॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সাংবাদিকদের সাথে সমন্বয় করে জনকল্যাণে কাজ করতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটিতে নবাগত পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন। তিনি বলেন, পুলিশ এবং সাংবাদিকদের কাজের সাথে অনেক মিল রয়েছে। আমরা উভয়েই যে পেশায় থাকিনা কেন জনগনের কল্যাণে কাজ করে যাবো।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারী) দুপুরে রাঙ্গামাটি পুলিশের পলওয়েল পার্কের সম্মেলন কক্ষে রাঙ্গামাটিতে কমর্রত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটির নবাগত পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন এসব কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ছুফি উল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি এডিশনাল পুলিশ সুপার মাঈনুদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপশ রঞ্জন ঘোষ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক গিরিদর্পণের সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমদ, প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাধারন সম্পাদক মোঃ আনোয়ার আল হক, সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে প্রমূখ।
নবাগত পুলিশ সুপার বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গর্বের। অতিতে যেভাবে দেশপ্রেম নিয়ে পুলিশ বিভাগ কাজ করেছে সেভাবেই কাজ করবে।
তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি পুলিশ বিভাগের পরিচালনায় পরিচালিত পলওয়েল পার্কে সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা যাতে অনায়াসে প্রবেশ করতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য জনকল্যাণ মূলক কার্যক্রম পরিচালিত করা হবে।
নবাগত পুলিশ সুপার আরো বলেন, সাংবাদিকরা যাতে একটি প্লাট ফর্মে থাকতে পারে এবং এক সাথে কাজ করতে পারে সেজন্য আন্তরিক ভাবে পুলিশ বিভাগ কাজ করে যাবে। সাংবাদিকদের সাথে এক সাথে কাজ করার পাশাপাশি তথ্য আদান প্রদানে রাঙ্গামাটি পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে আন্তরিক ভাবে কাজ করা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের আশ্বাস প্রদান করেন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পুলিশের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৪ জানুয়ারি) পরিষদের সভা কক্ষে (এনেক্স ভবন) রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী এবং রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে মেয়ে শিশু ও নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্প এর জেলা কর্মকর্তা সুখেশ্বর চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসআইডি-ইউএনডিপির জেন্ডার এন্ড কমুনিটি কোহেসন এর চীফ ঝুমা দেওয়ান। তিনি বলেন, গ্লোবাল এফেয়ার্স কানাডার অর্থায়নে পরিচালিত শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে মেয়ে শিশু ও নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো নারী এবং মেয়ে শিশুদের নিরাপদে বেড়ে উঠার সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলা। এজন্যে এ প্রকল্পের মাধ্যমে রাঙ্গামাটি জেলার ১০০টি স্কুলে মেয়ে শিশু ও নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের সঙ্গে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং ইউএনডিপির কাজের অভিজ্ঞতা আছে।
প্রকল্পে ক. নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও জেন্ডার সংবেদনশীলতা বিষয়ে থানা ভিত্তিক পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ, খ. জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারের পরিষেবাদি বিষয়ক বার্তা প্রচার, গ. ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারের পরিষেবাদি বিষয়ক বার্তা প্রচার এবং ঘ. জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক বার্তা ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রচারের কার্যাদি সংযুক্ত আছে। সর্বমোট ৫৫,০০,০০০ (পঞ্চান্ন লক্ষ) টাকা ব্যয়ে পুলিশের সাহায্যে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের বলেন, ইউএনডিপির ন্যায় পুলিশও জনগণের কল্যাণে কাজ করে। দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারী এবং মেয়ে শিশুদের কল্যাণে ইউএনডিপি যে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এ ধরনের প্রশংসনীয় কাজের শরীক হতে পেরে আমরা গর্বিত। জনগণ যাতে স্বচ্ছন্দ্যে স্বাভাবিক জীপন যাপন করতে পারে এবিষয়ে পুলিশ সদা সতর্ক। তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে পুলিশ সম্মুখ যোদ্ধা হিসাবে কাজ করেছে। সেসময় ডাক্তারদের পরে পুলিশ জনগণের যেকোন প্রয়োজনে কাজ করেছে। আপনারা জানেন সম্মুখ যোদ্ধা হিসাবে কাজ করতে গিয়ে আমাদের প্রচুর পুলিশ ভাই মারা গেছে। এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও পুলিশ জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। মেয়েশিশু এবং নারী সম্প্রদায় যাতে স্বচ্ছন্দ্যে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে এজন্য পুলিশ সবসময় সজাগ এবং সতর্ক থাকবে। তিনি আরও বলেন, জেলা পরিষদ জনগণের প্রতিষ্ঠান। পুলিশ বিভাগও জনগণের কল্যাণে কাজ করে। এ দুটি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করলে ভবিষ্যতে যেকোন কাজে সফলকাম হবে।
চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, পরিষদ এবং পুলিশ বিভাগ যৌথভাবে ইউএনডিপির অর্থায়নে নারী এবং মেয়েশিশুদের ক্ষমতায়নে যে কাজ হাতে নিয়েছে তা টাকার মূল্যে খুব বেশি বড় না হলেও উদ্দেশ্যটি নিঃসন্দেহে মহৎ এবং গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ জনগণের সেবায় নিয়োজিত। পরিষদও একইভাবে জনগণের সেবায় নিয়োজিত। দুই প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করলে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব। তিনি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এককভাবে পুলিশের দ্বারা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে অভিভাবকসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে। অসচেতনতার কারণে সহিংসতা বেশি হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, পুলিশ এবং পরিষদ নিবিড়ভাবে একসঙ্গে কাজ করলে এ প্রকল্প কার্যক্রম সফল হবে। এ বিষয়টি সফল হলে ভবিষ্যতেও আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারবো। পুলিশ বিভাগের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।
এসময় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ ছুফি উল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপস রঞ্জন ঘোষ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈন উদ্দিন চৌধুরী, পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা, এসআইডি-ইউএনডিপির জেন্ডার এন্ড কমুনিটি কোহেসন এর চীফ ঝুমা দেওয়ান, ডিষ্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর অনুপম চাকমা, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে মেয়েশিশু ও নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্প এর জেলা কর্মকর্তা সুখেশ^র চাকমাসহ ইউএনডিপি এবং প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলাধীন মানিকছড়ি তৌহিদী জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) বাদ জুমার নামাজ শেষে মানিকছড়ি রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি সড়ক দিয়ে ঘন্টা ব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানিকছড়িতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ(সঃ) এর ফ্রান্সে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু বক্কর মোল্লা।
তিনি বলেন, এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার দায়ে ফ্রান্সকে আন্তর্জাতিক আদালতে ক্ষমা চাইতে। তাই ফ্রান্স সরকারকে বলবো আগুন নিয়ে খেলা খাবেন না ওই আগুনে গোটা ফ্রান্স পুড়ে যাবে। এযাবৎ যুগে যুগে যারা আল্লাহর রাসুল (সঃ)এর সাথে বেয়াদবি করে রেহাই পায়নি। ফ্রান্সও রেহাই পাবেনা। বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি ফ্রান্স সরকার মুসলমানদের কলিজায় আঘাত করেছে তাই বাংলাদেশে ফ্রান্সের সকল পণ্য আমদানি বন্ধ
রাখতে হবে।
তৌহিদী জনতার ব্যানারে মোঃ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা খোরশেদ আলম, মাওলানা মোঃ সোয়াইব জেলা ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা ওসমান গনি, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন,আবদুল মোমেন ও নুর মোহাম্মদসহ আরো অনেকে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু বক্কর মোল্লা বলেন, এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার দায়ে ফ্রান্সকে আন্তর্জাতিক আদালতে ক্ষমা চাইতে। তাই ফ্রান্স সরকারকে বলবো আগুন নিয়ে খেলা খাবেন না ওই আগুনে গোটা ফ্রান্স পুড়ে যাবে। এযাবৎ যুগে যুগে যারা আল্লাহর রাসুল (সঃ)এর সাথে বেয়াদবি করে রেহাই পায়নি। ফ্রান্সও রেহাই পাবেনা। বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি ফ্রান্স সরকার মুসলমানদের কলিজায় আঘাত করেছে তাই বাংলাদেশে ফ্রান্সের সকল পণ্য আমদানি বন্ধ
রাখতে হবে।
এসময় বক্তারা বলেন, গত ৬ অক্টোবর ফ্রান্সের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে প্রদর্শন করায় তার নিন্দাসহ তীব্র প্রতিবাদ জানান। বাংলাদেশের সকল স্থানে ফ্রান্সের তৈরী পণ্য সামগ্রী বর্জনসহ সব কিছু বয়কট করার আহবান জানান।
বক্তারা বলেন, ফ্রান্সের সরকার রাষ্ট্রীয় ভাবে কি করে তা সমর্থন করলো তারও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ফ্রান্স সরকারের কাছে জোরদাবি দ্রুত ওই শিক্ষককে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার করা না হলে পৃথিবীর সকল মুসলমান একত্রিত হয়ে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে বিশাল জশনে জুলুছে বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাউছিয়া কমিটি রাঙ্গামাটি জেলার উদ্যোগে শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর রিজার্ভ বাজার জামে মসজিদের সামনে থেকে জুলুছ বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরূপা গিয়ে শেষ হয়। এসময় বিভিন্ন মসজিদ থেকে শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লী জুলুছে যোগদান করে।
জশনে জুলুছে বর্ণাঢ্য র্যালীতে রাঙ্গামাটি জেলা গাউছিয়া কমিটির আহবায়ক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, সদস্য সচিব মুহাম্মদ আবু সৈয়দ, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মহসিন রানা, গাউছিয়া কমিটির সদস্য মাওলানা শফিউল আলম আল ক্বাদেরী, হাজী মোঃ আবদুল করিম খান, হাজী মোঃ নাছির উদ্দিন, হাজী মোঃ জসীম উদ্দিন, বনরূপা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ইকবাল হোসেন আল ক্বাদেরী, রিজার্ভ বাজার জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা হাফেজ ক্বারী নঈম উদ্দিন আল ক্বাদেরী, কাঠালতলী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হাফেজ ক্বারী সেকান্দর হোসেন আল ক্বাদেরী, পুরাতন বাস স্টেশন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা জসীম উদ্দিন নুরীসহ বিভিন্ন মসজিদের ইমামগণ র্যালীতে যোগদান করেন। পরে বনরূপা জামে মসজিদে গিয়ে আলোচনা, মিলাদ কিয়াম মোনাজাত শেষে সমাপ্তি হয়।
॥ ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি ॥ সমাজের বিভিন্ন স্থরে নানা পেশায় মানবতার সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে গত ২৪ অক্টোবর বিশ্ব উন্নয়ন তথ্য দিবস ২০২০ উপলক্ষে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিষ্ঠ এসোসিয়েশন ঢাকা মিলনায়তনে মানবতার পরিবার কেন্দ্রীয় কমিটি গুনী সম্মাননা ও ক্রেষ্ট প্রদান করেন। পেশাগত দিক হতে যারা এই সম্মাননা পেয়েছেন তারা হলেন প্রিন্ট মিডিয়া দৈনিক গিরিদর্পণ পরিত্রকার সম্পাদক ও প্রকাশক সাংবাদিক এ.কে.এম. মকছুদ আহমেদ, নারী উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকার অবদান হিসেবে শাপলা নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার নির্বাহী পরিচালক মোঃ নাছির উদ্দিন এবং উপদেষ্ঠা মোঃ নূরুল ইসলাম। ব্যবসায়ীদের সেবা প্রতিনিধিত্বে বিশেষ অগ্রণী ভূমিকা রাখায় তবলছড়ি বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সমাজ সেবক সূলতান কমরু উদ্দিন, সমাজ সেবক মোঃ বেলাল হোসেন, এশিয়া ছিন্ন মূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন রাঙ্গামাটি সদও উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সূূলতান মাহমুদ গজনবী এবং সমাজ সেবক
মোঃ রাশেদুল হক খোকন।
দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক এ.কে.এম. মকছুদ আহমেদ বিশেষ কারণে ঢাকায় উপস্থিত হতে না পারায় গতকাল ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার তার নিজ কার্যালয়ে এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্য গণ সম্মাননা ক্রেষ্ট মানবতার পরিবার কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ হয়ে হস্তান্তর করেন।
মানবতার পরিবার কেন্দ্রিয় কমিটির পরিচালক মাসুদ রানা তার বক্তব্যে বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার গ্রামে গঞ্জে মানবতার সেবায় যারা ভূমিকা রেখেছে এই সংগঠন তাদেরকে উপলব্ধি করেই এই সম্মননা ক্রেষ্ট প্রদান করছে। এই সংগঠন আরো প্রত্যাশা রাখে আগামী প্রজন্মরা এই ভাবে আরো বেশি গঠন মূলক সেবা দিয়ে দেশ ও সমাজকে সুন্দও ভাবে এগিয়ে নিবে।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সারাদেশে ধর্ষণের খবর যখন সর্বত্র আতংক তখন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় নারীদের বিনামূল্যে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষন দেওয়ার কাজে এগিয়ে এসেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সচেতনতা মূলক সংগঠন “স্বপ্নবুনন”।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) শহরের জিমনেশিয়াম প্রাঙ্গনে ৩ দিন ব্যাপি নারীদের আত্মরক্ষামূলক এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন করেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ।
এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম, জেলা মহিলা বিষয় কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম, কর্মশালা প্রশিক্ষক মাম রানা, স্বপ্নবুনন এর প্রধান সমন্বয়ক নাজিমুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন সমন্বয়ক মেহেরিন নিগার রিমিসহ স্বপ্নবুনন এর স্বেচ্ছাসেবী আলী আশরাফ, ছালেহ আহমেদ, রিমন, রাসেল, নোবেল, আফরিন হক, নাহিম উদ্দিন, আসিফ, ইম্মি, সাইমুন, মোস্তাফিজ, রাব্বি, জিসান, শাহেদ, ফয়সাল, মুনিরা, জান্নাত, অপি সাহা, প্রিয়া, নিলয়,আফিয়া, নিজামসহ অন্যান্যরা।
কর্মশালায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ বলেন, আমি আমার কর্মকালে দেখেছি স্বপ্নবুনন শুধুমাত্র নারী নির্যাতন, সহিংসতা, আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ, নারী উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে তা নয়, মার্চ হতে করোনাকালীন সময়ে সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশে আমরা করোনা প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে, ঠিক একইভাবে রাঙ্গামাটিতে সরকার ও আমাদের প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বপ্নবুনন এর কাজটি আমার খুব ভালো লেগেছে, তারা সমাজের যেকোন সমস্যার সমাধানে, মানুষের উপকারে এগিয়ে আসছে এবং মানুষকে সচেতন করছে।
প্রধান সমন্বয়ক নাজিমুল ইসলাম সভাপতির বক্তব্যে বলেন বর্তমানে সময়ে বাংলার নারী সমাজ জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু সমাজের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত মেয়েদের যৌন হয়রানী, সহিংসতার শিকার হতে হচ্ছে। সেই সহিংসতা বিরুদ্ধে মেয়েদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে আত্মরক্ষার কৌশল প্রশিক্ষনের জন্য আমরা এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছি।
উসু প্রশিক্ষক মাম রানা (উসু কোচ, সেকেন্ড দোয়ান) এর তত্বাবধানে তিনদিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষন চলবে বলে জানায় আয়োজকরা। কোর্স শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি এক দিনের সফরে আগামী ৩১ অক্টোবর রাঙ্গামাটিতে আসছেন। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক থেকে প্রেরিত সফর সূচি সুত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি শনিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। এর পর সকাল ১০টায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় উপস্থিত এবং বিএফডিসি ও বিএফআরআই এবং মৎস্য অধিদপ্তরের কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন। দুপুর ১টার দিকে রাঙ্গমাটি সার্কিট হাউজের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।
এর পর দুপুর সাড়ে ৩টায় কাপ্তাই লেরক বিএফডিসি’র মৎস্য উৎপাদনের কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন এবং সন্ধ্যা ৭টায় রাঙ্গামাটি সার্কিস হাউজে রাঙ্গামাটি র্পাত্য জেলার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত মৎস্য ও প্রানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থা সমূহের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করবেন। পর দিন রবিবার (১ নভেম্বর) সকাল ৭টায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পাহাড়ের সংবাদিকতার পথিকৃৎ দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে সাংবাদিকতায় ২০২১ সালে একুশে পদক প্রদানের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হলো। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একুশে পদক প্রাপ্তির জন্য সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সকল তথ্য উপস্থাপন করে মন্ত্রনালয়ে প্রেরণের জন্য রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
রাঙ্গামাটি জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদ স্বহস্ত স্বাক্ষর করে ১৫ অক্টোবর এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের নাম মনোনয়ন করে সাংস্কতিক মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করেছে। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ইসলাম উদ্দিন, সাধারণ শাখার মোঃ আলাউদ্দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে গত ১৫ অক্টোবর ঢাকা সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করেছেন।
দৈনিক গিরিদর্পণ পরিবারের পক্ষ থেকে রাঙ্গামাটি জেলা সহ সর্বস্তরের মানুষের আর্শিবাদ ও প্রার্থনা কামনা করছি। যাতে নির্বাচন কমিটি যথাযথ মুল্যায়ণ করে ২০২১ সালে পাহাড়ের সংশপ্তক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করে।
একুশে পদক পাওয়ার জন্য পাহাড়ের চারণ সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক সকল যোগ্যতা অর্জন করেছেন। ইতিমধ্যে পাহাড়ের সংবাদপত্রের জনক, চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের সাংবাদিকতার ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন। স্বাধীনতার আগে ১৯৬৯ সালের নভেম্বর মাসেই তিনি দৈনিক আজাদী পত্রিকার মাধ্যমে তার সাংবাদিকতা শুরু করেন। দীর্ঘ ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে, অনেকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে, শতশত মৃত্যুর হুমকীকে তোয়াক্কা না করে এগিয়ে গেছেন পাহাড়ের মানুষের অভাব অভিযোগ তুলে ধরতে। পায়ে হেটে হেটে এই পাহাড় থেকে ঐ পাহাড়ে ছুটে ছুটে পাহাড়ের মানুষের কথা দেশবাসীকে জানিয়েছেন। এই মহান সাংবাদিকের পেশাকে তিনি নিজের করে নিয়ে কে একে প্রকাশ করেছেন সাপ্তাহিক বনভূমি ও পার্বত্য অঞ্চলের সর্বপ্রথমক দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক গিরিদর্পণ।
সংবাদপত্র জগতে তিনি পার্বত্য তিন জেলা, চট্টগ্রাম, সহ বিভিন্ন অঞ্চলের অসংখ্য বেকার যুবককে দৈনিক গিরিদর্পন ও সাপ্তাহিক বনভ’মির মাধ্যমে সাংবাদিক বানিয়েছেন। অনেকে জন আজ স্বীকার করলেও অনেকে আজ বড় বড় পত্রিকার মালিক হয়ে এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে চিনেন না এবং পত্রিকার মালিক হয়ে এই চারণ সাংবাদিকের সাথে প্রতিযোগিতা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ তার সাংবাদিকতা জীবনে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের অভাব অভিযোগ গুলো যেমন তুলে ধরেছেন তেমনি অসংখ্য অসহায় মানুষের তিনি সুখে দুঃখে পাশে দাড়িয়েছেন। অসংখ্য শিক্ষার্থীকে তিনি বই সহ বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া চাকুরী দিয়েছেন বেশ কিছু শিক্ষিত বেকার যুবককে।
তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম রাঙ্গাামাটি, কাউখালীর কলমপতি, লংগদু, রামগড় এবং চট্টগ্রামের মীরসরাই, ও রাঙ্গুনিয়া, ফেনী, কুমিল্ল¬ার অন্তত পক্ষে দেড় হাজারেরও অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে নিয়োগ প্রদানে সহযোগিতা করে তাদের পরিবারের ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করেছেন এদের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে চাকুরীরত আছেন এবং অনেকেই অবসর গ্রহণ করে সুন্দর জীবন যাপন করছেন।
তার সাংবাদিকতার দীর্ঘ ৫০ বছর পূর্তির এই দিনে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাব, রাঙ্গামাটি সাংবাদিক ফোরাম সহ রাঙ্গামাটির বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সামাজিক সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।
এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পিতার নাম মৃতঃ জামাল উল্লাহ, মাতার নাম জমিলা খাতুন। তিনি ১৯৫৪ সালের ১০ জুলাই চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলায় উত্তর মগাদিয়া পোষ্ট- মলিয়াইশ জন্ম গ্রহণ করেন।
বর্তমান ঠিকানা ঃ- দৈনিক গিরিদর্পণ, রাঙ্গামাটি প্রকাশনী, রিজার্ভ বাজার, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। । বাসাঃ- গুর্খা কটেজ, জেল রোড, রাঙ্গামাটি। ০৩৫১-৬১৬৩৩। মোবাইল-০১৮২০৩৩২১২০/০১৫৫০৬০৯৩৪২।
শিক্ষাগত যোগ্যতা ঃ- ম্যাট্রিক- ১৯৬২ (আবু তোরাব হাই স্কুল), (মলিয়াইশ জুনিয়ার হাই স্কুল, মিঠানালা হাইস্কুল, দুর্গাপুর হাই স্কুল) আই, এ শিক্ষক প্রাইভেট ১৯৬৮ ইং (রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজ), পিআইবিতে সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক, দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক সহ অসংখ্যবার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।
রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসার পর তৎকালীন জেলা স্কুল পরিদর্শক জনাব আলী আহমেদ দ্বারা ১৯৬৬ সনের নভেম্বরে কাউখালী উপজেলার কলমপতির বেতছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে চাকুরী করেন। পরে ১৯৬৮ সনে লংগদু থানার সোনাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এবং ১৯৬৯ সনের নভেম্বর পর্যন্ত বরকল থানার গোরস্থান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তৎকালীন সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন।
ঐ সময় তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম রাঙ্গাামাটি, কাউখালীর কলমপতি, লংগদু, রামগড় এবং চট্টগ্রামের মীরসরাই, ও রাঙ্গুনিয়া, ফেনী, কুমিল্ল¬ার অন্তত পক্ষে দেড় হাজারেরও অধীক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে নিয়োগ প্রদানে সহযোগিতা করে তাদের পরিবারের ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করেছেন এদের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে চাকুরীরত আছেন এবং অনেকেই অবসর গ্রহণ করে সুন্দর জীবন যাপন করছেন।
সর্বশেষ কর্মরত প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা- পদবী ঃ-
সম্পাদক প্রকাশকঃ- বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সর্বপ্রথম ও তৎকালীন একমাত্র সংবাদপত্র সাপ্তাহিক বনভূমি (১৯৭৮ ইং) দৈনিক গিরিদর্পণ (১৯৮৩ ইং) বর্তমানে তিন পার্বত্য জেলার সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক সংবাদপত্র যার বয়স বর্তামনে ৩৩ বছর পূর্ণ করে ৩৪ শে পা রেখেছে।
১৯৬৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রামস্থ দৈনিক আজাদীর রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি হিসাবে সাংবাদিকতা জীবনের শুরু হয়। ১৯৭৩ দৈনিক জনপদ জেলা সংবাদদাতা, ১৯৭৪ দৈনিক পূর্বদেশ, বার্তা সংস্থা এনাতে, ১৯৭৪-৭৭ এবং ১৯৭৯-৮৬ বাসসে কর্মরত ছিলাম, ১৯৭৬ সন থেকে ২০০৮ সালের ফেব্র“য়ারী পর্যন্ত ইত্তেফাকের রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ইত্তেফাক (১৯৭৮ ইং থেকে) বর্তমানে জেলা প্রতিনিধি ইত্তেফাক। ১৯৮৬-৮৯ পর্যন্ত ইত্তেফাক সংবাদদাতার পাশাপাশি নিউ নেশন এর জেলা সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করেছিলেন। ১৯৯২-৯৩ দি টেলিগ্রাফ পত্রিকায়, সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ থেকে জানুয়ারী ২০০১ পর্যন্ত দি ডেইলী ইন্ডিপেনডেন্ট এর রাঙ্গামাটি জেলা সংবাদদাতা এবং ১৯৮৩-১৯৯৮ ইং পর্যন্ত বিবিসির জন্য কাজ করেছিলেন। চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিশ্বের নিকট পরিচিত করে তুলতে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন।
জেলা সংবাদদাতা- জেলা সংবাদদাতা বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম ১৯৯৫ সাল হতে ও রাঙ্গামাটি কেন্দ্রে ২০০৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ বেতার রাঙ্গামাটি বার্তা বিভাগের জেলা সংবাদদাতা হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিঃ এর ২০১৪ সাল পর্যন্ত কর্মরত এবং জুন ২০০৫ থেকে নিউ নেশানের ২০০৮ পর্যন্ত জেলা সংবাদদাতা হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
প্রকাশক ঃ- চাক্মা-মারমা কথোপকথন (জুভাপদ) (১৯৭৭), নোয়ারাম চাক্মা প্রণীত গোজেন লামা (১৯৭৭), পরিবার পরিকল্পনা প্রাথমিক গান (১৯৭৭) অধীর কান্তি বড়–য়া প্রণীত প্রাথমিক বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষা, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম (শ্রেণীর পাঠ্য) হাবিবুর রহমান মজুমদারের রাঙ্গামাটির ভাবনা (কবিতার বই), নন্দলাল শর্মার পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা। সৈয়দ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদের শিক্ষা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, করমালী। এডভোকেট প্রতিম রায় পাম্পুর পার্বত্য আইন তত্ত্বেও প্রয়োগে। ত্রিপুরা ভাষার বর্ণমালা- মহেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (২০০২), আকাশে হেলান দিয়ে- নন্দলাল শর্মা (২০০৩)। পরিবেশক জেলা প্রশাসক কর্তৃক সম্পাদিত রাঙ্গামাটি বৈচিত্রের ঐকতান (২০০৫)। স্বত্বাধিকারী রাঙ্গামাটি প্রকাশনী।
সম্মাননা ও পদক ঃ- মুক্তিযুদ্ধের বিজয় রজত জয়ন্তী, রাঙ্গামাটি রোটার্যাক্ট ক্লাব ও চট্টগ্রাম ডাউন টাউন (১৯৯৫), পরিবার পরিকল্পনা প্রচার সপ্তাহ এফপিএবি (১৯৯৫), সুধীজন ও গুনীজন সংবর্ধনা খেলাঘর আসর (১৯৯৬), ফুলকঁড়ির আসর ১৯৯৯, শিল্পী নিকুঞ্জ- সাংবাদিকতায় অবদান- ২০০১, ১৯৯০ সনে “আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনষ্টিটিউট এর পৃথিবীর পাঁচ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব নামক” বইতে জীবন বৃত্তান্ত স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশ প্রেস ইনষ্টিটিউট এর সাংবাদিক অভিধানে জীবন বৃত্তান্ত যোগ করা হয়েছে।
চারণ সাংবাদিক হিসেবে সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মরহুম আব্দুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার স্মৃতি পদক ২০০৩ লাভ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব সংবর্ধনা ও সম্মাননাা প্রদান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাঙ্গামাটি জেলা কর্তৃক সম্মাননা প্রদান, বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি রাঙ্গামাটি পার্বত্য শাখা কর্তৃক সম্মাননা, শিল্পী নিকুঞ্জ কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা ২০০৪ এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য রিজার্ভ বাজার ক্রীড়া একাডেমীর সম্মাননা ২০০৪, ২০০৩-২০০৪ ইং বর্ষে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩২৮০ কর্তৃক রোটারী ক্লাব অব রাঙ্গামাটির প্রেসিডেন্ট হিসাবে পুরস্কার লাভ। বান্দরবান প্রেসক্লাব কর্তৃক সম্মাননা প্রদান, ২০০৪, কাপ্তাই রাঙ্গুনিয়া সাংবাদিক ফোরাম কর্তৃক স্বর্ণ পদক, ২০০৪, স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি বাংলাদেশ কর্তৃক চট্টগ্রামে আব্দুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার মৃত্যু বার্ষিকীতে ২০০৪ সনে সম্মাননা লাভ। পত্রিকায় সেনিটেশন বিষয়ে কভারেজ দেওয়ার প্রেক্ষিতে সম্মাননা প্রদান, ২০০৫, রাঙ্গামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান, ১২ মে ২০০৫, স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি বাংলাদেশ কর্তৃক চট্টগ্রামে আব্দুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার মৃত্যু বার্ষিকীতে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্রের বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা প্রদান, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৫, পার্বত্য চট্টগ্রামে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ফুটন্ত ফুলের আসরের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান, ২৪ অক্টোবর ২০০৫, ৬০ বৎসর পূর্তিতে রিজার্ভ বাজার ক্রীড়া একডেমীর পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদানের জন্য বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিশ্ব প্রেস কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান, ১০ ডিসেম্বর ২০০৫, ২৮ জানুয়ারী’ ০৬ ইং মীরসরাই সমিতি চট্টগ্রাম কর্তৃক সম্মাননা প্রদান। ২০ নভেম্বর ২০০৯ ফরিদপুরের নির্ণয় শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য স্বর্ণপদক ও সম্মাননা প্রদান। ২০১০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য দক্ষিণ এশিয়া সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ কর্তৃক মাদার তেরেসা শান্তি পদক লাভ। ২০১২ সালে দৈনিক আজাদীর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাঙ্গামাটির অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। ২০১২ সালে ভারতের উত্তরবঙ্গ নাট্য জগত পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দুই বাংলার সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য পদক। ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের রাঙ্গামাটি জেলা সম্মেলনে মানবাধিকার ও সাংবাদিকতার জন্য বিশেষ সম্মানান পুরস্কারে ভূর্ষিত করা হয়। সম্মাননা-২০১৪ সালে পরিবেশ ও মানবাধিকার উন্নয়ন সোসাইটি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৫০ তম বর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠানে বিশেস অবদানের জন্য পদকে ভূষিত হয়েছেন। ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাকিতায় অবদানের জন্য গুনীজন সম্মাননা প্রদান। গত ২০ মে ২০১৬ সালে দৈনিক রাঙ্গামাটির পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান। ৫ই এপ্রিল ২০১৯ মিরসরাইয়ে খবরিকা পত্রিকার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আন্তর্জাতিক কবি সমাবেশ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননা প্রদান। ৬ এপ্রিল ২০১৯ সালে হাজী আব্দুল বারী মাতব্বর ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কর্তৃক ক্রড়িা উন্নয়নে অবদানের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
১৬ই এপ্রিল প্রয়াস এর উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ অলিম্পিয়ার্ডের গুনিজন সংবর্ধনায় পাহাড়ের প্রথম সাংবাদিকতা ও জনস্বার্থে অবদান রাখায় সম্মাননা প্রদান। ১৬ এপ্রিল বাংলা নববর্স উদ্্যাপন পরিষদ ১৪২৬ মাঝেরবস্তি তবলছড়ি রাঙ্গামাটি কর্তৃক আলোকিত রাঙ্গামাটি কর্তৃক সম্মমানা প্রদান। ১৯ এপ্রিল ২০১৯ রাঙ্গামাটি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মানবাধিখার সম্মেলনে মানবাধিকার কর্মকান্ডে বিশেষ অবদানের জন্য দুটি সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। ৩ মে ২০১৯ রাঙ্গামাটিতে চ্যানেল আই এর অফিস উদ্বোধন ও অনলাইন পাহাড়ের আলোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতার গুরুত্বপুর্ণ অবদানের জন্য বিশেস সম্মাননা প্রদান।
২৩ জুন ২০১৯ ওয়াল্ড পীস এন্ড হিউম্যান রাইটস্্ সোসাইটি রাঙ্গামাটি এর উদ্যোগে গুনীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সম্মানা প্রদান করা হয়। ৩০ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটির অনলাইন সিএইচটি নিউজের ৬ষ্ঠ বর্ষ পূর্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাংবাদিকতায় বিশেষ ভ’মিকা রাখায় সম্মাননা প্রদান। ১ জানুয়ারী ২০২০ রাঙ্গামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুর্ণর্বাসন কেন্দ্রের উদ্যোগে বই বিতরণ ও গুনীজন সংবর্ধনায় সাংবাদিকতায় ৫০ বছর পূর্তিতে সম্মননা প্রদান করা হয়। ২৪ জানুয়ারী ২০২০ রাঙ্গামাটি চারুকলা একাডেমীতে সিএইচটি মিডিয়া ২৪ ডট কম এর ৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে গুনীজন সম্মানা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতায় ৫০ বছর পূর্তিতে বিশেস সম্মাননা প্রদান করা হয়।
আজীবন সদস্য ঃ- বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি, (এফপিএবি) এবং দুইবার সহ-সভাপতি এবং একবার সভাপতি এফপিএবি, পার্বত্য জেলা শাখা। সমাজ কল্যাণ বিভাগের অপরাধ দমন কমিটি, দাতা সদস্য ঃ- রাঙ্গামাটি সাধারণ পাঠাগার, শহীদ আব্দুল আলী একাডেমী। আজীবন সদস্য ও রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সদস্য, রাঙ্গামাটি ডায়াবেটিক হাসপাতাল। সহ-সভাপতি নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ কমিটি, সহ-সভাপতি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রাঙ্গামাটি জেলা শাখা, কেন্দ্রীয় কবরস্থান পরিচালনা কমিটি, সহ-সভাপতি জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ কমিটি (নাটাব), রাঙ্গামাটি জেলা শাখা। সভাপতি রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব (২৫ বৎসর), সভাপতি বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা রাঙ্গামাটি জেলা শাখা। সভাপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল সংবাদপত্র পরিষদ। সভাপতি-রিজার্ভ বাজার ক্রীড়া একাডেমী, সদস্য বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ। প্রতিষ্ঠাতা ভাইস প্রেসিডেন্ট রোটারী ক্লাব অব রাঙ্গামাটি এবং প্রেসিডেন্ট ২০০৩-০৪, ২০০৭-২০০৮, সর্বোচ্চ পরিষদ সদস্য- জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা বাংলাদেশ, কেন্দ্রীয় সদস্য বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। অপরাধী সংশোধনী ও পুনর্বাসন সমিতি রাঙ্গামাটির সদস্য। ৫ বৎসরের জন্য রাঙ্গামাটি জেলা রোভার স্কাউটস্ কমিশনার, সহ-সভাপতি রাঙ্গামাটি জেলা রোভার স্কাউটস। বেসরকারী কারা পরিদর্শক সদস্য। সভাপতি পরিবেশ ও মানবাধিকার উন্নয়ন সোসাইটি, রাঙ্গামাটি জেলা শাখা। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি, রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি হিসাবে দায়িত্বরত আছে।
সাবেক সভাপতি ঃ- রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসাবে ২৪ বছর দায়িত্ব পালন, বাংলাদেশ গ্রামীন সংবাদপত্র পরিষদ ও জাতীয় সংবাদপত্র পরিষদ, সদস্য ইন্টারন্যাশনাল বায়োগ্রাফিক্যাল ইনিষ্টিটিউট। সদস্য এ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল, সাবেক সদস্য ইন্টারন্যাশনাল আর্গানাইজেশন অব জার্নালিষ্ট (আই ও জে), এ্যামিক-সিঙ্গাপুর, রিপোটার্স সান্সফ্রন্টিয়ার্স-ফ্রান্স।
প্রধান উপদেষ্টা- রাঙ্গামাটি বেবী টেক্সী চালক কল্যান সমিতি, উপদেষ্ঠা-আবাহনী ক্রীড়া চক্র- রাঙ্গামাটি, রিজার্ভ বাজার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতি ও বেবী টেক্সী মালিক সমিতি, মানব কল্যান পরিষদ, পার্বত্য কাঠ ব্যবসায়ী কল্যান সমিতি ও উপদেষ্ঠা, এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন, ঢাকা, রাঙ্গামাটি ডায়বেটিক সমিতি, উপদেষ্ঠা, শাপলা নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, রাঙ্গামাটি, উপদেষ্ঠা রাখাইন ত্রিপুরা (আরটি) প্রকাশনা সংস্থা মহালছড়ি, উপদেষ্ঠা মাইজভারী গাউসিয়া হক রাঙ্গামাটি বাংলাদেশ কমিটির উপদেষ্ঠা।
১৯৭৭ সন থেকে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সভাপতি ছাড়াও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জাতীয় শান্তি ও সমন্বয় পরিষদ এর সহ সভাপতি হিসেবে এবং এছাড়া এ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশেনালের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় বিভিন্ন মানবাধিকার কাজের সঙ্গে জড়িত থেকে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখা হয়েছে।
মানবাধিকারের বিষয় ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার পরিবেশ ও বন রক্ষা, বন্য হাতির আবাসস্থল নিরাপদ রাখতে এবং কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং ও দূষণ প্রতিরোধে বিভিন্ন পর্যায়ে অবদান রেখেছেন।
॥ রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি ॥ রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে সেনাটহলে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেনাটহলে জেএসএস সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলিবর্ষণ করলে আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। এতে দুইজন ইউপিডিএফের সন্ত্রাসী নিহত হয়। এতে এক সেনা সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহত সেনাসদস্যকে হেলিকপ্টার যোগে রাঙ্গামাটি থেকে চট্টগ্রাম সিএমএইচ স্থানান্তর করা হয় এবং বর্তমানে সে আশংকামুক্ত। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নানিয়ারচরের বুড়িঘাট রউফ টিলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সেনাবাহিনী তল্লাশী চালিয়ে একটি একে-২২ এসএমজি অটোমেটিক রাইফেল উদ্ধার করে। তল্লাশী এখনো অব্যাহত রয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাঙ্গামাটি জোনের একটি টহল দল রউফ টিলা এলাকায় ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ) এর সশস্ত্র চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের জন্য একটি অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সেনা সেনা টহল এর উপস্থিত বুঝতে পেরে পার্শ্ববর্তী একটি টিলার উপরে অবস্থানরত চাঁদাবাজদের সাহায্যকারী অপর একটি সন্ত্রাসী দল সেনা টহলের উপর গুলিবর্ষণ করে। সেনা টহল পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে ঘটনাস্থলে দুইজন সশস্ত্র চাঁদাবাজ নিহত হয় এবং সন্ত্রাসীদের গুলিতে সৈনিক শাহাবুদ্দিন নামে একজন টহল দলের সদস্য বাম কাঁধে গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় টহল দল ঘটনাস্থল হতে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ১টি একে-২২ এসএমজি উদ্ধার করে। পরবর্তীতে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে আহত সেনাসদস্যকে হেলিকপ্টার যোগে রাঙ্গামাটি থেকে চট্টগ্রাম সিএমএইচ স্থানান্তর করা হয় এবং বর্তমানে সে আশংকামুক্ত।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পাহাড়ের সংবাদপত্র জগতের জনক, সাংবাদিকতার পথিকৃৎ দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে সংবর্ধিত করতে পেরে বাঘাইছড়ি বাসী ধন্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা। ১২ অক্টোবর সোমবার রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়ি প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে পার্বত্য অঞ্চলের সংবাদপত্রের পথিকৃৎ দৈনিক গিরিদর্পণের সম্পাদক একে এম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বাঘাইছড়ি প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে সংবর্ধণা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বক্তারা এ কথা বলেন। সোমবার সকালে বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংবর্ধণা অনুষ্টানে বাঘাইছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি দীলিপ কুমার দাশের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলাম, সংবর্ধিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক পার্বত্য অঞ্চলের সংবাদপত্রের পথিকৃৎ, চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাঘাইছড়ি পৌর সভার মেয়র জাফর আলী খান, বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফ, বাঘাইছড়ি সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো কাইয়ুম, সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুর রহমান আজিজ, বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলী হোসেন, কাচালং কলেজের অধ্যক্ষ দেব প্রসাদ দেওয়ান, দৈনিক গিরিদর্পণ বার্তা সম্পাদক নন্দন দেবনাথ, সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা, কাচালং ডিগ্রী কলেজের প্রফেসর মোঃ কামাল হোসেন বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাঘাইছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি ও বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উপ-সহকারী উদ্ভিত সংরক্ষক তোফায়েল আহম্মেদ। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে কাজ করার নতুন অভিজ্ঞতা আমার জন্ম হয়েছে। এই অঞ্চলের এমন একজন গুনী ব্যক্তি পাহাড়ের চোখ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে যে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে তা যথার্থই হয়েছে। তিনি যে পরিমানে পাহাড়ের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে তাকে এই সামন্য সম্মানা দিয়ে কিছুই হবে না। তাকে আরো বড়ো মাপে রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় ভূষিত করা হলে হয়তো তা পুরণ হওয়া সম্ভব। তিনি এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের দীর্ঘ সুস্থ জীবন কামনা করেন। সংবর্ধনার জবাবে দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক সাংবাদিকতার পথিকৃৎ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ বলেন, আমার সাংবাদিকতা জীবনের শুরু হচ্ছে বাঘাইছড়ির লালু কালুর দাশপ্রথা দিয়ে। এই বর্ণাঢ্য জীবনের শুরুর কথা গুলো আমি কখনোই ভুলতে পারবো। তিনি বলেন, পাহাড়ের সাংবাদিকা বর্তমানে অনেক সহজ হয়ে গেছে। আমরা যখন সাংবাদিকতা করেছি তখন পায়ে হেঁটে হেঁটে করতে হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিটি গ্রামে আমার যাওয়া হয়েছে। প্রতিটি গ্রামের মানুষের কথা তুলে ধরতে পেরেছি বলেই পাহাড়ের মানুষ আমাকে এখনো ভালোবাসে। মানুষের ভালোবাসা পেয়েই আমি বেঁচে আছি। অনেক অসুস্থ হয়েও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শান্তিতে ইউনেস্কো পুরস্কার পেয়েছে। পাহাড়ের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তি চুক্তি করে। এই চুক্তিতে বাস্তবায়নের জন্য আমার অবদান কম নয়। পাহাড়ের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দৈনিক গিরিদর্পনের মাধ্যমে যে লেখনী আমরা লিখেছি তারই আলোকে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন আরো সহজ হয়েছে। বাঘাইছড়ি পৌর সভার মেয়র জাফর আলী খান বলেন, বাঘাইছড়ি পৌরসভার উন্নয়নে দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদকের অবদান কম নয়। বাঘাইছড়ি পৌরসভার বিভিন্ন অভাব অভিযোগ পত্রিকার মাধ্যমে তুলে ধরে তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, পাহাড়ের এই চোখকে সংবর্ধনা জানাতে পেরে আজ নিজেদের গর্বিত মনে হচ্ছে। বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফ বলেন, সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা যেটার মাধ্যমে সকলের উপকার করা যায়। তিনি বলেন, পুলিশ ও সাংবাদিক কেউ কারো চেয়ে কম নয়। সকলেই একে অন্যের পরিপুরক। সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের দীর্ঘ ৫০ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে পাহাড়ের অনেক মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। বাঘাইছড়ি সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো কাইয়ুম বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক চারণ সাংবাদিকদের ৫০ বছরের কর্মময় সাংবাদিকতা জীবনে মানুষের উপকারে অনেক কাজ করেছে। তিনি তার লেখানীর মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের দুঃখ দুরদাশা গুলো তুলে ধরে তাদের কল্যাণে কাজ করেছে। সাবেক বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুর রহমান আজিজ বলেন, এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে পাহাড়ের প্রতিটি মানুষ উপকৃত হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চল এমন কোন সাংবদিক নেই এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের হাতে ছোঁয়া পায়নি। অনেকেই আজ বড়ো বড়ো সাংবাদিক। তার পত্রিকা বনভ’মি ও গিরিদর্পণ পত্রিকায় লেখা লেখি করে আজ তারা নামীদামী সাংবাদিক। তিনি পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন বলেই পাহাড়ের প্রতিটি মানুষ আজ তাকে ভালোবাসে। বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলী হোসেন বলেন, ছাত্র জীবনে লেখাপড়া করেছি রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজে। এই কলেজে লেখাপড়ার করার সময় এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পত্রিকা অফিস রাঙ্গামাটি প্রকাশনী থেকে বই সংগ্রহ করে লেখাপড়া করার সুযোগ হয়েছে। তিনি বলেন, অসংখ্য গরীব ও মেধাবী ছাত্র ছাত্রী এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের সহযোগিতায় আজ শিক্ষিত হয়েছে। এমন গুনী মানুষের সাংবাদিকতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্মাননা জানাতে পেরে নিজেরাই আজ গর্বিত।
কাচালং কলেজের অধ্যক্ষ দেব প্রসাদ দেওয়ান বলেন, এ,কে,এম মকছুদ আহমেদেও ৫০ বছরের বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতা জীবনের পাশাপাশি তার রাঙ্গামাটি প্রকাশনী ছিল ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা গ্রহণের আরেকটি স্কুল। এই প্রকাশনীতে ছাত্র ছাত্রীরা তাদের বিভিন্ন শিক্ষা মুলক বই সহ বিভিন্ন সামায়িকী নিয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছিলো। এমন মানুষের ৫০ বছরের সাংবাদিকতা জীবনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।
পরে বাঘাইছড়ি পৌরসভার পক্ষ থেকে মেয়র মোঃ জাফর আলী খান ও বাঘাইছড়ি প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সভাপতি দীলিপ কুমার দাশ এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন ক্রেষ্ট তুলে দেন।