী চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। এমনিতেই উপজেলা গুলোকে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা দেয়া যায় না। বাধ্য হয়েই জেলা সদরে হাসপাতালে পাঠাতে হয়। এখানেও চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব না হলে চট্টগ্রামে রেফার করতে হয়। প্রত্যেক উপজেলায় জরুরী চিকিৎসা ব্যবস্থা যাতে করা যায় সে ধরনের ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
জেলা হাসপাতাল গুলোতে জরুরী চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে করে চট্টগ্রামে নিতে না হয়।
অনেক সময় দেখা গেছে রাঙ্গামাটি-বান্দরবান-খাগড়াছড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম নিতে নিতে পথিমধ্যে রোগীর জীবন শেষ হয়ে যায়। ভবিষ্যতে যাতে এরকম না হয় অর্থাৎ জেলা সদরে চিকিৎসা দেয়া যায় এ ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
এাননীয় প্রধানমন্ত্রী জেলা সদরের হাসপাতাল গুলোর উন্নয়নে জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। ঐ গুলো করার সময় সমস্যা করে যাতে অতি প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো অগ্রাধিকার দিতে হবে।
বর্তমান বছরে বাজেটে যাতে উপজেলা গুরোতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হয় এ ধরনের বাজেট বরাদ্ধ দেয়া দরকার। সে সব প্রকল্পের চাঁদা দিতে হয় এবং দুরের প্রকল্প গুলোতে দুর্নীতি হয় বিধায় ঐ সব প্রকল্প না নিয়ে বর্তমানে উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জোর দিতে হবে। যাতে উপজেলা সহ গ্রামীন এলাকার জনগনের কাজে লাগে মত।