॥ নজিস্ব প্রতবিদেক ॥ রাঙ্গামাটি র্পাবত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন র্বোডরে পরচিালনা র্বোডরে ৩য় সভা অনুষ্ঠতি হয়ছে।ে সোমবার (১ র্মাচ) সকাল ১১টার দকিে র্পাবত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন র্বোড ‘পরচিালনা র্বোড’ এর ২০২০-২০২১ র্অথ বছররে ৩য় সভা স্বাস্থ্যবধিি মনেে রাঙ্গামাটস্থি র্বোডরে প্রধান র্কাযালয়রে র্কণফুলী সম্মলেন কক্ষে অনুষ্ঠতি হয়।
সভায় র্পাবত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন র্বোডরে চয়োরম্যান নব বক্রিম কশিোর ত্রপিুরা, এনডসি’ির সভাপতত্বিে আলোচ্য বষিয় ছলি (১) গত ১৮ নভম্বের, ২০২০ তারখিে অনুষ্ঠতি র্বোড সভার র্কাযববিরণী পাঠ ও অনুমোদন এবং গৃহীত সদ্ধিান্তরে অগ্রগতি র্পযালোচনা (২) ২০২০-২০২১ র্অথ বছরে র্পাবত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন র্বোড র্কতৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহরে ২০ ফব্রেুয়ারি ২০২১ র্পযন্ত সময়রে অগ্রগতি র্পযালোচনা এবং (গ) ববিধি আলোচনা করা হয়।
শুরুতে র্পাবত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন র্বোডরে সদস্য পরকিল্পনা ও সদস্য প্রশাসন উপ সচবি ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী’র সঞ্চালনায় সভাপতি সূচনা বক্তব্য রাখনে এবং পরচিালনা র্বোড সভায় নবাগত ৯১তম রাঙ্গামাটি জলো প্রশাসকসহ উপস্থতি সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করনে। সভাপতরি অনুমতক্রিমে সদস্য প্রশাসন উপসচবি ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী বগিত পরচিালনা র্বোড সভার র্কাযববিরণী পাঠ করনে, এবং গ্রহীত সদ্ধিান্ত সমূহরে বাস্তবায়ন অগ্রগতি বস্তিারতি উপস্থাপন করনে।
র্পাবত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন র্বোডরে বভিন্নি উল্লখেযোগ্য র্কাযক্রম সর্ম্পকে সভাপতরি বক্তব্যে চয়োরম্যান নব বক্রিম কশিোর ত্রপিুরা বলনে, জলবায়ু পরর্বিতন ট্রাস্ট এর র্অথায়নে ১ কোটি টাকার ব্যয়ে র্পাবত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন র্বোডরে প্রধান র্কাযালয় সৌর বদ্যিুৎ দ্বারা চল।ে পরবিশে বান্ধব এ প্রকল্প বাস্তায়নরে ফলে এখন জাতীয় বদ্যিুৎ গ্রীডরে উপর নর্ভিরশীলতা কমে আসছ।ে পাশাপাশি র্বোডরে প্রধান র্কাযালয়রে বদ্যিুৎ বলিও অনকে সাশ্রয় হয়ছে।ে রাবার প্রকল্পরে বষিয়ে তনিি আরো বলনে, ইতোমধ্যে যসেব রাবার গাছগুলো বয়স উর্ত্তীণ হয়ছেে কমটিরি মাধ্যমে চহ্নিতি র্পূবক সগেুলো র্কতন করা হবে এবং শূন্যস্থানে উপকারভোগীদরে জন্য বকিল্প জীবকিায়ন হসিবেে চা/মশ্রি ফলদ চারা কলম রোপন করা হব।ে
সভায় নর্বিাহী প্রকৌশলীগণ র্বোডরে আওতাধীন কোড নং ২২০০১১০০, ২২০০০৯০০ এবং পরকিল্পনা কমশিন র্কতৃক অনুমোদতি প্রকল্প/স্কমিসমূহরে ২০২০-২০২১ র্অথ বছরে বাস্তবায়নাধীন বভিন্নি উন্নয়নমূলক র্কমকান্ডরে অগ্রগতি পাওয়ার পয়ন্টে প্রজেন্টেশেনরে মাধ্যমে বস্তিারতি উপস্থাপন করনে। পরর্বতীতে র্পযায়ক্রমে উন্নত জাতরে বাঁশ উৎপাদন প্রকল্প, গাভী বতিরণ প্রকল্প, মসলা চাষ প্রকল্প, মশ্রি ফল চাষ প্রকল্প, র্পাবত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টকেসই সামাজকি সবো প্রদান প্রকল্প, খাগড়াছড়ি সদরে মাস্টার ড্রইেন নর্মিাণ, তনি র্পাবত্য জলোয় গ্রামীণ সড়ক ও পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রককল্পসহ বভিন্নি প্রকল্পরে প্রকল্প পরচিালকগণ সংশ্লষ্টি প্রকল্পরে অগ্রগতি অবহতি করনে।
র্পাবত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন র্বোডরে র্অথায়নে সন্টোর ফর এনভায়রনমন্টে এন্ড জওিগ্রাফকি ইনফরমশেন র্সাভসিসে এর কারগিরী সহযোগতিায় তনি র্পাবত্য জলোয় চলমান পানরি উৎসমুখ জরীপ র্কাযক্রম অগ্রগতি সর্ম্পকে আলোচনা করা হয়। এছাড়া র্বোডরে বভিন্নি গুরুত্বর্পূণ স্থাপনা সংস্কার, একজন আইনজীবি নয়িোগ, রাঙ্গামাটি অবতরণ জটেঘিাট নর্মিাণ, প্রকল্পরে নাম পরর্বিতন ও অনুমোদন প্রভৃতি বষিয়ে সদ্ধিান্ত গৃহীত হয়।
রাঙ্গামাটি নবাগত জলো প্রশাসক মোহাম্মদ মজিানুর রহমান বলনে, র্পাবত্য এলাকায় বভিন্নি কারণে স্কুল ঝরে পরার হার বশেী। তাই এ বষিয়ে বশিষে নজর রাখতে হব।ে এ প্রসঙ্গে র্বোডরে ভাইস চয়োরম্যান সরকাররে অতরিক্তি সচবি মোঃ নূরুল আলম নজিামী র্পাবত্য প্রত্যন্ত এলাকায় র্পাবত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন র্বোডরে শক্ষিা সম্প্রসারণরে ক্ষত্রেে অবদানরে বষিয়ে বলনে, র্পাবত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন র্বোড টকেসই সামাজকি সবো প্রদান প্রকল্পরে মাধ্যমে তনি র্পাবত্য জলোয় ৪৫০০টি পাড়াকন্দ্রে নর্মিাণ করছে।ে সখোনে ৩-৬ বছররে বভিন্নি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সুবধিা বঞ্চতি ছলে-েময়েরো নজি মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমকি শক্ষিা গ্রহণরে সুযোগ পাচ্ছে এবং লখোপড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছ।ে
বান্দরবান র্পাবত্য জলো পরষিদ সদস্য ক্যসাপ্রু বলনে, ইদানংি বান্দরবান র্পাবত্য জলোয় অসাধু ব্যবসায়ী দ্বারা বশেী মাত্রায় পাথর উত্তোলন করা হচ্ছ।ে এর ফলে একদকিে যমেন পরবিশে বর্পিযন্ত হচ্ছে অনুরূপভাবে ঝরিি ঝর্রণাগুলোতে দনি দনি পানি শুকয়িে যাচ্ছ।ে এতে স্থানীয় জনসাধারণ ক্ষতগ্রিস্থ হচ্ছ।ে তাই পরবিশে রক্ষায় ব্রীজ/কালভাট/রাস্তা নর্মিাণরে সময় যাতে কোন স্থানীয় পাথর ব্যবহার না হয় এবষিয়ে সভাপতরি মাধ্যমে সংশ্লষ্টি সকলরে প্রতি অনুরোধ জানান।
এছাড়া র্পাবত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন র্বোডরে নজিস্ব জায়গায় র্আথ-সামাজকি উন্নয়নরে লক্ষ্যে খাগড়াছড়রি র্জামপ্লাজম সন্টোররে ন্যায় বান্দরবান র্পাবত্য জলোতে মশ্রি ফলজ বাগানরে প্রর্দশনী প্লট তরৈীসহ বভিন্নি প্রজাতরি পরবিশে বান্ধব বৃক্ষ রোপনরে বষিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় এ সময় র্পাবত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন র্বোডরে ভাইস-চয়োরম্যান সরকাররে অতরিক্তি সচবি মোঃ নূরুল আলম নজিামী, সদস্য পরকিল্পনা ও সদস্য প্রশাসন উপসচবি ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, সদস্য-বাস্তবায়ন উপসচবি মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, রাঙ্গামাটি নবাগত জলো প্রশাসক মোহাম্মদ মজিানুর রহমান, বান্দরবান র্পাবত্য জলো পরষিদরে প্রতনিধিি সদস্য ক্যসাপ্রু, রাঙ্গামাটি র্পাবত্য জলো পরষিদরে প্রতনিধিি ইলপিন চাকমা, খাগড়াছড়ি র্পাবত্য জলো পরষিদরে প্রতনিধিি শুভমঙ্গল চাকমা, বান্দরবান র্পাবত্য জলোর পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পরে পরচিালক মোঃ আবদুল আজজি, খাগড়াছড়ি ইউনটি র্কাযালযরে নর্বিাহী প্রকৌশলী মোঃ মুজবিুল আলম, বান্দরবান ইউনটি র্কাযালয়রে নর্বিাহী প্রকৌশলী আবু বনি মোহাম্মদ ইয়াছরি আরাফাত, মশ্রি ফল চাষ প্রকল্পরে প্রকল্প পরচিালক মোঃ শফকিুল ইসলাম, টকেসই সামাজকি সবো প্রদান প্রকল্পরে প্রকল্প ব্যবস্থাপক পরকিল্পনা ও মূল্যায়ন জনাব মোহাম্মদ এয়াছনিুল হক, খাগাড়াছড়ি জলোর টকেসই সামাজি সবো প্রদান প্রকল্পরে জলো প্রকল্প ব্যবস্থাপক মতউির রহমান, রাঙ্গামাটি নর্বিাহী প্রকৌশলী চলতি দায়ত্বি তুষতি চাকমা, উপসচবি মংছনেলাইন রাখাইন, কাইংওয়াই ম্রো, গবষেণা র্কমর্কতা, বাজটে ও অডটি অফসিার মোঃ নুরুজ্জামান, মোঃ কামরুজ্জামান, সহকারী প্রকল্প পরচিালক মশ্রি ফল চাষ প্রকল্প, মোহাম্মদ খোরশদে আলম সমন্বয় র্কমর্কতা, মজি ডজী ত্রপিুরা তথ্য র্কমর্কতাসহ র্বোডরে র্কমর্কতাবৃন্দ উপস্থতি ছলিনে।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য অঞ্চলে আবারো আঞ্চলিক দল গুলোর তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের তৎপরতায় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর কোনঠাসা হয়ে পড়লেও নতুন করে বাঘাইছড়ি উপজেলায় আঞ্চলিক দলগুলোর তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙ্গামাটির প্রশাসনকে ভাবিয়ে তুলেছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও বাঘাইছড়িতে গত দু মাসে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গভীর রাত পর্যন্ত গুলি বিনিময়ের প্রকট শব্দে আবারো ভাবিয়ে তুলেছে প্রশাসনকে। আর এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষেরা রয়েছে আতংকে।
বাংলাদেশ সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল গুলোর সশস্ত্র ক্যাডারা দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ভারত সীমান্তবর্তী ভারতের মিজোরাম, দেমাগ্রী, ত্রিপুরা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় লুকিয়ে ছিলো। প্রশাসনের তৎপরতা কিছুটা কমে আসায় তাদের নেটওয়ার্ক আবারো শক্তিশালী করে প্রবেশ করছে বাংলাদেশে। তারই ধারাবাহিকতায় বাঘাইছড়ি উপজেলায় প্রায় প্রতিটি কোন কোন জায়গায় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এই ঘটনায় হতাহত হলেও কেউ তা বলতে পারছে না।
পার্বত্য রাঙ্গামাটির রাজস্থলী, বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর এখন হঠ জোন হিসাবে পরিণত হয়েছে। এই সকল উপজেলা গুলোতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল গুলোর আধিপত্য বিস্তার করে মাঝে মাঝে নিজেদের শক্তির পরীক্ষা করে দল গুলো। এই অবস্থায় পার্বত্য অঞ্চলের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান আবারো নতুন করে শুরু করার জোর দাবী উঠছে।
রাঙ্গামাটির দায়িত্বশীল একটি সুত্র জানায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) দীর্ঘদিন ধরে তাদের রাজনৈতিক কোন কর্মকান্ড চালাচ্ছে না। এটাকী তাদের কৌশল হতে পারে না কোন মরণ কামড় দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। তারা বাঘাইছড়ির কিছু কিছু এলাকা এখন নিজেদের দখলে নেয়ার জন্য শক্তি প্রয়োগ করছে।
অন্যদিকে দায়িত্বশীল একটি সুত্র জানায় সম্প্রতি জেএসএস ও ইউপিডিএফএর মাঝে অস্ত্র বিরতীর চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। আধিপত্য বিস্তার করতে তারা মাঝে মাঝে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। অপরদিকে চুক্তি শেষ হওয়ার পর পর জেএসএস এর নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক দল গুলোর মাঝে আবারো বৈঠকের পরিকল্পনা চলছে। যদি আঞ্চলিক দল গুলো আবারো এক হয়ে যায় তাহলে পার্বত্য অঞ্চলে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে।
এছাড়া পাহাড়ের আঞ্চলিক দল গুলোর হাতে অবৈধ অস্ত্রের মজুদ দিন দিন বাড়ছে। অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে পাহাড়ে খুন, গুমসহ নিজেদের মাঝে প্রতিনিয়ত শক্তি প্রদর্শণের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনে নার্ভিশ্বাস উঠেছে। প্রতিনিয়ত আঞ্চলিক রাজনেতিক দলের আধিপত্য বিস্তারের কারণে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের শান্তি যেমন বিনষ্ট হচ্ছে তেমনি শত শত মায়ের বুক খালি হচ্ছে।
পার্বত্য তিন জেলার আঞ্চলিক ৫ টি দল অবস্থান করছে। দল গুলো হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (সন্তু গ্রুপ), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ), পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (লারমা সংস্কার গ্রুপ), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ (সংস্কার গ্রুপ) ও নতুন দল গঠন করে মগ লিবারেল ফ্রন্ট নামে আত্মপ্রকাশ করছে। মগ লিবারেল ফ্রন্ট বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির রাজস্থলী ও কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থান করছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
এদিকে পার্বত্য অঞ্চল ও ভারত এবং মিয়ানমারের অধিকাংশ বর্ডার এলাকা খোলা থাকায় অবৈধ নানা গোনা ও অস্ত্রের আনা গোনা বেশি পাওয়া যায়। রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল ও জুরাছড়ির বেশ কিছু এলাকা দিয়ে ভারতের অবস্থান এবং বিলাইছড়ি ও রাজস্থলীর বেশ কিছু এলাকা দিয়ে মিয়ানারের লোকজনের আনা গোনা বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। সম্প্রতি রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার কলেজ পাড়া এলাকায় আরাকান আর্মির আস্তানা পাওয়া গেছে। এসময় ডাঃ রেনিসো নামে একজনকে আটক করা হয় এবং তার বাসা থেকে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী হামলার সময় মাইন বিষ্ফোরণে আহত একজনকে পাওয়া যায়। তার দুটি হাত উড়ে যায় ডাঃ রেনিন সোর বাড়িতে রেখে আহত ব্যক্তির চিকিৎসা রত অবস্থায় পাওয়া যায়।
সম্প্রতি খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বেশ কয়েকটি সভায় বলেন, পার্বত্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলতে আঞ্চলিক রাজণেতিক দলগুলো পাহাড়ের অস্থিতিশীল করে তুলেছে। অবৈধ অস্ত্রের কারণে পাহাড়ের কোন মানুষ শান্তিতে নেই। পার্বত্য পরিস্থিতিতে অস্থিতিশীল করে তুলতে চাঁদাবাজী, খুন, অপহরণ, সহ আনা ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তাদের রিরুদ্ধে পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করছে উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো। খুন, গুম, ধর্ষণ, চাঁদাবাজিসহ তাদের নানান অপকর্ম দিনদিন বেড়েই চলেছে। পাহাড়ে ৫ টি আঞ্চলিক সংগঠনের সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর হাতে সীমান্ত দিয়ে অবাধে আসছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ। মাঝে মধ্যে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর সমন্বয়ে মাঝে মধ্যে অবৈধ অস্ত্র, গুলি ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হলেও এদের নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
পার্বত্য জেলার অধিবাসীরা জানান, পার্বত্যাঞ্চলে মোতায়েনরত সেনাবাহিনীকে ছয়টি স্থায়ী সেনানিবাসে প্রত্যাবর্তন, সামাজিক উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ উন্নয়নসহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ৩ পার্বত্য জেলায় ৪১ হাজার ৮৪৭ জনকে বয়স্ক ভাতা, ২২ হাজার ৪১০ জনকে বিধবা ভাতা, ৭ হাজার ৩১১ জনকে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা এবং ৯৮১ জন প্রতিবন্ধীকে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় এ অঞ্চলে ১ হাজার ৪৬টি সমিতির মাধ্যমে ৫২ হাজার ১৭২ জন সদস্যের দারিদ্র্য বিমোচন তথা জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৬২৩টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।
তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আগে যেখানে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ ছিল না সেখানে নির্মিত হয়েছে ১টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১টি মেডিকেল কলেজ। হাইস্কুল ও কলেজের সংখ্যা যেখানে ছিল মাত্র ১১টি সেটা এখন ৪৭৯টি। প্রায় প্রতিটি পাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। শিক্ষার হার ২ ভাগ থেকে বেড়ে বর্তমানে ৪৪ দশমিক ৬২ ভাগে পৌঁছেছে। যেখানে বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষার হার ৫৯ দশমিক ৮২ ভাগ সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা জনগোষ্ঠীর শিক্ষার হার ৭৩ ভাগ। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালিদের শিক্ষার হার ২৩ ভাগ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ১টি থেকে ৩টি করা হয়েছে, হাসপাতালের সংখ্যা ৩টি থেকে ২৫টিতে উন্নীত হয়েছে। যেখানে কোনো খেলার মাঠ ছিলো না সেখানে ৫টি স্টেডিয়াম নির্মিত হয়েছে। কলকারখানা, ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ১৯৩টি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১৩৮২টিতে উন্নীত হয়েছে। ফলে সরকারের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রামে এককালের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রভূত উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পাহাড়ের প্রতিটি মানুষ যাতে নিরাপদে থাকে তার জন্য বর্তমান সরকারের শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আর পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্র ও একটি মহল ষড়যন্ত্রের কারণে চুক্তিকে বাস্তবায়নসহ এলাকার উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারী) সকালে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি, নানিয়ারচর সদর উপজেলায় ৪ টি বিদ্যালয়ের নব নির্মিত ভবনের উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, নানিয়ারচর জোন কমান্ডার লেফটেন্টে কর্ণেল গোলাম মাবুদ হাসান পিএসসি, নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা, নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী রহমান তিন্নি, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য এলিপন চাকমা, জেলা পরিষদ সদস্য প্রিয়নন্দ চাকমা, পরিষদ সদস্য নিউচিং মারমা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নানিয়ারচর উপজেলা প্রকৌশী রনি সাহা সহ রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য বর্গ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষার মানোন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক ভূমিক রেখে চলেছে। দুর্গম এলাকার ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে উন্নত করনের মাধ্যমে মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারই দেশের শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে সরকার শিক্ষার উপর সবচে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, একটা জাতিকে সুস্থভাবে গড়ে তুলতে হলে শিশুকাল থেকেই শিক্ষা দিয়ে তার ভিত্তিটাকে মজবুত করে গড়ে দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে সরকার বিনামূল্যে বই বিতরণ, শিক্ষাবৃত্তি, অবকাঠামো নির্মাণ, স্কুল জাতীয়করণসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বাস্তবায়ন করছে। তাই তিনি শিক্ষক শিক্ষিকাদের ছাত্র ছাত্রীদের পাঠ দানে আরো বেশী মনোযোগী হয়ে শিক্ষিত জাতি ও দেশকে উন্নয়নের সর্বশিখরে পৌঁছে দিতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
দীপংকর তালুকদার সকালে শিক্ষা প্রকৌশল শাখার অর্থায়নে ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঘিলাছড়ি উচ্চ বিদ্যাল, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নানিয়ারচর মডেল নানিয়ারচর দি চেঙ্গী চাইল্ড হোম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এলজিইডির অর্থায়নে ৮৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নানিয়ারচর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নব নির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেছেন, দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের গণমাধ্যম কর্মীরা পার্বত্যাঞ্চলে সুবাতাস ছড়াবে’।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে এমপির বাস ভবনে নবনিযুক্ত সদস্যদের নিয়ে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ এমপি দীপংকর তালুকদারের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাতকালে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বর্তমান সরকারের সময়ে সাংবাদিকরা স্বাধীন ভাবে সংবাদ পরিবেশন করছে উল্লেখ করে দীপংকর তালুকদার বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা আনয়নে ও সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সম্পর্কে জনগণের মাঝে তুলে ধরতে সংবাদকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ পালন করছে। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে সরকারের সাফল্য ও অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের গণমাধ্যম কর্মীদের ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সাধারন সম্পাদক আনোয়ার আল হক, প্রবীন সাংবাদিক ও প্রেস ক্লাবের সদস্য একেএম মকছুদ আহমেদ, প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রেস ক্লাবের সদস্য সৈয়দ মাহবুব আহমেদ, সহ-সভাপতি অলি আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদিক সুপ্রিয় চাকমা, কোষাধ্যক্ষ পুলক চক্রবর্তীসহ ক্লাবের নব নিযুক্ত সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
॥ মিল্টন বাহাদুর ॥ খাদ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, রাঙ্গামাটি পর্যটন শহর। আর এখানে অনেক পর্যটক আসে আরামদায়ক ভ্রমনের জন্য। আর সেই জন্য আমরা চাইছি এবং আমাদের সাথে সাথে অনেকেই চাইছে রাউজানের ঢালাইমুখ এসে চার লেইন সড়ক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকে ৩০/৩২ কিলোমিটার রাঙ্গামাটি।
সুতরাং আমিও সেদিন সংসদে প্রস্তাব দিলাম চার লেইনের সড়কটি রাউজানের ঢালাইমুখ পর্যন্ত বন্ধ না হয়ে এটা রাঙ্গামাটির প্রবেশমুখ পর্যন্ত আসুক। রাঙ্গামাটি পর্যন্ত চার লেইন সড়ক নিয়ে সংসদে বক্তব্য দেয়ার পর আমাদের অনেক বন্ধু বিষয়টি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করছেন। আমি শুনেছি অনেকেই বলেছেন, চার লেইন সড়ক যদি শহর হয়ে বনরূপা, রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি পর্যন্ত যায়, তাহলে সড়কের পাশে পাশে দোকানপাট তো একটাও থাকবে না। সব চার লেইন সড়কের বিলীন হয়ে যাবে। বিরোধিতা থেকে সবকিছুতেই সমালোচনা করা তাদের নিত্যনিদের স্বভাব।
তবে এখানে মনে রাখা দরকার অনেক বছর আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়ক ৩০ ফুট প্রসস্থ করার জন্য সড়কের পাশে খুটি গাড়তে শুরু করলো। আমরা চিন্তু করলাম যে ৩০ফুট প্রসস্থ করা হলে সড়কের পাশে পাশে দোকানগুলো থাকছে না, এইসব দোকান সব খাদে চলে যাচ্ছে। এসময় আমরাই প্রতিবাদ করেছি যে, না এটা হবে না। এটা হয় নাই। তাই যারা চাইছে সড়ক যদি প্রসস্থ করা হয় তাহলে দোকানপাট উঠে যাবে, ব্যবস্থা বানিজ্য লাটে উঠবে। তাহলে তারা কি করে আমরা চার লেইনের সড়ক একেবারে ডিসি বাংলো পর্যন্ত নেবো?
আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, চার লেইন সড়কটি রাঙ্গামাটি শহরের প্রবেশ মুখ পর্যন্ত এসে থেমে যাবে। শহরের ভেতরে চার লেইন করার কোনও কথা হয়নি। শহরের প্রবেশমুখে বাস, ট্রাক টার্মিনাল হবে। সেখান থেকেই সবাই শহরের ভেতর আসা-যাওয়া হবে। যেমনি সড়ক আছে তেমনী থাকবে। শুধু এইসব সড়কগুলো যাতে আরো সুন্দর ভাবে সংস্কার করা যায়। আর পৃথিবীর কোন শহরের অভ্যন্তরে বাস টার্মিনাল ও ট্রাক টার্মিনাল নাই। শুরু আমাদের এই রাঙ্গামাটি শহরের আছে। তাই এই ধরনের বিভ্রান্তির কোনও সুযোগ নাই বলে জানান দীপংকর তালুকদার এমপি।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩টায় রাঙ্গামাটি চেম্বার অব কমার্স এর সম্মেলন কক্ষে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিকতার পথিকৃত ও চারণ সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫ গুণীজন সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম নিজামী, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার মীর মোদ্্দাছ্্ছের হোসেন, সাবেক মহিলা এমপি ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান, চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি ওয়াদুদ, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জিতেন বড়ুয়া, বিটিভি লোক লোকালয় অনুষ্ঠানের সংগঠক-গবেষক ও দৈনিক অরণ্য বার্তার সম্পাদক চৌধুরী আতাউর রহমান, সুর নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা মনোজ বাহাদুরসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক।
গুনী সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন, সাংবাদিকতার পথিকৃত ও চারণ সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ, প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য ও কেডিএস গার্মেন্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খলিলুর রহমান, প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য ও সাবেক রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রয়াত পারিজাত কুসুম চাকমা (মরণোত্তর), প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য ও দৈনিক আজাদীর সাবেক চীফ রিপোর্টার মরহুম সাংবাদিক ওবায়দুল হক (মরেণোত্তর) ও প্রেস ক্লাবের শুভাকাঙ্খী ও সাবেক রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা।
আলোচনা সভা শেষে গুণিজনদের হাতে সম্মানা ক্রেস্ট তুলে দেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এমপি।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, একেএম মকছুদ আহমেদ ৫০ বছর ধরে সাংবাদিকতা ও ৩৮বছর ধরে পত্রিকা প্রকাশ করছে এটি একটি বিরল ব্যাপার। তিনি বলেন, এ ৩৮বছরে একটি দিনের জন্য তিনি পত্রিকা বন্ধ করে নাই। যা চারটি খানি কথা নয়। তাকে আরও বড় সম্মানে ভুষিত করা উচিত। তাই আগামীতে তাকে একুশে পদক দেওয়ার বিষয়ে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে চারণ সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫ গুণীজন সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এমপি, এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারী) বিকালে রাঙ্গামাটি চেম্বার অব কমার্স এর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম নিজামী, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার মীর মোদ্্দাছ্ছের হোসেন, সাবেক মহিলা এমপি ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যান শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জিতেন বড়ুয়া, বিটিভি লোক লোকালয় অনুষ্ঠানের সংগঠক-গবেষক ও অরণ্য বার্তা পত্রিকার সম্পাদক চৌধুরী আতাউর রহমান রানা, রাঙ্গামাটি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, সদও উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ আবু তাহের মোহাম্মদ’সহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গরা।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক।
অনুষ্ঠানে দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, আমারও এক সময় ইচ্ছে ছিলো পার্বত্য সংবাদ নামে একটি পত্রিকা বের করবো। পত্রিকার অফিস হলো ডিকলারেশন হলো। পত্রিকার সব ধরনের ফরমালিটি হলো। কিন্তু পত্রিকা ছাপানোর সাহস আমার কুলালোনা। যার কারনে পার্বত্য সংবাদ আর দিনের আলোর মুখ দেখেনি। যেখানে একটি পত্রিকা বের করার মতো সাহস আমার ছিলোনা সেখানে মকছুদ ভাই ৩৮বছর ধরে পত্রিকা বের করছে এবং একটি দিনের জন্য পত্রিকা বন্ধ করে নাই। যা চারটি খানি কথা নয় একটি বিরল ব্যাপার। আর এ ধরনের সম্মাননা অনুষ্ঠানে থাকতে পারাটা সৌভাগ্যের বিষয়। তিনি বলেন, আমাদের দেশে রাজনীতির সংস্কৃতি বা অপসংস্কৃতি বলি বিভিন্ন দলের রাজনীতি নেতাদের প্রায়শই দেখা যায় তারা সাংবাদিকদের বিভিন্ন ভাবে নানা ধরনের নাজেহাল ও শারীরিক নির্যাতন করার খবরও আমরা পত্র পত্রিকায় দেখতে পাই। সেক্ষেত্রে মকছুদ ভাই ৩৮ বছর ধরে পত্রিকা বের করছেন ৫০বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন কিন্তু এখনো একটা দিনের জন্য কোন রাজনীতি নেতা বলতে পারে নাই মকছুদ ভাই এটা লিখছেন কেন। আমরা কখন এটা করছি । এই ধরনের কথা বলার সুযোগও এখনো আমার হয়নি। এখনো পর্যন্ত তার সাথে আমাদের মধুর সম্পর্ক রয়েছে এবং থাকবে। তিনি আরো বলেন, রাজনীতি নেতাদের সাথে সংবাদপত্রের সাংবাদিকদের একটা টানাপোড়ন বা মধুর সম্পর্ক থাকে। বলা হয় নির্ভিক সাংবাদিকদের কোন বন্ধু থাকেনা। আমার পক্ষে লিখলে বন্ধু আমার বিপক্ষে লিখলে শত্রু। কিন্তু মকছুদ ভাই নির্ভিক সাংবাদিকতা করে চলেছে।
তিনি একুশে পদকের বিষয়ে বলেন, অনেকেই মকছুদ ভাইকে একুশে পদক দেওয়ার দাবী করেছেন এবং তাদের দাবীটি যৌত্তিক ও মকছুদ ভাই পাওয়ার যোগ্য বলে আমি মনে করি। কিন্তু যেহেতু এ বছর একুশে পদক দেয়া হয়ে গেছে এবং দেশের শত শত সাংবাদিকদের মধ্যে শুধু একজনকেই দেয়া হয় তাই আগামী বছর মকছুদ ভাইকে দেওয়ার জন্য বিষয়ে আমরা চেষ্টা করবো। তিনি বলেন, একুশে পদকের সাংবাদিকদের জন্য ২টি বাক থাকা উচিত একটি হলো সাংবাদিক আরেকটি হলো মফস্বলের সাংবাদিক। তাই আমি মনে করি মফস্বলের সাংবাদিকদর যদি দেওয়া হয় মকছুদ ভাই নিশ্চিত ভাবে পাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, মানুষের তিপ্তি এক এক রকম কেউ খেয়ে আনন্দ পান কেউ খাওয়ানের আনন্দ পান। তিন পার্বত্য জেলার অনেক পথিতযশা সাংবাদিক এখন জাতীয় পত্রিকা ও চ্যানেলে কাজ করছে এবং তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাংবাদিকরাই হচ্ছে এই গিরিদর্পন ও বনভুমি পত্রিকার।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম নিজামী বলেন, গুনীজনদের সম্মান না করলে গুনী লোক জন্মায় না। তাই প্রেস ক্লাবের এ ধরনের উদ্দ্যেগ সত্যিই প্রসংসনীয়। তিনি বলেন, মানুষ সম্মান পাই তার মেধা ও জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে যখন ভালো কাজ করে। এই গুনী লোকগুলোও ভালো করেছে যার কারনে আজ তারা সম্মানে ভুষিত হয়েছে।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ বলেন, মফস্বলে সাংবাদিকতা করাটা কষ্টের হলেও মকছুদ ভাই শত কষ্ট ও বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে ৫০ বছর ধরে সাংবাদিকতা করার পাশাপাশি ৩৮বছর ধরে পত্রিকা প্রকাশ করে যাচ্ছে এটি সত্যিই বিরল। আর এই গুনীজনদের সম্মাননা দিয়ে প্রেসক্লাব যথার্থই করেছে। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সাথে আমার একটা নীবিড় সম্পর্ক রয়েছে। যার ফলে দ্রুত এ জেলার উন্নয়ন, সম্ভবনা, দুর্ঘটনা’সহ বিভিন্ন সংবাদগুলো আমি সহজেই জানতে পারি। তাদের সহযোগীতা আমি সবসময় মনে রাখবো।
সম্মাননাপ্রাপ্ত আলহাজ¦ একেএম মকছুদ আহমেদ বলেন, আমার পত্রিকায় লেখালেখি করে মংছেইন রাখাইন একুশে পদক পেয়েছে শোভা ত্রিপুরা বেগম রোকেয়া পদক পেয়েছে এটাই আমার বড় জন্য তিপ্তি। তিনি বলেন, আমার লেখনীর মাধ্যমে আমি সবসময় চেষ্টা করেছি পার্বত্য জেলায় শান্তি বিরাজ করুক। কোন ঘটনাকে কারো পক্ষ হয়ে লেখার চেষ্টা আমি করেনি। এখানকার সম্ভবনাগুলোকে তুলে ধরার কারণে আজ পার্বত্য জেলায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি গুনীজনদের সম্মাননা প্রদান করায় প্রেস ক্লাবকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এর আগে সুর নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনোজ বাহাদুর গুর্খা তার শিল্পীদের নিয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভরাম্ভ করে পরে প্রেস ক্লাবের সদস্যরা আগত অতিথি ও সম্মাননাপ্রাপ্তদের মাঝে ফুল ও উত্তরী দিয়ে সম্মান প্রদর্শন করে শেষে সম্মাননাপ্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন অতিথিরা।
অন্য গুনীজনরা হলেন, প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য ও কেডিএস গার্মেন্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খলিলুর রহমান, প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য ও সাবেক রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রয়াত পারিজাত কুসুম চাকমা (মরণোত্তর), প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য ও দৈনিক আজাদীর সাবেক চীফ রিপোর্টার মরহুম সাংবাদিক ওবায়দুল হক (মরেণোত্তর) ও প্রেস ক্লাবের শুভাকাঙ্খী ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটিতে আবদুল হাকিম এর ১২ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে আবদুল্লাহ ফকিরের মাজার প্রাজ্ঞনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওরশ শরীফে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সৈয়দ মফিজ উদ্দীন (মঃজিঃআঃ)। উক্ত ওরশ শরীফে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কর্ণফলী সৈন্যার বাড়ী কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আঞ্জুমান রেজভীয়া আজিজিয়া সুন্মিয়া ট্রাষ্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ আবু ছাদেক রেজভী আলকাদেরী। ওরশ পরিচালনা কমিটির সভাপতি দৈনিক গিরিদর্পনের সম্পাদক আলহাজ্ব একে এম মকছুদ আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র প্রার্থী আকবর হোসেন চৌধুরী, সিনিয়র মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ হযরতুলহাজ্ব আল্লামা নুরুল আলম হেজাজী, রিজার্ভ বাজার জামে মসজিদের ঈমাম আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী নঈম উদ্দীন আল কাদেরী, বনরূপা জামে মসজিদের ঈমাম হাফেজ সুলতান মাহমুদ আলকাদেরী, আবদুল্লাহ ফকির (রাঃ) মাজারের খতিব হাফেজ মোঃ আবুল কালাম, সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষক ক্বারী মোহাম্মদ ওসমান গনীসহ মাজার এবং ওরশ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ওরশে দেশ ও জাতির শান্তি কামনা করে মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে সকলকে মুক্তি লাভের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
॥ ঝুলন দত্ত কাপ্তাই ॥ পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ দিনের রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ বন্ধে জনমত গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন পাহাড়ের চারন সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদ। আর তার লিখনির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে সর্বত্র শান্তি আনয়নে বিশাল জনমত গঠন হয়েছিল। আর সে সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তি সম্পাদন করে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাই পাহাড়ে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য একেএম মকছুদ আহম্মেদকে একুশে পদক দেওয়ার দাবি জানান।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারী) সকালে রাজস্থলী উপজেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত দৈনিক গিরিদর্পনের সম্পাদক চারণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহম্মেদ এর সাংবাদিকতায় ৫০ বছর পূর্তিতে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
রাজস্থলী উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শেখ ছাদেক সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজস্থলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উবাচ মারমা। গেষ্ট অব অনার রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য নিউচিং মারমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, রাজস্থলী উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান অংনুচিং মারমা, উচসিন মারমা, রাজস্থলী থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফজল আহাম্মদ খান, রাজস্হলী তাইতং পাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। অনুষ্টান সঞ্চালনায় ছিলেন, রাজস্থলী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ আজগর আলী খান এবং কাপ্তাই প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত ।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ ছাদেক বলেন, বর্তমান প্রজন্মে যারা সাংবাদিকতা করছেন তারা একেএম মকছুদ আহম্মেদের আদর্শকে অনুসরণ করলে উন্নতির চরম শিকড়ে পৌঁছতে পারবে। তিনি রাজস্থলী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে সাংবাদিকতায় ৫০ বছর পূর্তি হওয়ায় একেএম মকছুদ আহম্মেদকে অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজস্থলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উবাচ মারমা বলেন, যে আদর্শ এবং নীতি নিয়ে একেএম মকছুদ আহম্মেদ সাংবাদিকতা করে আসছেন তা অনুসরণ করলে এ প্রজন্মের সংবাদকর্মীরা লাভবান হবেন, কারন তিনি কখনও ব্যক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দেইনি।
সংবর্ধিত গুণীজন এ কে এম মকছুদ আহমেদ বলেন, এমন কোন সংবাদ পরিবেশন করবেন না, যাতে করে পাঠক আহত না হয়। প্রকৃত একজন সংবাদকর্মী তিনি যিনি সৎ, নীতিবান এবং আর্দশবান হয়ে মানুষের সেবায় নিয়োজিত হয়ে মানুষের হাসি, কান্না, এলাকার সমস্যা ও সমাধানের পথ দেখিয়ে দেন। তিনি এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সত্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের গেস্ট অপ অনার জেলা পরিষদ সদস্য নিউচিং মারমা বলেন, আমরা যখন সেই ছোটবেলা হতে রাজনীতির সাথে জড়িত হয়েছি, তখন হতে মকছুদ ভাইকে চিনি। তাঁর লেখনিতে এই অঞ্চলের সমস্যা, সম্ভাবনা উঠে এসেছে বহুবার। আর তার এই লেখনির কারণে পাহাড়ে অনেক উন্নয়ন তরান্বিত হয়েছে। তাই রাজস্থলী প্রেস ক্লাব এই গুণি ব্যক্তিকে সংবর্ধনা দেয়ায় তাদের সাধু বাদ জানাই।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন, রাস্তাঘাট উন্নয়ন এবং এই এলাকার পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে একেএম মকছুদ আহম্মেদের লেখনী সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে বলে আজ শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নসহ পাহাড়ের উন্নয়নের ধারা একখনো চলমান রয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক বলেন, নানিয়াচর উপজেলার চেঙ্গী নদীর উপরে যে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে সেটার স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন এ কে এম মকছুদ আহমেদ। তিনি জাতীয় এবং স্থানীয় পত্রিকার মাধ্যমে অনেকবার এই বিষয়ে লেখা লেখি করে গেছেন। এখনো তিনি এলাকার বিভিন্ন সমস্যা, মানুষের সুখ দুঃখের কথা লিখে যাচ্ছেন।
রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফজল আহমদ খান বলেন, সাংবাদিকতা জগতে এ কে এম মকছুদ আহমেদ এর মতো ব্যক্তিত্ব খুব কম জন্মায়, যিনি তাঁর আদর্শ, সততা এবং সত্য প্রকাশের মাধ্যমে এই জগতটা পবিত্র করে রেখেছে। তাই এই গুণি ব্যক্তিকে সবাই মনে রাখবে চিরদিন ধরে।
রাজস্থলী তাইতং পাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, দৈনিক গিরিদর্পন এবং এ কে এম মকছুদ আহমেদ একই সুত্রে গাঁথা। এই অঞ্চলের সু –প্রাচীন এই দৈনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি এই অঞ্চলের সংবাদপত্র জগতকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তার হাত ধরে এই অঞ্চলের অনেক সংবাদকর্মী সৃষ্টি হয়েছে।
পরে রাজস্থলী প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে দৈনিক গিরিদর্পনের সম্পাদক চারণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহম্মেদ এর সাংবাদিকতায় ৫০ বছর পূর্তিতে সম্মাননা প্রদানসহ প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদেরও সম্মাননা তুলে দেন রাজস্থলী প্রেস ক্লাবের সভাপতিসহ অন্যান্য সদস্যরা।
\ নিজস্ব প্রতিবেদক \ পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ দিনের রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ বন্ধে জনমত গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন পাহাড়ের চারন সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদ। আর তার লিখনির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে সর্বত্র শান্তি আনয়নে বিশাল জনমত গঠন হয়েছিল। আর সে সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদন করে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজস্থলী উপজেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত দৈনিক গিরিদর্পনের সম্পাদক চারণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহম্মেদ এর সাংবাদিকতায় ৫০ বছর পূর্তিতে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
রাজস্থলী উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শেখ ছাদেক সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজস্থলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উবাচ মারমা। গেষ্ট অব অনার রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য নিউচিং মারমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, রাজস্থলী উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান অংনুচিং মারমা, উচসিন মারমা, রাজস্থলী থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফজল আহাম্মদ খান। অনুষ্টান সঞ্চালনায় ছিলেন, রাজস্থলী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ আজগর আলী খান।
পরে রাজস্থলী প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে দৈনিক গিরিদর্পনের সম্পাদক চারণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহম্মেদ এর সাংবাদিকতায় ৫০ বছর পূর্তিতে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের দীর্ঘ সংঘাতময় পরিস্থিতি ও পাহাড়ে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ বন্ধে ও পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে পার্বত্য অঞ্চলের চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের ভূমিকা ছিলো অপরিসিম বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা। বক্তারা বলেন, সংঘাতময় পার্বত্য চট্টগ্রামের একমাত্র মুখপাত্র ছিলো দৈনিক গিরিদর্পণ। এই গিরিদর্পণের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা গুলো তুলো ধরে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নকে এগিয়ে নিয়ে গেছে বলে ও মন্তব্য করেন বক্তারা।
সংবর্ধনা সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য অঞ্চল ছিল একটি সময় সংঘাতময় একটি অঞ্চল। এই অঞ্চলে প্রতিনিয়ত খুন, অপহরণ, ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিদ্যমান ছিলো। দৈনিক গিরিদর্পন ও বিভিন্ন পত্রিকায় চারণ সাংবাদিকের লেখনীর মাধ্যমে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে পাহাড়ের শান্তির নীড় গড়ে তুলেছে। কিন্তু এই শান্তির নীড়ে আজো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। বক্তারা চারণ সাংবাদিক সহ অন্যান্য সাংবাদিকদের তাদের কলমের লেখনীর মাধ্যমে পাহাড়ের স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে নিতে আহবান জানান।
বিষেশ প্রতিবেদক :: পাহাড়ে সাংবাদিকতার পথিকৃত চারণ সাংবাদিক খ্যাত একেএম মকছুদ আহমেদের সাংবাদিকতায় ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাঁকে সংবর্ধনা দিচ্ছে রাঙামাটি প্রেসক্লাব। সংবর্ধনা ঘিরে বুধবার রাঙামাটি প্রেসক্লাবে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাঙামাটি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মকছুদ আহমেদের সাথে একই অনুষ্ঠানে আরো চার গুণী ব্যক্তিত্বকে সংবর্ধনা প্রদান করবে প্রেসক্লাব।
প্রস্তুতি সভায় জানানো হয়, আগামী ৫ জানুয়ারি এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের খাদ্যমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এমপি। অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলাপ্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ উর্ধতন কর্মকর্তাগণ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্সের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাঙামাটিতে কর্মরত সকল গণমাধ্যম কর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
অনুষ্ঠানে যাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে তাঁরা হলেন, প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ কে এম মকছুদ আহমেদ, প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ও কেডিএস গার্মেন্টস এর চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত পারিজাত কুসুম চাকমা (মরণোত্তর), প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ও বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মরহুম সাংবাদিক ওবায়দুল হক (মরণোত্তর) ও প্রেসক্লাবের শুভাকাক্সক্ষী, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা। রাঙামাটি প্রেসক্লাবের প্রস্তুতি সভায় সংবর্ধনা আয়োজনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ ছাড়াও ক্লাবে নবযোগদান করা ৭ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। প্রস্তুতি সভার শুরুতে রাঙামাটি প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে নবযোগদান করা সাত সদস্যকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় প্রেসক্লাবের সদস্যরা। পরে নতুন সদস্যরা তাদের পক্ষ থেকে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল। সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক এর সঞ্চালনায় এ সময় সম্ভাব্য সংবর্ধিত অতিথি একেএম মকছুদ আহমেদসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রেসক্লাবের মর্যাদার বিষয়টি মাথায় রেখে একটি সুন্দর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজনের লক্ষ্যে সকলের সহযোগীতা কমানা করেন প্রেসক্লাব সভাপতি।